গোপালপুর প্রতিনিধি
গোপালপুর উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে লড়ছেন স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহীরা। এ যেন ঘরের শত্রু বিভীষণ। এতে চেয়ারম্যান পদে ১৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সাত নেতা নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৩১ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ভোটারেরা বলছেন, সবচেয়ে জমজমাট লড়াই হবে হাদিরা ইউপিতে। এ ইউপিতে নিহত আমিনুল ইসলামের স্ত্রী বিলকিস জাহান নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। আর নৌকার বিরুদ্ধে লড়ছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন। এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আজাদ।
এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি নেতা আবু বকর সিদ্দিক। তবে বেশ কয়েকটি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি জায়গায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মির্জাপুর ইউপিতে নৌকার প্রার্থী বড়শিলা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম। এ ইউপিতে তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হালিমুজ্জামান তালুকদার এবার মনোনয়ন পাননি। ফলে তাঁর কর্মী ও সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক হোসেন মিয়াকে সমর্থন করছেন। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন বিএনপি নেতা মোখলেছ। তাঁর অভিযোগ কর্মীদের মাঠে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
আলমনগর ইউপিতে নৌকা পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মোমেন। তিনি এর আগেও দুবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখানে আওয়ামী লীগের গলার কাঁটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। মোমেনের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক মফিজুর রহমান লুৎফর। এ ইউপিতে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা এহসানুল হক চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ধোপাকান্দি ইউপিতে এবার নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন মো. সিরাজুল ইসলাম। গত নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন আবদুর রহিম। আর নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল হাই। গতবার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। গত তিন মাস আগে দল তাঁকে আবার পুনর্বহাল করে। কিন্তু মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া এখানে আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন।
নগদা শিমলা ইউপিতে এবার নৌকা পেয়েছেন ছয়বারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মো. হোসেন আলী। এ ইউপিতে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম মোস্তফা আঙুর। এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী খন্দকার শহীদুল আলম। তবে এ ইউপিতে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ পর্যন্ত দু-তিনটি মারামারি ঘটনায় চার থেকে পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। স্বতন্ত্র, বিদ্রোহী (আওয়ামী লীগ) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী অভিযোগ, নৌকার প্রার্থী-সমর্থকেরা তাঁদের মাঠে কাজ করতে দিচ্ছেন না। নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. হোসেন আলী, অধ্যাপক আবদুল মোমেন এবং মো. সিরাজুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, শান্তিপূর্ণভাবেই প্রচার চলছে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ভরাডুবির আশঙ্কায় তাঁদের বিরুদ্ধে এসব বানোয়াট অভিযোগ তুলছেন।
নির্বাচন বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এসব ইউপিতে ইলেকট্রনিকস ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গোপালপুর উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে লড়ছেন স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহীরা। এ যেন ঘরের শত্রু বিভীষণ। এতে চেয়ারম্যান পদে ১৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সাত নেতা নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৩১ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ভোটারেরা বলছেন, সবচেয়ে জমজমাট লড়াই হবে হাদিরা ইউপিতে। এ ইউপিতে নিহত আমিনুল ইসলামের স্ত্রী বিলকিস জাহান নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। আর নৌকার বিরুদ্ধে লড়ছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন। এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আজাদ।
এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি নেতা আবু বকর সিদ্দিক। তবে বেশ কয়েকটি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি জায়গায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মির্জাপুর ইউপিতে নৌকার প্রার্থী বড়শিলা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম। এ ইউপিতে তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হালিমুজ্জামান তালুকদার এবার মনোনয়ন পাননি। ফলে তাঁর কর্মী ও সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক হোসেন মিয়াকে সমর্থন করছেন। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন বিএনপি নেতা মোখলেছ। তাঁর অভিযোগ কর্মীদের মাঠে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
আলমনগর ইউপিতে নৌকা পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মোমেন। তিনি এর আগেও দুবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখানে আওয়ামী লীগের গলার কাঁটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। মোমেনের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক মফিজুর রহমান লুৎফর। এ ইউপিতে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা এহসানুল হক চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ধোপাকান্দি ইউপিতে এবার নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন মো. সিরাজুল ইসলাম। গত নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন আবদুর রহিম। আর নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল হাই। গতবার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। গত তিন মাস আগে দল তাঁকে আবার পুনর্বহাল করে। কিন্তু মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া এখানে আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন।
নগদা শিমলা ইউপিতে এবার নৌকা পেয়েছেন ছয়বারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মো. হোসেন আলী। এ ইউপিতে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম মোস্তফা আঙুর। এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী খন্দকার শহীদুল আলম। তবে এ ইউপিতে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ পর্যন্ত দু-তিনটি মারামারি ঘটনায় চার থেকে পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। স্বতন্ত্র, বিদ্রোহী (আওয়ামী লীগ) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী অভিযোগ, নৌকার প্রার্থী-সমর্থকেরা তাঁদের মাঠে কাজ করতে দিচ্ছেন না। নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. হোসেন আলী, অধ্যাপক আবদুল মোমেন এবং মো. সিরাজুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, শান্তিপূর্ণভাবেই প্রচার চলছে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ভরাডুবির আশঙ্কায় তাঁদের বিরুদ্ধে এসব বানোয়াট অভিযোগ তুলছেন।
নির্বাচন বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এসব ইউপিতে ইলেকট্রনিকস ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে