সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বন্যার পানির তোড়ে সেতুর পিলারসহ স্প্যান ধসে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ২৫ গ্রামের প্রায় ৫০ সহস্রাধিক মানুষ। ভেঙেপড়া সেতু পুনঃ নির্মাণের দাবিতে ভুক্তভোগীরা বারবার দাবি জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে বন্যার পানির তোড়ে আশপাশের ২৫ গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সেতুর একটি অংশ ঝিনাই নদে ধসে পড়ে। এ সময় সেতুর চারটি পিলার ও তিনটি স্প্যানসহ প্রায় ৬০ মিটার নদীতে ধসে পড়ে। এরপর থেকে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শুয়াকৈর, হেলেঞ্চাবাড়ি, স্বাধীনাবাড়ি, সোনাকান্দর, ডিগ্রি পাছবাড়ি, বড়বাড়ীয়া, চর বড়বাড়ীয়া, বাউসি, চুনিয়াপটল, রৌহা, আদ্রা, ছাতারিয়া ও পাশ্ববর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি গ্রামসহ প্রায় ২৫ গ্রামের মানুষের। এ ছাড়া কৃষিপণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। উপজেলা শহর থেকে সময়মত সার-বীজ ও কীটনাশক সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কাঁধে বহন করে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে হচ্ছে। প্রায়ই তাঁদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সময়মতো বাজারজাত করতে না পারায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা। বেড়েছে পণ্য পরিবহনসহ যাতায়াত খরচও।
সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের সোনাকান্দর ও শুয়াকৈর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ঝিনাই নদ। এ নদের ওপর ২০০৬ সালে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মিত হয়। সেতু নির্মাণের পর থেকে পাশের মাদারগঞ্জের সঙ্গে উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে। সেতুর কিছু অংশ ধসে পড়ায় এ যোগাযোগে আবার ভাটা পড়েছে।
এ ছাড়া এ উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের ছাতারিয়া, চান্দিনা, রৌহা, চুনিয়াপটলসহ কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর ও চর হেলাঞ্চাবাড়ী গ্রামের শিক্ষার্থীদের অনেকে উপজেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। সেতু পথে চলাচল করতে না পারায় এসব শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। সেতু ধসে পড়ায় সেতুর দুই প্রান্তে তেমন কোনো যানবাহন মেলে না। এ কারণে শিক্ষার্থীদের প্রায়ই পায়ে হেঁটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
শুধু তা-ই নয়। বয়স্ক রোগীসহ প্রসূতি রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার প্রয়োজন হলেও সেতুর এমন অচল অবস্থায় তা সম্ভব হয়ে উঠে না। অনেকে এই ভাঙা সেতু পার হতে গিয়ে আহতও হয়েছেন।
বর্ষা মৌসুমে এ সেতু পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। তখন নৌকাই একমাত্র ভরসা। বৃষ্টি ও ঝড়ের দিনে নৌকা না পেয়ে অনেককে সাঁতরে নদী পার হতে হয়। তখন কৃষিপণ্য পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। অন্যদিনগুলো নৌকা পারাপারে যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে প্রায়ই ঘটে নৌ-দুর্ঘটনা। ভুক্তভোগীরা অতি দ্রুত সেতুটি নির্মাণ অথবা পুনঃ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
শুয়াকৈর হাছেন আলী দাখিল মাদ্রাসার শরীরচর্চা বিষয়ক শিক্ষক শামীম আহম্মেদ বলেন, সেতুর পিলারসহ স্প্যান ধসে পড়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে যাতায়াতের দুর্ভোগে পড়েছেন তিনি। প্রতিদিনই তাঁকে পায়ে হেঁটে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে।খুব দ্রুত সেতুটি পুনঃ নির্মাণ করা গেলে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ কমে যাবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে কামরাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, সেতুর এমন দশায় আশপাশের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।রোগী আনা-নেওয়াসহ পণ্য পরিবহনে বেগ পেতে হচ্ছে। বারবার মানববন্ধন করেও কোনো সাড়া মেলেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালের বন্যায় ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটির ৬০ মিটার ধসে পড়ে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এ সেতুটি পূনঃনির্মানের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর ও সোনাকান্দর এলাকার ঝিনাই নদের ওপর ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডির অর্থায়নে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০০৬ সালে সেতু নির্মাণকাজ শেষ হয়।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বন্যার পানির তোড়ে সেতুর পিলারসহ স্প্যান ধসে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ২৫ গ্রামের প্রায় ৫০ সহস্রাধিক মানুষ। ভেঙেপড়া সেতু পুনঃ নির্মাণের দাবিতে ভুক্তভোগীরা বারবার দাবি জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে বন্যার পানির তোড়ে আশপাশের ২৫ গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সেতুর একটি অংশ ঝিনাই নদে ধসে পড়ে। এ সময় সেতুর চারটি পিলার ও তিনটি স্প্যানসহ প্রায় ৬০ মিটার নদীতে ধসে পড়ে। এরপর থেকে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শুয়াকৈর, হেলেঞ্চাবাড়ি, স্বাধীনাবাড়ি, সোনাকান্দর, ডিগ্রি পাছবাড়ি, বড়বাড়ীয়া, চর বড়বাড়ীয়া, বাউসি, চুনিয়াপটল, রৌহা, আদ্রা, ছাতারিয়া ও পাশ্ববর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি গ্রামসহ প্রায় ২৫ গ্রামের মানুষের। এ ছাড়া কৃষিপণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। উপজেলা শহর থেকে সময়মত সার-বীজ ও কীটনাশক সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কাঁধে বহন করে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে হচ্ছে। প্রায়ই তাঁদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সময়মতো বাজারজাত করতে না পারায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা। বেড়েছে পণ্য পরিবহনসহ যাতায়াত খরচও।
সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের সোনাকান্দর ও শুয়াকৈর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ঝিনাই নদ। এ নদের ওপর ২০০৬ সালে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মিত হয়। সেতু নির্মাণের পর থেকে পাশের মাদারগঞ্জের সঙ্গে উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে। সেতুর কিছু অংশ ধসে পড়ায় এ যোগাযোগে আবার ভাটা পড়েছে।
এ ছাড়া এ উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের ছাতারিয়া, চান্দিনা, রৌহা, চুনিয়াপটলসহ কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর ও চর হেলাঞ্চাবাড়ী গ্রামের শিক্ষার্থীদের অনেকে উপজেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। সেতু পথে চলাচল করতে না পারায় এসব শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। সেতু ধসে পড়ায় সেতুর দুই প্রান্তে তেমন কোনো যানবাহন মেলে না। এ কারণে শিক্ষার্থীদের প্রায়ই পায়ে হেঁটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
শুধু তা-ই নয়। বয়স্ক রোগীসহ প্রসূতি রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার প্রয়োজন হলেও সেতুর এমন অচল অবস্থায় তা সম্ভব হয়ে উঠে না। অনেকে এই ভাঙা সেতু পার হতে গিয়ে আহতও হয়েছেন।
বর্ষা মৌসুমে এ সেতু পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। তখন নৌকাই একমাত্র ভরসা। বৃষ্টি ও ঝড়ের দিনে নৌকা না পেয়ে অনেককে সাঁতরে নদী পার হতে হয়। তখন কৃষিপণ্য পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। অন্যদিনগুলো নৌকা পারাপারে যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে প্রায়ই ঘটে নৌ-দুর্ঘটনা। ভুক্তভোগীরা অতি দ্রুত সেতুটি নির্মাণ অথবা পুনঃ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
শুয়াকৈর হাছেন আলী দাখিল মাদ্রাসার শরীরচর্চা বিষয়ক শিক্ষক শামীম আহম্মেদ বলেন, সেতুর পিলারসহ স্প্যান ধসে পড়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে যাতায়াতের দুর্ভোগে পড়েছেন তিনি। প্রতিদিনই তাঁকে পায়ে হেঁটে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে।খুব দ্রুত সেতুটি পুনঃ নির্মাণ করা গেলে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ কমে যাবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে কামরাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, সেতুর এমন দশায় আশপাশের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।রোগী আনা-নেওয়াসহ পণ্য পরিবহনে বেগ পেতে হচ্ছে। বারবার মানববন্ধন করেও কোনো সাড়া মেলেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালের বন্যায় ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটির ৬০ মিটার ধসে পড়ে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এ সেতুটি পূনঃনির্মানের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর ও সোনাকান্দর এলাকার ঝিনাই নদের ওপর ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডির অর্থায়নে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০০৬ সালে সেতু নির্মাণকাজ শেষ হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে