হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটছে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জেলে পরিবারের। আয়ের একমাত্র উৎস বন্ধ থাকায় নিবন্ধিত প্রায় ২১ হাজার জেলের সংসার টানাপোড়েনে চলছে। এর মধ্যে সরকারের সহায়তার কার্ডধারী জেলে ১২ হাজার ৩৭০ জন হলেও চাল পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৮৭৩ জন। ফলে মাছ শিকারের ওপর নির্ভরশীল দ্বীপ উপজেলাটির অধিকাংশ জেলেরা সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারের ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত ২০ মে থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই নিষেধাজ্ঞা। জেলেদের বেকার এই সময়ে প্রণোদনা হিসেবে মৎস্য অধিদপ্তর প্রতিটি জেলে পরিবারকে ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে হিসাবে প্রথম কিস্তির ৫৬ কেজি চাল বিতরণও করা হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, হাতিয়ায় নিবন্ধিত ১২ হাজার ৩৭০ জন জেলের জন্য প্রথম কিস্তিতে ২৭২ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়; যা ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৪ হাজার ৮৭৩ জেলে পরিবারের মধ্যে ৫৬ কেজি করে বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয় কিস্তিতে এসব জেলেরা আরও ৩০ কেজি করে চাল পাবেন।
বুড়িরচর ইউনিয়ন জেলে সমবায় সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, সরকারি হিসাবে হাতিয়ায় নিবন্ধিত জেলে ২০ হাজার ৮০০ জন। এর মধ্যে সরকারি চাল পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭৩ জন। অন্য ১৬ হাজার জেলে কিছুই পাননি। তাঁদের বেকার থেকে অনাহারে, অর্ধাহারে দিন পার করতে হচ্ছে।
জবিয়ল হক আরও বলেন, সরকারি হিসাবের বাইরে অনেক জেলে রয়েছেন, যাদের নিবন্ধন হয়নি। নিবন্ধন না থাকায় তাঁরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বরাবরই বঞ্চিত হচ্ছেন।
হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের সূর্যমুখী বাজারে দেখা হয়, আবুল বাসার মাঝি নামের এক জেলের সঙ্গে। আলাপকালে তিনি জানান, হাতিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর বাড়ি। স্ত্রী, চার মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তাঁর সাত সদস্যের সংসার। দুই মেয়ে বিয়ে দিলেও ছোট দুজন লেখাপড়া করে। সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে তাঁর। মাঝে মধ্যে ট্রলারমালিকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিলে সংসার চলে।
বাসার মাঝি হাতিয়ার কাজির বাজারের নুর ইসলাম মেম্বারের মালিকানা এমভি নুর ইসলাম-২ মাছধরা ট্রলারের মাঝি। তাঁর সঙ্গে একই ট্রলারে হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের আরও ১৮ জন মাঝিমাল্লা কাজ করেন। তাঁদের কেউ জেলে হিসেবে নিবন্ধন পাননি। সবাই এখন আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন।
হাতিয়া উপজেলা ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সমিতির অধীন হাতিয়ায় মাছধরার ২৫৭টি বড় ট্রলার রয়েছে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় এসব ট্রলার তীরে অবস্থান করছে। প্রতিটি ট্রলারে কমবেশি ২০ জন করে মাঝিমাল্লা রয়েছেন। এসব ট্রলারের অধীন থাকা প্রায় ৫ হাজার জেলে কষ্টে দিন পার করছেন।’
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানস মণ্ডল বলেন, ‘নিবন্ধন নেই, জেলে কার্ড নেই—এমন লোকেদের আমরা সরকারি কোনো সুবিধা দিতে পারি না।’
যাঁরা সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন, সবাই প্রকৃত জেলে কি না—এমন প্রশ্নে মানস মণ্ডল বলেন, ‘যাঁরা সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁরাও জেলে। তবে কে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যান, কে যান না, তা দেখার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের। এটা সত্য যে, হাতিয়ায় যে সংখ্যক জেলে রয়েছেন, সেই তুলনায় সরকারি বরাদ্দ অনেকটাই অপ্রতুল।’
গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটছে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জেলে পরিবারের। আয়ের একমাত্র উৎস বন্ধ থাকায় নিবন্ধিত প্রায় ২১ হাজার জেলের সংসার টানাপোড়েনে চলছে। এর মধ্যে সরকারের সহায়তার কার্ডধারী জেলে ১২ হাজার ৩৭০ জন হলেও চাল পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৮৭৩ জন। ফলে মাছ শিকারের ওপর নির্ভরশীল দ্বীপ উপজেলাটির অধিকাংশ জেলেরা সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারের ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত ২০ মে থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই নিষেধাজ্ঞা। জেলেদের বেকার এই সময়ে প্রণোদনা হিসেবে মৎস্য অধিদপ্তর প্রতিটি জেলে পরিবারকে ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে হিসাবে প্রথম কিস্তির ৫৬ কেজি চাল বিতরণও করা হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, হাতিয়ায় নিবন্ধিত ১২ হাজার ৩৭০ জন জেলের জন্য প্রথম কিস্তিতে ২৭২ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়; যা ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৪ হাজার ৮৭৩ জেলে পরিবারের মধ্যে ৫৬ কেজি করে বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয় কিস্তিতে এসব জেলেরা আরও ৩০ কেজি করে চাল পাবেন।
বুড়িরচর ইউনিয়ন জেলে সমবায় সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, সরকারি হিসাবে হাতিয়ায় নিবন্ধিত জেলে ২০ হাজার ৮০০ জন। এর মধ্যে সরকারি চাল পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭৩ জন। অন্য ১৬ হাজার জেলে কিছুই পাননি। তাঁদের বেকার থেকে অনাহারে, অর্ধাহারে দিন পার করতে হচ্ছে।
জবিয়ল হক আরও বলেন, সরকারি হিসাবের বাইরে অনেক জেলে রয়েছেন, যাদের নিবন্ধন হয়নি। নিবন্ধন না থাকায় তাঁরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বরাবরই বঞ্চিত হচ্ছেন।
হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের সূর্যমুখী বাজারে দেখা হয়, আবুল বাসার মাঝি নামের এক জেলের সঙ্গে। আলাপকালে তিনি জানান, হাতিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর বাড়ি। স্ত্রী, চার মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তাঁর সাত সদস্যের সংসার। দুই মেয়ে বিয়ে দিলেও ছোট দুজন লেখাপড়া করে। সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে তাঁর। মাঝে মধ্যে ট্রলারমালিকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিলে সংসার চলে।
বাসার মাঝি হাতিয়ার কাজির বাজারের নুর ইসলাম মেম্বারের মালিকানা এমভি নুর ইসলাম-২ মাছধরা ট্রলারের মাঝি। তাঁর সঙ্গে একই ট্রলারে হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের আরও ১৮ জন মাঝিমাল্লা কাজ করেন। তাঁদের কেউ জেলে হিসেবে নিবন্ধন পাননি। সবাই এখন আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন।
হাতিয়া উপজেলা ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সমিতির অধীন হাতিয়ায় মাছধরার ২৫৭টি বড় ট্রলার রয়েছে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় এসব ট্রলার তীরে অবস্থান করছে। প্রতিটি ট্রলারে কমবেশি ২০ জন করে মাঝিমাল্লা রয়েছেন। এসব ট্রলারের অধীন থাকা প্রায় ৫ হাজার জেলে কষ্টে দিন পার করছেন।’
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানস মণ্ডল বলেন, ‘নিবন্ধন নেই, জেলে কার্ড নেই—এমন লোকেদের আমরা সরকারি কোনো সুবিধা দিতে পারি না।’
যাঁরা সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন, সবাই প্রকৃত জেলে কি না—এমন প্রশ্নে মানস মণ্ডল বলেন, ‘যাঁরা সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁরাও জেলে। তবে কে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যান, কে যান না, তা দেখার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের। এটা সত্য যে, হাতিয়ায় যে সংখ্যক জেলে রয়েছেন, সেই তুলনায় সরকারি বরাদ্দ অনেকটাই অপ্রতুল।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে