সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
নির্বাচনে ২৮৩ আসনে প্রার্থী দিয়ে ২৬টি আসনে ছাড় নিয়ে ‘সমঝোতায়’ ক্ষুব্ধ জাতীয় পার্টির (জাপা) তৃণমূলের অধিকাংশ নেতা-কর্মী। ছাড় না পাওয়া আসনগুলোর দলীয় প্রার্থীরাও হতাশ। আবার ছাড় পাওয়া অনেক আসনে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় জয় নিশ্চিত নয়। প্রার্থীদের প্রচারেও ঢিমেতাল। কর্মীদেরও উৎসাহ-আগ্রহ নেই।
জাপার একাধিক নেতা বলেছেন, ‘সমঝোতার’ নির্বাচন দলে নতুন অশান্তির বীজ বুনেছে। শীর্ষ নেতাদের আসন নিশ্চিত হলেও দলের ভবিষ্যৎ রাজনীতি সংকটে পড়েছে। দলীয় প্রার্থীদের কেউ কেউ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কথাও ভাবছেন। তবে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, এমন কোনো খবর পাননি।
জাপার একাধিক সূত্র জানায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছে কমপক্ষে ৪০টি আসন ছাড় চেয়েছিল দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেয়েছে ২৬টি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে পেয়েছিল ৩৭টি আসন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ উন্মুক্ত রেখেছিল আরও ৭টি। গতবার ঢাকা-৪ ও ঢাকা-৬ আসনে পেলেও এবার ছাড় পেয়েছে ঢাকা-১৮ আসনে। এই আসনে প্রার্থী জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের। আবার ছাড় পাওয়া ২৬ আসনের মধ্যে ১০টিতে জয় মোটামুটি সহজ হলেও বাকিগুলোতে আছে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। স্বতন্ত্র প্রার্থী এই প্রতিদ্বন্দ্বীরা আওয়ামী লীগের নেতা। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, রংপুর-১, নীলফামারী-৩, নীলফামারী-৪, গাইবান্ধা-২ আসনসহ কয়েকটি আসনে পরাজয়ের শঙ্কাও আছে। এসব আসনে আওয়ামী লীগের সমর্থনের আশায় আছেন জাপার প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা।
রাজধানীর ১৫টি আসনের মধ্যে ১১টিতে প্রার্থী দিয়েছে জাপা। ঢাকা-১৮ আসন ছাড় পেয়েছে। বাকি ১০ আসনের মধ্যে ঢাকা-৪ আসনে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা (বর্তমান এমপি) ও ঢাকা-৭ আসনে সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন প্রচার চালাচ্ছেন। বাকি প্রার্থীদের পোস্টার ছাড়া তেমন প্রচার চোখে পড়ছে না। রাজধানীতে দলের নেতা-কর্মীদের উৎসাহও নেই।
সূত্র বলেছে, গত ১৫ নভেম্বর জাপার সর্বশেষ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় বক্তব্য দেওয়া মাঠপর্যায়ের বেশির ভাগ নেতাই নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
জাপার একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাড়ের বাইরে থাকা জাপা মনোনীত বাকি ২৫৭ আসনের প্রার্থী, নেতা-কর্মীরা হতাশ। তাঁদের কেউ কেউ ভুগছেন সিদ্ধান্তহীনতায়। তাঁদের প্রচারও চলছে কম।
খুলনা-৬ আসনের প্রার্থী ও জেলা জাপার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। এ জন্য প্রচারও ঢিলেঢালা। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেব, প্রচারে নামব নাকি নির্বাচন থেকে সরে যাব।’
সূত্র জানায়, জাপার চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মনোনয়ন দিলেও প্রভাবশালী এক নেতার হস্তক্ষেপে কমপক্ষে ১১ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর নাম প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। বঞ্চিত কেন্দ্রীয় এই নেতারাও ক্ষুব্ধ। তাঁরা প্রচারে নামতে উৎসাহী নন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রচার চালানোর ক্ষেত্রে দলের সবার সক্ষমতা এক নয়। প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর চিন্তাভাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো খবর এখনো পাইনি। পেলে আমরা পরবর্তীতে চিন্তা করব।’
এমন প্রেক্ষাপট জাপার ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য সুখকর নয় মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলেন, কেন্দ্রীয় কিছু নেতার ব্যক্তিগত ইচ্ছা পূরণের জন্য তাঁরা নির্বাচনে গেছেন। মাঠপর্যায়ের নেতারা অসহায় বোধ করছেন। আসন ছাড় পাওয়া ২৬ জনের বাইরে অপর ২৫৭ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও তেমন কিছু যাবে-আসবে না। তবে সমঝোতায় আসন ছাড় পাওয়া ২৬ জনের সবাই জিতবেন না।
নির্বাচনে ২৮৩ আসনে প্রার্থী দিয়ে ২৬টি আসনে ছাড় নিয়ে ‘সমঝোতায়’ ক্ষুব্ধ জাতীয় পার্টির (জাপা) তৃণমূলের অধিকাংশ নেতা-কর্মী। ছাড় না পাওয়া আসনগুলোর দলীয় প্রার্থীরাও হতাশ। আবার ছাড় পাওয়া অনেক আসনে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় জয় নিশ্চিত নয়। প্রার্থীদের প্রচারেও ঢিমেতাল। কর্মীদেরও উৎসাহ-আগ্রহ নেই।
জাপার একাধিক নেতা বলেছেন, ‘সমঝোতার’ নির্বাচন দলে নতুন অশান্তির বীজ বুনেছে। শীর্ষ নেতাদের আসন নিশ্চিত হলেও দলের ভবিষ্যৎ রাজনীতি সংকটে পড়েছে। দলীয় প্রার্থীদের কেউ কেউ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কথাও ভাবছেন। তবে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, এমন কোনো খবর পাননি।
জাপার একাধিক সূত্র জানায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছে কমপক্ষে ৪০টি আসন ছাড় চেয়েছিল দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেয়েছে ২৬টি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে পেয়েছিল ৩৭টি আসন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ উন্মুক্ত রেখেছিল আরও ৭টি। গতবার ঢাকা-৪ ও ঢাকা-৬ আসনে পেলেও এবার ছাড় পেয়েছে ঢাকা-১৮ আসনে। এই আসনে প্রার্থী জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের। আবার ছাড় পাওয়া ২৬ আসনের মধ্যে ১০টিতে জয় মোটামুটি সহজ হলেও বাকিগুলোতে আছে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। স্বতন্ত্র প্রার্থী এই প্রতিদ্বন্দ্বীরা আওয়ামী লীগের নেতা। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, রংপুর-১, নীলফামারী-৩, নীলফামারী-৪, গাইবান্ধা-২ আসনসহ কয়েকটি আসনে পরাজয়ের শঙ্কাও আছে। এসব আসনে আওয়ামী লীগের সমর্থনের আশায় আছেন জাপার প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা।
রাজধানীর ১৫টি আসনের মধ্যে ১১টিতে প্রার্থী দিয়েছে জাপা। ঢাকা-১৮ আসন ছাড় পেয়েছে। বাকি ১০ আসনের মধ্যে ঢাকা-৪ আসনে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা (বর্তমান এমপি) ও ঢাকা-৭ আসনে সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন প্রচার চালাচ্ছেন। বাকি প্রার্থীদের পোস্টার ছাড়া তেমন প্রচার চোখে পড়ছে না। রাজধানীতে দলের নেতা-কর্মীদের উৎসাহও নেই।
সূত্র বলেছে, গত ১৫ নভেম্বর জাপার সর্বশেষ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় বক্তব্য দেওয়া মাঠপর্যায়ের বেশির ভাগ নেতাই নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
জাপার একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাড়ের বাইরে থাকা জাপা মনোনীত বাকি ২৫৭ আসনের প্রার্থী, নেতা-কর্মীরা হতাশ। তাঁদের কেউ কেউ ভুগছেন সিদ্ধান্তহীনতায়। তাঁদের প্রচারও চলছে কম।
খুলনা-৬ আসনের প্রার্থী ও জেলা জাপার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। এ জন্য প্রচারও ঢিলেঢালা। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেব, প্রচারে নামব নাকি নির্বাচন থেকে সরে যাব।’
সূত্র জানায়, জাপার চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মনোনয়ন দিলেও প্রভাবশালী এক নেতার হস্তক্ষেপে কমপক্ষে ১১ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর নাম প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। বঞ্চিত কেন্দ্রীয় এই নেতারাও ক্ষুব্ধ। তাঁরা প্রচারে নামতে উৎসাহী নন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রচার চালানোর ক্ষেত্রে দলের সবার সক্ষমতা এক নয়। প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর চিন্তাভাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো খবর এখনো পাইনি। পেলে আমরা পরবর্তীতে চিন্তা করব।’
এমন প্রেক্ষাপট জাপার ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য সুখকর নয় মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলেন, কেন্দ্রীয় কিছু নেতার ব্যক্তিগত ইচ্ছা পূরণের জন্য তাঁরা নির্বাচনে গেছেন। মাঠপর্যায়ের নেতারা অসহায় বোধ করছেন। আসন ছাড় পাওয়া ২৬ জনের বাইরে অপর ২৫৭ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও তেমন কিছু যাবে-আসবে না। তবে সমঝোতায় আসন ছাড় পাওয়া ২৬ জনের সবাই জিতবেন না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে