মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা না দিয়ে ও জালিয়াতির মাধ্যমে দুজন উত্তীর্ণ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিভাগ পছন্দক্রম নির্বাচনে নানা রকম জটিলতায় পড়ছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একের পর এক অনিয়মের খবর এলেও ঘটনা তদন্তে গা-ছাড়া ভাব প্রশাসনের।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও আইন বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমসিকিউ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা পুরোপুরি জালিয়াতিমুক্ত নয়। এটা যে শুধু আমাদের এখানে ধরা পড়ছে তা নয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরা পড়ছে। একটা সংঘবদ্ধ জালিয়াতচক্র কাজটি করে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে বিশদভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত। এতে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের নিয়ে আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিতভাবে কাজ করা উচিত। আরও যদি কারও নাম এসে থাকে, তাঁদের ভর্তি বাতিল করা হোক। আর আমাদের সফটওয়্যারে দুর্বলতা আছে কি না, তাও দেখা দরকার।’
গত ২১ নভেম্বর আজকের পত্রিকার এক অনুসন্ধানে ডি-১ উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও এক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ার খবর বেরিয়ে আসে। গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ডি-১ উপ-ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে ৪৯২৫৬১ ক্রমিকের শিক্ষার্থীর নাম উত্তীর্ণদের তালিকায় পাওয়া যায়। এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরের ক্রমিকধারী শিক্ষার্থীর ভুলকে দায়ী করেছে। এ ছাড়া ফলাফল তৈরির সময় কম্পিউটার রিডে রোল নম্বর ও অ্যাপ্লিকেশন নম্বর মিল না থাকলেও ধরা পড়েনি। আইটি বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে আগে যুক্ত ছিলেন।
এমন একজন নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘রোল নম্বর ও অ্যাপ্লিকেশন আইডি নম্বর যদি না মিলে, তাহলে কম্পিউটারে সেই ফরম রিজেক্ট হওয়ার কথা। এটা কীভাবে কম্পিউটার রিড করল ও পরিদর্শকের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’ এ ঘটনার ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করেনি কর্তৃপক্ষ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খবর আসে, চবির ডি-ইউনিটে জালিয়াতির মাধ্যমে দুজন উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বুধবার জাবির প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে উত্তীর্ণ হওয়া এক ভর্তি-ইচ্ছুককে আটক করার পর তাঁর জবানবন্দিতে এই তথ্য বেরিয়ে আসে। এ ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।
এদিকে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০ ঘণ্টা পর ২৮ নভেম্বর রাতে শুরু হওয়া বিভাগ পছন্দক্রম নির্বাচনেও নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন বিভিন্ন ইউনিটে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। উত্তীর্ণ না হয়েও কেউ কেউ বিভাগ পছন্দক্রম নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করা শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরীক্ষার হলে যাঁরা পরিদর্শক থাকেন, তাঁদের অবহেলার কারণে এসব অনিয়ম ও জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। তাঁরা যদি সঠিকভাবে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে উত্তরপত্রে স্বাক্ষর করতেন তাহলে অনেক কিছুই ধরা পরে যেত। অধিকাংশ উত্তরপত্র বাতিল হওয়ার পেছনেও পরিদর্শকদের অবহেলা দায়ী।’
জানতে চাইলে ডি এবং ডি-১ ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘এই বিষয়ে ইউনিট ও ভর্তি কমিটির সভা ডাকতে হবে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একজন একটা অভিযোগ আনলে সেটা তো সত্য নাও হতে পারে। অন্য উদ্দেশ্যও থাকতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘ডি ইউনিটের বিষয়টা ইউনিটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা যাচাই-বাছাই করে দেখবে। আর ডি-১ ইউনিটের বিষয়ে তদন্ত কমিটি করার চিন্তা-ভাবনা চলছে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা না দিয়ে ও জালিয়াতির মাধ্যমে দুজন উত্তীর্ণ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিভাগ পছন্দক্রম নির্বাচনে নানা রকম জটিলতায় পড়ছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একের পর এক অনিয়মের খবর এলেও ঘটনা তদন্তে গা-ছাড়া ভাব প্রশাসনের।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও আইন বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমসিকিউ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা পুরোপুরি জালিয়াতিমুক্ত নয়। এটা যে শুধু আমাদের এখানে ধরা পড়ছে তা নয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরা পড়ছে। একটা সংঘবদ্ধ জালিয়াতচক্র কাজটি করে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে বিশদভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত। এতে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের নিয়ে আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিতভাবে কাজ করা উচিত। আরও যদি কারও নাম এসে থাকে, তাঁদের ভর্তি বাতিল করা হোক। আর আমাদের সফটওয়্যারে দুর্বলতা আছে কি না, তাও দেখা দরকার।’
গত ২১ নভেম্বর আজকের পত্রিকার এক অনুসন্ধানে ডি-১ উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও এক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ার খবর বেরিয়ে আসে। গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ডি-১ উপ-ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে ৪৯২৫৬১ ক্রমিকের শিক্ষার্থীর নাম উত্তীর্ণদের তালিকায় পাওয়া যায়। এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরের ক্রমিকধারী শিক্ষার্থীর ভুলকে দায়ী করেছে। এ ছাড়া ফলাফল তৈরির সময় কম্পিউটার রিডে রোল নম্বর ও অ্যাপ্লিকেশন নম্বর মিল না থাকলেও ধরা পড়েনি। আইটি বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে আগে যুক্ত ছিলেন।
এমন একজন নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘রোল নম্বর ও অ্যাপ্লিকেশন আইডি নম্বর যদি না মিলে, তাহলে কম্পিউটারে সেই ফরম রিজেক্ট হওয়ার কথা। এটা কীভাবে কম্পিউটার রিড করল ও পরিদর্শকের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’ এ ঘটনার ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করেনি কর্তৃপক্ষ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খবর আসে, চবির ডি-ইউনিটে জালিয়াতির মাধ্যমে দুজন উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বুধবার জাবির প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে উত্তীর্ণ হওয়া এক ভর্তি-ইচ্ছুককে আটক করার পর তাঁর জবানবন্দিতে এই তথ্য বেরিয়ে আসে। এ ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।
এদিকে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০ ঘণ্টা পর ২৮ নভেম্বর রাতে শুরু হওয়া বিভাগ পছন্দক্রম নির্বাচনেও নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন বিভিন্ন ইউনিটে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। উত্তীর্ণ না হয়েও কেউ কেউ বিভাগ পছন্দক্রম নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করা শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরীক্ষার হলে যাঁরা পরিদর্শক থাকেন, তাঁদের অবহেলার কারণে এসব অনিয়ম ও জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। তাঁরা যদি সঠিকভাবে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে উত্তরপত্রে স্বাক্ষর করতেন তাহলে অনেক কিছুই ধরা পরে যেত। অধিকাংশ উত্তরপত্র বাতিল হওয়ার পেছনেও পরিদর্শকদের অবহেলা দায়ী।’
জানতে চাইলে ডি এবং ডি-১ ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘এই বিষয়ে ইউনিট ও ভর্তি কমিটির সভা ডাকতে হবে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একজন একটা অভিযোগ আনলে সেটা তো সত্য নাও হতে পারে। অন্য উদ্দেশ্যও থাকতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘ডি ইউনিটের বিষয়টা ইউনিটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা যাচাই-বাছাই করে দেখবে। আর ডি-১ ইউনিটের বিষয়ে তদন্ত কমিটি করার চিন্তা-ভাবনা চলছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২৫ মিনিট আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩১ মিনিট আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ ঘণ্টা আগে