নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শুরু হওয়ার আগেই আলোচনায় বিমানের ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইট। কয়েক দিন ধরে ২৬ মার্চের এই পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের টরন্টো যাওয়া নিয়ে চলছে হুলুস্থুল। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২৮০ সিটের ফ্লাইটে ১৩০ জন যাত্রী যাবেন। এর মধ্যে ১০০ টিকিট বিক্রি করবে বিমান। এরই মধ্যে ৫০টি একমুখী টিকিট বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ বাকি ৩০ জন সফরে যাবেন। যার মধ্যে দুজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
গত সোমবার দুপুর থেকেই স্বাভাবিক হয়েছে ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটে ঢুকলে প্রথমেই একটি ছবি আসে ঢাকা-টরন্টো-ঢাকার ছবিসহ ফ্লাইটের যাওয়া-আসার তথ্য। সেখানে টিকিট কাটতে চাইলে একজনের জন্য ৬৭ হাজার টাকা দেখাচ্ছিল।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা-টরন্টো বিশেষ ফ্লাইটে এখনো সিট আছে। এ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাছে ৫০টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। যেহেতু ননস্টপ যাবে, ১৩০-এর বেশি যাত্রী নিতে পারব না। ইউক্রেন সংকটের কারণে ইরান, আফগানিস্তান ঘুরে যেতে হবে, তাই বেশি যাত্রী নেওয়া সম্ভব হবে না। আরও ৫০টি টিকিট বিক্রির অপেক্ষায় আছে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে কানাডার টরন্টোতে একটি ‘পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক’ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গত শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে টিকিট বিক্রির কথাও জানানো হয়। তবে তার পরপরই বিমানের ওয়েবসাইটে দেখা যায় টিকিট শেষ। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়।
কারা যাচ্ছেন বিশেষ সেই ফ্লাইটে
জানা গেছে, বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, সচিব থেকে শুরু করে অন্তত ৩০ জন কর্মকর্তা যাচ্ছেন পরীক্ষামূলক ওই ফ্লাইটে। শুরুতে এ সংখ্যাটি ছিল ৭০। সমালোচনার কারণে সংখ্যা কমানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একাধিক চিঠিতে জানা যায়, ২৬ মার্চ ওই ফ্লাইটে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, উপসচিব সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মো. মোসাব্বির হোসেন, মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভির আহমেদসহ ৩০ জন যাচ্ছেন। বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি থেকে দুজনের এ ফ্লাইটে যাওয়ার কথা রয়েছে। কমিটির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমি বলেছি, যেতে আগ্রহী না।’ অপর সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ‘টরন্টো ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমাকে ফোন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যাচ্ছি না। রোজা আসছে, ২৮ তারিখ থেকে সংসদ রয়েছে, তারপর এ মাসে ধারাবাহিকভাবে অনেকগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে।’
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক মো. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমে দেখতে হবে, যে কাজের কথা বলে প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও সরকারি কর্মকর্তারা কানাডায় ভ্রমণে যাচ্ছেন, তা কতটা যৌক্তিক। কানাডায় বিমানের এজেন্ট নিয়োগ করায় তাদের ভূমিকা কতটুকু থাকবে? সরকার চাইলে কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তায় বিষয়টি অধিক সাশ্রয়ে করতে পারত।’
বিমানের পরিচালক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিয়মিত ফ্লাইট আর পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে কিছুটা পার্থক্য আছে। ২৬ মার্চের ফ্লাইটে মার্কেটিং, বিপণন আর ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার সব মিলিয়ে ৭-৮ জন কর্মকর্তাই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এখানে বিশাল বহর নিয়ে যাওয়া একেবারেই মানানসই নয়। যাঁদের কোনো কাজ নেই তাঁরাও প্রতিমন্ত্রীর বহরে যোগ হয়েছেন।
ডেডলাইন ২৬ মার্চ কেন
কয়েক বছর ধরেই ঢাকা-টরন্টো রুটে সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আশাবাদ জানিয়ে আসছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড। যদিও মহামারি করোনার কারণে মাঝে স্তিমিত হয়ে পড়ে সব উদ্যোগ। টরন্টোতে প্রয়োজনীয় অনুমতি আগেই পেয়েছে বিমান। বাকি রয়েছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি কাজ—স্থানীয় জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) নিয়োগ এবং টরন্টো বিমানবন্দরের বোর্ডিং সিস্টেম অটোমেশন।
কানাডায় জিএসএ নিয়োগের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে দরপত্র আহ্বান করেছিল বাংলাদেশ বিমান। ওই দরপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয় ৮ মার্চ। ফলে এগুলো যাচাই-বাছাই করে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। এর আগেও জিএসএ নিয়োগে একাধিক দরপত্র আহ্বান করেছিল সংস্থাটি। তবে কানাডার শীর্ষ কোম্পানিগুলো বিমানের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কানাডা সিভিল অ্যাভিয়েশন বিমানকে জানায়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য বোর্ডিং সিস্টেম অটোমেশনের প্রক্রিয়া শেষ করতে কমপক্ষে ১২ সপ্তাহ সময় লাগবে। সেটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে না রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থাটি। এসব কার্যক্রম শেষ করে টরন্টো ফ্লাইট পরিচালনা করতে অন্তত জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দেওয়া স্বাধীনতা দিবসে ফ্লাইট শুরুর বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে বিমানের শীর্ষ মহলকে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, যেভাবেই হোক ২৬ মার্চ ঢাকা-টরন্টো রুটের প্রথম ফ্লাইটটি শুরু করতেই হবে।
সময় কমে এলে চিন্তায় পড়ে যান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ২৬ মার্চ থেকে টরন্টো ফ্লাইট চালু কীভাবে সম্ভব এবং বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য আর কী কী করণীয়, তা জানাতে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামালকে ৭ মার্চ চিঠি দেওয়া হয়। এরপর দৌড়ঝাঁপ শুরু হয় বিমানে।
গত জানুয়ারি থেকে অগ্রগামী দল হিসেবে বিমানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে কানাডা পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা ও ভিসা জটিলতায় অনেকে এখনো যেতে পারেননি। কেউ কেউ ২৬ মার্চের দলের সঙ্গে যাবেন। এর মধ্যে আছেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আব্দুল আউয়াল, পরিচালক (গ্রাহক সেবা) মো. ছিদ্দিকুর রহমান।
যথাসময়ে ফ্লাইট চালু করতে না পারা বিষয়ে বিমানের শীর্ষ এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাঁরা এখন বড় পদে আছেন, তাঁদের এসব বিষয় সম্পর্কে ধারণা কম। সঠিক সময়ে কানাডার সঙ্গে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। ঠিক সময়ে কানাডার চিঠির জবাবও দিতে পারেনি। তাই ফ্লাইট চালু নিয়ে এমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী গণমাধ্যমে বলেছেন, টরন্টোতে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে কানাডীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টরন্টো বিমানবন্দরে বোর্ডিং সিস্টেম অটোমেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আরও ১২ সপ্তাহ লাগবে।
অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কানাডাতে ফ্লাইট চালু হবে, এটা তো আমাদের সবার জন্য গর্বের ব্যাপার। উদ্বোধনী ফ্লাইটটা জাঁকজমকপূর্ণ হওয়া দরকার ছিল। সেটা না করে বিমান তথ্য নিয়ে রাখঢাক করছে। কিছু সিলেক্টেট মানুষ যাচ্ছে। সবকিছু স্বচ্ছতার মধ্যে হওয়া উচিত।’
শুরু হওয়ার আগেই আলোচনায় বিমানের ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইট। কয়েক দিন ধরে ২৬ মার্চের এই পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের টরন্টো যাওয়া নিয়ে চলছে হুলুস্থুল। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২৮০ সিটের ফ্লাইটে ১৩০ জন যাত্রী যাবেন। এর মধ্যে ১০০ টিকিট বিক্রি করবে বিমান। এরই মধ্যে ৫০টি একমুখী টিকিট বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ বাকি ৩০ জন সফরে যাবেন। যার মধ্যে দুজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
গত সোমবার দুপুর থেকেই স্বাভাবিক হয়েছে ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটে ঢুকলে প্রথমেই একটি ছবি আসে ঢাকা-টরন্টো-ঢাকার ছবিসহ ফ্লাইটের যাওয়া-আসার তথ্য। সেখানে টিকিট কাটতে চাইলে একজনের জন্য ৬৭ হাজার টাকা দেখাচ্ছিল।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা-টরন্টো বিশেষ ফ্লাইটে এখনো সিট আছে। এ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাছে ৫০টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। যেহেতু ননস্টপ যাবে, ১৩০-এর বেশি যাত্রী নিতে পারব না। ইউক্রেন সংকটের কারণে ইরান, আফগানিস্তান ঘুরে যেতে হবে, তাই বেশি যাত্রী নেওয়া সম্ভব হবে না। আরও ৫০টি টিকিট বিক্রির অপেক্ষায় আছে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে কানাডার টরন্টোতে একটি ‘পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক’ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গত শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে টিকিট বিক্রির কথাও জানানো হয়। তবে তার পরপরই বিমানের ওয়েবসাইটে দেখা যায় টিকিট শেষ। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়।
কারা যাচ্ছেন বিশেষ সেই ফ্লাইটে
জানা গেছে, বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, সচিব থেকে শুরু করে অন্তত ৩০ জন কর্মকর্তা যাচ্ছেন পরীক্ষামূলক ওই ফ্লাইটে। শুরুতে এ সংখ্যাটি ছিল ৭০। সমালোচনার কারণে সংখ্যা কমানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একাধিক চিঠিতে জানা যায়, ২৬ মার্চ ওই ফ্লাইটে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, উপসচিব সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মো. মোসাব্বির হোসেন, মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভির আহমেদসহ ৩০ জন যাচ্ছেন। বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি থেকে দুজনের এ ফ্লাইটে যাওয়ার কথা রয়েছে। কমিটির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমি বলেছি, যেতে আগ্রহী না।’ অপর সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ‘টরন্টো ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমাকে ফোন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যাচ্ছি না। রোজা আসছে, ২৮ তারিখ থেকে সংসদ রয়েছে, তারপর এ মাসে ধারাবাহিকভাবে অনেকগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে।’
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক মো. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমে দেখতে হবে, যে কাজের কথা বলে প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও সরকারি কর্মকর্তারা কানাডায় ভ্রমণে যাচ্ছেন, তা কতটা যৌক্তিক। কানাডায় বিমানের এজেন্ট নিয়োগ করায় তাদের ভূমিকা কতটুকু থাকবে? সরকার চাইলে কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তায় বিষয়টি অধিক সাশ্রয়ে করতে পারত।’
বিমানের পরিচালক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিয়মিত ফ্লাইট আর পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে কিছুটা পার্থক্য আছে। ২৬ মার্চের ফ্লাইটে মার্কেটিং, বিপণন আর ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার সব মিলিয়ে ৭-৮ জন কর্মকর্তাই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এখানে বিশাল বহর নিয়ে যাওয়া একেবারেই মানানসই নয়। যাঁদের কোনো কাজ নেই তাঁরাও প্রতিমন্ত্রীর বহরে যোগ হয়েছেন।
ডেডলাইন ২৬ মার্চ কেন
কয়েক বছর ধরেই ঢাকা-টরন্টো রুটে সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আশাবাদ জানিয়ে আসছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড। যদিও মহামারি করোনার কারণে মাঝে স্তিমিত হয়ে পড়ে সব উদ্যোগ। টরন্টোতে প্রয়োজনীয় অনুমতি আগেই পেয়েছে বিমান। বাকি রয়েছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি কাজ—স্থানীয় জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) নিয়োগ এবং টরন্টো বিমানবন্দরের বোর্ডিং সিস্টেম অটোমেশন।
কানাডায় জিএসএ নিয়োগের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে দরপত্র আহ্বান করেছিল বাংলাদেশ বিমান। ওই দরপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয় ৮ মার্চ। ফলে এগুলো যাচাই-বাছাই করে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। এর আগেও জিএসএ নিয়োগে একাধিক দরপত্র আহ্বান করেছিল সংস্থাটি। তবে কানাডার শীর্ষ কোম্পানিগুলো বিমানের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কানাডা সিভিল অ্যাভিয়েশন বিমানকে জানায়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য বোর্ডিং সিস্টেম অটোমেশনের প্রক্রিয়া শেষ করতে কমপক্ষে ১২ সপ্তাহ সময় লাগবে। সেটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে না রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থাটি। এসব কার্যক্রম শেষ করে টরন্টো ফ্লাইট পরিচালনা করতে অন্তত জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দেওয়া স্বাধীনতা দিবসে ফ্লাইট শুরুর বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে বিমানের শীর্ষ মহলকে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, যেভাবেই হোক ২৬ মার্চ ঢাকা-টরন্টো রুটের প্রথম ফ্লাইটটি শুরু করতেই হবে।
সময় কমে এলে চিন্তায় পড়ে যান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ২৬ মার্চ থেকে টরন্টো ফ্লাইট চালু কীভাবে সম্ভব এবং বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য আর কী কী করণীয়, তা জানাতে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামালকে ৭ মার্চ চিঠি দেওয়া হয়। এরপর দৌড়ঝাঁপ শুরু হয় বিমানে।
গত জানুয়ারি থেকে অগ্রগামী দল হিসেবে বিমানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে কানাডা পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা ও ভিসা জটিলতায় অনেকে এখনো যেতে পারেননি। কেউ কেউ ২৬ মার্চের দলের সঙ্গে যাবেন। এর মধ্যে আছেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আব্দুল আউয়াল, পরিচালক (গ্রাহক সেবা) মো. ছিদ্দিকুর রহমান।
যথাসময়ে ফ্লাইট চালু করতে না পারা বিষয়ে বিমানের শীর্ষ এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাঁরা এখন বড় পদে আছেন, তাঁদের এসব বিষয় সম্পর্কে ধারণা কম। সঠিক সময়ে কানাডার সঙ্গে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। ঠিক সময়ে কানাডার চিঠির জবাবও দিতে পারেনি। তাই ফ্লাইট চালু নিয়ে এমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী গণমাধ্যমে বলেছেন, টরন্টোতে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে কানাডীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টরন্টো বিমানবন্দরে বোর্ডিং সিস্টেম অটোমেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আরও ১২ সপ্তাহ লাগবে।
অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কানাডাতে ফ্লাইট চালু হবে, এটা তো আমাদের সবার জন্য গর্বের ব্যাপার। উদ্বোধনী ফ্লাইটটা জাঁকজমকপূর্ণ হওয়া দরকার ছিল। সেটা না করে বিমান তথ্য নিয়ে রাখঢাক করছে। কিছু সিলেক্টেট মানুষ যাচ্ছে। সবকিছু স্বচ্ছতার মধ্যে হওয়া উচিত।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে