শরীফ হাসান, দোহার (ঢাকা)
ঢাকার দোহার উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া কলেজের পেছন দিয়ে বয়ে গেছে জয়পাড়া খালের শাখা। আশপাশের বাড়ি থেকে এই খালে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের দখলে খালটি একটি নালায় পরিণত হচ্ছে। পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বর্জ্য পচে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চৌধুরীপাড়া ব্রিজের নিচের অংশ যেন ময়লা ফেলার প্রধান স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় আশপাশের বসতবাড়ির বর্জ্যও খালে ফেলতে দেখা যায়। ফলে এ পথ দিয়ে চলাচলকারীরা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ।
উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার কোনো নিষেধই মানছে না কেউ। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
ঢাকা-১ আসনের সাংসদ সালমান এফ রহমান পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনকে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, মানুষ খালে যেন বর্জ্য না ফেলে। তিনি প্রতিটি বাড়ি থেকে ৫০ টাকা করে নিয়ে পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার জন্য বলেছিলেন। আর যারা খালে বা নদীতে ময়লা ফেলবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন। তাঁর এই নির্দেশনা পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিংও করা হয়। তবে তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
চৌধুরীপাড়া এলাকার মসজিদের মুসল্লিরা বলেন, খালে মানুষ যেভাবে ময়লা ফেলছে, তাতে দুর্গন্ধে মসজিদে নামাজ আদায় করা কষ্টকর হচ্ছে। শুধু এই স্থানেই না, পুরো খালেই এমন অবস্থা। তবে বর্ষায় যখন পানি থাকে তখন দুর্গন্ধ কম থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানি বলেন, ‘মানুষ যেভাবে এই খালে ময়লা ফেলে, তাতে দোকান করতে আমাদের জন্য সমস্যা হচ্ছে। মাঝে মাঝে দেখি, অনেকেই এসে ময়লা এনে এখানে ফেলে। আমরা না করলেও শোনে না। পাঁচ থেকে দশ বছর আগে এই খাল দিয়ে নৌকা চলত, কিন্তু এখন এখান দিয়ে ছোট নৌকাও চলে না।’
খাল দখলের বিষয়ে জয়পাড়া কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘পাড়ের ঘরগুলো খালের জমির মধ্যে পড়েছে। আমরা ইউএনও ও পৌরসভার কাছে চিঠি দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন তারা আস্তে আস্তে বর্জ্য ও মাটি দিয়ে খালটি দখল করে সরু করে ফেলছে।’
পৌরসভার প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, ‘জানি খালে ময়লা ফেলা হচ্ছে। একটি কমিটি করার চেষ্টা করছি, আর সেটি হলে এর সমাধান হবে। এই খালটি খনন করা হবে।’
খনন হলে উচ্ছেদ অভিযান করা হবে কি না জানতে চাইলে মশিউর রহমান বলেন, ‘এটি আমরা জানি না। উপজেলা প্রশাসন জানে। এই খালের মালিক ভূমি অফিস, আমরা না।’
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলম বলেন, ‘কেউ যদি অবৈধভাবে খাল দখল করে থাকে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেব। আর ময়লার বিষয়েও আমরা ব্যবস্থা নেব।’
ঢাকার দোহার উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া কলেজের পেছন দিয়ে বয়ে গেছে জয়পাড়া খালের শাখা। আশপাশের বাড়ি থেকে এই খালে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের দখলে খালটি একটি নালায় পরিণত হচ্ছে। পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বর্জ্য পচে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চৌধুরীপাড়া ব্রিজের নিচের অংশ যেন ময়লা ফেলার প্রধান স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় আশপাশের বসতবাড়ির বর্জ্যও খালে ফেলতে দেখা যায়। ফলে এ পথ দিয়ে চলাচলকারীরা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ।
উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার কোনো নিষেধই মানছে না কেউ। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
ঢাকা-১ আসনের সাংসদ সালমান এফ রহমান পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনকে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, মানুষ খালে যেন বর্জ্য না ফেলে। তিনি প্রতিটি বাড়ি থেকে ৫০ টাকা করে নিয়ে পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার জন্য বলেছিলেন। আর যারা খালে বা নদীতে ময়লা ফেলবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন। তাঁর এই নির্দেশনা পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিংও করা হয়। তবে তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
চৌধুরীপাড়া এলাকার মসজিদের মুসল্লিরা বলেন, খালে মানুষ যেভাবে ময়লা ফেলছে, তাতে দুর্গন্ধে মসজিদে নামাজ আদায় করা কষ্টকর হচ্ছে। শুধু এই স্থানেই না, পুরো খালেই এমন অবস্থা। তবে বর্ষায় যখন পানি থাকে তখন দুর্গন্ধ কম থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানি বলেন, ‘মানুষ যেভাবে এই খালে ময়লা ফেলে, তাতে দোকান করতে আমাদের জন্য সমস্যা হচ্ছে। মাঝে মাঝে দেখি, অনেকেই এসে ময়লা এনে এখানে ফেলে। আমরা না করলেও শোনে না। পাঁচ থেকে দশ বছর আগে এই খাল দিয়ে নৌকা চলত, কিন্তু এখন এখান দিয়ে ছোট নৌকাও চলে না।’
খাল দখলের বিষয়ে জয়পাড়া কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘পাড়ের ঘরগুলো খালের জমির মধ্যে পড়েছে। আমরা ইউএনও ও পৌরসভার কাছে চিঠি দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন তারা আস্তে আস্তে বর্জ্য ও মাটি দিয়ে খালটি দখল করে সরু করে ফেলছে।’
পৌরসভার প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, ‘জানি খালে ময়লা ফেলা হচ্ছে। একটি কমিটি করার চেষ্টা করছি, আর সেটি হলে এর সমাধান হবে। এই খালটি খনন করা হবে।’
খনন হলে উচ্ছেদ অভিযান করা হবে কি না জানতে চাইলে মশিউর রহমান বলেন, ‘এটি আমরা জানি না। উপজেলা প্রশাসন জানে। এই খালের মালিক ভূমি অফিস, আমরা না।’
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলম বলেন, ‘কেউ যদি অবৈধভাবে খাল দখল করে থাকে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেব। আর ময়লার বিষয়েও আমরা ব্যবস্থা নেব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে