মো. ইকবাল হোসেন
নতুন মায়ের যত্ন তাঁর গর্ভকাল থেকেই হওয়া উচিত। গর্ভে আসা থেকে শুরু করে ছয় মাস বয়স হওয়া পর্যন্ত শিশুর খাবারের একমাত্র উৎস হচ্ছে মায়ের শরীর। তাই এ সময় মায়ের জন্য ব্যালান্স ডায়েট খুব গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভকালকে তিন ভাগে ভাগ করে মায়ের খাবার ব্যবস্থাপনা ঠিক করে নিতে হবে। প্রথম ভাগে মা তাঁর ওজন ও উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিক ক্যালরির খাবার খাবেন। দ্বিতীয় ভাগে খাবারের পরিমাণ ১০০-২০০ কিলোক্যালরি বাড়াতে হবে এবং শেষ ভাগে আরও ২০০-৩০০ কিলোক্যালরি বাড়াতে হবে। এ সময় শিশুর শরীরের গঠন ও বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের খাদ্য উপাদান মায়ের শরীর থেকে সরবরাহ হয়ে থাকে। তাই এ সময় মাকে অল্প অল্প করে বারবার খাবার দিতে হবে। খাবার হিসেবে সব সময় ব্যালেন্স ডায়েট দিতে হবে, যেখানে শর্করা, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন, মিনারেল, পানি ও আঁশ একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে থাকবে। এতে মায়ের স্বাস্থ্যরক্ষার পাশাপাশি শিশুর ওজনও সঠিকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
সন্তান প্রসব-পরবর্তী সময়েও গর্ভকালীন সময়ের শেষ ভাগের খাবারটাই চলবে শিশুর বয়স ছয় মাস না হওয়া পর্যন্ত। শিশু ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর কিছুই খাবে না। সে ক্ষেত্রে তার জন্য প্রয়োজনীয় সব খাদ্য উপাদান মায়ের শরীর থেকে সরবরাহ হয়। এ জন্য মায়ের খাবারের ঘাটতি হলে শিশুও পরিপূর্ণ পুষ্টি পাবে না।
এ সময় মায়ের খাবারে তরলের পরিমাণ বাড়াতে হবে। সারা দিনে অতিরিক্ত এক লিটার তরল পান করতে হবে। প্রতিবার শিশুকে দুধ পান করানোর আগে মাকে এক গ্লাস করে পানি বা অন্য কোনো তরল, যেমন স্যুপ বা ফ্রুট জুস খেতে হবে।
মায়ের খাবারে প্রতিদিন এক-দুটি সেদ্ধ ডিম রাখতে হবে। ডিম প্রোটিন ও গুড ফ্যাটের ভালো উৎস। এ ছাড়া ভিটামিন ডি, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, জিংকসহ আরও অনেক মিনারেলের জোগান দেবে।
এ ছাড়া প্রোটিনজাতীয় খাবার হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ-মাংস খেতে হবে। এ সময় পুকুরের মাছের চেয়ে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া ভালো।
প্রতিদিন ৪০০-৫০০ মিলিলিটার দুধ পান করতে হবে। দুধ একটি আদর্শ খাবার। দুধ মায়ের শরীরে সব ধরনের খাদ্য উপাদানের জোগান দেবে। দুধের পরিবর্তে দুধের তৈরি খাবারও খাওয়া যাবে।
মায়ের শরীরে সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করতে প্রতিদিন ২০০-২৫০ গ্রাম ফল খেতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভিটামিন সি’র জন্য অবশ্যই কিছু টক ফল খেতে হবে। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্সসহ সব ধরনের মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করতে ফলমূলের পাশাপাশি প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫০-৩৫০ গ্রাম রঙিন শাকসবজি খেতে হবে।
শিশুর ও মায়ের আয়োডিনের চাহিদা পূরণ করতে প্রতিদিন অবশ্যই কিছু সামুদ্রিক মাছ বা সামুদ্রিক খাবার খেতে হবে। আয়োডিন শিশুর মানসিক বিকাশে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন ডি’র চাহিদা পূরণে সপ্তাহে চার-পাঁচ দিন সূর্যের নরম রোদ গায়ে লাগাতে হবে। শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ডি সহায়ক।
কিছু খাবার আছে, যেগুলো মায়ের বুকের দুধের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন যব, লাল চাল, লাল আটা, লাউ, পেঁপে, মসুর ডাল, মেথি, মৌরি, জিরা, তুলসীপাতা ইত্যাদি। এগুলো মায়ের খাবারের তালিকায় নিয়মিত রাখতে চেষ্টা করতে হবে।
মায়ের ওজন, উচ্চতা এবং অন্যান্য শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ কম বেশি হবে। সে ক্ষেত্রে মায়ের খাবারের ব্যাপারে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়াটা খুব জরুরি।
লেখক: পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
নতুন মায়ের যত্ন তাঁর গর্ভকাল থেকেই হওয়া উচিত। গর্ভে আসা থেকে শুরু করে ছয় মাস বয়স হওয়া পর্যন্ত শিশুর খাবারের একমাত্র উৎস হচ্ছে মায়ের শরীর। তাই এ সময় মায়ের জন্য ব্যালান্স ডায়েট খুব গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভকালকে তিন ভাগে ভাগ করে মায়ের খাবার ব্যবস্থাপনা ঠিক করে নিতে হবে। প্রথম ভাগে মা তাঁর ওজন ও উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিক ক্যালরির খাবার খাবেন। দ্বিতীয় ভাগে খাবারের পরিমাণ ১০০-২০০ কিলোক্যালরি বাড়াতে হবে এবং শেষ ভাগে আরও ২০০-৩০০ কিলোক্যালরি বাড়াতে হবে। এ সময় শিশুর শরীরের গঠন ও বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের খাদ্য উপাদান মায়ের শরীর থেকে সরবরাহ হয়ে থাকে। তাই এ সময় মাকে অল্প অল্প করে বারবার খাবার দিতে হবে। খাবার হিসেবে সব সময় ব্যালেন্স ডায়েট দিতে হবে, যেখানে শর্করা, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন, মিনারেল, পানি ও আঁশ একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে থাকবে। এতে মায়ের স্বাস্থ্যরক্ষার পাশাপাশি শিশুর ওজনও সঠিকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
সন্তান প্রসব-পরবর্তী সময়েও গর্ভকালীন সময়ের শেষ ভাগের খাবারটাই চলবে শিশুর বয়স ছয় মাস না হওয়া পর্যন্ত। শিশু ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর কিছুই খাবে না। সে ক্ষেত্রে তার জন্য প্রয়োজনীয় সব খাদ্য উপাদান মায়ের শরীর থেকে সরবরাহ হয়। এ জন্য মায়ের খাবারের ঘাটতি হলে শিশুও পরিপূর্ণ পুষ্টি পাবে না।
এ সময় মায়ের খাবারে তরলের পরিমাণ বাড়াতে হবে। সারা দিনে অতিরিক্ত এক লিটার তরল পান করতে হবে। প্রতিবার শিশুকে দুধ পান করানোর আগে মাকে এক গ্লাস করে পানি বা অন্য কোনো তরল, যেমন স্যুপ বা ফ্রুট জুস খেতে হবে।
মায়ের খাবারে প্রতিদিন এক-দুটি সেদ্ধ ডিম রাখতে হবে। ডিম প্রোটিন ও গুড ফ্যাটের ভালো উৎস। এ ছাড়া ভিটামিন ডি, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, জিংকসহ আরও অনেক মিনারেলের জোগান দেবে।
এ ছাড়া প্রোটিনজাতীয় খাবার হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ-মাংস খেতে হবে। এ সময় পুকুরের মাছের চেয়ে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া ভালো।
প্রতিদিন ৪০০-৫০০ মিলিলিটার দুধ পান করতে হবে। দুধ একটি আদর্শ খাবার। দুধ মায়ের শরীরে সব ধরনের খাদ্য উপাদানের জোগান দেবে। দুধের পরিবর্তে দুধের তৈরি খাবারও খাওয়া যাবে।
মায়ের শরীরে সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করতে প্রতিদিন ২০০-২৫০ গ্রাম ফল খেতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভিটামিন সি’র জন্য অবশ্যই কিছু টক ফল খেতে হবে। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্সসহ সব ধরনের মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করতে ফলমূলের পাশাপাশি প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫০-৩৫০ গ্রাম রঙিন শাকসবজি খেতে হবে।
শিশুর ও মায়ের আয়োডিনের চাহিদা পূরণ করতে প্রতিদিন অবশ্যই কিছু সামুদ্রিক মাছ বা সামুদ্রিক খাবার খেতে হবে। আয়োডিন শিশুর মানসিক বিকাশে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন ডি’র চাহিদা পূরণে সপ্তাহে চার-পাঁচ দিন সূর্যের নরম রোদ গায়ে লাগাতে হবে। শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ডি সহায়ক।
কিছু খাবার আছে, যেগুলো মায়ের বুকের দুধের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন যব, লাল চাল, লাল আটা, লাউ, পেঁপে, মসুর ডাল, মেথি, মৌরি, জিরা, তুলসীপাতা ইত্যাদি। এগুলো মায়ের খাবারের তালিকায় নিয়মিত রাখতে চেষ্টা করতে হবে।
মায়ের ওজন, উচ্চতা এবং অন্যান্য শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ কম বেশি হবে। সে ক্ষেত্রে মায়ের খাবারের ব্যাপারে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়াটা খুব জরুরি।
লেখক: পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে