ড. দেবাশীষ বেপারী
প্রাণ প্রশান্তির শ্রেষ্ঠতম উপায় বা অনুষঙ্গ সংগীত। সংগীত শিক্ষা ও চর্চা মানুষের চিত্ত পিপাসা নিবারণ করে দেশের সামগ্রিক সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে। জাতি গঠনে দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিপূর্ণ করতে সংগীত শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। সংগীতের উৎস সুপ্রাচীন ও স্বর্গীয়। ভাষার চেয়েও বহু প্রাচীন সংগীত। সুরের সৃষ্টি মূলত প্রকৃতিতে।
রেভারেন্ট থমাস সিমেসের প্রচারের পর গির্জায় গান গাওয়া এবং সংগীত পাঠের উদ্দেশে প্রাতিষ্ঠানিক সংগীত শিক্ষার উন্নতিকল্পে ১৭১৭ সালে বোস্টন, ম্যাসাচুসেটসে প্রথম সংগীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। গান গাওয়ার কৌশল, তত্ত্ব ও পদ্ধতি শেখানোর জন্য ১৮৩২ সালে প্রথম লোয়েল মেসন ও জর্জ ওয়েব ‘বোস্টন একাডেমি অব মিউজিক’ গঠন করেন। এ উপমহাদেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রথম সংগীত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক সংগীত শিক্ষার গুরুত্ব অনুভব করেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি উনিশ শতকে অর্থাৎ ১৯০১ সালের ২২ ডিসেম্বর (৭ পৌষ ১৩০৮ বঙ্গাব্দ) শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম (বিদ্যালয়) চালু করেন। আশ্রমিক উৎসব অনুষ্ঠানে সংগীতকে যুক্ত করে পরিপূর্ণ রূপে প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা দান করেন। পরবর্তীকালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ভবনে সংগীত শিক্ষা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সংগীত শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক ধারা আরম্ভ করেন। বাংলাদেশে ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগ।
বিচিত্র বিষয়
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সংগীত কলা অনুষদভুক্ত বিভাগ। এ বিভাগে দেশীয় সংগীত ও সংস্কৃতির বিচিত্র বিষয়ে পাঠদান করানো হয় এবং শিক্ষার্থীরা মনে আনন্দ সহযোগে সেই শিক্ষা গ্রহণ করেন। সংগীতের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ, লোকসংগীতের ধারা ও বৈশিষ্ট্য, বাংলা গানের বিচিত্র ধারা ও বৈশিষ্ট্য, বাংলা গানের বিবর্তন, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংগীতের ইতিহাস ও ঐতিহ্যনির্ভর বহুমাত্রিক বিষয়, দেশি-বিদেশি সংগীত সাধকদের মহামূল্যবান জীবনী, অনুসরণীয় জীবনধারা, শিল্প উপস্থাপনের নান্দনিক কৌশল পড়ানো হয়। দেশীয় লোকসংগীতের ধারা, লোকসাধকদের সৃষ্টি, বাংলা গানের বিবর্তনের ধারা, প্রাচীন রাগ সংগীতের রূপ, লোকসাধনা, লোকসংস্কৃতি, লোকবিশ্বাস, বিদেশি লোকধারা, আধুনিক বাংলা গানের বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্য, ধ্রুপদ, খেয়াল, টপ্পা, ঠুমরি কাজরি, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, কীর্তন, শ্যামাসংগীত, ভক্তিমূলক গান, ইসলামি গান, হিন্দুধর্মীয় গান, স্বদেশ প্রেমের গান, পূজা পর্যায়ের গান, বিচিত্র ধারার গান সম্পর্কে বিশদভাবে পড়ানো হয়। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাদন পদ্ধতি, কণ্ঠের মাধ্যমে শব্দ প্রক্ষেপণ, কণ্ঠের চর্চা, শব্দ প্রকৌশলের (সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) খুঁটিনাটি বিষয় পড়ানো হয়।
কারা পড়বেন
যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর দেশের শিল্প-সংস্কৃতিতে সরাসরি অবদান রাখতে চান, দেশকে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার পুণ্যভূমি হিসেবে গড়ে তুলতে যারা তারুণ্যকে, প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান, তারা পড়বে এ বিষয়ে। জীবনে গান ভালোবেসে, সংগীত সাধনা করে, সংগীতের মর্ম বুঝে অসীমের সঙ্গে, পরমের সঙ্গে যারা মিশে যেতে চান তারা এগিয়ে আসবেন পড়তে। যেসব শিক্ষার্থী ও সংগীত অনুরাগীরা শৈশব থেকেই ভাবছেন সংগীতের ব্যবহারিক ও তত্ত্বীয় শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেকে সংস্কৃতি অঙ্গনের একজন সুযোগ্য ও দক্ষ শিল্পী হিসেবে গড়ে তুলবেন, তাদের প্রথম পছন্দের বিষয় সংগীত।
কোথায় পড়বেন
বাংলাদেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয় নিয়ে পড়ার অপার সুযোগ রয়েছে। দেশের ছয়টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দুটি কলেজে সংগীত বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য সংগীত বিভাগ রয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারিভাবে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ (ইউডা), রবীন্দ্র সৃজন কলা বিশ্ববিদ্যালয়ে, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত বিভাগ রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত সরকারি সংগীত কলেজ ও দিনাজপুরে সংগীত ডিগ্রি কলেজ রয়েছে। বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানে দেশের মধ্যে সংগীত বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বিদ্যমান।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার অপার সুযোগ
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডির সুযোগ রয়েছে। জার্মানি, জাপান, চীন, রাশিয়া, আমেরিকা, লন্ডন, ইরান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বৃত্তি নিয়ে বিনা খরচে পড়ার সুযোগ রয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনের (আইসিসিআর) মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও প্রতি বছর প্রচুর বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার সুযোগ পায়।
কর্মক্ষেত্রের সুযোগ
সংগীতে স্নাতক সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা বিসিএস সাধারণ ক্যাডারে, ননক্যাডারে বিভিন্ন পদে তাদের কর্মক্ষেত্র বেছে নিতে পারে। দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত হওয়ার ব্যবস্থা আছে। সংগীতে ডিগ্রি অর্জনকারী গ্রাজুয়েটদের দেশে ও বিদেশে সরকারি এবং বেসরকারিসহ বিভিন্ন বিদেশি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, তথ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সরকারি ও বেসরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মক্ষেত্রের সুযোগ বিদ্যমান। উল্লেখ্য বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক চাকরির ক্ষেত্রে সংগীত বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী দক্ষ জনবলের স্বল্পতা বিদ্যমান।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, সংগীত বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রাণ প্রশান্তির শ্রেষ্ঠতম উপায় বা অনুষঙ্গ সংগীত। সংগীত শিক্ষা ও চর্চা মানুষের চিত্ত পিপাসা নিবারণ করে দেশের সামগ্রিক সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে। জাতি গঠনে দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিপূর্ণ করতে সংগীত শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। সংগীতের উৎস সুপ্রাচীন ও স্বর্গীয়। ভাষার চেয়েও বহু প্রাচীন সংগীত। সুরের সৃষ্টি মূলত প্রকৃতিতে।
রেভারেন্ট থমাস সিমেসের প্রচারের পর গির্জায় গান গাওয়া এবং সংগীত পাঠের উদ্দেশে প্রাতিষ্ঠানিক সংগীত শিক্ষার উন্নতিকল্পে ১৭১৭ সালে বোস্টন, ম্যাসাচুসেটসে প্রথম সংগীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। গান গাওয়ার কৌশল, তত্ত্ব ও পদ্ধতি শেখানোর জন্য ১৮৩২ সালে প্রথম লোয়েল মেসন ও জর্জ ওয়েব ‘বোস্টন একাডেমি অব মিউজিক’ গঠন করেন। এ উপমহাদেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রথম সংগীত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক সংগীত শিক্ষার গুরুত্ব অনুভব করেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি উনিশ শতকে অর্থাৎ ১৯০১ সালের ২২ ডিসেম্বর (৭ পৌষ ১৩০৮ বঙ্গাব্দ) শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম (বিদ্যালয়) চালু করেন। আশ্রমিক উৎসব অনুষ্ঠানে সংগীতকে যুক্ত করে পরিপূর্ণ রূপে প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা দান করেন। পরবর্তীকালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ভবনে সংগীত শিক্ষা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সংগীত শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক ধারা আরম্ভ করেন। বাংলাদেশে ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগ।
বিচিত্র বিষয়
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সংগীত কলা অনুষদভুক্ত বিভাগ। এ বিভাগে দেশীয় সংগীত ও সংস্কৃতির বিচিত্র বিষয়ে পাঠদান করানো হয় এবং শিক্ষার্থীরা মনে আনন্দ সহযোগে সেই শিক্ষা গ্রহণ করেন। সংগীতের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ, লোকসংগীতের ধারা ও বৈশিষ্ট্য, বাংলা গানের বিচিত্র ধারা ও বৈশিষ্ট্য, বাংলা গানের বিবর্তন, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংগীতের ইতিহাস ও ঐতিহ্যনির্ভর বহুমাত্রিক বিষয়, দেশি-বিদেশি সংগীত সাধকদের মহামূল্যবান জীবনী, অনুসরণীয় জীবনধারা, শিল্প উপস্থাপনের নান্দনিক কৌশল পড়ানো হয়। দেশীয় লোকসংগীতের ধারা, লোকসাধকদের সৃষ্টি, বাংলা গানের বিবর্তনের ধারা, প্রাচীন রাগ সংগীতের রূপ, লোকসাধনা, লোকসংস্কৃতি, লোকবিশ্বাস, বিদেশি লোকধারা, আধুনিক বাংলা গানের বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্য, ধ্রুপদ, খেয়াল, টপ্পা, ঠুমরি কাজরি, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, কীর্তন, শ্যামাসংগীত, ভক্তিমূলক গান, ইসলামি গান, হিন্দুধর্মীয় গান, স্বদেশ প্রেমের গান, পূজা পর্যায়ের গান, বিচিত্র ধারার গান সম্পর্কে বিশদভাবে পড়ানো হয়। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাদন পদ্ধতি, কণ্ঠের মাধ্যমে শব্দ প্রক্ষেপণ, কণ্ঠের চর্চা, শব্দ প্রকৌশলের (সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) খুঁটিনাটি বিষয় পড়ানো হয়।
কারা পড়বেন
যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর দেশের শিল্প-সংস্কৃতিতে সরাসরি অবদান রাখতে চান, দেশকে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার পুণ্যভূমি হিসেবে গড়ে তুলতে যারা তারুণ্যকে, প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান, তারা পড়বে এ বিষয়ে। জীবনে গান ভালোবেসে, সংগীত সাধনা করে, সংগীতের মর্ম বুঝে অসীমের সঙ্গে, পরমের সঙ্গে যারা মিশে যেতে চান তারা এগিয়ে আসবেন পড়তে। যেসব শিক্ষার্থী ও সংগীত অনুরাগীরা শৈশব থেকেই ভাবছেন সংগীতের ব্যবহারিক ও তত্ত্বীয় শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেকে সংস্কৃতি অঙ্গনের একজন সুযোগ্য ও দক্ষ শিল্পী হিসেবে গড়ে তুলবেন, তাদের প্রথম পছন্দের বিষয় সংগীত।
কোথায় পড়বেন
বাংলাদেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয় নিয়ে পড়ার অপার সুযোগ রয়েছে। দেশের ছয়টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দুটি কলেজে সংগীত বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য সংগীত বিভাগ রয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারিভাবে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ (ইউডা), রবীন্দ্র সৃজন কলা বিশ্ববিদ্যালয়ে, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত বিভাগ রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত সরকারি সংগীত কলেজ ও দিনাজপুরে সংগীত ডিগ্রি কলেজ রয়েছে। বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানে দেশের মধ্যে সংগীত বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বিদ্যমান।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার অপার সুযোগ
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডির সুযোগ রয়েছে। জার্মানি, জাপান, চীন, রাশিয়া, আমেরিকা, লন্ডন, ইরান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বৃত্তি নিয়ে বিনা খরচে পড়ার সুযোগ রয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনের (আইসিসিআর) মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও প্রতি বছর প্রচুর বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার সুযোগ পায়।
কর্মক্ষেত্রের সুযোগ
সংগীতে স্নাতক সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা বিসিএস সাধারণ ক্যাডারে, ননক্যাডারে বিভিন্ন পদে তাদের কর্মক্ষেত্র বেছে নিতে পারে। দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত হওয়ার ব্যবস্থা আছে। সংগীতে ডিগ্রি অর্জনকারী গ্রাজুয়েটদের দেশে ও বিদেশে সরকারি এবং বেসরকারিসহ বিভিন্ন বিদেশি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, তথ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সরকারি ও বেসরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মক্ষেত্রের সুযোগ বিদ্যমান। উল্লেখ্য বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক চাকরির ক্ষেত্রে সংগীত বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী দক্ষ জনবলের স্বল্পতা বিদ্যমান।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, সংগীত বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে