যশোর প্রতিনিধি
১৫ প্যাঁচের জিলাপি! কোনো এক গভীর গূঢ় কারণে জিলাপির প্যাঁচ হয় আড়াইটি। সেই আড়াই প্যাঁচের জিলাপি নিয়ে খাদ্যরসিক থেকে শুরু করে কবি-সাহিত্যিকদের আদিখ্যেতার অন্ত নেই। এবার এই ১৫ প্যাঁচের জিলাপি নিয়ে কী হয়, তা ভবিষ্যতের ওপরেই থাক। তবে খাদ্যরসিকেরা যে এর রূপে-গুণে মজে গেছেন, সেটা বোঝা যায় এর জনপ্রিয়তা দেখলে।
যশোর শহরের খয়েরতলা এলাকার সিরাজুল ইসলাম। চৈত্রের তপ্ত দুপুরে রোদে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তিনি এসেছেন ইফতারের জন্য জিলাপি কিনতে। এত আগে আসার কারণ, বিকেলে জিলাপির দোকানটিতে খুব ভিড় হয়। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘ সময়। সিরাজুল জানালেন, তাঁর পরিবারের সবার কাছে এই জিলাপি ‘স্পেশাল’। তাই একটু আগেই এসেছেন।
এক দশকের বেশি সময় ধরে যশোর শহরের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই জিলাপির নাম ‘১৫ প্যাঁচের রেশমি জিলাপি’। শহরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কের ক্যাফে প্রেসক্লাবে তৈরি হয় এই জিলাপি। সারা বছর এ ক্যাফেতে বিভিন্ন ধরনের জিলাপি তৈরি হলেও শুধু রমজানে ১৫ প্যাঁচের রেশমি জিলাপি তৈরি হয়। ফলে পুরো রমজান মাসে এর জনপ্রিয়তা থাকে আকাশচুম্বী। শুধু যশোরের নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গার মানুষও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন মচমচে, সুস্বাদু, রসাল এবং ঘিয়ের সুবাসযুক্ত এই রেশমি জিলাপি।
১৫ প্যাঁচের রেশমি জিলাপির প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, ক্যাফে প্রেসক্লাবে ইফতারসামগ্রী সাজিয়ে বসেছেন কর্মচারীরা। একটি কাচের শোকেসে আলুর চপ, বেগুনি, নিমকি, জালি কাবাব, চিকেন টিকিয়া, হালিম, জিলাপি রাখা আছে। তবে এসব খাদ্যদ্রব্যের চেয়ে এখান থেকে লোকজন বেশি কিনছেন রেশমি জিলাপি। পাশেই ভাজা হচ্ছে ১৫ প্যাঁচের জিলাপি। তিনজন বিক্রেতা মিলে সামাল দিচ্ছেন রেশমি জিলাপিভক্তদের।
ক্যাফে প্রেসক্লাবের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম। ১৫ প্যাঁচের এ জিলাপি এবং তার জনপ্রিয়তা বিষয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি জানান, প্রায় এক দশক আগে ২০১২ সালে তাঁর বাবা নুর ইসলাম এই জিলাপি তৈরির উদ্যোগ নেন। মূলত রমজান মাস উপলক্ষে বিশেষ এই জিলাপি তৈরি করা হয় ক্রেতাদের চাহিদার কথা চিন্তা করে। আইয়ুব হোসেন নামের একজন কারিগর এ রেশমি জিলাপির উদ্ভাবক। ক্যাফের পুরোনো কারিগরেরা রেশমি জিলাপি তৈরির রেসিপি তাঁর কাছ থেকে আয়ত্ত করে এখন তৈরি করছেন। প্রতিদিন প্রায় ১০০ কেজি জিলাপি তৈরি হয়। তবু চাহিদা মেটানো যায় না ক্রেতাদের। ১৫ প্যাঁচের এই রেশমি জিলাপি ঘিয়ে ভাজা হয়। এ জন্য দাম বেশি। এই জিলাপি কয়েক দিন টাটকা ও মচমচে থাকে। রোজার সময়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও রেশমি জিলাপির রয়েছে আলাদা কদর।
সিরাজুল ইসলামের মতো চাঁচড়া ডাল মিল এলাকার জাহিদুল আলমও এসেছিলেন এই ১৫ প্যাঁচের রেশমি জিলাপি কিনতে। তিনি জানালেন, এই জিলাপি খুবই সুস্বাদু বলে তাঁর মেয়ের বিশেষ পছন্দের। পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছেও প্রিয়। জাহিদুল এককথায় জানালেন, এর স্বাদ অন্য জিলাপি থেকে ভিন্ন। দর্শনদারি এবং গুণবিচারি—উভয়ই আছে ১৫ প্যাঁচের এ জিলাপির।
১৫ প্যাঁচের জিলাপি! কোনো এক গভীর গূঢ় কারণে জিলাপির প্যাঁচ হয় আড়াইটি। সেই আড়াই প্যাঁচের জিলাপি নিয়ে খাদ্যরসিক থেকে শুরু করে কবি-সাহিত্যিকদের আদিখ্যেতার অন্ত নেই। এবার এই ১৫ প্যাঁচের জিলাপি নিয়ে কী হয়, তা ভবিষ্যতের ওপরেই থাক। তবে খাদ্যরসিকেরা যে এর রূপে-গুণে মজে গেছেন, সেটা বোঝা যায় এর জনপ্রিয়তা দেখলে।
যশোর শহরের খয়েরতলা এলাকার সিরাজুল ইসলাম। চৈত্রের তপ্ত দুপুরে রোদে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তিনি এসেছেন ইফতারের জন্য জিলাপি কিনতে। এত আগে আসার কারণ, বিকেলে জিলাপির দোকানটিতে খুব ভিড় হয়। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘ সময়। সিরাজুল জানালেন, তাঁর পরিবারের সবার কাছে এই জিলাপি ‘স্পেশাল’। তাই একটু আগেই এসেছেন।
এক দশকের বেশি সময় ধরে যশোর শহরের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই জিলাপির নাম ‘১৫ প্যাঁচের রেশমি জিলাপি’। শহরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কের ক্যাফে প্রেসক্লাবে তৈরি হয় এই জিলাপি। সারা বছর এ ক্যাফেতে বিভিন্ন ধরনের জিলাপি তৈরি হলেও শুধু রমজানে ১৫ প্যাঁচের রেশমি জিলাপি তৈরি হয়। ফলে পুরো রমজান মাসে এর জনপ্রিয়তা থাকে আকাশচুম্বী। শুধু যশোরের নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গার মানুষও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন মচমচে, সুস্বাদু, রসাল এবং ঘিয়ের সুবাসযুক্ত এই রেশমি জিলাপি।
১৫ প্যাঁচের রেশমি জিলাপির প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, ক্যাফে প্রেসক্লাবে ইফতারসামগ্রী সাজিয়ে বসেছেন কর্মচারীরা। একটি কাচের শোকেসে আলুর চপ, বেগুনি, নিমকি, জালি কাবাব, চিকেন টিকিয়া, হালিম, জিলাপি রাখা আছে। তবে এসব খাদ্যদ্রব্যের চেয়ে এখান থেকে লোকজন বেশি কিনছেন রেশমি জিলাপি। পাশেই ভাজা হচ্ছে ১৫ প্যাঁচের জিলাপি। তিনজন বিক্রেতা মিলে সামাল দিচ্ছেন রেশমি জিলাপিভক্তদের।
ক্যাফে প্রেসক্লাবের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম। ১৫ প্যাঁচের এ জিলাপি এবং তার জনপ্রিয়তা বিষয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি জানান, প্রায় এক দশক আগে ২০১২ সালে তাঁর বাবা নুর ইসলাম এই জিলাপি তৈরির উদ্যোগ নেন। মূলত রমজান মাস উপলক্ষে বিশেষ এই জিলাপি তৈরি করা হয় ক্রেতাদের চাহিদার কথা চিন্তা করে। আইয়ুব হোসেন নামের একজন কারিগর এ রেশমি জিলাপির উদ্ভাবক। ক্যাফের পুরোনো কারিগরেরা রেশমি জিলাপি তৈরির রেসিপি তাঁর কাছ থেকে আয়ত্ত করে এখন তৈরি করছেন। প্রতিদিন প্রায় ১০০ কেজি জিলাপি তৈরি হয়। তবু চাহিদা মেটানো যায় না ক্রেতাদের। ১৫ প্যাঁচের এই রেশমি জিলাপি ঘিয়ে ভাজা হয়। এ জন্য দাম বেশি। এই জিলাপি কয়েক দিন টাটকা ও মচমচে থাকে। রোজার সময়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও রেশমি জিলাপির রয়েছে আলাদা কদর।
সিরাজুল ইসলামের মতো চাঁচড়া ডাল মিল এলাকার জাহিদুল আলমও এসেছিলেন এই ১৫ প্যাঁচের রেশমি জিলাপি কিনতে। তিনি জানালেন, এই জিলাপি খুবই সুস্বাদু বলে তাঁর মেয়ের বিশেষ পছন্দের। পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছেও প্রিয়। জাহিদুল এককথায় জানালেন, এর স্বাদ অন্য জিলাপি থেকে ভিন্ন। দর্শনদারি এবং গুণবিচারি—উভয়ই আছে ১৫ প্যাঁচের এ জিলাপির।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে