হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
ব্যবস্থাপককে মারপিটের অভিযোগ এনে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর চা-বাগান ১৭ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বাগানের প্রায় সাড়ে ৪০০ শ্রমিক। বাগানের কার্যক্রম, শ্রমিকদের মজুরি ও রেশন বন্ধ থাকায় অর্থ সংকটে ভুগছেন চা-শ্রমিকেরা। অনাহার, অর্ধাহারে দিন কাটছে তাঁদের।
সংকট নিরসনে গত বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ চা বাগানের স্থানীয় নাট্যমন্দিরে মতবিনিময় ও প্রতিবাদ সভা করেছে ‘বৈকুণ্ঠপুর চা বাগান আন্দোলন কমিটি’। এ সময় তারা শিগগির বাগান খুলে দেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, এ চা বাগানের স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে আবাসন সুবিধা দেওয়ার কথা। অথচ বাগানের মালিকপক্ষ স্থায়ী চা-শ্রমিক দিলীপ কেউটকে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। বাসস্থানসংকটে বাধ্য হয়ে নিজের খাজনা দেওয়া ফসলি জমিতে ঘর নির্মাণ করতে ম্যানেজার এবং পঞ্চায়েত কমিটি থেকে মৌখিক অনুমতি নেন তিনি। কিন্তু ঘর নির্মাণের ১৫ দিনের মাথায় মালিকপক্ষ উচ্ছেদের নোটিশ দেন।
এ সময় স্থানীয় চা-শ্রমিকেরা দিলীপের পক্ষে দাঁড়ালে ১২ জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা এবং বেশকিছু শ্রমিককে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ৭ ডিসেম্বর মালিকপক্ষ বাগান বন্ধ ঘোষণা করে।
এ চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোকন চৌহান বলেন, ‘অস্থায়ী চা-শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ, উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থা, কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা, মজুরি বৃদ্ধি এবং আবাসন সুব্যবস্থা করতে হবে। ২০১৯ সালে বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর কর্তৃক ২৫ দফা ইশতেহারের ২৩ নম্বর অনুচ্ছেদে স্থানীয় আবাসনসংকট নিরসনের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা ছিল। আজ তিন বছর পরও ২৫ দফার ১ দফা সমাধানও চা-শ্রমিকেরা চোখে দেখেননি। দ্রুত সেই ২৫ দফা কার্যক্রম করতে হবে।’
বৈকুণ্ঠপুর চা বাগান আন্দোলন কমিটির সভাপতি মনিব কর্মকার বলেন, ‘আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আমাদের বলেছেন দিলীপ কেউটের ঘর উচ্ছেদ, ২০ জন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত এবং প্রত্যেক চা-শ্রমিকের পরিবারকে তিন শতক করে জায়গা দেবে। এসব মেনে নিলে তাঁরা বাগান খুলে দেবেন। আমরা সেটি মানি না।’
এ চা বাগানের ম্যানেজার সামছুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘বাগানের শ্রমিকদের বসবাসের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। কিন্তু শ্রমিক দিলীপ কেউট নিয়ম ভঙ্গ করে বাগানের ভেতরে জনবসতির বাইরে পাকা ঘর নির্মাণ করেন। বিষয়টি আমাদের নজরে এলে আমরা তাঁকে ঘর নির্মাণে বাধা দিই। কিন্তু তিনি আমাদের বাধা শোনেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাগানের নিয়ম ভঙ্গ করা এবং নির্দেশনা অমান্য করায় আমরা তাঁর শ্রমিক কার্ড বাতিল করি। যে কারণে ৭ ডিসেম্বর তিনি (দিলীপ) বাগানের পঞ্চায়েত কমিটিকে নিয়ে উত্তেজিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। শ্রমিকেরা আমাকে ও আমার ডেপুটি ম্যানেজার মহিউদ্দিনকে মারপিট করেন এবং বাংলো ভাঙচুর করেন।’
ম্যানেজার সামছুল বলেন, ‘বিষয়টি আমি বাগানমালিককে জানালে তিনি বাগান বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাগানটিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
ব্যবস্থাপককে মারপিটের অভিযোগ এনে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর চা-বাগান ১৭ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বাগানের প্রায় সাড়ে ৪০০ শ্রমিক। বাগানের কার্যক্রম, শ্রমিকদের মজুরি ও রেশন বন্ধ থাকায় অর্থ সংকটে ভুগছেন চা-শ্রমিকেরা। অনাহার, অর্ধাহারে দিন কাটছে তাঁদের।
সংকট নিরসনে গত বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ চা বাগানের স্থানীয় নাট্যমন্দিরে মতবিনিময় ও প্রতিবাদ সভা করেছে ‘বৈকুণ্ঠপুর চা বাগান আন্দোলন কমিটি’। এ সময় তারা শিগগির বাগান খুলে দেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, এ চা বাগানের স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে আবাসন সুবিধা দেওয়ার কথা। অথচ বাগানের মালিকপক্ষ স্থায়ী চা-শ্রমিক দিলীপ কেউটকে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। বাসস্থানসংকটে বাধ্য হয়ে নিজের খাজনা দেওয়া ফসলি জমিতে ঘর নির্মাণ করতে ম্যানেজার এবং পঞ্চায়েত কমিটি থেকে মৌখিক অনুমতি নেন তিনি। কিন্তু ঘর নির্মাণের ১৫ দিনের মাথায় মালিকপক্ষ উচ্ছেদের নোটিশ দেন।
এ সময় স্থানীয় চা-শ্রমিকেরা দিলীপের পক্ষে দাঁড়ালে ১২ জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা এবং বেশকিছু শ্রমিককে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ৭ ডিসেম্বর মালিকপক্ষ বাগান বন্ধ ঘোষণা করে।
এ চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোকন চৌহান বলেন, ‘অস্থায়ী চা-শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ, উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থা, কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা, মজুরি বৃদ্ধি এবং আবাসন সুব্যবস্থা করতে হবে। ২০১৯ সালে বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর কর্তৃক ২৫ দফা ইশতেহারের ২৩ নম্বর অনুচ্ছেদে স্থানীয় আবাসনসংকট নিরসনের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা ছিল। আজ তিন বছর পরও ২৫ দফার ১ দফা সমাধানও চা-শ্রমিকেরা চোখে দেখেননি। দ্রুত সেই ২৫ দফা কার্যক্রম করতে হবে।’
বৈকুণ্ঠপুর চা বাগান আন্দোলন কমিটির সভাপতি মনিব কর্মকার বলেন, ‘আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আমাদের বলেছেন দিলীপ কেউটের ঘর উচ্ছেদ, ২০ জন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত এবং প্রত্যেক চা-শ্রমিকের পরিবারকে তিন শতক করে জায়গা দেবে। এসব মেনে নিলে তাঁরা বাগান খুলে দেবেন। আমরা সেটি মানি না।’
এ চা বাগানের ম্যানেজার সামছুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘বাগানের শ্রমিকদের বসবাসের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। কিন্তু শ্রমিক দিলীপ কেউট নিয়ম ভঙ্গ করে বাগানের ভেতরে জনবসতির বাইরে পাকা ঘর নির্মাণ করেন। বিষয়টি আমাদের নজরে এলে আমরা তাঁকে ঘর নির্মাণে বাধা দিই। কিন্তু তিনি আমাদের বাধা শোনেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাগানের নিয়ম ভঙ্গ করা এবং নির্দেশনা অমান্য করায় আমরা তাঁর শ্রমিক কার্ড বাতিল করি। যে কারণে ৭ ডিসেম্বর তিনি (দিলীপ) বাগানের পঞ্চায়েত কমিটিকে নিয়ে উত্তেজিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। শ্রমিকেরা আমাকে ও আমার ডেপুটি ম্যানেজার মহিউদ্দিনকে মারপিট করেন এবং বাংলো ভাঙচুর করেন।’
ম্যানেজার সামছুল বলেন, ‘বিষয়টি আমি বাগানমালিককে জানালে তিনি বাগান বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাগানটিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে