আবিদুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ
কোম্পানীগঞ্জে আড়াই শ বছর আগে তৈরি হয় পান্ডুয়া দুর্গ। ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পাড়ুয়া গ্রামে সবুজ-শ্যামল পরিবেশে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই দুর্গ। দৃষ্টিনন্দন এই দুর্গটি সংস্কারের অভাবে এখন বিলুপ্তির পথে। তাই দুর্গটি সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা।
রবার্ট লিন্ডসে সিলেটের কালেক্টরের দায়িত্বে থাকাকালে ১৭৭৮ সালে এই দুর্গটি নির্মাণ করা হয়। দুর্গটির নাম দেওয়া হয় ‘পান্ডুয়া দুর্গ’। লিন্ডসের পান্ডুয়া বর্তমানে পাড়ুয়া নামে একটি গ্রাম। অবহেলা-অযত্নে পড়ে থাকায় প্রাচীন এই নিদর্শনটি তার রূপ হারালেও এখনো দর্শনার্থীদের আগ্রহের কমতি নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই নিদর্শনটি সংরক্ষণ করা গেলে এটি পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঔপনিবেশিক আমলে সিলেট ছিল চুনাপাথর সরবরাহের বিরাট কেন্দ্র। পাথর আসত আসাম, কাছাড় খাসিয়া ও জৈন্তা অঞ্চল থেকে। সে সময় ওইসব অঞ্চল সিলেটের নামে পরিচিত হওয়ার কারণে সিলেট হয়ে পড়ে চুনাপাথর সরবরাহ আর ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু। ১৭৭৮ সালে সিলেটের ডেপুটি কালেক্টরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন রবার্ট লিন্ডসে। তখন আসামের পান্ডুয়া অঞ্চলটি ছিল ছোট ছোট খাসিয়া রাজাদের অধীন।
চুনার পাহাড়টি ছিল এমনি একজন রাজার রাজ্যে অবস্থিত। দূর-দূরান্ত এলাকা থেকে চুনাপাথরের ব্যবসার জন্য আসা ব্যবসায়ীদের ওপর খাসিয়ারা তখন আক্রমণ চালাত। খাসিয়াদের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে অনেক বণিক তখন লিন্ডসেকে অনুরোধ করেন একটি ছোট দুর্গ তৈরি করে দেওয়ার। তাঁদের অনুরোধেই লিন্ডসে পাড়ুয়ায় ভ্রমণ করেন এবং ওই দুর্গটি নির্মাণ করেন।
স্থানীয় টুরিস্ট ফটোগ্রাফার ইমরান আহমদ জানান, শখের বশে তিনি ফটোগ্রাফি করেন। পাড়ুয়া দুর্গ কোম্পানীগঞ্জের একটি ঔপনিবেশিক শাসনের নিদর্শন। ঠিকমতো প্রচার করা গেলে এই নিদর্শন ঘিরে দর্শনার্থীদের আগ্রহ বাড়বে। তাই ছবি তুলে গুগল এবং উইকিপিডিয়ায় আপলোড করেছি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামীম আহমদ বলেন, ব্রিটিশ আমলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় যত স্থাপনা নির্মিত হয়, পাড়ুয়া দুর্গ তার একটি। একসময়ের দৃষ্টিনন্দন এই দুর্গটি এখন বিলুপ্তির পথে। ইট-চুন-সুরকি দিয়ে নির্মিত স্থাপনাটির অনেকাংশের অস্তিত্ব নেই। প্রাচীন এই দুর্গটির সংস্কার তাই এখন সময়ের দাবি।
কোম্পানীগঞ্জ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল হক বলেন, পাড়ুয়া দুর্গ ছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এ রকম আরও নিদর্শন আছে। যেগুলো সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংস হচ্ছে। ইতিহাস টিকিয়ে রাখার স্বার্থে দুর্গটি সংস্কার করে সংরক্ষণ করা উচিত। তবেই কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে এই স্থাপনা।
কোম্পানীগঞ্জে আড়াই শ বছর আগে তৈরি হয় পান্ডুয়া দুর্গ। ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পাড়ুয়া গ্রামে সবুজ-শ্যামল পরিবেশে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই দুর্গ। দৃষ্টিনন্দন এই দুর্গটি সংস্কারের অভাবে এখন বিলুপ্তির পথে। তাই দুর্গটি সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা।
রবার্ট লিন্ডসে সিলেটের কালেক্টরের দায়িত্বে থাকাকালে ১৭৭৮ সালে এই দুর্গটি নির্মাণ করা হয়। দুর্গটির নাম দেওয়া হয় ‘পান্ডুয়া দুর্গ’। লিন্ডসের পান্ডুয়া বর্তমানে পাড়ুয়া নামে একটি গ্রাম। অবহেলা-অযত্নে পড়ে থাকায় প্রাচীন এই নিদর্শনটি তার রূপ হারালেও এখনো দর্শনার্থীদের আগ্রহের কমতি নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই নিদর্শনটি সংরক্ষণ করা গেলে এটি পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঔপনিবেশিক আমলে সিলেট ছিল চুনাপাথর সরবরাহের বিরাট কেন্দ্র। পাথর আসত আসাম, কাছাড় খাসিয়া ও জৈন্তা অঞ্চল থেকে। সে সময় ওইসব অঞ্চল সিলেটের নামে পরিচিত হওয়ার কারণে সিলেট হয়ে পড়ে চুনাপাথর সরবরাহ আর ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু। ১৭৭৮ সালে সিলেটের ডেপুটি কালেক্টরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন রবার্ট লিন্ডসে। তখন আসামের পান্ডুয়া অঞ্চলটি ছিল ছোট ছোট খাসিয়া রাজাদের অধীন।
চুনার পাহাড়টি ছিল এমনি একজন রাজার রাজ্যে অবস্থিত। দূর-দূরান্ত এলাকা থেকে চুনাপাথরের ব্যবসার জন্য আসা ব্যবসায়ীদের ওপর খাসিয়ারা তখন আক্রমণ চালাত। খাসিয়াদের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে অনেক বণিক তখন লিন্ডসেকে অনুরোধ করেন একটি ছোট দুর্গ তৈরি করে দেওয়ার। তাঁদের অনুরোধেই লিন্ডসে পাড়ুয়ায় ভ্রমণ করেন এবং ওই দুর্গটি নির্মাণ করেন।
স্থানীয় টুরিস্ট ফটোগ্রাফার ইমরান আহমদ জানান, শখের বশে তিনি ফটোগ্রাফি করেন। পাড়ুয়া দুর্গ কোম্পানীগঞ্জের একটি ঔপনিবেশিক শাসনের নিদর্শন। ঠিকমতো প্রচার করা গেলে এই নিদর্শন ঘিরে দর্শনার্থীদের আগ্রহ বাড়বে। তাই ছবি তুলে গুগল এবং উইকিপিডিয়ায় আপলোড করেছি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামীম আহমদ বলেন, ব্রিটিশ আমলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় যত স্থাপনা নির্মিত হয়, পাড়ুয়া দুর্গ তার একটি। একসময়ের দৃষ্টিনন্দন এই দুর্গটি এখন বিলুপ্তির পথে। ইট-চুন-সুরকি দিয়ে নির্মিত স্থাপনাটির অনেকাংশের অস্তিত্ব নেই। প্রাচীন এই দুর্গটির সংস্কার তাই এখন সময়ের দাবি।
কোম্পানীগঞ্জ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল হক বলেন, পাড়ুয়া দুর্গ ছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এ রকম আরও নিদর্শন আছে। যেগুলো সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংস হচ্ছে। ইতিহাস টিকিয়ে রাখার স্বার্থে দুর্গটি সংস্কার করে সংরক্ষণ করা উচিত। তবেই কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে এই স্থাপনা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে