মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, গাজীপুর
গাজীপুর মহানগরীসহ জেলার খাদ্যশস্যের আড়তদারদের বেশির ভাগের নিবন্ধন নেই। ফলে বেসরকারি পর্যায়ে আড়তদারেরা কী পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত করছেন, তা জানতে পারছে না সরকার। এমনকি খাদ্যশস্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ১৯৫৬ সালের অপরিহার্য পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী খাদ্যশস্য ও খাদ্যসামগ্রীর ব্যবসার জন্য খাদ্য বিভাগের কাছ থেকে ফুড গ্রেইন (খাদ্যশস্য) নিবন্ধন নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই আইন অনুযায়ী খাদ্যশস্য ও খাদ্যপণ্য আমদানিকারকদের জন্য ১০ হাজার টাকা, পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের জন্য ৫ হাজার টাকা এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য ১ হাজার টাকা ফি দিয়ে নিবন্ধন নিতে হবে। অপরিহার্য পণ্যের মধ্যে চাল, ডাল, আটা, ভুট্টা ইত্যাদি খাদ্যপণ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। কোনো ব্যবসায়ী তাঁর দোকানে ১ মেট্রিক টন বা তার বেশি খাদ্যপণ্য মজুত করলে বাধ্যতামূলক নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন ব্যতীত ব্যবসা করা অবৈধ।
নিবন্ধন থাকলে একটি জেলায় কতজন খাদ্যশস্যের ব্যবসায়ী রয়েছেন, সে বিষয়ে একটা ধারণা থাকে খাদ্য বিভাগের। ফলে বেসরকারি পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে কোন খাদ্যপণ্য কী পরিমাণ মজুত রয়েছে, কত দিন আগে মজুত করা হয়েছে ইত্যাদি বিষয় খাদ্য বিভাগ জানতে পারে। ফলে কোনো বিশেষ খাদ্যপণ্যের বেশি চাহিদার কারণে অথবা সরবরাহ কমের কারণে মূল্যবৃদ্ধি বা এজাতীয় কোনো সমস্যার সৃষ্টি হলে খাদ্য বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবে। এদিকে বৈধ ব্যবসায়ীদের তদারক করাও সহজ হয়। কিন্তু গাজীপুর মহানগরীসহ জেলার সব কটি উপজেলায় খাদ্যপণ্য ব্যবসায়ীদের অধিকাংশের নিবন্ধন নেই। এতে সরকার একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে মজুত খাদ্যপণ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা করতে পারছে না। আড়তদারদের কার্যক্রম তদারকও সম্ভব হচ্ছে না।
গাজীপুর সদর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘গাজীপুর মহানগরসহ সদর উপজেলায় বৈধ খাদ্যপণ্যের ব্যবসায়ীর সংখ্যা মাত্র ২৮ জন। আর খাদ্যপণ্যের জন্য সরকারের নির্ধারিত খাদ্য বিভাগের নিবন্ধন না নিয়ে ব্যবসা করছেন ৩ শতাধিক আড়তদার। এসব ব্যবসায়ীরা শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে অবাধে ব্যবসা করছেন। ফলে এসব ব্যবসায়ীর কাছে কোন খাদ্যপণ্য কী পরিমাণ মজুত রয়েছে, কোন পণ্য কখন কী পরিমাণ মজুত করেন, কত দামে মজুত করেন এবং কত দামে বিক্রি করেন—এসব ব্যাপারে গাজীপুর খাদ্য বিভাগ কিছুই জানতে পারছে না। ফলে খাদ্যপণ্যের চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি হচ্ছে কি না, তা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অজানাই থেকে যাচ্ছে।
গাজীপুর সদর উপজেলার মণিপুর বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম মেসার্স রেজাউল স্টোরের মালিক। খাদ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী তাঁর আড়তে সর্বশেষ ৫০ মেট্রিক টন চাল, ১০০ মেট্রিক টন আটা মজুত ছিল। গত সোমবার তিনি বলেন, ‘যেহেতু ব্যবসা করি, কিছু খাদ্যপণ্য মজুত তো থাকবেই। আর ব্যবসার জন্য এখনো নিবন্ধন করা হয়নি। প্রস্তুতি নিচ্ছি। শিগগির নিবন্ধন করা হবে।’
সদর উপজেলার বাঘের বাজারের জহির আহমেদ বলেন, ‘আড়তে ২৭ টন চাল মজুত রয়েছে। আর ব্যবসা করতে গেলে খাদ্য বিভাগ থেকে নিবন্ধন করা লাগে, এটা আমি জানতাম না। খুব শিগগির নিবন্ধন করে নেব।’
গাজীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুবুর রহমান খান বলেন, ‘খাদ্যপণ্যের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা নিবন্ধন ছাড়াই অবৈধভাবে ব্যবসা করছেন। তাঁদের এ জন্য নিবন্ধন নিতে বলা হচ্ছে, কিন্তু সাড়া
পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। নিবন্ধন না নিয়ে খাদ্যপণ্য মজুত করার অপরাধে জরিমানাও করা হয়।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আরও জানান, জুন মাসেও গাজীপুর মহানগরী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় নিবন্ধন না থাকা সত্ত্বেও খাদ্যপণ্য মজুত করার অপরাধে ৮ ব্যবসায়ীকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বেসরকারি পর্যায়ে খাদ্য মজুত সম্পর্কে জানার জন্য নিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা সব খাদ্যপণ্য ব্যবসায়ীকে সরকারের নির্ধারিত ফি দিয়ে নিবন্ধন নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরীসহ জেলার খাদ্যশস্যের আড়তদারদের বেশির ভাগের নিবন্ধন নেই। ফলে বেসরকারি পর্যায়ে আড়তদারেরা কী পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত করছেন, তা জানতে পারছে না সরকার। এমনকি খাদ্যশস্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ১৯৫৬ সালের অপরিহার্য পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী খাদ্যশস্য ও খাদ্যসামগ্রীর ব্যবসার জন্য খাদ্য বিভাগের কাছ থেকে ফুড গ্রেইন (খাদ্যশস্য) নিবন্ধন নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই আইন অনুযায়ী খাদ্যশস্য ও খাদ্যপণ্য আমদানিকারকদের জন্য ১০ হাজার টাকা, পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের জন্য ৫ হাজার টাকা এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য ১ হাজার টাকা ফি দিয়ে নিবন্ধন নিতে হবে। অপরিহার্য পণ্যের মধ্যে চাল, ডাল, আটা, ভুট্টা ইত্যাদি খাদ্যপণ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। কোনো ব্যবসায়ী তাঁর দোকানে ১ মেট্রিক টন বা তার বেশি খাদ্যপণ্য মজুত করলে বাধ্যতামূলক নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন ব্যতীত ব্যবসা করা অবৈধ।
নিবন্ধন থাকলে একটি জেলায় কতজন খাদ্যশস্যের ব্যবসায়ী রয়েছেন, সে বিষয়ে একটা ধারণা থাকে খাদ্য বিভাগের। ফলে বেসরকারি পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে কোন খাদ্যপণ্য কী পরিমাণ মজুত রয়েছে, কত দিন আগে মজুত করা হয়েছে ইত্যাদি বিষয় খাদ্য বিভাগ জানতে পারে। ফলে কোনো বিশেষ খাদ্যপণ্যের বেশি চাহিদার কারণে অথবা সরবরাহ কমের কারণে মূল্যবৃদ্ধি বা এজাতীয় কোনো সমস্যার সৃষ্টি হলে খাদ্য বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবে। এদিকে বৈধ ব্যবসায়ীদের তদারক করাও সহজ হয়। কিন্তু গাজীপুর মহানগরীসহ জেলার সব কটি উপজেলায় খাদ্যপণ্য ব্যবসায়ীদের অধিকাংশের নিবন্ধন নেই। এতে সরকার একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে মজুত খাদ্যপণ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা করতে পারছে না। আড়তদারদের কার্যক্রম তদারকও সম্ভব হচ্ছে না।
গাজীপুর সদর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘গাজীপুর মহানগরসহ সদর উপজেলায় বৈধ খাদ্যপণ্যের ব্যবসায়ীর সংখ্যা মাত্র ২৮ জন। আর খাদ্যপণ্যের জন্য সরকারের নির্ধারিত খাদ্য বিভাগের নিবন্ধন না নিয়ে ব্যবসা করছেন ৩ শতাধিক আড়তদার। এসব ব্যবসায়ীরা শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে অবাধে ব্যবসা করছেন। ফলে এসব ব্যবসায়ীর কাছে কোন খাদ্যপণ্য কী পরিমাণ মজুত রয়েছে, কোন পণ্য কখন কী পরিমাণ মজুত করেন, কত দামে মজুত করেন এবং কত দামে বিক্রি করেন—এসব ব্যাপারে গাজীপুর খাদ্য বিভাগ কিছুই জানতে পারছে না। ফলে খাদ্যপণ্যের চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি হচ্ছে কি না, তা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অজানাই থেকে যাচ্ছে।
গাজীপুর সদর উপজেলার মণিপুর বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম মেসার্স রেজাউল স্টোরের মালিক। খাদ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী তাঁর আড়তে সর্বশেষ ৫০ মেট্রিক টন চাল, ১০০ মেট্রিক টন আটা মজুত ছিল। গত সোমবার তিনি বলেন, ‘যেহেতু ব্যবসা করি, কিছু খাদ্যপণ্য মজুত তো থাকবেই। আর ব্যবসার জন্য এখনো নিবন্ধন করা হয়নি। প্রস্তুতি নিচ্ছি। শিগগির নিবন্ধন করা হবে।’
সদর উপজেলার বাঘের বাজারের জহির আহমেদ বলেন, ‘আড়তে ২৭ টন চাল মজুত রয়েছে। আর ব্যবসা করতে গেলে খাদ্য বিভাগ থেকে নিবন্ধন করা লাগে, এটা আমি জানতাম না। খুব শিগগির নিবন্ধন করে নেব।’
গাজীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুবুর রহমান খান বলেন, ‘খাদ্যপণ্যের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা নিবন্ধন ছাড়াই অবৈধভাবে ব্যবসা করছেন। তাঁদের এ জন্য নিবন্ধন নিতে বলা হচ্ছে, কিন্তু সাড়া
পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। নিবন্ধন না নিয়ে খাদ্যপণ্য মজুত করার অপরাধে জরিমানাও করা হয়।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আরও জানান, জুন মাসেও গাজীপুর মহানগরী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় নিবন্ধন না থাকা সত্ত্বেও খাদ্যপণ্য মজুত করার অপরাধে ৮ ব্যবসায়ীকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বেসরকারি পর্যায়ে খাদ্য মজুত সম্পর্কে জানার জন্য নিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা সব খাদ্যপণ্য ব্যবসায়ীকে সরকারের নির্ধারিত ফি দিয়ে নিবন্ধন নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে