বান্দরবান ও আলীকদম প্রতিনিধি
বান্দরবানের আলীকদমে ছবিযুক্ত ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে এক রোহিঙ্গাকে জন্ম-মৃত্যুর সনদ ও প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সচিবসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম গত মঙ্গলবার আলীকদম থানায় এই মামলা করেন।
অভিযুক্তরা হলেন—উপজেলার নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিন, সচিব মো. আবু হানিফ রাজু, ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মান্নান এবং চৈক্ষ্যং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান ও সচিব মানিক বড়ুয়া। বাকিরা হলেন জামাল হোসেন, রোহিঙ্গা আহছাব উদ্দিন ও তাঁর মা আয়েশা বেগম।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার এই মামলায় জামিন চান নয়াপাড়া ইউপি সচিব রাজু ও চৈক্ষ্যং ইউপি সচিব মানিক। শুনানি শেষে দুই ইউপি সচিব ও গ্রেপ্তার জামাল উদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করেছেন বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ এস এম এমরান।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, মামলা হওয়ার পর থেকে বর্তমানে চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিন ও সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমানকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তাঁরা জামিনের জন্য চেষ্টা করছেন।
মামলায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপাড়া ইউপির ৪টি ওয়ার্ডের ভোটার নিবন্ধন ফরম ও কাগজপত্র বাছাইয়ের সময় ১০০৫৯৭০৬৬ নম্বর ফরম পূরণকারী আহছাব উদ্দিনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়টি চিহ্নিত হয়। তাঁর মা আয়েশা বেগম জীবিত থাকার পরও গত ২০ জুন তাঁর নয়াপাড়া ইউপি থেকে ‘মৃত্যুসনদ’ দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে চৈক্ষ্যং ইউপি থেকে আহছাব উদ্দিনকে ২০১৯ সালের ১৮ মে ‘জন্মসনদ’ দেওয়া হয়।
চৈক্ষ্যং ইউপির নিবন্ধন বই-১-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট জামাল হোসেন ও আয়েশা বেগমের সন্তান হিসেবে আহছাব উদ্দিনকে ‘জন্মসনদ’ দেওয়া হয়। ওই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তাঁকে ২০১৯ সালের ১৮ মে অনলাইন জন্মসনদ ইস্যু করেন চৈক্ষ্যং ইউপির সচিব মানিক বড়ুয়া ও তৎকালীন চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান। এদিকে আহছাব উদ্দিনকে গত ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর ‘জাতীয়তা সদনপত্র’ দেন নয়াপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফোগ্য মারমা।
অপর দিকে নয়াপাড়া ইউপি প্রত্যয়নপত্র রেজিস্ট্রারে ২০২১-২২ সালের ৫৪ নম্বর স্মারকের একটি প্রত্যয়নপত্রে দেখা যায়, আহছাব উদ্দিনের মা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালের ৫ মার্চ মারা যান। এই প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ফোগ্য মারমা।
অভিযোগ বিষয়ে গতকাল বিকেলে সাবেক চেয়ারম্যান ফোগ্য মারমা বলেন, ‘চৈক্ষ্যং ইউপির ‘জন্মসনদের’ ওপর ভিত্তি করে আহছাব উদ্দিনকে জাতীয়তা সনদ দিয়েছিলাম। সেই সময় তিনি যে রোহিঙ্গা তা জানতাম না। আমি এ ধরনের প্রত্যয়ন যদি দিয়েও থাকি, তবে মেম্বারের কথা ছাড়া দিইনি।’ আহছাব উদ্দিনের মা আয়েশা বেগমকে মৃত ঘোষণা-সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্রকে সন্দেহজনক মনে হয়েছিল বলে তিনি জানান।
নয়াপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিন বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হওয়ার আগে আহছাবকে চৈক্ষ্যং ইউপি থেকে জন্মসনদ ও নয়াপাড়া ইউপি থেকে জাতীয়তা সনদপত্র দেন সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান ও ফোগ্য মারমা। আহছাব উদ্দিনের মায়ের মৃত্যু-সংক্রান্ত একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান। আগে কাগজপত্রের ওপর ভিত্তি করে এবং ইউপি সদস্যের প্রত্যয়নের পরই আমি সংশ্লিষ্ট প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সাংবাদিককে বলেন, ‘যাচাই-বাছাইকালে আহছাব উদ্দিনের কথায় সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হই তাঁর বাবা রোহিঙ্গা। জন্মনিবন্ধন সনদ ও চেয়ারম্যান সনদে যাকে বাবা বানিয়েছে, তিনি তাঁর জন্মদাতা নয়। তিনি আহছাব উদ্দিনের মা আয়শা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী জামাল হোসেন।’
বান্দরবানের আলীকদমে ছবিযুক্ত ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে এক রোহিঙ্গাকে জন্ম-মৃত্যুর সনদ ও প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সচিবসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম গত মঙ্গলবার আলীকদম থানায় এই মামলা করেন।
অভিযুক্তরা হলেন—উপজেলার নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিন, সচিব মো. আবু হানিফ রাজু, ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মান্নান এবং চৈক্ষ্যং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান ও সচিব মানিক বড়ুয়া। বাকিরা হলেন জামাল হোসেন, রোহিঙ্গা আহছাব উদ্দিন ও তাঁর মা আয়েশা বেগম।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার এই মামলায় জামিন চান নয়াপাড়া ইউপি সচিব রাজু ও চৈক্ষ্যং ইউপি সচিব মানিক। শুনানি শেষে দুই ইউপি সচিব ও গ্রেপ্তার জামাল উদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করেছেন বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ এস এম এমরান।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, মামলা হওয়ার পর থেকে বর্তমানে চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিন ও সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমানকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তাঁরা জামিনের জন্য চেষ্টা করছেন।
মামলায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপাড়া ইউপির ৪টি ওয়ার্ডের ভোটার নিবন্ধন ফরম ও কাগজপত্র বাছাইয়ের সময় ১০০৫৯৭০৬৬ নম্বর ফরম পূরণকারী আহছাব উদ্দিনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়টি চিহ্নিত হয়। তাঁর মা আয়েশা বেগম জীবিত থাকার পরও গত ২০ জুন তাঁর নয়াপাড়া ইউপি থেকে ‘মৃত্যুসনদ’ দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে চৈক্ষ্যং ইউপি থেকে আহছাব উদ্দিনকে ২০১৯ সালের ১৮ মে ‘জন্মসনদ’ দেওয়া হয়।
চৈক্ষ্যং ইউপির নিবন্ধন বই-১-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট জামাল হোসেন ও আয়েশা বেগমের সন্তান হিসেবে আহছাব উদ্দিনকে ‘জন্মসনদ’ দেওয়া হয়। ওই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তাঁকে ২০১৯ সালের ১৮ মে অনলাইন জন্মসনদ ইস্যু করেন চৈক্ষ্যং ইউপির সচিব মানিক বড়ুয়া ও তৎকালীন চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান। এদিকে আহছাব উদ্দিনকে গত ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর ‘জাতীয়তা সদনপত্র’ দেন নয়াপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফোগ্য মারমা।
অপর দিকে নয়াপাড়া ইউপি প্রত্যয়নপত্র রেজিস্ট্রারে ২০২১-২২ সালের ৫৪ নম্বর স্মারকের একটি প্রত্যয়নপত্রে দেখা যায়, আহছাব উদ্দিনের মা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালের ৫ মার্চ মারা যান। এই প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ফোগ্য মারমা।
অভিযোগ বিষয়ে গতকাল বিকেলে সাবেক চেয়ারম্যান ফোগ্য মারমা বলেন, ‘চৈক্ষ্যং ইউপির ‘জন্মসনদের’ ওপর ভিত্তি করে আহছাব উদ্দিনকে জাতীয়তা সনদ দিয়েছিলাম। সেই সময় তিনি যে রোহিঙ্গা তা জানতাম না। আমি এ ধরনের প্রত্যয়ন যদি দিয়েও থাকি, তবে মেম্বারের কথা ছাড়া দিইনি।’ আহছাব উদ্দিনের মা আয়েশা বেগমকে মৃত ঘোষণা-সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্রকে সন্দেহজনক মনে হয়েছিল বলে তিনি জানান।
নয়াপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিন বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হওয়ার আগে আহছাবকে চৈক্ষ্যং ইউপি থেকে জন্মসনদ ও নয়াপাড়া ইউপি থেকে জাতীয়তা সনদপত্র দেন সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান ও ফোগ্য মারমা। আহছাব উদ্দিনের মায়ের মৃত্যু-সংক্রান্ত একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান। আগে কাগজপত্রের ওপর ভিত্তি করে এবং ইউপি সদস্যের প্রত্যয়নের পরই আমি সংশ্লিষ্ট প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সাংবাদিককে বলেন, ‘যাচাই-বাছাইকালে আহছাব উদ্দিনের কথায় সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হই তাঁর বাবা রোহিঙ্গা। জন্মনিবন্ধন সনদ ও চেয়ারম্যান সনদে যাকে বাবা বানিয়েছে, তিনি তাঁর জন্মদাতা নয়। তিনি আহছাব উদ্দিনের মা আয়শা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী জামাল হোসেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে