হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
‘ফ্ল্যাট দিবে বলে ২০১৩ সালে আমাদের পাহাড় থেকে উচ্ছেদ করে। ১০ হাজার করে টাকাও নেওয়া হয়। ১০ বছর হতে চললেও আমাদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়নি সিটি করপোরেশন। অন্য কোথাও থাকার ব্যবস্থাও করেনি। তাই বাধ্য হয়ে এখনো বাটালি হিল পাহাড়ের পাদদেশে আছি। এখানে পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই। অনেক কষ্টে আছি।’ আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলেছেন চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী শাহেদা বেগম।
পাহাড়ের ঢালুতে ঝুঁকিতে বসবাসকারী দিনমজুর, ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল গরিব মানুষদের ঘর করে দিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) সাততলা ভবন বানিয়েছে সাত বছর আগে। নিম্ন আয়ের ১৬১টি পরিবারকে পুনর্বাসনে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে হয় এই প্রকল্প।
জানা গেছে, করপোরেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আড়াই শ বর্গফুট আয়তনের এসব ফ্ল্যাটের জন্য বস্তিবাসীকে মাসে দুই হাজার টাকা দেওয়ার কথা। সেই হিসাবে ১৫ বছরে ফ্ল্যাটের নির্ধারিত মূল্য সাড়ে সাত লাখ টাকার সম্পূর্ণটাই পরিশোধ হবে। এরপর থেকে ফ্ল্যাটের মালিক হবেন বরাদ্দপ্রাপ্তরা। এ জন্য ৩৩ পরিবার থেকে এককালীন অগ্রিম টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্প শেষে সেই ভবন গরিবদের না দিয়ে সিটি করপোরেশন কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সময়ে এটি করা হয়।
অথচ বরাদ্দপ্রাপ্ত সেই গরিব মানুষেরা আট বছর ধরে হা-হুতাশ করছেন নিজেদের ঘরের জন্য। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে সুযোগ বুঝে তাঁরা আবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন পাহাড়ের ঢালুতেই, যদিও বর্ষা শুরু হলে প্রশাসন তাঁদের উচ্ছেদ করে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। যোগাযোগ করা হলে মিটিং-এ ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে এ নিয়ে কিছু বলতে অপারগতা জানান তিনি। করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিমও এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
ফ্ল্যাট তৈরির সিদ্ধান্ত ও নির্মাণকাজ শেষ হয় সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের সময়ে। ফ্ল্যাট বরাদ্দের স্থায়ী নীতিমালা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর পরিবর্তন আসে করপোরেশন প্রশাসনে। জানতে চাইলে মোহাম্মদ মনজুর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাহাড় ধসে প্রাণহানির পর নগরী ও আশপাশের এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের চিহ্নিত করে তাদের জন্য ছোট ফ্ল্যাট করে দিয়েছিলাম। তখন আমাদের এই উদ্যোগটা সারা দেশের জন্য একটা মডেল ছিল। বোম্বাই সিটি করপোরেশন আমাদের এই মডেল ব্যবহার করে সেখানে গৃহহীনদের পুনর্বাসন করেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, এই ফ্ল্যাটগুলো আমরা গৃহহীনদের দিতে পারিনি।’
শাহেদা-মর্জিনা বেগমের মতো ফ্ল্যাট বুঝে না পাওয়া ৩৩টি পরিবার এখনো পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বাস করছে। পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় তাদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল করপোরেশন। সেই অনুযায়ী ২০১৩ সালে তাঁদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি, হলফনামা ও এককালীন টোকেন মানি নেয় সিটি করপোরেশন। ফ্ল্যাট বুঝে নিতে তাঁরা জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় কমিশনার, করপোরেশনের মেয়রকে দফায় দফায় চিঠি দিলেও কোনো কাজ হয়নি। তাঁদের অন্য কোনো জায়গায় থাকার ব্যবস্থাও করেনি করপোরেশন।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মর্জিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফ্ল্যাটের জন্য ভিক্ষা করে জমানো ১০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনকে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমাদের কথা কেউ শুনছে না।’
নতুন নগর ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়াত সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর সময়ে আন্দরকিল্লায় সিটি করপোরেশন ভবনের একটি পুরোনো অংশ ভাঙা হয় ২০০৯ সালে। ভবনের বাকি অংশে ঠিকঠাক চলছিল করপোরেশনের প্রায় সব দপ্তরের কাজ। কিন্তু পুরোদমে কাজ শুরুর আগেই বরাদ্দের অভাবে নগর ভবনের নির্মাণকাজ পরিত্যক্ত হয় আট বছর আগে। সেই সময়ের নবনির্বাচিত সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন মেয়র কার্যালয়সহ কিছু দপ্তর গরিবের জন্য তৈরি হওয়া ফ্ল্যাট ভবনে সরিয়ে আনেন। এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে যোগাযোগ করা হলে এবং খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি আ জ ম নাছির উদ্দীন।
‘ফ্ল্যাট দিবে বলে ২০১৩ সালে আমাদের পাহাড় থেকে উচ্ছেদ করে। ১০ হাজার করে টাকাও নেওয়া হয়। ১০ বছর হতে চললেও আমাদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়নি সিটি করপোরেশন। অন্য কোথাও থাকার ব্যবস্থাও করেনি। তাই বাধ্য হয়ে এখনো বাটালি হিল পাহাড়ের পাদদেশে আছি। এখানে পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই। অনেক কষ্টে আছি।’ আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলেছেন চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী শাহেদা বেগম।
পাহাড়ের ঢালুতে ঝুঁকিতে বসবাসকারী দিনমজুর, ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল গরিব মানুষদের ঘর করে দিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) সাততলা ভবন বানিয়েছে সাত বছর আগে। নিম্ন আয়ের ১৬১টি পরিবারকে পুনর্বাসনে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে হয় এই প্রকল্প।
জানা গেছে, করপোরেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আড়াই শ বর্গফুট আয়তনের এসব ফ্ল্যাটের জন্য বস্তিবাসীকে মাসে দুই হাজার টাকা দেওয়ার কথা। সেই হিসাবে ১৫ বছরে ফ্ল্যাটের নির্ধারিত মূল্য সাড়ে সাত লাখ টাকার সম্পূর্ণটাই পরিশোধ হবে। এরপর থেকে ফ্ল্যাটের মালিক হবেন বরাদ্দপ্রাপ্তরা। এ জন্য ৩৩ পরিবার থেকে এককালীন অগ্রিম টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্প শেষে সেই ভবন গরিবদের না দিয়ে সিটি করপোরেশন কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সময়ে এটি করা হয়।
অথচ বরাদ্দপ্রাপ্ত সেই গরিব মানুষেরা আট বছর ধরে হা-হুতাশ করছেন নিজেদের ঘরের জন্য। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে সুযোগ বুঝে তাঁরা আবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন পাহাড়ের ঢালুতেই, যদিও বর্ষা শুরু হলে প্রশাসন তাঁদের উচ্ছেদ করে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। যোগাযোগ করা হলে মিটিং-এ ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে এ নিয়ে কিছু বলতে অপারগতা জানান তিনি। করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিমও এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
ফ্ল্যাট তৈরির সিদ্ধান্ত ও নির্মাণকাজ শেষ হয় সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের সময়ে। ফ্ল্যাট বরাদ্দের স্থায়ী নীতিমালা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর পরিবর্তন আসে করপোরেশন প্রশাসনে। জানতে চাইলে মোহাম্মদ মনজুর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাহাড় ধসে প্রাণহানির পর নগরী ও আশপাশের এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের চিহ্নিত করে তাদের জন্য ছোট ফ্ল্যাট করে দিয়েছিলাম। তখন আমাদের এই উদ্যোগটা সারা দেশের জন্য একটা মডেল ছিল। বোম্বাই সিটি করপোরেশন আমাদের এই মডেল ব্যবহার করে সেখানে গৃহহীনদের পুনর্বাসন করেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, এই ফ্ল্যাটগুলো আমরা গৃহহীনদের দিতে পারিনি।’
শাহেদা-মর্জিনা বেগমের মতো ফ্ল্যাট বুঝে না পাওয়া ৩৩টি পরিবার এখনো পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বাস করছে। পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় তাদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল করপোরেশন। সেই অনুযায়ী ২০১৩ সালে তাঁদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি, হলফনামা ও এককালীন টোকেন মানি নেয় সিটি করপোরেশন। ফ্ল্যাট বুঝে নিতে তাঁরা জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় কমিশনার, করপোরেশনের মেয়রকে দফায় দফায় চিঠি দিলেও কোনো কাজ হয়নি। তাঁদের অন্য কোনো জায়গায় থাকার ব্যবস্থাও করেনি করপোরেশন।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মর্জিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফ্ল্যাটের জন্য ভিক্ষা করে জমানো ১০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনকে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমাদের কথা কেউ শুনছে না।’
নতুন নগর ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়াত সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর সময়ে আন্দরকিল্লায় সিটি করপোরেশন ভবনের একটি পুরোনো অংশ ভাঙা হয় ২০০৯ সালে। ভবনের বাকি অংশে ঠিকঠাক চলছিল করপোরেশনের প্রায় সব দপ্তরের কাজ। কিন্তু পুরোদমে কাজ শুরুর আগেই বরাদ্দের অভাবে নগর ভবনের নির্মাণকাজ পরিত্যক্ত হয় আট বছর আগে। সেই সময়ের নবনির্বাচিত সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন মেয়র কার্যালয়সহ কিছু দপ্তর গরিবের জন্য তৈরি হওয়া ফ্ল্যাট ভবনে সরিয়ে আনেন। এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে যোগাযোগ করা হলে এবং খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি আ জ ম নাছির উদ্দীন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে