উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
স্ট্যাচুটরি রেগুলেটরি অর্ডার (এসআরও) বা সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রণ আদেশ নম্বর ছাড়াই পোশাক খাতের মজুরি বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী নিম্নতম মজুরি হার ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের ভেটিং উপেক্ষা করা হয়েছে।
লেজিসলেটিভ বিভাগ সংশ্লিষ্ট মজুরি বোর্ডের ভেটিং কপিতে ১৩টি শর্তের উল্লেখ করলেও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এর বাইরে আরও চারটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এমনকি ভেটিংয়ের বাইরে ইচ্ছেমতো বিষয় ও শর্ত জুড়ে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে সরাসরি বিজি প্রেসে পাঠিয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এই কাজ সরকারের অ্যালোকেশন অব বিজনেস ও সচিবালয় নির্দেশমালা-২০১৪-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ প্রসঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব মো. এহছানে এলাহী গত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না। আমি বিষয়টির নোট রাখছি।’ তিনি আরও বলেন, কেন এমন হলো, তা খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গত ১৬ নভেম্বর হোসিয়ারিশিল্প খাতে মজুরি বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য নিম্নতম মজুরি হার ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর ১৮ ডিসেম্বর মজুরি বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী পোশাক খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য নিম্নতম মজুরি হারসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য জারি করা প্রজ্ঞাপনে কোনো এসআরও নম্বর নেই।
বিষয়টি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বশীল কেউই প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা জানান, সংশ্লিষ্ট খাতের মজুরি ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারির ক্ষেত্রে বড় ধরনের কয়েকটি ত্রুটি আছে। সেগুলো হলো—গেজেট হতে হলে লেজিসলেটিভ বিভাগের এসআরও নম্বর থাকতে হবে। লেজিসলেটিভ বিভাগ থেকে ভেটিং করিয়ে নিলেও পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোনো সংযোজন-বিয়োজন থাকলে তার সম্মতি এবং এসআরও নম্বর নিয়ে গেজেটের জন্য বিজি প্রেসে পাঠানোর নিয়ম। তা না মেনে এসআরও নম্বর ছাড়াই বিজি প্রেসে পাঠিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
ভেটিং কপিতে প্রজ্ঞাপন কার্যকর করার তারিখ উল্লেখ ছিল না। তা সত্ত্বেও শ্রম মন্ত্রণালয় প্রেসে পাঠানোর আগে ভেটিং লঙ্ঘন করে সেই তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে। ভেটিং কপিতে লেজিসলেটিভ বিভাগ ১৩টি শর্ত দিলেও ভেটিং-বহির্ভূতভাবে ১৭টি শর্ত জুড়ে দেয় শ্রম মন্ত্রণালয়। কোনো কারণে ১৩টি শর্ত ভেঙে ১৭টি করা হলেও লেজিসলেটিভ বিভাগের সম্মতি নিতে হবে। এর বাইরে শিক্ষানবিশ শ্রমিক-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে মূল মজুরির অতিরিক্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা ভেটিং কপিতে ছিল না। এগুলো অ্যালোকেশন অব বিজনেসের ২৯(বি)-এর ক্রমিক (৭) এবং সচিবালয় নির্দেশমালা-২০১৪-এর ২৪১ নম্বর নির্দেশের (৫) উপনির্দেশের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
জানা যায়, সরকারের সব আইন, বিধি, প্রবিধান, আদেশ, বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদির একটি পরিচিতি নম্বর দেওয়া হয়; সেটিই এসআরও নম্বর। এই নম্বর সংশ্লিষ্ট আদেশ, বিধি ও প্রবিধানকে বিধিবদ্ধ মর্যাদা দেয়। এই নম্বর দেওয়ার এখতিয়ার শুধু আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের। এসআরও নম্বর পেতে সংশ্লিষ্ট আদেশ, বিধি ও প্রবিধানের জন্য লেজিসলেটিভ বিভাগের ভেটিং লাগে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসআরও নম্বর না থাকলে বিষয়টি আইনি মর্যাদা পায় না। এসআরও ইউনিক নম্বর, যা সংরক্ষণ করে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগ।
সরকারের আইন, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, আদেশ, প্রজ্ঞাপন ও বিজ্ঞপ্তিতে এই নম্বর থাকলে তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকে না।’
স্ট্যাচুটরি রেগুলেটরি অর্ডার (এসআরও) বা সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রণ আদেশ নম্বর ছাড়াই পোশাক খাতের মজুরি বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী নিম্নতম মজুরি হার ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের ভেটিং উপেক্ষা করা হয়েছে।
লেজিসলেটিভ বিভাগ সংশ্লিষ্ট মজুরি বোর্ডের ভেটিং কপিতে ১৩টি শর্তের উল্লেখ করলেও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এর বাইরে আরও চারটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এমনকি ভেটিংয়ের বাইরে ইচ্ছেমতো বিষয় ও শর্ত জুড়ে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে সরাসরি বিজি প্রেসে পাঠিয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এই কাজ সরকারের অ্যালোকেশন অব বিজনেস ও সচিবালয় নির্দেশমালা-২০১৪-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ প্রসঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব মো. এহছানে এলাহী গত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না। আমি বিষয়টির নোট রাখছি।’ তিনি আরও বলেন, কেন এমন হলো, তা খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গত ১৬ নভেম্বর হোসিয়ারিশিল্প খাতে মজুরি বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য নিম্নতম মজুরি হার ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর ১৮ ডিসেম্বর মজুরি বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী পোশাক খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য নিম্নতম মজুরি হারসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য জারি করা প্রজ্ঞাপনে কোনো এসআরও নম্বর নেই।
বিষয়টি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বশীল কেউই প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা জানান, সংশ্লিষ্ট খাতের মজুরি ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারির ক্ষেত্রে বড় ধরনের কয়েকটি ত্রুটি আছে। সেগুলো হলো—গেজেট হতে হলে লেজিসলেটিভ বিভাগের এসআরও নম্বর থাকতে হবে। লেজিসলেটিভ বিভাগ থেকে ভেটিং করিয়ে নিলেও পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোনো সংযোজন-বিয়োজন থাকলে তার সম্মতি এবং এসআরও নম্বর নিয়ে গেজেটের জন্য বিজি প্রেসে পাঠানোর নিয়ম। তা না মেনে এসআরও নম্বর ছাড়াই বিজি প্রেসে পাঠিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
ভেটিং কপিতে প্রজ্ঞাপন কার্যকর করার তারিখ উল্লেখ ছিল না। তা সত্ত্বেও শ্রম মন্ত্রণালয় প্রেসে পাঠানোর আগে ভেটিং লঙ্ঘন করে সেই তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে। ভেটিং কপিতে লেজিসলেটিভ বিভাগ ১৩টি শর্ত দিলেও ভেটিং-বহির্ভূতভাবে ১৭টি শর্ত জুড়ে দেয় শ্রম মন্ত্রণালয়। কোনো কারণে ১৩টি শর্ত ভেঙে ১৭টি করা হলেও লেজিসলেটিভ বিভাগের সম্মতি নিতে হবে। এর বাইরে শিক্ষানবিশ শ্রমিক-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে মূল মজুরির অতিরিক্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা ভেটিং কপিতে ছিল না। এগুলো অ্যালোকেশন অব বিজনেসের ২৯(বি)-এর ক্রমিক (৭) এবং সচিবালয় নির্দেশমালা-২০১৪-এর ২৪১ নম্বর নির্দেশের (৫) উপনির্দেশের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
জানা যায়, সরকারের সব আইন, বিধি, প্রবিধান, আদেশ, বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদির একটি পরিচিতি নম্বর দেওয়া হয়; সেটিই এসআরও নম্বর। এই নম্বর সংশ্লিষ্ট আদেশ, বিধি ও প্রবিধানকে বিধিবদ্ধ মর্যাদা দেয়। এই নম্বর দেওয়ার এখতিয়ার শুধু আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের। এসআরও নম্বর পেতে সংশ্লিষ্ট আদেশ, বিধি ও প্রবিধানের জন্য লেজিসলেটিভ বিভাগের ভেটিং লাগে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসআরও নম্বর না থাকলে বিষয়টি আইনি মর্যাদা পায় না। এসআরও ইউনিক নম্বর, যা সংরক্ষণ করে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগ।
সরকারের আইন, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, আদেশ, প্রজ্ঞাপন ও বিজ্ঞপ্তিতে এই নম্বর থাকলে তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকে না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে