অজয় দাশগুপ্ত
‘খেলা ভাঙার খেলা খেলবি আয়’—রবীন্দ্রনাথের গানের বাণী। কী বলতে চেয়েছিলেন তিনি? খেলা ভেঙে দেওয়ার খেলা, খেলার ডাক, না খেলা ভাঙা রোধের খেলা? সে জানি না, তবে ভাঙাভাঙি বেশ ভালোই চলছে। না, ভাববেন না আমি খালি মূর্তি ভাঙার গল্প বলছি। ওটা এখন গা-সওয়া ব্যাপার। সামাজিক মিডিয়ায় কারা যেন উপদেশ দিচ্ছেন সামনের বার থেকে দুই সেট করে প্রতিমা বানাতে। এক সেট যখন ভাঙবেই নিশ্চিত, বাকি সেট দিয়ে পূজা হবে! মন্দ না আইডিয়াটা। এই ভাঙার পাশাপাশি চলছে আরও অনেক ভাঙাভাঙি।
মন ভাঙার কথাই বলি। আমাদের এই সিডনি বা অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট দারুণ জনপ্রিয় খেলা। এই খেলা, মানে ক্রিকেট ভারত, পাকিস্তান আর বাংলাদেশের মানুষের জন্য কবে যে নম্বর ওয়ান হয়ে যাবে বলা যায় না। এই নম্বর ওয়ান হওয়ার খেলাটিতে বাংলাদেশের ১১ জনের নামই সাকিব আল হাসান। কেন বললাম? অনেক সাদা-কালো মানুষকে বলতে শুনেছি—সাকিবরা খেলছে বা খেলবে। সাকিব এখন হত্যা মামলার আসামি। যেনতেন না, গুরুতর অপরাধ। যে কারণে তাঁর নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডও তাঁকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে দিয়েছে। এই সাকিব আল হাসান উপমহাদেশে জনপ্রিয় ক্রিকেটার হলেও তাঁকে এখন আমেরিকায় যেতে হয়েছে। আর কবে কখন খেলবে কে জানে! এ কারণে মন ভাঙা বাঙালির সংখ্যা কম নয়।
তা ছাড়া কার পোশাক কেমন হবে, কী ধরনের কাপড় পরবে, নারী হলে কীভাবে চলবে—এসব নিয়েও চলছে মন ভাঙা। এক নারীর গাড়ির জানালার কাচে থুতু দিতে থাকা মানুষটিকে দেখে অবাক লাগছিল। ভদ্রলোক ভালো করে চোখে দেখেন কি না, কে জানে! তার পরও গাড়ির ভেতরে বসে থাকা নারীর পোশাক তাঁর ভালো লাগেনি। তাঁকে উপদেশ দিতে দিতে একসময় কাচে থুতু আর এমন সব গালাগালি দিয়েছেন যে সেই নারী তো বটেই, তাবৎ নারীর মন ভাঙা কাচের মতো টুকরা হওয়ার পথে।
যেদিকে চোখ রাখবেন, খালি ভাঙা আর ভাঙা। পথ ভাঙছে, রাজনীতি ভাঙছে, সমাজ ভাঙছে। এমনকি যে ঐক্য গড়ে শয়তান হটানো, তা-ও নাকি ভাঙতে শুরু করেছে। অথচ আমরা আশা করেছিলাম এবার ভাঙার বিপরীতে গড়ার কিছু হবেই। সেই স্বপ্ন যদি ভাঙে তো উপায় কী? কথা হচ্ছে, এসব বন্ধে বিড়ালের গলায় ঘণ্টি বাঁধবে কে? গুজবের মুখে তালা লাগাবে কে? কোথায় আমাদের সেই সব স্বপ্নবাজ? শেষে যেন ঠগ বাছতে গাঁ তথা দেশ উজাড় না হয়ে যায়!
এ বিষয়ে সৌরভ ভট্টাচার্যের গল্পটি দারুণ: রাজা মশায়ের কাছে খবর আছে, কারা যেন বেশি বেশি খায়। রাজা মশায় পাত্র-মিত্র-সভাসদ আদি সক্কলরে ডাকেন আর প্রশ্ন করেন, ‘তোমরা জানো কে কে বেশি খায়?’ পাত্র-মিত্র-সভাসদ আদি কেউ বলল, ‘হ্যাঁ’, কেউ বলল, ‘না’। রাজা বললেন, ‘তা তোমরা তাদের আটকাতে পারো না?’ সব্বাই সঙ্গে সঙ্গে ‘রে রে’ করে চিৎকার করে উঠে বলল, ‘পারি না...পারি না...পারি না...’।
রাজা ভুরু কুঁচকালেন। বললেন, ‘কেন পারো না?’ সব্বাই আবার হাউমাউ করে উঠে বলল, ‘ওরা নিতান্তই চালাক, দুষ্ট, কূটকৌশলী মহারাজ! আর আমরা নিতান্তই সাদাসিধা, সরল, সৎ চিন্তক, ওদের গুপ্ত গতিবিধির খবর রাখি—এমন চতুরতা কি আমাদের সাজে?!’
রাজা আবার ভুরু কুঁচকালেন, জিব কামড়ালেন, বললেন, ‘তবে উপায়?’
সব্বাই এ-ওর মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগল, সত্যিই তো, উপায় কী হবে? আরে চোরে চুরি করবে, ডাকাতে ডাকাতি করবে, ঠগবাজ লোক ঠকাবে, ঘুষখোর ঘুষ খাবে, কালোবাজারি দুনম্বরি করবে...এই তো চিরটা কাল শুনে আসছি...এর আবার কোনো উপায় হয় নাকি? না হতে হয়?!
তবু সভা বসল। রাতারাতি ঠিক হয়ে গেল উপায়। মধ্যরাত্রে ঘোষণা হলো...‘শোনো শোনো শোনো নগরবাসী...এখন থেকে তোমরা দুদিন আহারাদি করবে না...আর পঞ্চাশ দিন অর্ধাহারে থাকবে...তা হলেই যারা বেশি খেয়ে শরীরে বেশি মেদ জমিয়েছে, তারা পটপট করে ধরা পড়ে যাবে...।’
নগরে হুলুস্থুল পড়ে গেল। রাজা বলে কী! যারা বেশি খেয়ে মেদ জমিয়েছে, তারা না হয় ধরা পড়ে গেল...যারা খায়নি? হ্যাঁ গো, তারা তো দুর্বল হয়ে শয্যা নেবে! আর যারা এমনিতেই খেতে পায় না...তারা তো মৃত্যুশয্যা নেবে গো!
নগরে ছিল অনেক উঁচুতে বসা কিছু জ্ঞানীর দল, যারা সব নগরেই থাকে সব সময়। যাদের পায়ে ধুলোবালু লাগে না। আর তারা এত উঁচুতে থাকে বলে এত দূরের জিনিস দেখতে পায়, যা ইতর সাধারণ লোকে দেখতে পায় না। তো তারা চোখ রাঙিয়ে, মাথায় ঘাড়ে হাত বুলিয়ে বলল, ‘বাছারা ত্যাগ করো। সাহসের সঙ্গে দাঁড়াও রাজার পাশে। বেশি খাওয়া লোকগুলোকে বের করতে দাও।’
তখন এক পাগলা অঙ্কের মাস্টার খেপে গিয়ে বলল, ‘ক্যান রে পোড়ামুখো, হাড় হাভাতের দল...আমরা প্রত্যেক মাসে কর দিই না? যাতে করে দেশের সুরক্ষা, আইন, তদন্ত, গোয়েন্দা, শুল্ক ইত্যাদি বিভাগের লোকেরা মাইনে পেয়ে তাদের কাজগুলো ঠিকঠাক করতে পারে? তা তো তোরা পারলি না, এখন নিজেদের সেই ব্যর্থতার বোঝা আমাদের ঘাড়ে চাপাতে চাস কেন?’
তা সেই অঙ্কের মাস্টারের কথা কে আর শুনবে? কেউ শুনল না। না জনতা, না জননেতা। নগরে তখন প্রচণ্ড হুলুস্থুল বেধে গেছে। সব্বাই বলছে, ‘আজ যতটা পারিস খেয়ে নে রে...খেয়ে নে...খেয়ে নে...খেয়ে নে...।’
শুধু নগরের মূর্খ, দরিদ্র লোকগুলো কিছুই বুঝতে না পেরে ফ্যালফ্যাল করে এ-ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। এরা ছুটলে ওরাও ছুটছে, এরা থামলে ওরাও থামছে। আর মাঝে মাঝেই একে-তাকে প্রশ্ন করছে, ‘কই যামু কত্তা...কী খামু কত্তা...কদ্দিনের নিষেধ কত্তা...সব আনাজ ফেলে দিমু...?’
কেউ শুনছে না। সবাই বলছে, ‘সব কালো সাদা হবে...ঘরে আরও ধন হবে...।’
নিন্দুকেরা বলছে, ‘ভোটে ভোটে আর দিন গুনো না...দুর্বৃত্তের ছলের অভাব হয় না...।’
বলল, এরেই নাকি বলে, ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়...
আমরা ভাঙাভাঙি চাই না। আস্ত একটি সমাজ চাই। চাই আমাদের চমৎকার স্বদেশ। স্বদেশ ভালো না থাকলে কেউ ভালো থাকে না। কেউ বাঁচলেও বাঁচতে পারে না।
লেখক: অজয় দাশগুপ্ত
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কলামিস্ট
‘খেলা ভাঙার খেলা খেলবি আয়’—রবীন্দ্রনাথের গানের বাণী। কী বলতে চেয়েছিলেন তিনি? খেলা ভেঙে দেওয়ার খেলা, খেলার ডাক, না খেলা ভাঙা রোধের খেলা? সে জানি না, তবে ভাঙাভাঙি বেশ ভালোই চলছে। না, ভাববেন না আমি খালি মূর্তি ভাঙার গল্প বলছি। ওটা এখন গা-সওয়া ব্যাপার। সামাজিক মিডিয়ায় কারা যেন উপদেশ দিচ্ছেন সামনের বার থেকে দুই সেট করে প্রতিমা বানাতে। এক সেট যখন ভাঙবেই নিশ্চিত, বাকি সেট দিয়ে পূজা হবে! মন্দ না আইডিয়াটা। এই ভাঙার পাশাপাশি চলছে আরও অনেক ভাঙাভাঙি।
মন ভাঙার কথাই বলি। আমাদের এই সিডনি বা অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট দারুণ জনপ্রিয় খেলা। এই খেলা, মানে ক্রিকেট ভারত, পাকিস্তান আর বাংলাদেশের মানুষের জন্য কবে যে নম্বর ওয়ান হয়ে যাবে বলা যায় না। এই নম্বর ওয়ান হওয়ার খেলাটিতে বাংলাদেশের ১১ জনের নামই সাকিব আল হাসান। কেন বললাম? অনেক সাদা-কালো মানুষকে বলতে শুনেছি—সাকিবরা খেলছে বা খেলবে। সাকিব এখন হত্যা মামলার আসামি। যেনতেন না, গুরুতর অপরাধ। যে কারণে তাঁর নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডও তাঁকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে দিয়েছে। এই সাকিব আল হাসান উপমহাদেশে জনপ্রিয় ক্রিকেটার হলেও তাঁকে এখন আমেরিকায় যেতে হয়েছে। আর কবে কখন খেলবে কে জানে! এ কারণে মন ভাঙা বাঙালির সংখ্যা কম নয়।
তা ছাড়া কার পোশাক কেমন হবে, কী ধরনের কাপড় পরবে, নারী হলে কীভাবে চলবে—এসব নিয়েও চলছে মন ভাঙা। এক নারীর গাড়ির জানালার কাচে থুতু দিতে থাকা মানুষটিকে দেখে অবাক লাগছিল। ভদ্রলোক ভালো করে চোখে দেখেন কি না, কে জানে! তার পরও গাড়ির ভেতরে বসে থাকা নারীর পোশাক তাঁর ভালো লাগেনি। তাঁকে উপদেশ দিতে দিতে একসময় কাচে থুতু আর এমন সব গালাগালি দিয়েছেন যে সেই নারী তো বটেই, তাবৎ নারীর মন ভাঙা কাচের মতো টুকরা হওয়ার পথে।
যেদিকে চোখ রাখবেন, খালি ভাঙা আর ভাঙা। পথ ভাঙছে, রাজনীতি ভাঙছে, সমাজ ভাঙছে। এমনকি যে ঐক্য গড়ে শয়তান হটানো, তা-ও নাকি ভাঙতে শুরু করেছে। অথচ আমরা আশা করেছিলাম এবার ভাঙার বিপরীতে গড়ার কিছু হবেই। সেই স্বপ্ন যদি ভাঙে তো উপায় কী? কথা হচ্ছে, এসব বন্ধে বিড়ালের গলায় ঘণ্টি বাঁধবে কে? গুজবের মুখে তালা লাগাবে কে? কোথায় আমাদের সেই সব স্বপ্নবাজ? শেষে যেন ঠগ বাছতে গাঁ তথা দেশ উজাড় না হয়ে যায়!
এ বিষয়ে সৌরভ ভট্টাচার্যের গল্পটি দারুণ: রাজা মশায়ের কাছে খবর আছে, কারা যেন বেশি বেশি খায়। রাজা মশায় পাত্র-মিত্র-সভাসদ আদি সক্কলরে ডাকেন আর প্রশ্ন করেন, ‘তোমরা জানো কে কে বেশি খায়?’ পাত্র-মিত্র-সভাসদ আদি কেউ বলল, ‘হ্যাঁ’, কেউ বলল, ‘না’। রাজা বললেন, ‘তা তোমরা তাদের আটকাতে পারো না?’ সব্বাই সঙ্গে সঙ্গে ‘রে রে’ করে চিৎকার করে উঠে বলল, ‘পারি না...পারি না...পারি না...’।
রাজা ভুরু কুঁচকালেন। বললেন, ‘কেন পারো না?’ সব্বাই আবার হাউমাউ করে উঠে বলল, ‘ওরা নিতান্তই চালাক, দুষ্ট, কূটকৌশলী মহারাজ! আর আমরা নিতান্তই সাদাসিধা, সরল, সৎ চিন্তক, ওদের গুপ্ত গতিবিধির খবর রাখি—এমন চতুরতা কি আমাদের সাজে?!’
রাজা আবার ভুরু কুঁচকালেন, জিব কামড়ালেন, বললেন, ‘তবে উপায়?’
সব্বাই এ-ওর মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগল, সত্যিই তো, উপায় কী হবে? আরে চোরে চুরি করবে, ডাকাতে ডাকাতি করবে, ঠগবাজ লোক ঠকাবে, ঘুষখোর ঘুষ খাবে, কালোবাজারি দুনম্বরি করবে...এই তো চিরটা কাল শুনে আসছি...এর আবার কোনো উপায় হয় নাকি? না হতে হয়?!
তবু সভা বসল। রাতারাতি ঠিক হয়ে গেল উপায়। মধ্যরাত্রে ঘোষণা হলো...‘শোনো শোনো শোনো নগরবাসী...এখন থেকে তোমরা দুদিন আহারাদি করবে না...আর পঞ্চাশ দিন অর্ধাহারে থাকবে...তা হলেই যারা বেশি খেয়ে শরীরে বেশি মেদ জমিয়েছে, তারা পটপট করে ধরা পড়ে যাবে...।’
নগরে হুলুস্থুল পড়ে গেল। রাজা বলে কী! যারা বেশি খেয়ে মেদ জমিয়েছে, তারা না হয় ধরা পড়ে গেল...যারা খায়নি? হ্যাঁ গো, তারা তো দুর্বল হয়ে শয্যা নেবে! আর যারা এমনিতেই খেতে পায় না...তারা তো মৃত্যুশয্যা নেবে গো!
নগরে ছিল অনেক উঁচুতে বসা কিছু জ্ঞানীর দল, যারা সব নগরেই থাকে সব সময়। যাদের পায়ে ধুলোবালু লাগে না। আর তারা এত উঁচুতে থাকে বলে এত দূরের জিনিস দেখতে পায়, যা ইতর সাধারণ লোকে দেখতে পায় না। তো তারা চোখ রাঙিয়ে, মাথায় ঘাড়ে হাত বুলিয়ে বলল, ‘বাছারা ত্যাগ করো। সাহসের সঙ্গে দাঁড়াও রাজার পাশে। বেশি খাওয়া লোকগুলোকে বের করতে দাও।’
তখন এক পাগলা অঙ্কের মাস্টার খেপে গিয়ে বলল, ‘ক্যান রে পোড়ামুখো, হাড় হাভাতের দল...আমরা প্রত্যেক মাসে কর দিই না? যাতে করে দেশের সুরক্ষা, আইন, তদন্ত, গোয়েন্দা, শুল্ক ইত্যাদি বিভাগের লোকেরা মাইনে পেয়ে তাদের কাজগুলো ঠিকঠাক করতে পারে? তা তো তোরা পারলি না, এখন নিজেদের সেই ব্যর্থতার বোঝা আমাদের ঘাড়ে চাপাতে চাস কেন?’
তা সেই অঙ্কের মাস্টারের কথা কে আর শুনবে? কেউ শুনল না। না জনতা, না জননেতা। নগরে তখন প্রচণ্ড হুলুস্থুল বেধে গেছে। সব্বাই বলছে, ‘আজ যতটা পারিস খেয়ে নে রে...খেয়ে নে...খেয়ে নে...খেয়ে নে...।’
শুধু নগরের মূর্খ, দরিদ্র লোকগুলো কিছুই বুঝতে না পেরে ফ্যালফ্যাল করে এ-ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। এরা ছুটলে ওরাও ছুটছে, এরা থামলে ওরাও থামছে। আর মাঝে মাঝেই একে-তাকে প্রশ্ন করছে, ‘কই যামু কত্তা...কী খামু কত্তা...কদ্দিনের নিষেধ কত্তা...সব আনাজ ফেলে দিমু...?’
কেউ শুনছে না। সবাই বলছে, ‘সব কালো সাদা হবে...ঘরে আরও ধন হবে...।’
নিন্দুকেরা বলছে, ‘ভোটে ভোটে আর দিন গুনো না...দুর্বৃত্তের ছলের অভাব হয় না...।’
বলল, এরেই নাকি বলে, ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়...
আমরা ভাঙাভাঙি চাই না। আস্ত একটি সমাজ চাই। চাই আমাদের চমৎকার স্বদেশ। স্বদেশ ভালো না থাকলে কেউ ভালো থাকে না। কেউ বাঁচলেও বাঁচতে পারে না।
লেখক: অজয় দাশগুপ্ত
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কলামিস্ট
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে