মুরাদনগর প্রতিনিধি
মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের নোয়াগাঁও উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনুপস্থিতির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে নামমাত্র ক্লাস হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখন অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেছে।
এ ছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি চাকরি করেন ঢাকায়। দুই বছর ধরে বন্ধ আছে নির্মাণাধীন ভবনের কাজ।
গত সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ল কয়েকজন শিক্ষার্থী বাইরে খেলা করছে। বিদ্যালয়ের চলমান নির্মাণাধীন ভবনের পাশের ছোট্ট টিনের ঘরের একটি রুমে বসে আছেন প্রাক-প্রাথমিকের চারজন শিক্ষার্থী। শিক্ষকদের রুমে গিয়ে দেখা গেল, একজন ব্যস্ত তাঁর বাচ্চা সামলাতে, অপরজন আছেন ফেসবুকে। কেউ একজন বিদ্যালয়ে এসেছেন বুঝতে পেরে দুই শিক্ষক হাতে খাতা নিয়ে ছুটছেন ক্লাস রুমের দিকে।
প্রধান শিক্ষক কোথায়? এমন প্রশ্নের জবাবে তাঁরা বলেন, কামরুল স্যার উপজেলায় অফিসের কাজে ব্যস্ত, আসবেন। সাড়ে ৯টায় ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আপনারা এখনো অফিস রুমে কেন? জবাবে তাঁরা বলেন, স্কুলটিতে বর্তমানে শিক্ষার্থী অনেক কম। আর যারা আছে, তারা সঠিক সময়ে আসে না। পাশে একটা মাদ্রাসা হয়েছে। সবাই এখন ওখানে পড়ে।
এ নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগও অনেক। বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হাফেজ আব্দুর রউফ বলেন, আগে স্কুলটির অবস্থা এমন ছিল না। সঠিক সময়ে স্কুল খোলা-বন্ধ হতো। কারণ শিক্ষকদের বাড়িও ছিল স্কুলের আশপাশের গ্রামে। তাই প্রতিটি শিক্ষকের জবাবদিহিতা ছিল। কিন্তু দুই বছর স্কুলটিতে চলছে নানা বিশৃঙ্খলা। শিক্ষকেরা সময়মতো আসেন না। শিক্ষকদের তদারকি না থাকায় শিক্ষার্থীরাও গ্রামের মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে গেছে। নির্মাণাধীন ভবনটি আটকে আছে প্রায় দুই বছর। কোনো কাজ হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক সময় না দেওয়াতে স্কুলটি এখন আইসিইউতে আছে। সংশ্লিষ্টরা যদি নজর না দেয় অচিরেই প্রাণ হারাবে স্কুলটি।
স্কুলের পাশে বসবাসরত তারা মিয়া বলেন, স্কুলের কোনো মা-বাপ নাই। প্রধান শিক্ষক রাজনীতি করেন। ভয়ে তাঁর সামনে কেউ কিছু বলেন না। তাঁর খেয়াল-খুশিমতো স্কুলে আসেন। মাঝেমধ্যে উপজেলা থেকে অফিসার তাঁর সঙ্গেই স্কুলে আসেন। আবার তাঁর সঙ্গেই চলে যান।
বিদ্যালয়ের সভাপতি আবু বক্কর বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমি সভাপতি হয়েছি। আমি ঢাকায় চাকরি করি, মাঝেমধ্যে শুক্রবারে এলাকায় আসি। এবার বাড়িতে এসে সবাইকে নিয়ে বসে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
এদিকে প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম বলেন, স্কুলে না যাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। বিদ্যালয়ের কাজে শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। তাই মাঝেমধ্যে স্কুলে যেতে দেরি হয়। তবে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে।
ওই ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সায়েমা সাবরিন বলেন, ‘আমি মাঝেমধ্যে না জানিয়ে ভিজিটে যাই। তেমন কোনো অনিয়ম চোখে পড়েনি এখন পর্যন্ত।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফওজিয়া আকতার বলেন, কোনো শিক্ষকই বিদ্যালয় ছুটির আগে অফিসে আসার সুযোগ নেই। কেউ যদি স্কুল ফাঁকি দেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের নোয়াগাঁও উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনুপস্থিতির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে নামমাত্র ক্লাস হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখন অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেছে।
এ ছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি চাকরি করেন ঢাকায়। দুই বছর ধরে বন্ধ আছে নির্মাণাধীন ভবনের কাজ।
গত সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ল কয়েকজন শিক্ষার্থী বাইরে খেলা করছে। বিদ্যালয়ের চলমান নির্মাণাধীন ভবনের পাশের ছোট্ট টিনের ঘরের একটি রুমে বসে আছেন প্রাক-প্রাথমিকের চারজন শিক্ষার্থী। শিক্ষকদের রুমে গিয়ে দেখা গেল, একজন ব্যস্ত তাঁর বাচ্চা সামলাতে, অপরজন আছেন ফেসবুকে। কেউ একজন বিদ্যালয়ে এসেছেন বুঝতে পেরে দুই শিক্ষক হাতে খাতা নিয়ে ছুটছেন ক্লাস রুমের দিকে।
প্রধান শিক্ষক কোথায়? এমন প্রশ্নের জবাবে তাঁরা বলেন, কামরুল স্যার উপজেলায় অফিসের কাজে ব্যস্ত, আসবেন। সাড়ে ৯টায় ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আপনারা এখনো অফিস রুমে কেন? জবাবে তাঁরা বলেন, স্কুলটিতে বর্তমানে শিক্ষার্থী অনেক কম। আর যারা আছে, তারা সঠিক সময়ে আসে না। পাশে একটা মাদ্রাসা হয়েছে। সবাই এখন ওখানে পড়ে।
এ নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগও অনেক। বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হাফেজ আব্দুর রউফ বলেন, আগে স্কুলটির অবস্থা এমন ছিল না। সঠিক সময়ে স্কুল খোলা-বন্ধ হতো। কারণ শিক্ষকদের বাড়িও ছিল স্কুলের আশপাশের গ্রামে। তাই প্রতিটি শিক্ষকের জবাবদিহিতা ছিল। কিন্তু দুই বছর স্কুলটিতে চলছে নানা বিশৃঙ্খলা। শিক্ষকেরা সময়মতো আসেন না। শিক্ষকদের তদারকি না থাকায় শিক্ষার্থীরাও গ্রামের মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে গেছে। নির্মাণাধীন ভবনটি আটকে আছে প্রায় দুই বছর। কোনো কাজ হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক সময় না দেওয়াতে স্কুলটি এখন আইসিইউতে আছে। সংশ্লিষ্টরা যদি নজর না দেয় অচিরেই প্রাণ হারাবে স্কুলটি।
স্কুলের পাশে বসবাসরত তারা মিয়া বলেন, স্কুলের কোনো মা-বাপ নাই। প্রধান শিক্ষক রাজনীতি করেন। ভয়ে তাঁর সামনে কেউ কিছু বলেন না। তাঁর খেয়াল-খুশিমতো স্কুলে আসেন। মাঝেমধ্যে উপজেলা থেকে অফিসার তাঁর সঙ্গেই স্কুলে আসেন। আবার তাঁর সঙ্গেই চলে যান।
বিদ্যালয়ের সভাপতি আবু বক্কর বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমি সভাপতি হয়েছি। আমি ঢাকায় চাকরি করি, মাঝেমধ্যে শুক্রবারে এলাকায় আসি। এবার বাড়িতে এসে সবাইকে নিয়ে বসে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
এদিকে প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম বলেন, স্কুলে না যাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। বিদ্যালয়ের কাজে শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। তাই মাঝেমধ্যে স্কুলে যেতে দেরি হয়। তবে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে।
ওই ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সায়েমা সাবরিন বলেন, ‘আমি মাঝেমধ্যে না জানিয়ে ভিজিটে যাই। তেমন কোনো অনিয়ম চোখে পড়েনি এখন পর্যন্ত।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফওজিয়া আকতার বলেন, কোনো শিক্ষকই বিদ্যালয় ছুটির আগে অফিসে আসার সুযোগ নেই। কেউ যদি স্কুল ফাঁকি দেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে