আজাদুল আদনান, ঢাকা
অল্পতে ক্লান্ত হওয়ার পাশাপাশি চোখে অস্পষ্ট দেখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. আনিসুজ্জামান (৪৪)। স্থানীয় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠান চিকিৎসকেরা। ১২ জানুয়ারি তাঁকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালে (এনআইএনএইচ) নিয়ে আসেন ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম।
পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আনিসুজ্জামানের ব্রেন টিউমার শনাক্ত হয়। দ্রুত অস্ত্রোপচারের কথা বলেছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু টানা সাত দিন ঘুরেও শয্যা না মেলায় এই হাসপাতালে এখনো ভর্তি করানো যায়নি তাঁকে।
জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলার হাসপাতালে গেলে চিকিৎসা নাই, এখানে চিকিৎসা ভালো হলেও ভর্তি হওয়াই যাচ্ছে না। অনেক স্যারের কাছে গেছি কিন্তু ভর্তি করাতে পারছি না। রোগী নিয়ে কত দিন হোটেলে থাকা যায়?’
চিকিৎসার জন্য শয্যা পাওয়া নিয়ে এমন ভোগান্তির গল্প শুধু এই এক রোগীর নয়, নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে আসা ভর্তিযোগ্য শত শত রোগী এমন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
গত তিন দিন সরেজমিনে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিউরো চিকিৎসায় দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ এই হাসপাতালে ভর্তিযোগ্য রোগীর তিন-চতুর্থাংশের বেশিকে পূর্ণ চিকিৎসা না পেয়েই ফেরত যেতে হচ্ছে।
সংকটের কথা স্বীকারও করছে প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করা না গেলে এই সংকট কাটবে না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির উপপরিচালক ডা. মো. ফজলুল হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশের রোগী আসে, কিন্তু সেই পরিমাণ শয্যা নেই। স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করা গেলে এটি কিছুটা কমত।’
ঢাকার বাইরে পুরোনো ৮টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউরোলজিক্যাল চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও অপ্রতুল চিকিৎসা। অনেক সময়ে রোগীরা গেলেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছেন এই হাসপাতালে। যে কারণে রোগীদের চাপ অনেক বেশি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এনআইএনএইচের তথ্যমতে, নতুন-পুরোনো মিলে প্রতিদিন নিউরোমেডিসিন, নিউরোসার্জারি, পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি, পেডিয়াট্রিক নিউরোসার্জারিসহ বহির্বিভাগে গড়ে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নেন। যার দুই-তৃতীয়াংশ নিউরোমেডিসিনের। এসব রোগীর মধ্যে ভর্তিযোগ্য ৫০-৭০ জন। কিন্তু ভর্তি হতে পারেন ১০ শতাংশেরও কম।
চিকিৎসক দেখাতে পারলেও ভর্তি হতে গিয়ে বাধছে বিপত্তি। ফলে একদিকে দুর্ভোগ, অন্যদিকে ঝুঁকি নিয়েই ছুটতে হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে। এতে করে বাড়ছে রোগীর চিকিৎসাব্যয়ও।
জানা গেছে, হাসপাতালটিতে মোট শয্যা ৪৫০টি, যা সব সময় পূর্ণ থাকে। দিনে ১০-১৫টি শয্যা খালি হলেও চাহিদা হাজারের বেশি। তারপরও স্বল্প খরচে মানসম্পন্ন চিকিৎসা পেতে শয্যার আশায় হাসপাতালের কাছাকাছি মেস ও হোটেলে ভাড়া থাকছেন রোগীরা। এতে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে তাদের। আবার অনেকে শয্যা পেতে হাসপাতালের কর্মকর্তাদের, কেউ মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে তদবির চালান।
নিউরোলজি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভাগীয় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা থাকলেও এই হাসপাতালের চিকিৎসায় আস্থা রাখেন রোগীরা। ফলে প্রতিনিয়ত রোগী বাড়ছে। যত রোগী আসছে তার অনেকে ভর্তিযোগ্য। কিন্তু শয্যা খালি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫টি। তাহলে কীভাবে এত রোগীকে ভর্তি করা সম্ভব। স্বল্প শয্যা নিয়ে এত রোগী সামাল দেওয়া অত্যন্ত কঠিন।’
এমতাবস্থায় ৪৫০ শয্যার এই ইনস্টিটিউটের পরিধি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে বর্তমানে সেবা দেওয়া ভবনে আরও ৫০ শয্যা বাড়ানোর কথাও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সব মিলিয়ে ভবিষ্যতে ১ হাজার শয্যায় উন্নীত হচ্ছে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল। ১৫ তলাবিশিষ্ট নতুন ভবনের কাজ চলতি বছর শেষ হওয়ার কথা।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেবল শয্যা বাড়িয়ে নিউরো রোগীদের সামাল দেওয়া কঠিন। বিভাগীয় মেডিকেলগুলোতে পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। সারা দেশে বর্তমানে ২২০ জন নিউরোসার্জন রয়েছেন। ২০২৭ সালের মধ্যে এটি ৪০০-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা আমাদের।’
অল্পতে ক্লান্ত হওয়ার পাশাপাশি চোখে অস্পষ্ট দেখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. আনিসুজ্জামান (৪৪)। স্থানীয় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠান চিকিৎসকেরা। ১২ জানুয়ারি তাঁকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালে (এনআইএনএইচ) নিয়ে আসেন ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম।
পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আনিসুজ্জামানের ব্রেন টিউমার শনাক্ত হয়। দ্রুত অস্ত্রোপচারের কথা বলেছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু টানা সাত দিন ঘুরেও শয্যা না মেলায় এই হাসপাতালে এখনো ভর্তি করানো যায়নি তাঁকে।
জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলার হাসপাতালে গেলে চিকিৎসা নাই, এখানে চিকিৎসা ভালো হলেও ভর্তি হওয়াই যাচ্ছে না। অনেক স্যারের কাছে গেছি কিন্তু ভর্তি করাতে পারছি না। রোগী নিয়ে কত দিন হোটেলে থাকা যায়?’
চিকিৎসার জন্য শয্যা পাওয়া নিয়ে এমন ভোগান্তির গল্প শুধু এই এক রোগীর নয়, নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে আসা ভর্তিযোগ্য শত শত রোগী এমন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
গত তিন দিন সরেজমিনে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিউরো চিকিৎসায় দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ এই হাসপাতালে ভর্তিযোগ্য রোগীর তিন-চতুর্থাংশের বেশিকে পূর্ণ চিকিৎসা না পেয়েই ফেরত যেতে হচ্ছে।
সংকটের কথা স্বীকারও করছে প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করা না গেলে এই সংকট কাটবে না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির উপপরিচালক ডা. মো. ফজলুল হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশের রোগী আসে, কিন্তু সেই পরিমাণ শয্যা নেই। স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করা গেলে এটি কিছুটা কমত।’
ঢাকার বাইরে পুরোনো ৮টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউরোলজিক্যাল চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও অপ্রতুল চিকিৎসা। অনেক সময়ে রোগীরা গেলেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছেন এই হাসপাতালে। যে কারণে রোগীদের চাপ অনেক বেশি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এনআইএনএইচের তথ্যমতে, নতুন-পুরোনো মিলে প্রতিদিন নিউরোমেডিসিন, নিউরোসার্জারি, পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি, পেডিয়াট্রিক নিউরোসার্জারিসহ বহির্বিভাগে গড়ে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নেন। যার দুই-তৃতীয়াংশ নিউরোমেডিসিনের। এসব রোগীর মধ্যে ভর্তিযোগ্য ৫০-৭০ জন। কিন্তু ভর্তি হতে পারেন ১০ শতাংশেরও কম।
চিকিৎসক দেখাতে পারলেও ভর্তি হতে গিয়ে বাধছে বিপত্তি। ফলে একদিকে দুর্ভোগ, অন্যদিকে ঝুঁকি নিয়েই ছুটতে হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে। এতে করে বাড়ছে রোগীর চিকিৎসাব্যয়ও।
জানা গেছে, হাসপাতালটিতে মোট শয্যা ৪৫০টি, যা সব সময় পূর্ণ থাকে। দিনে ১০-১৫টি শয্যা খালি হলেও চাহিদা হাজারের বেশি। তারপরও স্বল্প খরচে মানসম্পন্ন চিকিৎসা পেতে শয্যার আশায় হাসপাতালের কাছাকাছি মেস ও হোটেলে ভাড়া থাকছেন রোগীরা। এতে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে তাদের। আবার অনেকে শয্যা পেতে হাসপাতালের কর্মকর্তাদের, কেউ মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে তদবির চালান।
নিউরোলজি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভাগীয় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা থাকলেও এই হাসপাতালের চিকিৎসায় আস্থা রাখেন রোগীরা। ফলে প্রতিনিয়ত রোগী বাড়ছে। যত রোগী আসছে তার অনেকে ভর্তিযোগ্য। কিন্তু শয্যা খালি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫টি। তাহলে কীভাবে এত রোগীকে ভর্তি করা সম্ভব। স্বল্প শয্যা নিয়ে এত রোগী সামাল দেওয়া অত্যন্ত কঠিন।’
এমতাবস্থায় ৪৫০ শয্যার এই ইনস্টিটিউটের পরিধি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে বর্তমানে সেবা দেওয়া ভবনে আরও ৫০ শয্যা বাড়ানোর কথাও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সব মিলিয়ে ভবিষ্যতে ১ হাজার শয্যায় উন্নীত হচ্ছে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল। ১৫ তলাবিশিষ্ট নতুন ভবনের কাজ চলতি বছর শেষ হওয়ার কথা।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেবল শয্যা বাড়িয়ে নিউরো রোগীদের সামাল দেওয়া কঠিন। বিভাগীয় মেডিকেলগুলোতে পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। সারা দেশে বর্তমানে ২২০ জন নিউরোসার্জন রয়েছেন। ২০২৭ সালের মধ্যে এটি ৪০০-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা আমাদের।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে