সাত বছর পর পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আজ রোববার। সম্মেলন ঘিরে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে জল্পনাকল্পনা। কারা হবেন জেলা আওয়ামী লীগের কান্ডারি? দল কি পুরোনোতেই ভরসা রাখবে, না নতুন মুখে আশার আলো জ্বেলে দেবে?

ইতিমধ্যে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সম্মেলন শেষ হয়েছে। জেলা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বেশি উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। নেতৃত্বের সমর্থনে ব্যানার-ফেস্টুন, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে শহরের বিভিন্ন স্থান। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পদ-পদবির সমর্থনে পোস্ট দিচ্ছেন। এতে জেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। দলীয়ভাবে ছাড়াও বিভিন্ন প্রার্থী ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল সভা-সমাবেশ করছেন।

সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও পদ দুটিতে প্রার্থী হিসেবে একাধিক নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। এবারের সম্মেলনে কে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হবেন, এ নিয়ে তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে বেশ আলোচনা।

বর্তমান জেলা কমিটির নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকলেও কোনো গ্রুপিং নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে শক্তিশালী কার্যকরী কমিটি উপহার দিতে চান। এ জন্য সম্মেলন ঘিরে নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তোয়বুর রহমানকে আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটকে সদস্যসচিব করে জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া অভ্যর্থনা, সাজসজ্জা, খাদ্যসহ আটটি উপকমিটি ও সাবকমিটি করা হয়েছে।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আবারও সভাপতি হিসেবে মনোনীত হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি ছাড়াও বর্তমান জেলা কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক ও তাঁর ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আবু তোয়বুর রহমান সভাপতি পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। একই পদে পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ ও বর্তমান জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মজাহারুল হক প্রধানও প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট আবারও নির্বাচিত হবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি ছাড়াও এ পদে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা সারওয়ার হোসেন, আবু সারোয়ার বকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি পঞ্চগড় জেলা আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. সফিকুল ইসলাম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য নাঈমুজ্জামান মুক্তার নাম শোনা যাচ্ছে।

পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি।

সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্যসচিব ও জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, ‘সম্মেলনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সম্মেলন সফল করতে কাজ করছি। সম্মেলনে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ২০৪ জন কাউন্সিলর নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা কমিটি গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিটি হবে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে।