শামিমুজ্জামান, খুলনা
পাইকগাছায় একসময়ের প্রমত্তা শিবসা নদী ভরাট হয়ে এখন গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। গত ১০ বছরে নদীর শিববাটি সেতু থেকে হাঁড়িয়া পর্যন্ত সাড়ে সাত কিলোমিটার ভরাট হয়ে জেগে উঠেছে চর। এলাকাবাসী নদী খননের দাবি জানালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
পাইকগাছা পৌরসভা শিবসার তীরে অবস্থিত। একসময় নৌকা, লঞ্চ, স্টিমারসহ বিভিন্ন নৌযান চলাচল করত এ নদীতে। কয়রা ও পাইকগাছা এলাকার লোকজন নৌপথে যাতায়াত করত। কিছু প্রভাবশালী নদী দখল করে মাছের ঘের করায় এর পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে যায়।
নদীর মাঝে সরু খাল থাকলেও জোয়ারের সময় সামান্য পানি থাকায় মাঝে নৌকা চলাচল করলেও ভাটার সময় ওই নৌকা চলাচল করতে পারে না। এ ব্যাপারে শামসু মাঝি জানান, তিনি মাঝেমধ্যে নৌকায় বিভিন্ন স্থান থেকে মালামাল নিয়ে এই নৌপথ দিয়ে পাইকগাছা পৌরসভা বাজারে আসেন। জোয়ারের সময় আসতে পারলেও ভাটার সময় নৌকা আটকে যায়। সে সময় জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তাতে খরচ অনেক বেশি হয়। নৌপথ বন্ধ হওয়ায় নদীকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পাইকগাছার ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে এই নদীর অবদান রয়েছে। এই নদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান দিয়ে সহজে মালামাল আনা-নেওয়া হয়। নাব্যতা হারিয়ে নদী ভরাট হয়ে গেছে। ফলে নৌপথকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে।
অপর দিকে ব্যবসায়ী পীযূষ সাধু বলেন, পাইকগাছার ব্যবসা-বাণিজ্যসহ মানুষের যাতায়াতে এই নদীর ভূমিকা রয়েছে। গত কয়েক বছর নদীটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। অপর ব্যবসায়ী মো. জলিল বলেন, নৌপথ দিয়ে মালামাল আনা-নেওয়া করা গেলেও এখন সে উপায় নেই। সড়কপথে পণ্য আনা-নেওয়ায় খরচ বেড়েছে।
নদীটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এলাকার প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে মাছের ঘের করছেন। পাশাপাশি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এস এম বাবুল আক্তার বলেন, নদী ভরাট হয়েছে গত ১০ বছর। এ সময়ের মধ্যে কিছু প্রভাবশালী অবৈধ দখল করে মাছ চাষ করছেন। করছেন ধান চাষও। এভাবে চললে হয়তো ভবিষ্যতে নদীর জমি খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ ছাড়া নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হচ্ছে। ফলে ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে নদী খননের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। খননের জন্য বাস্তবসম্মত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জনপ্রতিনিধিদের। এ ব্যাপারে পাইকগাছা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ মাহবুবর রহমান রঞ্জু বলেন, নদী খননের জন্য বিভিন্ন মহলে দাবি জানানো হয়েছে। মানববন্ধন করা হয়েছে এবং স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুধু আশ্বাস মিলেছে।
এ ব্যাপারে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. আশরাফুল আলম বলেন, নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা। দ্রুত প্রকল্পটি একনেকে পাঠানো হবে।
পাইকগাছায় একসময়ের প্রমত্তা শিবসা নদী ভরাট হয়ে এখন গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। গত ১০ বছরে নদীর শিববাটি সেতু থেকে হাঁড়িয়া পর্যন্ত সাড়ে সাত কিলোমিটার ভরাট হয়ে জেগে উঠেছে চর। এলাকাবাসী নদী খননের দাবি জানালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
পাইকগাছা পৌরসভা শিবসার তীরে অবস্থিত। একসময় নৌকা, লঞ্চ, স্টিমারসহ বিভিন্ন নৌযান চলাচল করত এ নদীতে। কয়রা ও পাইকগাছা এলাকার লোকজন নৌপথে যাতায়াত করত। কিছু প্রভাবশালী নদী দখল করে মাছের ঘের করায় এর পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে যায়।
নদীর মাঝে সরু খাল থাকলেও জোয়ারের সময় সামান্য পানি থাকায় মাঝে নৌকা চলাচল করলেও ভাটার সময় ওই নৌকা চলাচল করতে পারে না। এ ব্যাপারে শামসু মাঝি জানান, তিনি মাঝেমধ্যে নৌকায় বিভিন্ন স্থান থেকে মালামাল নিয়ে এই নৌপথ দিয়ে পাইকগাছা পৌরসভা বাজারে আসেন। জোয়ারের সময় আসতে পারলেও ভাটার সময় নৌকা আটকে যায়। সে সময় জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তাতে খরচ অনেক বেশি হয়। নৌপথ বন্ধ হওয়ায় নদীকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পাইকগাছার ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে এই নদীর অবদান রয়েছে। এই নদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান দিয়ে সহজে মালামাল আনা-নেওয়া হয়। নাব্যতা হারিয়ে নদী ভরাট হয়ে গেছে। ফলে নৌপথকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে।
অপর দিকে ব্যবসায়ী পীযূষ সাধু বলেন, পাইকগাছার ব্যবসা-বাণিজ্যসহ মানুষের যাতায়াতে এই নদীর ভূমিকা রয়েছে। গত কয়েক বছর নদীটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। অপর ব্যবসায়ী মো. জলিল বলেন, নৌপথ দিয়ে মালামাল আনা-নেওয়া করা গেলেও এখন সে উপায় নেই। সড়কপথে পণ্য আনা-নেওয়ায় খরচ বেড়েছে।
নদীটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এলাকার প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে মাছের ঘের করছেন। পাশাপাশি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এস এম বাবুল আক্তার বলেন, নদী ভরাট হয়েছে গত ১০ বছর। এ সময়ের মধ্যে কিছু প্রভাবশালী অবৈধ দখল করে মাছ চাষ করছেন। করছেন ধান চাষও। এভাবে চললে হয়তো ভবিষ্যতে নদীর জমি খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ ছাড়া নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হচ্ছে। ফলে ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে নদী খননের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। খননের জন্য বাস্তবসম্মত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জনপ্রতিনিধিদের। এ ব্যাপারে পাইকগাছা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ মাহবুবর রহমান রঞ্জু বলেন, নদী খননের জন্য বিভিন্ন মহলে দাবি জানানো হয়েছে। মানববন্ধন করা হয়েছে এবং স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুধু আশ্বাস মিলেছে।
এ ব্যাপারে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. আশরাফুল আলম বলেন, নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা। দ্রুত প্রকল্পটি একনেকে পাঠানো হবে।
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২৪ মিনিট আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
১ ঘণ্টা আগেপ্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগে