জাফর মুহাম্মদ
এবার জুলাই এসেছিল ছত্রিশ দিন নিয়ে! জুলাইয়ের এই ছত্রিশটা দিন ইতিহাসের অন্য যেকোনো দিনের থেকে আলাদা। বিশেষত ১৬ জুলাই থেকে। ১৬ জুলাই থেকে যাঁরা রাস্তায় ছিলেন তাঁরা সবাই দেখেছেন এক ভিন্ন বাংলাদেশ। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বারবার উঠে এসেছে এক অনন্য বাংলাদেশের চিত্র।
কেমন ছিল রক্তাক্ত জুলাই? জুলাইজুড়ে কি কেবল রক্তের স্মৃতি? নাহ! জুলাইজুড়ে শুধু রক্তের স্মৃতি নেই। স্মৃতি আছে রুখে দাঁড়াবার, স্মৃতি আছে সম্প্রীতির আর স্মৃতি আছে ভালোবাসার। একের পর এক র্যাপে কেঁপে উঠছিল ইউটিউব-ফেসবুক। ‘কথা ক’ ‘আওয়াজ উঠা’ ‘দেশটা কারো বাপের না’সহ ত্রিশের বেশি র্যাপ আসে এই সময়ে। মজার ব্যাপার কি জানেন, ছত্রিশ জুলাই পর্যন্ত সে র্যাপগুলোর কমেন্টে কাউকে পাবেন না যে বলেছে র্যাপ হারাম। আবার মাদ্রাসার ছাত্র কিংবা শিক্ষকেরা যখন দোয়া ইউনুস পড়ে আন্দোলনে যাওয়ার জন্য বলছিলেন, তখনো কেউ তাঁদের কটাক্ষ করেননি।
এই আন্দোলনে কার্টুনিস্টরা যেমন কার্টুন এঁকে উজ্জীবিত করছিলেন, তেমনি মাদ্রাসাছাত্রদেরও তাঁদের ক্যালিওগ্রাফির দক্ষতা কাজে লাগিয়ে রাস্তায় স্লোগান লিখতে দেখা গেছে। এমনকি ৩৫ জুলাই শহীদ মিনারে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ গাইবার সময় জুব্বা-টুপি পরা মানুষেরাও আবেগে আপ্লুত হয়ে দুচোখ ভাসিয়েছেন! এটা আমি নিজ চোখে দেখতে পাইনি বলে আফসোসটা সারা জীবন থেকে যাবে। আমি তখন বগুড়ায়।
আবার হুজুররা যখন নামাজ পড়েছেন, তখন তাঁদের ঘিরে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন মতের ও পথের মানুষ। আন্দোলনে নারী-পুরুষ জানপ্রাণ দিয়ে লড়েছেন। পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পালাক্রমে দায়িত্ব তুলে নিয়েছে। ঢাবি-জাহাঙ্গীরনগর-ব্র্যাক ইউ-খুবি-নর্থ সাউথ-ইস্ট ওয়েস্ট-শাবিপ্রবি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা রেখে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলবেন? আন্দোলনে যুক্ত মানুষমাত্রই একমত হবেন যে কে কখন আন্দোলনে এসে খাবার দিয়েছেন, পানি দিয়েছেন তার কোনো ইয়ত্তা নেই। ইয়ত্তা নেই কে এসে বুক পেতে বাঁচিয়েছে কাকে। আন্দোলনের মাঝখানে আমি ভাবতাম, এই তো বৈষম্যবিহীন বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশই তো আমাদের আজন্ম সাধ। কেউ কারও ওপর নিজের মতামত চাপিয়ে দিচ্ছে না। এই স্বতঃস্ফূর্ততার মধ্যে কী আশ্চর্য শৃঙ্খলা!
যিনি গ্রাফিতি আঁকছেন, তাঁকে কেউ গিয়ে বলেননি আপনি আঁকিয়েন না। মিমস শেয়ার হয়েছে অজস্র। জেনারেশন-জি তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা দেখিয়েছে। এটা যে-সে জেনারেশন নয়, এরা তারাই, যারা ‘১৮-তে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন করেছে, কেউ কেউ সাত কলেজের আন্দোলন কিংবা যৌন নিপীড়নবিরোধী আন্দোলন করেছে। নুসরাত হত্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে কিংবা ভ্যাট-ট্যাক্সবিরোধী আন্দোলন করেছে। ফলে আন্দোলনকারীদের ম্যাচিউরিটি ছিল দেখার মতো। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের অনেক স্লোগানও ফিরে এসেছে এই আন্দোলনে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গলা মিলিয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’, রাস্তায় নেমেছেন শিল্পীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সবাইকে আন্দোলনে নেমে আসার আহ্বান জানালে ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-পেশানির্বিশেষে মানুষ নেমেছেন। নেমেছেন রিকশাওয়ালা, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী, ব্যাংকার, কেরানি।
কিছু মানুষকে চুপ থাকতে হয়েছে বাধ্য হয়ে। আমার বিশ্বাস, তবু অধিকাংশ মানুষ দোয়া-আশীর্বাদ করেছেন বুকভরে। গুটিকয় সুবিধাভোগী-দালাল বাদে বিরোধিতা করেননি কেউই। এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের অনেকে আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান না নিলেও চুপ থেকেছেন।
রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থন জোগানোর চেষ্টা করেছে। তারা নানাভাবে আন্দোলনকারীদের পাশে থেকেছে। হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। এতসবের পরেও ছাত্রদের পক্ষ ছাড়েনি কিংবা চুপ থাকেনি। ছাত্ররাও তাদের মৌন সমর্থন দিয়েছেন। কখনো কখনো ইঙ্গিতে সরব সমর্থনও দিয়েছে। সচেতন মানুষমাত্রই সেসব বুঝেছেন। ফলে এই আন্দোলন হয়ে উঠেছে প্রকৃতপক্ষেই গণমানুষের অভ্যুত্থান। সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে অমলিন হয়েছে জুলাইয়ের ছত্রিশ দিন।
আওয়ামী লীগের পতনের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হলে এই সম্প্রীতিকে ভাঙার নগ্ন চেষ্টাও দেখা দিয়েছে।আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ওপর যে একক কর্তৃত্ব আরোপ করতে চেয়েছিল, সেই ফ্যাসিস্ট চেষ্টা দেখা গেছে নানান সুবিধাভোগী শ্রেণির মধ্যে। জুলাইয়ের আন্দোলনের প্রাণশক্তি ‘ঐক্য ও সম্প্রীতি’কে যারা ভয় পায়, তাদের নগ্ন চেষ্টার মাধ্যমে এই অর্জনকে কলুষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এর বিপরীতে এ দেশের ছাত্রসমাজ ও আন্দোলনে অংশ নেওয়া দেশপ্রেমিক মানুষ কিন্তু ভিন্ন প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। সাম্প্রদায়িক হামলা ঠেকাতে মাদ্রাসার ছাত্ররা রাতভর পাহারা দিয়েছেন, ভেঙে পরা পুলিশ ও প্রশাসনিক কাঠামোর শূন্যতা পূরণ করতে ছাত্ররাই সামলেছেন ট্রাফিক, নিরাপত্তা দিয়েছেন মানুষকে, পুরোনো সব ময়লা ঠেলে রঙের তুলিতে রাঙিয়ে এনেছেন নতুন ভোর। বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে এইসব অর্জনকে মুছে ফেলার চেষ্টা এখনো চলছে, চলছে এ দেশের মানুষকে হতাশ করে দেওয়ার ঘৃণ্য প্রক্রিয়া।
এতসবের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিয়েছে। মানুষ তাকিয়ে আছে এত মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো—একটা নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশার চাপ! সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ! চ্যালেঞ্জ আমাদের সবার সামনে। এর মধ্যে একটা বড় চ্যালেঞ্জ নিজের অধিকার টিকিয়ে রাখা এবং সেই সঙ্গে সবার জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
লেখক: প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা ও আলোকচিত্রী
এবার জুলাই এসেছিল ছত্রিশ দিন নিয়ে! জুলাইয়ের এই ছত্রিশটা দিন ইতিহাসের অন্য যেকোনো দিনের থেকে আলাদা। বিশেষত ১৬ জুলাই থেকে। ১৬ জুলাই থেকে যাঁরা রাস্তায় ছিলেন তাঁরা সবাই দেখেছেন এক ভিন্ন বাংলাদেশ। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বারবার উঠে এসেছে এক অনন্য বাংলাদেশের চিত্র।
কেমন ছিল রক্তাক্ত জুলাই? জুলাইজুড়ে কি কেবল রক্তের স্মৃতি? নাহ! জুলাইজুড়ে শুধু রক্তের স্মৃতি নেই। স্মৃতি আছে রুখে দাঁড়াবার, স্মৃতি আছে সম্প্রীতির আর স্মৃতি আছে ভালোবাসার। একের পর এক র্যাপে কেঁপে উঠছিল ইউটিউব-ফেসবুক। ‘কথা ক’ ‘আওয়াজ উঠা’ ‘দেশটা কারো বাপের না’সহ ত্রিশের বেশি র্যাপ আসে এই সময়ে। মজার ব্যাপার কি জানেন, ছত্রিশ জুলাই পর্যন্ত সে র্যাপগুলোর কমেন্টে কাউকে পাবেন না যে বলেছে র্যাপ হারাম। আবার মাদ্রাসার ছাত্র কিংবা শিক্ষকেরা যখন দোয়া ইউনুস পড়ে আন্দোলনে যাওয়ার জন্য বলছিলেন, তখনো কেউ তাঁদের কটাক্ষ করেননি।
এই আন্দোলনে কার্টুনিস্টরা যেমন কার্টুন এঁকে উজ্জীবিত করছিলেন, তেমনি মাদ্রাসাছাত্রদেরও তাঁদের ক্যালিওগ্রাফির দক্ষতা কাজে লাগিয়ে রাস্তায় স্লোগান লিখতে দেখা গেছে। এমনকি ৩৫ জুলাই শহীদ মিনারে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ গাইবার সময় জুব্বা-টুপি পরা মানুষেরাও আবেগে আপ্লুত হয়ে দুচোখ ভাসিয়েছেন! এটা আমি নিজ চোখে দেখতে পাইনি বলে আফসোসটা সারা জীবন থেকে যাবে। আমি তখন বগুড়ায়।
আবার হুজুররা যখন নামাজ পড়েছেন, তখন তাঁদের ঘিরে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন মতের ও পথের মানুষ। আন্দোলনে নারী-পুরুষ জানপ্রাণ দিয়ে লড়েছেন। পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পালাক্রমে দায়িত্ব তুলে নিয়েছে। ঢাবি-জাহাঙ্গীরনগর-ব্র্যাক ইউ-খুবি-নর্থ সাউথ-ইস্ট ওয়েস্ট-শাবিপ্রবি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা রেখে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলবেন? আন্দোলনে যুক্ত মানুষমাত্রই একমত হবেন যে কে কখন আন্দোলনে এসে খাবার দিয়েছেন, পানি দিয়েছেন তার কোনো ইয়ত্তা নেই। ইয়ত্তা নেই কে এসে বুক পেতে বাঁচিয়েছে কাকে। আন্দোলনের মাঝখানে আমি ভাবতাম, এই তো বৈষম্যবিহীন বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশই তো আমাদের আজন্ম সাধ। কেউ কারও ওপর নিজের মতামত চাপিয়ে দিচ্ছে না। এই স্বতঃস্ফূর্ততার মধ্যে কী আশ্চর্য শৃঙ্খলা!
যিনি গ্রাফিতি আঁকছেন, তাঁকে কেউ গিয়ে বলেননি আপনি আঁকিয়েন না। মিমস শেয়ার হয়েছে অজস্র। জেনারেশন-জি তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা দেখিয়েছে। এটা যে-সে জেনারেশন নয়, এরা তারাই, যারা ‘১৮-তে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন করেছে, কেউ কেউ সাত কলেজের আন্দোলন কিংবা যৌন নিপীড়নবিরোধী আন্দোলন করেছে। নুসরাত হত্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে কিংবা ভ্যাট-ট্যাক্সবিরোধী আন্দোলন করেছে। ফলে আন্দোলনকারীদের ম্যাচিউরিটি ছিল দেখার মতো। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের অনেক স্লোগানও ফিরে এসেছে এই আন্দোলনে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গলা মিলিয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’, রাস্তায় নেমেছেন শিল্পীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সবাইকে আন্দোলনে নেমে আসার আহ্বান জানালে ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-পেশানির্বিশেষে মানুষ নেমেছেন। নেমেছেন রিকশাওয়ালা, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী, ব্যাংকার, কেরানি।
কিছু মানুষকে চুপ থাকতে হয়েছে বাধ্য হয়ে। আমার বিশ্বাস, তবু অধিকাংশ মানুষ দোয়া-আশীর্বাদ করেছেন বুকভরে। গুটিকয় সুবিধাভোগী-দালাল বাদে বিরোধিতা করেননি কেউই। এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের অনেকে আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান না নিলেও চুপ থেকেছেন।
রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থন জোগানোর চেষ্টা করেছে। তারা নানাভাবে আন্দোলনকারীদের পাশে থেকেছে। হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। এতসবের পরেও ছাত্রদের পক্ষ ছাড়েনি কিংবা চুপ থাকেনি। ছাত্ররাও তাদের মৌন সমর্থন দিয়েছেন। কখনো কখনো ইঙ্গিতে সরব সমর্থনও দিয়েছে। সচেতন মানুষমাত্রই সেসব বুঝেছেন। ফলে এই আন্দোলন হয়ে উঠেছে প্রকৃতপক্ষেই গণমানুষের অভ্যুত্থান। সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে অমলিন হয়েছে জুলাইয়ের ছত্রিশ দিন।
আওয়ামী লীগের পতনের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হলে এই সম্প্রীতিকে ভাঙার নগ্ন চেষ্টাও দেখা দিয়েছে।আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ওপর যে একক কর্তৃত্ব আরোপ করতে চেয়েছিল, সেই ফ্যাসিস্ট চেষ্টা দেখা গেছে নানান সুবিধাভোগী শ্রেণির মধ্যে। জুলাইয়ের আন্দোলনের প্রাণশক্তি ‘ঐক্য ও সম্প্রীতি’কে যারা ভয় পায়, তাদের নগ্ন চেষ্টার মাধ্যমে এই অর্জনকে কলুষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এর বিপরীতে এ দেশের ছাত্রসমাজ ও আন্দোলনে অংশ নেওয়া দেশপ্রেমিক মানুষ কিন্তু ভিন্ন প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। সাম্প্রদায়িক হামলা ঠেকাতে মাদ্রাসার ছাত্ররা রাতভর পাহারা দিয়েছেন, ভেঙে পরা পুলিশ ও প্রশাসনিক কাঠামোর শূন্যতা পূরণ করতে ছাত্ররাই সামলেছেন ট্রাফিক, নিরাপত্তা দিয়েছেন মানুষকে, পুরোনো সব ময়লা ঠেলে রঙের তুলিতে রাঙিয়ে এনেছেন নতুন ভোর। বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে এইসব অর্জনকে মুছে ফেলার চেষ্টা এখনো চলছে, চলছে এ দেশের মানুষকে হতাশ করে দেওয়ার ঘৃণ্য প্রক্রিয়া।
এতসবের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিয়েছে। মানুষ তাকিয়ে আছে এত মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো—একটা নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশার চাপ! সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ! চ্যালেঞ্জ আমাদের সবার সামনে। এর মধ্যে একটা বড় চ্যালেঞ্জ নিজের অধিকার টিকিয়ে রাখা এবং সেই সঙ্গে সবার জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
লেখক: প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা ও আলোকচিত্রী
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে