আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া
গঙ্গাচড়ায় এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হলেও সংগ্রহের আগেই অনেক জমির ফসল শিলাবৃষ্টির আঘাতে ঝরে গেছে। সেই সঙ্গে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না চাষিরা। এতে তাঁদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দুশ্চিন্তা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গঙ্গাচড়ায় এ বছর ১১ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১৫০ হেক্টর বেশি। তবে গতবার চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ হাজার ৯৯১ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হলেও এ বছর এখন পর্যন্ত তা নির্ধারণ করা যায়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বড়বিল, নোহালী, কোলকোন্দসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কিছুদিন আগের শিলাবৃষ্টিতে অনেক জমির ধান মাটিতে ঝরে পড়েছে। আর এখন শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক চাষি ধান কাটতে পারছেন না। তাঁরা চিন্তিত অবস্থায় দিন পার করছেন।
কোলকোন্দের স্কুলপাড়া গ্রামের ধানচাষি মমিনুর ইসলাম বলেন, ‘এ বছর দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছিলাম। খরচ হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। প্রথম দিকে ফলন ভালোই হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে শিলার কারণে জমির অনেক ধান মাটিতে ঝরে পড়ে। যে জায়গায় বিঘাপ্রতি ২০ মণ ধান হওয়ার কথা সেখানে এখন ধান পাব মনে হয় ১৩ থেকে ১৪ মণ। বিক্রি করলে বর্তমান বাজার দরে পাব প্রায় ১০ হাজার টাকা। এদিকে আবার শ্রমিকেরা বিঘাপ্রতি ধান ঘরে তুলে দিতে নিচ্ছে ৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ২৩ হাজার টাকা। এখন বলেন আমরা বাঁচাব নাকি মরব!’
একই হতাশার কথা শোনা গেল বড়বিলের জমির উদ্দিনের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘এই জমিতে গতবার বোরো মৌসুমে বিঘা প্রতি ১৯ থেকে ২০ মণ ধান পেয়েছি। এবার শিলাবৃষ্টিতে অনেক ধান পড়ে গেছে। শিষ মাটিতে পড়ে ধানের চারা গজাচ্ছে। বিঘাপ্রতি ১৫ মণ ফলন হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ধানের দামও কম। কালকে বাজারে ৮০ কেজি ধান বিক্রি করি পেয়েছি ১ হাজার ৩০০ টাকা। এই দাম থাকলে মরা লাগবে এবার। সরকারের কাছে একটাই দাবি, ধানের দাম যেন বাড়ায়।’
নোহালীর সুশীল রায় জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন। ফলন ভালো হয়েছিল। তবে কয়েক দিনের শিলাবৃষ্টিতে অর্ধেক ধান ঝরে গেছে। বাকি ধান শ্রমিক সংকটের কারণে ঘরে তুলতে পারছেন না। আবার যদি শিল পড়ে তাহলে বাকি ধানটুকুও ঘরে তুলতে পারবেন না।
বড়বিলের বাগপুর চোক্তাপাড়া গ্রামের কৃষিশ্রমিক বাবুল বিশ্বাস জানান, গত বোরো মৌসুমে এলাকায় বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২২ মণ ফলন হয়েছে। এবার ঈদের আগে থেকেই তিনি ধান কাটছেন। কোনো কৃষকের জমিতে বিঘায় ১২ থেকে ১৩ মণের বেশি ফলন দেখেননি। তবে বাজারে ধানের দাম বাড়লে কৃষক হয়তো কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছু কিছু এলাকায় এ ধরনের সমস্যা হয়েছে। তবে গতবারের তুলনায় এবার ফলন ভালো হওয়ার আশা করছি।’
ধানের দাম কমের বিষয় জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে উৎপাদন বাড়ানো। বাজার মনিটরিংর জন্য আলাদা লোকজন রয়েছে।’
গঙ্গাচড়ায় এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হলেও সংগ্রহের আগেই অনেক জমির ফসল শিলাবৃষ্টির আঘাতে ঝরে গেছে। সেই সঙ্গে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না চাষিরা। এতে তাঁদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দুশ্চিন্তা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গঙ্গাচড়ায় এ বছর ১১ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১৫০ হেক্টর বেশি। তবে গতবার চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ হাজার ৯৯১ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হলেও এ বছর এখন পর্যন্ত তা নির্ধারণ করা যায়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বড়বিল, নোহালী, কোলকোন্দসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কিছুদিন আগের শিলাবৃষ্টিতে অনেক জমির ধান মাটিতে ঝরে পড়েছে। আর এখন শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক চাষি ধান কাটতে পারছেন না। তাঁরা চিন্তিত অবস্থায় দিন পার করছেন।
কোলকোন্দের স্কুলপাড়া গ্রামের ধানচাষি মমিনুর ইসলাম বলেন, ‘এ বছর দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছিলাম। খরচ হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। প্রথম দিকে ফলন ভালোই হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে শিলার কারণে জমির অনেক ধান মাটিতে ঝরে পড়ে। যে জায়গায় বিঘাপ্রতি ২০ মণ ধান হওয়ার কথা সেখানে এখন ধান পাব মনে হয় ১৩ থেকে ১৪ মণ। বিক্রি করলে বর্তমান বাজার দরে পাব প্রায় ১০ হাজার টাকা। এদিকে আবার শ্রমিকেরা বিঘাপ্রতি ধান ঘরে তুলে দিতে নিচ্ছে ৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ২৩ হাজার টাকা। এখন বলেন আমরা বাঁচাব নাকি মরব!’
একই হতাশার কথা শোনা গেল বড়বিলের জমির উদ্দিনের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘এই জমিতে গতবার বোরো মৌসুমে বিঘা প্রতি ১৯ থেকে ২০ মণ ধান পেয়েছি। এবার শিলাবৃষ্টিতে অনেক ধান পড়ে গেছে। শিষ মাটিতে পড়ে ধানের চারা গজাচ্ছে। বিঘাপ্রতি ১৫ মণ ফলন হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ধানের দামও কম। কালকে বাজারে ৮০ কেজি ধান বিক্রি করি পেয়েছি ১ হাজার ৩০০ টাকা। এই দাম থাকলে মরা লাগবে এবার। সরকারের কাছে একটাই দাবি, ধানের দাম যেন বাড়ায়।’
নোহালীর সুশীল রায় জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন। ফলন ভালো হয়েছিল। তবে কয়েক দিনের শিলাবৃষ্টিতে অর্ধেক ধান ঝরে গেছে। বাকি ধান শ্রমিক সংকটের কারণে ঘরে তুলতে পারছেন না। আবার যদি শিল পড়ে তাহলে বাকি ধানটুকুও ঘরে তুলতে পারবেন না।
বড়বিলের বাগপুর চোক্তাপাড়া গ্রামের কৃষিশ্রমিক বাবুল বিশ্বাস জানান, গত বোরো মৌসুমে এলাকায় বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২২ মণ ফলন হয়েছে। এবার ঈদের আগে থেকেই তিনি ধান কাটছেন। কোনো কৃষকের জমিতে বিঘায় ১২ থেকে ১৩ মণের বেশি ফলন দেখেননি। তবে বাজারে ধানের দাম বাড়লে কৃষক হয়তো কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছু কিছু এলাকায় এ ধরনের সমস্যা হয়েছে। তবে গতবারের তুলনায় এবার ফলন ভালো হওয়ার আশা করছি।’
ধানের দাম কমের বিষয় জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে উৎপাদন বাড়ানো। বাজার মনিটরিংর জন্য আলাদা লোকজন রয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে