কামাল হোসেন, কয়রা
নীল আকাশের নিচে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ। দেখে মনে হয় যেন হলুদ বরণে সেজেছে প্রকৃতি। পড়ন্ত বিকেলের মিষ্টি রোদে সরিষা ফুলগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে আর সুভাস ছড়াচ্ছে চারদিকে। কয়রা উপজেলার ফসলের মাঠ যেন এভাবেই সেজেছে আপন মহিমায়।
উপজেলার উলা ও ৩ নম্বর কয়রা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সরিষা মাঠে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের বিনোদনপ্রেমীরা। কেউ সরিষা মাঠ ঘুরে দেখছেন, কেউবা আবার মোবাইল ফোনে সেলফি তুলছেন। প্রকৃতিপ্রেমী বিপাশা বিশ্বাস বলেন, এমন সৌন্দর্য কাছে থেকে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না। যে সুঘ্রাণটি অনুভব করছি, সেটি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকছেন এখানের কৃষকেরা। এর ভাল ফলনে খুশি তারা। বাগালী ইউনিয়নের কৃষক আলাউদ্দীন বলেন, কম পুঁজিতে সরিষা চাষে দ্বিগুণ লাভ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ করে ৭ থেকে ৮ মণ সরিষা উৎপাদন করা যায়। আবার সরিষা ঘরে তোলার পর ওই জমিতেই মুগ ডাল চাষ করেন তিনি। সরিষা আবাদের কারণে ওই জমিতে বাড়তি হাল চাষ, সার, কীটনাশক ওষুধও দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
আরেক কৃষক মজিবর রহমান বলেন, দেশীয় সরিষার জাতগুলোর চেয়ে বারি সরিষা-১৮ জাতের ফলন ভালো হয়। কম খরচে অধিক ফলন ও ভালো দাম হওয়ায় প্রতি বছরই এ সময়ে সরিষার আবাদ করি। তিনি বলেন, উঁচু জমি সরিষা চাষের জন্য উপযুক্ত। বীজ বপনের ৮০–৮৫ দিনের মধ্যেই সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায়।
৪নং কয়রা গ্রামের কৃষক আহমেদ আলী ও গোপাল সরদার বলেন, কয়েক বছর আগেও তাদের জমি পরিত্যক্ত থাকত। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে জমিতে সরিষা চাষ করছেন। এখানের কৃষকেরা রাত দিন পরিশ্রম করছেন। পাশাপাশি কাজ করছেন কৃষি গবেষণা বিভাগের বিজ্ঞানীরাও।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুনর রশিদ বলেন, এ বছর কৃষককে সরিষা চাষে ব্যাপক সচেতন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষকদের বারি সরিষা-১৮ জাতের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বারি সরিষা-১৮ হৃদরোগীদের জন্য খুবই উপকারী। যেখানে অন্যান্য সরিষার জাতে ইরুসিক এসিডের পরিমাণ ৪০ থেকে ৪৫%, সেখানে বারি সরিষা-১৮ জাতের তেলে এর পরিমাণ মাত্র ১.০৬%। এর ফলনও হেক্টরপ্রতি ২ থেকে ২.৫০ টন বেশি হয়।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ এমএলটি সাইট কয়রার বৈজ্ঞানিক সহকারী জাহিদ হাসান বলেন, এ বছর কয়রার কৃষকদের বারি সরিষা ১৪, ১৭ ও ১৮ জাতের বীজ ও সার বিনা মূল্যে দেওয়া হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সরিষা আবাদে তেমন পোকার আক্রমণ না থাকায় কৃষকেরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
তিনি জানান, এ সময় সরিষা চাষ কৃষকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় তাঁরা বেরো চাষ ব্যাহত না করে, স্বল্প সময়ে একটি বাড়তি ফসল উৎপাদন করতে পারে। কৃষকেরা লাভবান হন, পাশাপাশি জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পায়।
নীল আকাশের নিচে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ। দেখে মনে হয় যেন হলুদ বরণে সেজেছে প্রকৃতি। পড়ন্ত বিকেলের মিষ্টি রোদে সরিষা ফুলগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে আর সুভাস ছড়াচ্ছে চারদিকে। কয়রা উপজেলার ফসলের মাঠ যেন এভাবেই সেজেছে আপন মহিমায়।
উপজেলার উলা ও ৩ নম্বর কয়রা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সরিষা মাঠে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের বিনোদনপ্রেমীরা। কেউ সরিষা মাঠ ঘুরে দেখছেন, কেউবা আবার মোবাইল ফোনে সেলফি তুলছেন। প্রকৃতিপ্রেমী বিপাশা বিশ্বাস বলেন, এমন সৌন্দর্য কাছে থেকে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না। যে সুঘ্রাণটি অনুভব করছি, সেটি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকছেন এখানের কৃষকেরা। এর ভাল ফলনে খুশি তারা। বাগালী ইউনিয়নের কৃষক আলাউদ্দীন বলেন, কম পুঁজিতে সরিষা চাষে দ্বিগুণ লাভ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ করে ৭ থেকে ৮ মণ সরিষা উৎপাদন করা যায়। আবার সরিষা ঘরে তোলার পর ওই জমিতেই মুগ ডাল চাষ করেন তিনি। সরিষা আবাদের কারণে ওই জমিতে বাড়তি হাল চাষ, সার, কীটনাশক ওষুধও দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
আরেক কৃষক মজিবর রহমান বলেন, দেশীয় সরিষার জাতগুলোর চেয়ে বারি সরিষা-১৮ জাতের ফলন ভালো হয়। কম খরচে অধিক ফলন ও ভালো দাম হওয়ায় প্রতি বছরই এ সময়ে সরিষার আবাদ করি। তিনি বলেন, উঁচু জমি সরিষা চাষের জন্য উপযুক্ত। বীজ বপনের ৮০–৮৫ দিনের মধ্যেই সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায়।
৪নং কয়রা গ্রামের কৃষক আহমেদ আলী ও গোপাল সরদার বলেন, কয়েক বছর আগেও তাদের জমি পরিত্যক্ত থাকত। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে জমিতে সরিষা চাষ করছেন। এখানের কৃষকেরা রাত দিন পরিশ্রম করছেন। পাশাপাশি কাজ করছেন কৃষি গবেষণা বিভাগের বিজ্ঞানীরাও।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুনর রশিদ বলেন, এ বছর কৃষককে সরিষা চাষে ব্যাপক সচেতন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষকদের বারি সরিষা-১৮ জাতের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বারি সরিষা-১৮ হৃদরোগীদের জন্য খুবই উপকারী। যেখানে অন্যান্য সরিষার জাতে ইরুসিক এসিডের পরিমাণ ৪০ থেকে ৪৫%, সেখানে বারি সরিষা-১৮ জাতের তেলে এর পরিমাণ মাত্র ১.০৬%। এর ফলনও হেক্টরপ্রতি ২ থেকে ২.৫০ টন বেশি হয়।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ এমএলটি সাইট কয়রার বৈজ্ঞানিক সহকারী জাহিদ হাসান বলেন, এ বছর কয়রার কৃষকদের বারি সরিষা ১৪, ১৭ ও ১৮ জাতের বীজ ও সার বিনা মূল্যে দেওয়া হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সরিষা আবাদে তেমন পোকার আক্রমণ না থাকায় কৃষকেরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
তিনি জানান, এ সময় সরিষা চাষ কৃষকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় তাঁরা বেরো চাষ ব্যাহত না করে, স্বল্প সময়ে একটি বাড়তি ফসল উৎপাদন করতে পারে। কৃষকেরা লাভবান হন, পাশাপাশি জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পায়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে