কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
দেড় বছর আগে মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেই থেকেই দেশটির সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন চলছে। এরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে ওয়াশিংটন। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এই চাপ সামাল দিতে দেশটির (ভারত) সরকারের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। এমন প্রেক্ষাপটে হোয়াইট হাউসে আজ বৃহস্পতিবার বৈঠক হতে চলেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। এ বৈঠকে মোদি বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তুলবেন কি না, তা নিয়েও আছে নানামুখী আলোচনা।
এর আগ দিয়ে হোয়াইট হাউসে গত মঙ্গলবার সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সমন্বয়কারী জন কিরবির কৌশলী মন্তব্য এ আলোচনাকে যেন আরেকটু উসকে দিল। ওয়াশিংটনের বৈঠকটিকে সামনে রেখে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিক বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ‘প্রহসনমূলক’ নির্বাচনে ভারতের প্রভাব ছিল। এবার অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি দিয়েছে। ভোটাধিকার নিশ্চিত করা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই চেষ্টায় ভারত যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকবে কি না?
জবাবে জন কিরবি বলেন, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যারা বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট এবং প্রকাশ্য। যুক্তরাষ্ট্র কেবল তার নিজের অবস্থান ভারতকে জানাতে পারে।
আর ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতেই পারে বলে জানান কিরবি।
উল্টো ভারতের ক্ষেত্রেও দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো বাইডেনের সঙ্গে মোদির বৈঠকে তোলা হতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়ে হোয়াইট হাউস কর্মকর্তা বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অগ্রাধিকারের একটি বিষয় মানবাধিকার। যেকোনো দেশের যেকোনো নেতার সঙ্গে তিনি বিষয়টি তুলে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ঘনিষ্ঠ মিত্র’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও এর ব্যতিক্রম হবে না।
মার্কিন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ৭৫ জন কংগ্রেস সদস্য ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো মোদির সঙ্গে শক্তভাবে তোলার জন্য বাইডেনকে এক চিঠি দিয়েছেন।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি চীনের প্রকাশ্য সমর্থনের প্রেক্ষাপটে মোদি-বাইডেন বৈঠকের ঠিক আগের দিন হোয়াইট হাউস থেকে করা এমন মন্তব্যের বেশ ‘তাৎপর্য’ আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীরের কাছে আজকের পত্রিকা থেকে গতকাল জানতে চাওয়া হয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের
প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় দেশের প্রসঙ্গ কোনো এক পক্ষ থেকে তোলার সম্ভাবনা কতটুকু?
জবাবে প্রবীণ এই কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ জানান, একেবারে তোলা হয় না, এমন নয়। তবে উভয় তরফে ভেবে দেখা হয়, যা বলা হলো, তা যৌক্তিক কি না। এর ওপর নির্ভর করে, কী জবাব আসতে পারে অপর পক্ষের কাছ থেকে।
মার্কিনিরা বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে ভারত সরকারের ‘অবস্থান’ জানে বলে মনে করেন হুমায়ুন কবীর, যিনি বর্তমানে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউস থেকে করা গত মঙ্গলবারের মন্তব্য সম্পর্কে হুমায়ুন কবীর বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আগেই নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিল, যাতে ভারত এটা নিয়ে ‘চাপাচাপি’ না করে। এটা অনেকটা কোনো বিষয়ে ‘একমত হয়েও দ্বিমত করার’ মতো ব্যাপার।
ভারতের ওকালতির কিছু নেই: শেখ হাসিনা
হিন্দুস্তান টাইমসকে উদ্ধৃত করে গণভবনে গতকালের সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের হয়ে কথা বলার জন্য ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ও দেশটির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত (ভিসা নীতি), এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পরিষ্কার করবেন কি না?’
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কী বলতে হবে, এটা ভারতের প্রধানমন্ত্রী বেশ ভালো করেই জানেন। এ নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ভারতের ওকালতি করার কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ‘সদ্ভাব’ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভারত একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন দেশ। তারা কী করবে না-করবে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের ওপর।
কেন ব্রিকসে যোগ দেবে বাংলাদেশ
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও নির্বাচন সামনে রেখে ভিসা নীতির বাইরেও রাশিয়ার অর্থায়নে করা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঋণের কিস্তি চীনা মুদ্রায় পরিশোধে সরকারের উদ্যোগে মার্কিনিদের বাগড়াকেও সরকার ভালোভাবে নেয়নি বলে জানান কূটনীতিকেরা। এ কারণে, সরকার প্রধানত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ও বাণিজ্য ব্যবস্থার ওপর নির্ভরতার বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছে বলে তাঁরা জানান।
ভারত, চীন, রাশিয়া, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা—এই পাঁচ দেশের জোট ব্রিকস আরও কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশকে যুক্ত করে জোটটির সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সরকার এই জোটে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো একটা (দেশের) ওপর যেন নির্ভরশীলতা না হয়। …অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যেন আমাদের অর্থ বিনিময়ের সুযোগটা থাকে। আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যেন আমরা সহজে ক্রয় করতে পারি। …সেই সমস্ত বিষয় বিবেচনায় করেই কিন্তু আমরা ব্রিকসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
দেড় বছর আগে মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেই থেকেই দেশটির সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন চলছে। এরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে ওয়াশিংটন। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এই চাপ সামাল দিতে দেশটির (ভারত) সরকারের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। এমন প্রেক্ষাপটে হোয়াইট হাউসে আজ বৃহস্পতিবার বৈঠক হতে চলেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। এ বৈঠকে মোদি বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তুলবেন কি না, তা নিয়েও আছে নানামুখী আলোচনা।
এর আগ দিয়ে হোয়াইট হাউসে গত মঙ্গলবার সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সমন্বয়কারী জন কিরবির কৌশলী মন্তব্য এ আলোচনাকে যেন আরেকটু উসকে দিল। ওয়াশিংটনের বৈঠকটিকে সামনে রেখে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিক বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ‘প্রহসনমূলক’ নির্বাচনে ভারতের প্রভাব ছিল। এবার অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি দিয়েছে। ভোটাধিকার নিশ্চিত করা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই চেষ্টায় ভারত যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকবে কি না?
জবাবে জন কিরবি বলেন, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যারা বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট এবং প্রকাশ্য। যুক্তরাষ্ট্র কেবল তার নিজের অবস্থান ভারতকে জানাতে পারে।
আর ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতেই পারে বলে জানান কিরবি।
উল্টো ভারতের ক্ষেত্রেও দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো বাইডেনের সঙ্গে মোদির বৈঠকে তোলা হতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়ে হোয়াইট হাউস কর্মকর্তা বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অগ্রাধিকারের একটি বিষয় মানবাধিকার। যেকোনো দেশের যেকোনো নেতার সঙ্গে তিনি বিষয়টি তুলে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ঘনিষ্ঠ মিত্র’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও এর ব্যতিক্রম হবে না।
মার্কিন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ৭৫ জন কংগ্রেস সদস্য ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো মোদির সঙ্গে শক্তভাবে তোলার জন্য বাইডেনকে এক চিঠি দিয়েছেন।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি চীনের প্রকাশ্য সমর্থনের প্রেক্ষাপটে মোদি-বাইডেন বৈঠকের ঠিক আগের দিন হোয়াইট হাউস থেকে করা এমন মন্তব্যের বেশ ‘তাৎপর্য’ আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীরের কাছে আজকের পত্রিকা থেকে গতকাল জানতে চাওয়া হয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের
প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় দেশের প্রসঙ্গ কোনো এক পক্ষ থেকে তোলার সম্ভাবনা কতটুকু?
জবাবে প্রবীণ এই কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ জানান, একেবারে তোলা হয় না, এমন নয়। তবে উভয় তরফে ভেবে দেখা হয়, যা বলা হলো, তা যৌক্তিক কি না। এর ওপর নির্ভর করে, কী জবাব আসতে পারে অপর পক্ষের কাছ থেকে।
মার্কিনিরা বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে ভারত সরকারের ‘অবস্থান’ জানে বলে মনে করেন হুমায়ুন কবীর, যিনি বর্তমানে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউস থেকে করা গত মঙ্গলবারের মন্তব্য সম্পর্কে হুমায়ুন কবীর বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আগেই নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিল, যাতে ভারত এটা নিয়ে ‘চাপাচাপি’ না করে। এটা অনেকটা কোনো বিষয়ে ‘একমত হয়েও দ্বিমত করার’ মতো ব্যাপার।
ভারতের ওকালতির কিছু নেই: শেখ হাসিনা
হিন্দুস্তান টাইমসকে উদ্ধৃত করে গণভবনে গতকালের সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের হয়ে কথা বলার জন্য ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ও দেশটির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত (ভিসা নীতি), এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পরিষ্কার করবেন কি না?’
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কী বলতে হবে, এটা ভারতের প্রধানমন্ত্রী বেশ ভালো করেই জানেন। এ নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ভারতের ওকালতি করার কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ‘সদ্ভাব’ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভারত একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন দেশ। তারা কী করবে না-করবে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের ওপর।
কেন ব্রিকসে যোগ দেবে বাংলাদেশ
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও নির্বাচন সামনে রেখে ভিসা নীতির বাইরেও রাশিয়ার অর্থায়নে করা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঋণের কিস্তি চীনা মুদ্রায় পরিশোধে সরকারের উদ্যোগে মার্কিনিদের বাগড়াকেও সরকার ভালোভাবে নেয়নি বলে জানান কূটনীতিকেরা। এ কারণে, সরকার প্রধানত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ও বাণিজ্য ব্যবস্থার ওপর নির্ভরতার বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছে বলে তাঁরা জানান।
ভারত, চীন, রাশিয়া, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা—এই পাঁচ দেশের জোট ব্রিকস আরও কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশকে যুক্ত করে জোটটির সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সরকার এই জোটে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো একটা (দেশের) ওপর যেন নির্ভরশীলতা না হয়। …অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যেন আমাদের অর্থ বিনিময়ের সুযোগটা থাকে। আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যেন আমরা সহজে ক্রয় করতে পারি। …সেই সমস্ত বিষয় বিবেচনায় করেই কিন্তু আমরা ব্রিকসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে