সোহাগ খান সুজন, নড়িয়া (শরীয়তপুর)
প্রকাশ্যে জাল ও নৌকা নিয়ে নদী থেকে নদীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন জেলেরা। এখন মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীর চিত্র ভিন্ন। প্রশাসনের হাঁক-ডাক থাকলেও থেমে নেই ইলিশ ধরা। এখন প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রি নিষেধ। এ কারণে রাতের বেলা নড়িয়া উপজেলার মোক্তাকার চরের ঈশ্বরকাঠি পদ্মার পাড়ে ইলিশের হাট বসছে। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই হাট। এখানে পানির দামে ডিমওয়ালা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। এই ইলিশ কিনতে শরিয়তপুর সদর, জাজিরাসহ দূর-দুরান্ত থেকে পদ্মার পাড়ে ভিড় করেন হাজারো মানুষ। এখানে মাছ বিক্রির জন্য রয়েছেন ৩০ থেকে ৪০ জন মৌসুমি মাছ ব্যবসায়ী। সারা বছর অন্য পেশায় থাকেন তাঁরা। ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেই বেশি লাভের আশায় পদ্মার পাড়ে মাছ বেচাকেনায় নামেন।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এই হাটে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়ে থাকে। প্রায় ১০০ জন জেলে এই হাটে মাছ বেচাকেনা করেন। ভোক্তারা সস্তা ইলিশ বস্তায় ভরে নিয়ে মজুত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইলিশের হাট দুর্গম পদ্মার পাড়ে। অনেকটা কষ্ট করেই হাটে যেতে হয়। এ কারণে বেশি করে ইলিশ কিনে বাসায় ফেরেন ক্রেতারা। ১০ থেকে ১৫ কেজি করে বড় বড় ডিমওয়ালা এসব ইলিশ মাত্র ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা হালি দরে বেচাকেনা হয়। এত সস্তায় ইলিশ বিক্রির খবর পেয়ে সকাল থেকেই পদ্মার পাড়ে ভিড় থাকে ক্রেতার।
মাছ কিনে ফিরে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘জেলেরা জাল নিয়ে যখন নদীর পাড়ে আসেন, তখন জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ দেখা যায়। নদীর পাড়ে ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকায় অস্থায়ী চায়ের দোকানও গড়ে উঠেছে।’
শরীয়তপুর সদর থেকে আসা ক্রেতা সজিব বলেন, ‘নদীর পাড়ের রাস্তা দিয়ে পদ্মার পাড়ে ইলিশের হাট পর্যন্ত যাওয়ার পথে অসংখ্য মানুষকে ব্যাগ, বস্তা বোঝাই করে মাছ নিয়ে ফিরতে দেখেছি। মাছ নিয়ে ক্রেতাদের ঘরে ফেরার স্রোত দেখলেই পথ চেনা যায়, কাউকে জিজ্ঞেস করতে হয় না। ইলিশ বেচাকেনা নিয়ে পদ্মাপাড়ে যেন হাট বসেছে।’
জেলে মনির জানান, তিনি ঢাকায় কাজ করেন। তাঁর একটি মাছ ধরার নৌকা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারি হলেই তিনি নদীতে মাছ ধরতে নামেন। রাতে প্রশাসনের চাপ কম থাকে। এ কারণে সন্ধ্যার পরে নদীতে মাছ ধরতে নামেন। অভিযানের কারণে দূরে নিয়ে মাছ বিক্রি করতে সমস্যা হয়, তাই পাড়ে বসেই অল্প দামে মাছ বিক্রি করে ফেলেন তিনি। মৌসুমি জেলে মনির জানান, সারা দিনে একটি নৌকায় ৫ জন জেলে মিলে ৫-৬ হাজার টাকার মাছ ধরা যায়। এই বছর নদীতে তেমন মাছ নেই। দুই-একদিন দেখার পর মাছ না পেলে ঢাকায় ফিরে যাবেন তিনি।
নড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল হক বলেন, ‘ইলিশ ধরা বন্ধে প্রতিদিনই আমরা অভিযান যাচ্ছি। তবে রাতে ঝুঁকি নিয়ে পদ্মায় অভিযান খুব একটা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। দুর্গম এলাকায় ইলিশ ধরার খবর পেলে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
প্রকাশ্যে জাল ও নৌকা নিয়ে নদী থেকে নদীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন জেলেরা। এখন মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীর চিত্র ভিন্ন। প্রশাসনের হাঁক-ডাক থাকলেও থেমে নেই ইলিশ ধরা। এখন প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রি নিষেধ। এ কারণে রাতের বেলা নড়িয়া উপজেলার মোক্তাকার চরের ঈশ্বরকাঠি পদ্মার পাড়ে ইলিশের হাট বসছে। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই হাট। এখানে পানির দামে ডিমওয়ালা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। এই ইলিশ কিনতে শরিয়তপুর সদর, জাজিরাসহ দূর-দুরান্ত থেকে পদ্মার পাড়ে ভিড় করেন হাজারো মানুষ। এখানে মাছ বিক্রির জন্য রয়েছেন ৩০ থেকে ৪০ জন মৌসুমি মাছ ব্যবসায়ী। সারা বছর অন্য পেশায় থাকেন তাঁরা। ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেই বেশি লাভের আশায় পদ্মার পাড়ে মাছ বেচাকেনায় নামেন।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এই হাটে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়ে থাকে। প্রায় ১০০ জন জেলে এই হাটে মাছ বেচাকেনা করেন। ভোক্তারা সস্তা ইলিশ বস্তায় ভরে নিয়ে মজুত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইলিশের হাট দুর্গম পদ্মার পাড়ে। অনেকটা কষ্ট করেই হাটে যেতে হয়। এ কারণে বেশি করে ইলিশ কিনে বাসায় ফেরেন ক্রেতারা। ১০ থেকে ১৫ কেজি করে বড় বড় ডিমওয়ালা এসব ইলিশ মাত্র ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা হালি দরে বেচাকেনা হয়। এত সস্তায় ইলিশ বিক্রির খবর পেয়ে সকাল থেকেই পদ্মার পাড়ে ভিড় থাকে ক্রেতার।
মাছ কিনে ফিরে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘জেলেরা জাল নিয়ে যখন নদীর পাড়ে আসেন, তখন জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ দেখা যায়। নদীর পাড়ে ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকায় অস্থায়ী চায়ের দোকানও গড়ে উঠেছে।’
শরীয়তপুর সদর থেকে আসা ক্রেতা সজিব বলেন, ‘নদীর পাড়ের রাস্তা দিয়ে পদ্মার পাড়ে ইলিশের হাট পর্যন্ত যাওয়ার পথে অসংখ্য মানুষকে ব্যাগ, বস্তা বোঝাই করে মাছ নিয়ে ফিরতে দেখেছি। মাছ নিয়ে ক্রেতাদের ঘরে ফেরার স্রোত দেখলেই পথ চেনা যায়, কাউকে জিজ্ঞেস করতে হয় না। ইলিশ বেচাকেনা নিয়ে পদ্মাপাড়ে যেন হাট বসেছে।’
জেলে মনির জানান, তিনি ঢাকায় কাজ করেন। তাঁর একটি মাছ ধরার নৌকা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারি হলেই তিনি নদীতে মাছ ধরতে নামেন। রাতে প্রশাসনের চাপ কম থাকে। এ কারণে সন্ধ্যার পরে নদীতে মাছ ধরতে নামেন। অভিযানের কারণে দূরে নিয়ে মাছ বিক্রি করতে সমস্যা হয়, তাই পাড়ে বসেই অল্প দামে মাছ বিক্রি করে ফেলেন তিনি। মৌসুমি জেলে মনির জানান, সারা দিনে একটি নৌকায় ৫ জন জেলে মিলে ৫-৬ হাজার টাকার মাছ ধরা যায়। এই বছর নদীতে তেমন মাছ নেই। দুই-একদিন দেখার পর মাছ না পেলে ঢাকায় ফিরে যাবেন তিনি।
নড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল হক বলেন, ‘ইলিশ ধরা বন্ধে প্রতিদিনই আমরা অভিযান যাচ্ছি। তবে রাতে ঝুঁকি নিয়ে পদ্মায় অভিযান খুব একটা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। দুর্গম এলাকায় ইলিশ ধরার খবর পেলে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে