শেখ আব্দুস সাকুর (উল্লাস), নবাবগঞ্জ (ঢাকা)
বর্ষায় নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। বর্ষায় যখন রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়, তখন নৌকা ছাড়া কোনোভাবেই পারাপার হওয়া যায় না। তাই জ্যৈষ্ঠের শুরু থেকেই নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কারিগর ও কাঠ ব্যবসায়ীরা। এখানে নতুন নৌকা তৈরির যেন ধুম পড়েছে! আবার অনেকেই পুরোনো নৌকা মেরামতে ব্যস্ত।
বর্ষার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর, বারুয়াখালী, শিকারীপাড়ার পদ্মা তীরবর্তী এলাকা সবার আগে প্লাবিত হয়। এ ছাড়া কলাকোপা, বক্সনগর ও নয়নশ্রী ইউনিয়ন ইছামতীর তীরবর্তী হওয়ায় পদ্মা থেকে আসা পানি এসব অঞ্চলকে আংশিক প্লাবিত করে। তাই এই এলাকার মানুষের বর্ষায় চলাচলে নৌকাই একমাত্র ভরসা।
বাগমারা ফার্নিচার ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী বলেন, ‘এই সময় কারিগরেরা দম ফেলার ফুরসত পায় না। আমার একজন কারিগর দিনে একটা নৌকা বানায়। খুচরা দু-একটা ছাড়া সব নৌকা বিক্রি হয় মুন্সিগঞ্জের শিবরামপুর হাটে। প্রতি বৃহস্পতিবার ওই হাটে আমার সব নৌকা বিক্রি হয়ে যায়।’
কলাকোপা ইউপি সদস্য বাবুলাল মোদক বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি আর আগের মতো বর্ষা না হওয়ার কারণে দিন দিন নৌকার চাহিদা কমছে। তবে বর্ষা মৌসুমজুড়ে নৌকার চাহিদা থাকে। আর নিচু অঞ্চলের মানুষের বর্ষায় যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা। তাই বর্ষার আগেই কেউ কেউ নৌকা কিনে রাখছেন। বর্ষায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে দামও বাড়ে। তাই ক্রেতারা এখনই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।’
এদিকে কেউ কেউ পুরোনো নৌকা মেরামত করতে শুরু করেছে। উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের বারুয়াখালী, জয়কৃষ্ণপুর ও শিকারীপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নৌকা তৈরির কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঝি, জেলে ও কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, প্রতিবছর বর্ষার আগে পুরোনো নৌকা মেরামত করা হয়। অন্যথায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের তিতপালদিয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় নৌকা কিনতে আসা জেলে হরেরাম রাজবংশী বলেন, ‘গেছে বার যেই নৌকা ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার ছিল, এইবার সেই নৌকা ৪-৫ হাজার চায়। তবু দাম কইরা একটা নৌকা কিনোনই লাগব।’
একই এলাকার নৌকার কারিগর কার্তিক মিস্ত্রি বলেন, ‘প্রতিটি নৌকা তৈরিতে আমি মজুরি পাই ১ হাজার টাকা। আর এই নৌকা বিক্রি হয় ৪-৭ হাজার টাকায়। কখনো চাহিদা বেশি থাকলে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকাও বিক্রি হয়। তবে বেশি চাহিদা ছোট আকারের কোষা নৌকার।’
কলাকোপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতী। এ নদীতে বন্ধুরা মিলে নৌকা চালাতাম। কোথাও যেতে হলে আমরা নৌকা নিয়েই যেতাম। তবে যোগাযোগব্যবস্থা ও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন আমাদের নৌকার ওপর নির্ভরশীলতা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে। এ ইউনিয়নে যে কটি স্থান খেয়া পারাপার ছিল, তার অর্ধেকে সেতু হওয়ার কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। নৌকার মাঝিরা নতুন পেশায় জীবিকা নির্বাহ করছেন।’
বর্ষায় নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। বর্ষায় যখন রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়, তখন নৌকা ছাড়া কোনোভাবেই পারাপার হওয়া যায় না। তাই জ্যৈষ্ঠের শুরু থেকেই নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কারিগর ও কাঠ ব্যবসায়ীরা। এখানে নতুন নৌকা তৈরির যেন ধুম পড়েছে! আবার অনেকেই পুরোনো নৌকা মেরামতে ব্যস্ত।
বর্ষার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর, বারুয়াখালী, শিকারীপাড়ার পদ্মা তীরবর্তী এলাকা সবার আগে প্লাবিত হয়। এ ছাড়া কলাকোপা, বক্সনগর ও নয়নশ্রী ইউনিয়ন ইছামতীর তীরবর্তী হওয়ায় পদ্মা থেকে আসা পানি এসব অঞ্চলকে আংশিক প্লাবিত করে। তাই এই এলাকার মানুষের বর্ষায় চলাচলে নৌকাই একমাত্র ভরসা।
বাগমারা ফার্নিচার ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী বলেন, ‘এই সময় কারিগরেরা দম ফেলার ফুরসত পায় না। আমার একজন কারিগর দিনে একটা নৌকা বানায়। খুচরা দু-একটা ছাড়া সব নৌকা বিক্রি হয় মুন্সিগঞ্জের শিবরামপুর হাটে। প্রতি বৃহস্পতিবার ওই হাটে আমার সব নৌকা বিক্রি হয়ে যায়।’
কলাকোপা ইউপি সদস্য বাবুলাল মোদক বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি আর আগের মতো বর্ষা না হওয়ার কারণে দিন দিন নৌকার চাহিদা কমছে। তবে বর্ষা মৌসুমজুড়ে নৌকার চাহিদা থাকে। আর নিচু অঞ্চলের মানুষের বর্ষায় যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা। তাই বর্ষার আগেই কেউ কেউ নৌকা কিনে রাখছেন। বর্ষায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে দামও বাড়ে। তাই ক্রেতারা এখনই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।’
এদিকে কেউ কেউ পুরোনো নৌকা মেরামত করতে শুরু করেছে। উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের বারুয়াখালী, জয়কৃষ্ণপুর ও শিকারীপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নৌকা তৈরির কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঝি, জেলে ও কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, প্রতিবছর বর্ষার আগে পুরোনো নৌকা মেরামত করা হয়। অন্যথায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের তিতপালদিয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় নৌকা কিনতে আসা জেলে হরেরাম রাজবংশী বলেন, ‘গেছে বার যেই নৌকা ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার ছিল, এইবার সেই নৌকা ৪-৫ হাজার চায়। তবু দাম কইরা একটা নৌকা কিনোনই লাগব।’
একই এলাকার নৌকার কারিগর কার্তিক মিস্ত্রি বলেন, ‘প্রতিটি নৌকা তৈরিতে আমি মজুরি পাই ১ হাজার টাকা। আর এই নৌকা বিক্রি হয় ৪-৭ হাজার টাকায়। কখনো চাহিদা বেশি থাকলে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকাও বিক্রি হয়। তবে বেশি চাহিদা ছোট আকারের কোষা নৌকার।’
কলাকোপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতী। এ নদীতে বন্ধুরা মিলে নৌকা চালাতাম। কোথাও যেতে হলে আমরা নৌকা নিয়েই যেতাম। তবে যোগাযোগব্যবস্থা ও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন আমাদের নৌকার ওপর নির্ভরশীলতা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে। এ ইউনিয়নে যে কটি স্থান খেয়া পারাপার ছিল, তার অর্ধেকে সেতু হওয়ার কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। নৌকার মাঝিরা নতুন পেশায় জীবিকা নির্বাহ করছেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে