জাহীদ রেজা নূর
১৪ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন। তিনি বিবৃতিতে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, এ অবস্থায় কোনো কোনো অবিবেচক ব্যক্তি সামরিক আইন জারি করে বেসামরিক কর্মচারীদের একাংশকে দমিয়ে দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু আজ ঐক্যবদ্ধ আপামর জনগণ সামরিক আইনের কাছে নতি স্বীকার না করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
দের প্রতি সামরিক আইনের সর্বশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের প্রতি আমার অনুরোধ, তাঁরা যেন হুমকির সামনে মাথা নত না করেন। বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি জনগণ তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের পেছনে রয়েছে। তাঁদের ভয় দেখাবার বর্তমান প্রয়াস বাংলাদেশের জনগণকে ভ্রুকুটি করার প্রচেষ্টার মতোই প্রতিহত করা হবে। বাংলাদেশের মুক্তি আকাঙ্ক্ষাকে নির্মূল করা যাবে না। আমরা অজেয়। কারণ, আমরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত এবং প্রয়োজনে আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধররাও যেন স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে স্বাধীন ও মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারে, তার নিশ্চয়তা বিধান করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমি যেকোনো আত্মত্যাগে প্রস্তুত থাকতে এবং কোনো প্রকার শক্তি প্রয়োগ করলে তা সম্ভাব্য সকল উপায়ে প্রতিরোধ করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
এই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের অসহযোগ আন্দোলনের ৩৫ দফা নির্দেশ জারি করেন। এই নতুন নির্দেশ জারির পর পুরোনো নির্দেশগুলো বাতিল হয়ে যাবে। সরকারি বিভাগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পুলিশ বিভাগ, আনসার বাহিনী, আমদানি, রেলওয়ে, ডাক ও তার, টেলিফোন, রেডিও-টেলিভিশন, খাদ্য সরবরাহ ইত্যাদি নানা প্রতিষ্ঠানের প্রতি এই নির্দেশ জারি হয়। পুনর্বার নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর-খাজনা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
করাচির নিশতার পার্কের এক জনসভায় পিপিপির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো এক পাকিস্তানের দুই অঞ্চলে দুই দলের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানান।
এদিন সকালে ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ন্যাপপ্রধান খান আব্দুল ওয়ালী খানের সঙ্গে ৮৫ মিনিটব্যাপী এক বৈঠক করেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে জনাব ওয়ালী খান বলেন, তিনি আওয়ামী লীগপ্রধানের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক সমস্যাবলি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং আরও আলোচনা করবেন। জাতীয় পরিষদ হচ্ছে শাসনতান্ত্রিক সমস্যা আলোচনা শুরু হওয়ার উপযুক্ত স্থান। বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কামারুজ্জামান এবং ওয়ালী খানের সঙ্গে জনাব গাউস বক্স বেজেন্জো উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে একজন বিদেশি সাংবাদিক শেখ মুজিবকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে রাজি আছেন?’ জবাবে বঙ্গবন্ধু পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি ঢাকায় এসেছেন?’ সাংবাদিক জবাব দেন, ‘না।’ শেখ মুজিব বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে কীভাবে দেখা হতে পারে? তবে প্রেসিডেন্ট ঢাকায় এলে আমি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে রাজি আছি।’
এদিন স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে সম্পদ পাচার বন্ধের জন্য সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক নিম্নলিখিত স্থানে সোমবার থেকে চেকপোস্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানগুলো হলো ফার্মগেট হোটেল সালমারের সামনে, শহীদ তিতুমীর কলেজ গেট, পাক মোটরস, ঢাকা রেলস্টেশন ও যাত্রাবাড়ী।
এদিন ঢাকা ছিল মিছিল ও সভা-সমাবেশের শহর। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন ছাত্র-শ্রমিক-কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এসব সভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। সেসব সভায় খ-অঞ্চলের সামরিক প্রশাসক কর্তৃক ঘোষিত ১১৫ নম্বর সামরিক আদেশের তীব্র সমালোচনা করা হয়।
সংবাদপত্র প্রেস কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত স্বাধিকারকামী প্রেস ওয়ার্কারদের একটি মিছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করে। জহুরুল হক হল (অর্থাৎ ইকবাল হল) ক্যানটিনে ঢাকা শহর ছাত্রলীগের আঞ্চলিক শাখাগুলোর সভাপতি ও সম্পাদকদের এক সভা শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে দ্বিতীয় রাজধানী এলাকায়, সন্ধ্যায় লালবাগ জগন্নাথ সাহা রোড, বালুরঘাট মাঠে সংশ্লিষ্ট ছাত্রলীগ শাখার উদ্যোগে পৃথক জনসভার আয়োজন হয়। সকালে ডিআইটি ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত টেলিভিশন নাট্যশিল্পীদের এক সভায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করা হয়। বাংলা একাডেমিতে বিকেলে ড. আহমদ শরীফের সভাপতিত্বে সভা হয়।
বিকেলে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া গ্রুপের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক জনসভায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ন্যূনতম চার দফা শর্ত মেনে নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে আহ্বান জানানো হয়।
গ্রন্থনা: জাহীদ রেজা নূর
১৪ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন। তিনি বিবৃতিতে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, এ অবস্থায় কোনো কোনো অবিবেচক ব্যক্তি সামরিক আইন জারি করে বেসামরিক কর্মচারীদের একাংশকে দমিয়ে দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু আজ ঐক্যবদ্ধ আপামর জনগণ সামরিক আইনের কাছে নতি স্বীকার না করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
দের প্রতি সামরিক আইনের সর্বশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের প্রতি আমার অনুরোধ, তাঁরা যেন হুমকির সামনে মাথা নত না করেন। বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি জনগণ তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের পেছনে রয়েছে। তাঁদের ভয় দেখাবার বর্তমান প্রয়াস বাংলাদেশের জনগণকে ভ্রুকুটি করার প্রচেষ্টার মতোই প্রতিহত করা হবে। বাংলাদেশের মুক্তি আকাঙ্ক্ষাকে নির্মূল করা যাবে না। আমরা অজেয়। কারণ, আমরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত এবং প্রয়োজনে আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধররাও যেন স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে স্বাধীন ও মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারে, তার নিশ্চয়তা বিধান করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমি যেকোনো আত্মত্যাগে প্রস্তুত থাকতে এবং কোনো প্রকার শক্তি প্রয়োগ করলে তা সম্ভাব্য সকল উপায়ে প্রতিরোধ করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
এই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের অসহযোগ আন্দোলনের ৩৫ দফা নির্দেশ জারি করেন। এই নতুন নির্দেশ জারির পর পুরোনো নির্দেশগুলো বাতিল হয়ে যাবে। সরকারি বিভাগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পুলিশ বিভাগ, আনসার বাহিনী, আমদানি, রেলওয়ে, ডাক ও তার, টেলিফোন, রেডিও-টেলিভিশন, খাদ্য সরবরাহ ইত্যাদি নানা প্রতিষ্ঠানের প্রতি এই নির্দেশ জারি হয়। পুনর্বার নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর-খাজনা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
করাচির নিশতার পার্কের এক জনসভায় পিপিপির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো এক পাকিস্তানের দুই অঞ্চলে দুই দলের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানান।
এদিন সকালে ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ন্যাপপ্রধান খান আব্দুল ওয়ালী খানের সঙ্গে ৮৫ মিনিটব্যাপী এক বৈঠক করেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে জনাব ওয়ালী খান বলেন, তিনি আওয়ামী লীগপ্রধানের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক সমস্যাবলি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং আরও আলোচনা করবেন। জাতীয় পরিষদ হচ্ছে শাসনতান্ত্রিক সমস্যা আলোচনা শুরু হওয়ার উপযুক্ত স্থান। বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কামারুজ্জামান এবং ওয়ালী খানের সঙ্গে জনাব গাউস বক্স বেজেন্জো উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে একজন বিদেশি সাংবাদিক শেখ মুজিবকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে রাজি আছেন?’ জবাবে বঙ্গবন্ধু পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি ঢাকায় এসেছেন?’ সাংবাদিক জবাব দেন, ‘না।’ শেখ মুজিব বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে কীভাবে দেখা হতে পারে? তবে প্রেসিডেন্ট ঢাকায় এলে আমি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে রাজি আছি।’
এদিন স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে সম্পদ পাচার বন্ধের জন্য সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক নিম্নলিখিত স্থানে সোমবার থেকে চেকপোস্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানগুলো হলো ফার্মগেট হোটেল সালমারের সামনে, শহীদ তিতুমীর কলেজ গেট, পাক মোটরস, ঢাকা রেলস্টেশন ও যাত্রাবাড়ী।
এদিন ঢাকা ছিল মিছিল ও সভা-সমাবেশের শহর। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন ছাত্র-শ্রমিক-কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এসব সভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। সেসব সভায় খ-অঞ্চলের সামরিক প্রশাসক কর্তৃক ঘোষিত ১১৫ নম্বর সামরিক আদেশের তীব্র সমালোচনা করা হয়।
সংবাদপত্র প্রেস কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত স্বাধিকারকামী প্রেস ওয়ার্কারদের একটি মিছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করে। জহুরুল হক হল (অর্থাৎ ইকবাল হল) ক্যানটিনে ঢাকা শহর ছাত্রলীগের আঞ্চলিক শাখাগুলোর সভাপতি ও সম্পাদকদের এক সভা শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে দ্বিতীয় রাজধানী এলাকায়, সন্ধ্যায় লালবাগ জগন্নাথ সাহা রোড, বালুরঘাট মাঠে সংশ্লিষ্ট ছাত্রলীগ শাখার উদ্যোগে পৃথক জনসভার আয়োজন হয়। সকালে ডিআইটি ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত টেলিভিশন নাট্যশিল্পীদের এক সভায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করা হয়। বাংলা একাডেমিতে বিকেলে ড. আহমদ শরীফের সভাপতিত্বে সভা হয়।
বিকেলে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া গ্রুপের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক জনসভায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ন্যূনতম চার দফা শর্ত মেনে নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে আহ্বান জানানো হয়।
গ্রন্থনা: জাহীদ রেজা নূর
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে