মো. বায়েজীদ বিন ওয়াহিদ, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ)
জামালগঞ্জ উপজেলায় বঙ্গারকুড়ি নদীর ওপর প্রায় চার যুগেও তৈরি হয়নি সেতু। এ উপজেলার ১৩টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস হলেও উন্নতি হয়নি যোগাযোগ ব্যবস্থার। বাঁশের সাঁকোই ঝুঁকি নিয়ে পারাপর হতে হয় তাঁদের। এ ভোগান্তি নিরসনে সেতুর দাবি জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, আছানপুর, হরিপুর, দুর্গাপুর, মদনাকান্দি, রামজীবনপুর, হরিনাকান্দি, পৈন্ডুপ, মামুদপুর, হিজলাসহ প্রায় ১৩টি গ্রামের বাসিন্দারা বাঁশের সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও কোনো এ নদীতে একটি সেতু হয়নি। এদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন উন্নয়ন না হওয়ায় রাষ্ট্রের অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এই হাওরাঞ্চলের জনপদ।
স্থানীয়রা আরও জানান, প্রতি বছরই শুকনো মৌসুমে বেহেলী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এই বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। আর এটিই উপজেলা সদরের সঙ্গে ১৩ গ্রামের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।
ইনাতনগর গ্রামের সমিরণ দাস বলেন, বঙ্গারকুড়ি নদীতে সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে হয়। ১৩ গ্রামের কর্মজীবী, শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হতে হয়। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সেতুটির উত্তর পশ্চিমে অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষকে নিত্যদিন কৃষিপণ্য, বিপণন, চিকিৎসা ও শিক্ষার্থীদের নানা কাজে আসতে হয়। তা ছাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাচনা বাজার থেকে বর্ষা মৌসুমে নৌকা দিয়ে ৪ মাস এসব গ্রামের মানুষের চলাচল করে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের আট মাসই এই পথ দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়।
এদিকে কৃষকেরা জানান, তাঁদের উৎপাদিত ধানসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য সহজভাবে বাজারজাত করতে না পারায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেকটা বাধ্য হয়ে জমিতেই বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে কৃষিপণ্য বিক্রি করছেন।
হাওরিয়া আলিপুরের আ. জব্বার জানান, এই এলাকার ছোট-বড় প্রায় ১৩টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। বাঁশের সাঁকোর দুই পাশে ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডি প্রকল্পের মাধ্যমে সাবমারসেবল রাস্তা করা হয়েছে। এ সড়কটি বর্ষায় ডুবে যায়। কিন্তু হেমন্তের ৮ মাস সাঁকোর দুই পাশে পাকা রাস্তা থাকলেও ১০০ ফিটের মতো বঙ্গারকুড়ি মরা নদীতে এসে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষদের পারাপার হতে হয়।
এ ব্যাপারে বেহেলী ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে প্রতি বছরই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টিআরের মাধ্যমে বাঁশের সাঁকো করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিদিন শত শত গাড়ি আসা-যাওয়ার কারণে প্রতি সপ্তাহেই সাঁকোটি মেরামত করতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, এই মরা নদীতে একটি কংক্রিট সেতু হলে এসব গ্রামের ৩০-৩৫ হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছি। আশা করছি এ বছরই দ্রুত সেতুটি করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ কমবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বেহেলীর মরা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। গত বছর আমরা মাপজোক করে করোনার জন্য আর এগোতে পারিনি। তবে এ বছর চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব প্রস্তাব পাঠানোর জন্য। তা ছাড়া আমাদের কাছে পুরো মাপজোকের হিসাব আছে।’
জামালগঞ্জ উপজেলায় বঙ্গারকুড়ি নদীর ওপর প্রায় চার যুগেও তৈরি হয়নি সেতু। এ উপজেলার ১৩টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস হলেও উন্নতি হয়নি যোগাযোগ ব্যবস্থার। বাঁশের সাঁকোই ঝুঁকি নিয়ে পারাপর হতে হয় তাঁদের। এ ভোগান্তি নিরসনে সেতুর দাবি জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, আছানপুর, হরিপুর, দুর্গাপুর, মদনাকান্দি, রামজীবনপুর, হরিনাকান্দি, পৈন্ডুপ, মামুদপুর, হিজলাসহ প্রায় ১৩টি গ্রামের বাসিন্দারা বাঁশের সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও কোনো এ নদীতে একটি সেতু হয়নি। এদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন উন্নয়ন না হওয়ায় রাষ্ট্রের অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এই হাওরাঞ্চলের জনপদ।
স্থানীয়রা আরও জানান, প্রতি বছরই শুকনো মৌসুমে বেহেলী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এই বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। আর এটিই উপজেলা সদরের সঙ্গে ১৩ গ্রামের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।
ইনাতনগর গ্রামের সমিরণ দাস বলেন, বঙ্গারকুড়ি নদীতে সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে হয়। ১৩ গ্রামের কর্মজীবী, শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হতে হয়। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সেতুটির উত্তর পশ্চিমে অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষকে নিত্যদিন কৃষিপণ্য, বিপণন, চিকিৎসা ও শিক্ষার্থীদের নানা কাজে আসতে হয়। তা ছাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাচনা বাজার থেকে বর্ষা মৌসুমে নৌকা দিয়ে ৪ মাস এসব গ্রামের মানুষের চলাচল করে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের আট মাসই এই পথ দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়।
এদিকে কৃষকেরা জানান, তাঁদের উৎপাদিত ধানসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য সহজভাবে বাজারজাত করতে না পারায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেকটা বাধ্য হয়ে জমিতেই বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে কৃষিপণ্য বিক্রি করছেন।
হাওরিয়া আলিপুরের আ. জব্বার জানান, এই এলাকার ছোট-বড় প্রায় ১৩টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। বাঁশের সাঁকোর দুই পাশে ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডি প্রকল্পের মাধ্যমে সাবমারসেবল রাস্তা করা হয়েছে। এ সড়কটি বর্ষায় ডুবে যায়। কিন্তু হেমন্তের ৮ মাস সাঁকোর দুই পাশে পাকা রাস্তা থাকলেও ১০০ ফিটের মতো বঙ্গারকুড়ি মরা নদীতে এসে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষদের পারাপার হতে হয়।
এ ব্যাপারে বেহেলী ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে প্রতি বছরই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টিআরের মাধ্যমে বাঁশের সাঁকো করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিদিন শত শত গাড়ি আসা-যাওয়ার কারণে প্রতি সপ্তাহেই সাঁকোটি মেরামত করতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, এই মরা নদীতে একটি কংক্রিট সেতু হলে এসব গ্রামের ৩০-৩৫ হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছি। আশা করছি এ বছরই দ্রুত সেতুটি করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ কমবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বেহেলীর মরা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। গত বছর আমরা মাপজোক করে করোনার জন্য আর এগোতে পারিনি। তবে এ বছর চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব প্রস্তাব পাঠানোর জন্য। তা ছাড়া আমাদের কাছে পুরো মাপজোকের হিসাব আছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে