শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
মাঠ থেকে আলু তুলে বস্তা ভরতে ব্যস্ত কৃষক-শ্রমিকেরা। লাঙল, বাশিলা, কোদাল, পাসুন আর থলে নিয়ে খেতের আইলে বসে আছে একদল শিশু। জমি থেকে আলু ওঠানো শেষ হতেই হুমড়ি খেয়ে মাটি খুঁড়ে কৃষকের এড়িয়ে যাওয়া আলু বের করছে তারা। সেই আলু নিজ থলেতে ভরছে। অভাবের সময় পরিবারে সবজির জোগান দেওয়ার জন্য আলু সংগ্রহে নেমেছে তারাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র পরিবারের স্কুল পড়ুয়া শিশুরা।
গতকাল সোমবার মেনানগর মাঠে কথা হয় আলু কুড়াতে আসা দলের শিশু আবু সাঈদের সঙ্গে। সে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। স্কুল না গিয়ে আলু কুড়াতে আসার কারণ জানতেই সাঈদ বলে, ‘মা কইছে-করোনাত বহুদিন স্কুল বন্ধ আছলো। অ্যালা দুই-তিন দিন স্কুল না গেইলে কিছু হবার নেয়। তাঁর চেয়া আলু কুড়াও, অকালের দিন খাবার পামো। ওই জন্য দোলাত আলু কুড়ার আলছি।’
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকেরা সাধারণত নারী শ্রমিক দিয়ে খেতের আলু তুলে থাকেন। আলু তোলার সময় অসতর্কতার কারণে কিছু আলু মাটিতে চাপা পড়ে যায়। ওই শিশুদের মূল লক্ষ্য হলো এসব আলু সংগ্রহ করা। তারা বাশিলা, কোদাল, পাসুন, ছোট লাঙল ব্যবহার করে মাটি খুঁড়ে ওই আলু বের করে আনে। জমি চাষ করার সময়ও ট্রাক্টরের আঁচড়ে উঠে আসা আলু। মহা আনন্দে তারা দল বেঁধে কুড়িয়ে থাকে সেই আলু। মাঝেমধ্যে জমির মালিকের বকাঝকাও তাদের কপালে জোটে।
দুপুর ১২টায় মাটিয়ালপাড়ার মাঠে কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে ৩০-৪০ জনকে আলু কুড়াতে দেখা যায়। সেখানে কথা হয় জুম্মাপাড়া গ্রামের শিমুল ইসলাম (৮) ও সাইফুল ইসলামের (১০) সঙ্গে। তারা জানায়, সারা দিন চার-পাঁচ কেজি আলু পায়। বাড়িতে নিয়ে মাকে দেয়। সেই আলু দিয়ে তরকারি রান্না করেন তাদের মা।
পাকারপুল মাঠে আলু তোলার কাজ করছিলেন ইকরচালী গ্রামের গৃহবধূ হাসিনা। দুপুরের বিরতি দিতেই তাঁর কাছে বোতলভর্তি পানি নিয়ে আসেন ১২ বছরের একটি কন্যাশিশু ও ১০ বছরের একটি ছেলেশিশু। তাদের কাঁধে প্লাস্টিকের ব্যাগ, বাশিলা আর কোদাল।
হাসিনা জানান, দুজনেই তাঁর সন্তান। সারা দিন আলু তুলে তিনি মজুরি হিসেবে পান ১৫০ টাকা। কাজে আসার সময় সঙ্গে সন্তানদের নিয়ে এসেছেন। যাতে সারা দিন তারা আলু কুড়াতে পারে। তিনিও কাজ শেষে সন্তানদের সঙ্গে আলু কুড়িয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন। কুড়ানো আলু দিয়ে সারা বছর পার হয় বলে জানান তিনি।
ওই মাঠে কথা হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রিশাদ হোসেনের সঙ্গে। সে জানায়, আলু তোলার মৌসুমে স্কুল ছুটির পর তারা দল বেঁধে আলু কুড়াতে বের হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত আলু কুড়িয়ে যা পায় তা মায়ের কাছে জমা দেয়। মায়েরা এসব আলু হাঁড়ি-পাতিল, বালুতে সংরক্ষণ করে রাখেন। অভাবের সময়টাতে এসব আলু খান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঊর্মি তাবাসসুম আজকের পত্রিকা বলেন, ‘উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে এবার ৩ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। কৃষকেরা খেত থেকে আলু সংগ্রহ শুরু করেছেন। খেতে এড়িয়ে যাওয়া আলু কুড়িয়ে অনেকেই পরিবারের সবজির চাহিদা মেটান।’
মাঠ থেকে আলু তুলে বস্তা ভরতে ব্যস্ত কৃষক-শ্রমিকেরা। লাঙল, বাশিলা, কোদাল, পাসুন আর থলে নিয়ে খেতের আইলে বসে আছে একদল শিশু। জমি থেকে আলু ওঠানো শেষ হতেই হুমড়ি খেয়ে মাটি খুঁড়ে কৃষকের এড়িয়ে যাওয়া আলু বের করছে তারা। সেই আলু নিজ থলেতে ভরছে। অভাবের সময় পরিবারে সবজির জোগান দেওয়ার জন্য আলু সংগ্রহে নেমেছে তারাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র পরিবারের স্কুল পড়ুয়া শিশুরা।
গতকাল সোমবার মেনানগর মাঠে কথা হয় আলু কুড়াতে আসা দলের শিশু আবু সাঈদের সঙ্গে। সে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। স্কুল না গিয়ে আলু কুড়াতে আসার কারণ জানতেই সাঈদ বলে, ‘মা কইছে-করোনাত বহুদিন স্কুল বন্ধ আছলো। অ্যালা দুই-তিন দিন স্কুল না গেইলে কিছু হবার নেয়। তাঁর চেয়া আলু কুড়াও, অকালের দিন খাবার পামো। ওই জন্য দোলাত আলু কুড়ার আলছি।’
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকেরা সাধারণত নারী শ্রমিক দিয়ে খেতের আলু তুলে থাকেন। আলু তোলার সময় অসতর্কতার কারণে কিছু আলু মাটিতে চাপা পড়ে যায়। ওই শিশুদের মূল লক্ষ্য হলো এসব আলু সংগ্রহ করা। তারা বাশিলা, কোদাল, পাসুন, ছোট লাঙল ব্যবহার করে মাটি খুঁড়ে ওই আলু বের করে আনে। জমি চাষ করার সময়ও ট্রাক্টরের আঁচড়ে উঠে আসা আলু। মহা আনন্দে তারা দল বেঁধে কুড়িয়ে থাকে সেই আলু। মাঝেমধ্যে জমির মালিকের বকাঝকাও তাদের কপালে জোটে।
দুপুর ১২টায় মাটিয়ালপাড়ার মাঠে কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে ৩০-৪০ জনকে আলু কুড়াতে দেখা যায়। সেখানে কথা হয় জুম্মাপাড়া গ্রামের শিমুল ইসলাম (৮) ও সাইফুল ইসলামের (১০) সঙ্গে। তারা জানায়, সারা দিন চার-পাঁচ কেজি আলু পায়। বাড়িতে নিয়ে মাকে দেয়। সেই আলু দিয়ে তরকারি রান্না করেন তাদের মা।
পাকারপুল মাঠে আলু তোলার কাজ করছিলেন ইকরচালী গ্রামের গৃহবধূ হাসিনা। দুপুরের বিরতি দিতেই তাঁর কাছে বোতলভর্তি পানি নিয়ে আসেন ১২ বছরের একটি কন্যাশিশু ও ১০ বছরের একটি ছেলেশিশু। তাদের কাঁধে প্লাস্টিকের ব্যাগ, বাশিলা আর কোদাল।
হাসিনা জানান, দুজনেই তাঁর সন্তান। সারা দিন আলু তুলে তিনি মজুরি হিসেবে পান ১৫০ টাকা। কাজে আসার সময় সঙ্গে সন্তানদের নিয়ে এসেছেন। যাতে সারা দিন তারা আলু কুড়াতে পারে। তিনিও কাজ শেষে সন্তানদের সঙ্গে আলু কুড়িয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন। কুড়ানো আলু দিয়ে সারা বছর পার হয় বলে জানান তিনি।
ওই মাঠে কথা হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রিশাদ হোসেনের সঙ্গে। সে জানায়, আলু তোলার মৌসুমে স্কুল ছুটির পর তারা দল বেঁধে আলু কুড়াতে বের হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত আলু কুড়িয়ে যা পায় তা মায়ের কাছে জমা দেয়। মায়েরা এসব আলু হাঁড়ি-পাতিল, বালুতে সংরক্ষণ করে রাখেন। অভাবের সময়টাতে এসব আলু খান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঊর্মি তাবাসসুম আজকের পত্রিকা বলেন, ‘উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে এবার ৩ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। কৃষকেরা খেত থেকে আলু সংগ্রহ শুরু করেছেন। খেতে এড়িয়ে যাওয়া আলু কুড়িয়ে অনেকেই পরিবারের সবজির চাহিদা মেটান।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে