সম্পাদকীয়
এবার গায়েবি মামলা দিয়ে শুরু হয়েছে বাণিজ্য। বরিশাল থেকে সম্প্রতি পাওয়া একটি সংবাদ মামলা-হামলার সংবাদের মধ্যে নতুনত্ব নিয়ে এল। এই গায়েবি মামলা দিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। যে ঘটনা ঘটেইনি, সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গায়েবি মামলা করেছেন এক ভ্যানচালক। তাতে আওয়ামী লীগের প্রায় ২০০ সমর্থককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নাটের গুরু হিসেবে দেখা যাচ্ছে স্থানীয় বিএনপির নেতা আমির হোসেন আকনকে। ঘটনাটি ভয়ংকর এবং কৌতূহলোদ্দীপক।
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট ধারণা কারও নেই। তবে এ কথা সত্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন দল উদ্গ্রীব হয়ে আছে। কেউ এই সরকারকে কিছুটা সময় দিতে চাইছে, কেউ দ্রুত কিছু সংস্কারের পরই নির্বাচন দেওয়ার তাগিদ দিচ্ছে। এই দৌড়ে এগিয়ে আছে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী। দৃশ্যপটে বামপন্থী দলগুলোর উপস্থিতি একেবারেই ম্রিয়মাণ। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য অনেকেই রাখছেন উসকানিমূলক বক্তব্য। ইন্টারনেটে নানা ধরনের তথ্যের মধ্যে সত্য ও গুজবের পার্থক্য করা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। এ রকম একটা অবস্থায় সেনাবাহিনীকে ৬০ দিনের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে অরাজকতা ও মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটছে, তা সামাল দিতে হলে শক্ত হাতে দমন করার বিকল্প নেই।
এই গোটা বিষয়টি মাথায় রেখে বরিশালের গায়েবি মামলার ঘটনাটি তলিয়ে দেখতে হবে। প্রথম কথা হলো, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে ঘটনাগুলো নিয়ে সমালোচনা হয়েছে, সেগুলোই যদি অন্তর্বর্তী সরকারের সময় অন্য কোনো দল করতে থাকে, তাহলে পরিবর্তন তো কিছুই হলো না। দেখা গেছে, ক্ষমতা পরিবর্তনের পরপরই আওয়ামী লীগের জায়গায় বিএনপির চাঁদাবাজেরা এসে পরিবহন খাতসহ বিভিন্ন খাতে স্থায়ী আসন গেড়ে বসেছে। প্রশাসনেও একের জায়গায় অন্যের জায়গা হয়ে গেছে স্রেফ ‘পদোন্নতিবঞ্চিত’ ছিলেন বলে। দক্ষতাহীনতা বা মামলার কারণে যাঁদের পদোন্নতি আটকে ছিল, তাঁরাও সদর্পে পদোন্নতির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। এখন যদি স্থানীয়ভাবেও এই একই জুলুম চলতে থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করবে কে?
৭ সেপ্টেম্বর বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ভাসানচর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নাকি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বিএনপি। এ রকম কোনো ঘটনা সেদিন সেখানে ঘটেনি। কিন্তু এই আজগুবি অনুষ্ঠানের সূত্র ধরে কাজীরহাট থানায় এক ভ্যানচালককে দিয়ে মামলা করানো হয়েছে। সেই মামলায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের প্রায় ২০০ সশস্ত্র কর্মী নাকি সমাবেশস্থলে এসে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। সারা দেশে আওয়ামী লীগ রয়েছে দৌড়ের ওপরে। এ রকম অভিযোগের যে কোনো ভিত্তি থাকতে পারে না, সেটা মামলাকারীরাও জানেন। তাহলে মামলা করা হলো কেন? প্রশ্নটা সহজ ও উত্তরও সবার জানা। মামলার সূত্র ধরে এবার শুরু হয়েছে গ্রেপ্তার-বাণিজ্য। ফেলো কড়ি, মুক্ত হয়ে যাও!
সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেয়েছে। এই গায়েবি মামলাবাজদের ব্যাপারে তারা কী পদক্ষেপ নেয়, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি আমরা।
এবার গায়েবি মামলা দিয়ে শুরু হয়েছে বাণিজ্য। বরিশাল থেকে সম্প্রতি পাওয়া একটি সংবাদ মামলা-হামলার সংবাদের মধ্যে নতুনত্ব নিয়ে এল। এই গায়েবি মামলা দিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। যে ঘটনা ঘটেইনি, সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গায়েবি মামলা করেছেন এক ভ্যানচালক। তাতে আওয়ামী লীগের প্রায় ২০০ সমর্থককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নাটের গুরু হিসেবে দেখা যাচ্ছে স্থানীয় বিএনপির নেতা আমির হোসেন আকনকে। ঘটনাটি ভয়ংকর এবং কৌতূহলোদ্দীপক।
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট ধারণা কারও নেই। তবে এ কথা সত্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন দল উদ্গ্রীব হয়ে আছে। কেউ এই সরকারকে কিছুটা সময় দিতে চাইছে, কেউ দ্রুত কিছু সংস্কারের পরই নির্বাচন দেওয়ার তাগিদ দিচ্ছে। এই দৌড়ে এগিয়ে আছে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী। দৃশ্যপটে বামপন্থী দলগুলোর উপস্থিতি একেবারেই ম্রিয়মাণ। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য অনেকেই রাখছেন উসকানিমূলক বক্তব্য। ইন্টারনেটে নানা ধরনের তথ্যের মধ্যে সত্য ও গুজবের পার্থক্য করা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। এ রকম একটা অবস্থায় সেনাবাহিনীকে ৬০ দিনের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে অরাজকতা ও মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটছে, তা সামাল দিতে হলে শক্ত হাতে দমন করার বিকল্প নেই।
এই গোটা বিষয়টি মাথায় রেখে বরিশালের গায়েবি মামলার ঘটনাটি তলিয়ে দেখতে হবে। প্রথম কথা হলো, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে ঘটনাগুলো নিয়ে সমালোচনা হয়েছে, সেগুলোই যদি অন্তর্বর্তী সরকারের সময় অন্য কোনো দল করতে থাকে, তাহলে পরিবর্তন তো কিছুই হলো না। দেখা গেছে, ক্ষমতা পরিবর্তনের পরপরই আওয়ামী লীগের জায়গায় বিএনপির চাঁদাবাজেরা এসে পরিবহন খাতসহ বিভিন্ন খাতে স্থায়ী আসন গেড়ে বসেছে। প্রশাসনেও একের জায়গায় অন্যের জায়গা হয়ে গেছে স্রেফ ‘পদোন্নতিবঞ্চিত’ ছিলেন বলে। দক্ষতাহীনতা বা মামলার কারণে যাঁদের পদোন্নতি আটকে ছিল, তাঁরাও সদর্পে পদোন্নতির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। এখন যদি স্থানীয়ভাবেও এই একই জুলুম চলতে থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করবে কে?
৭ সেপ্টেম্বর বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ভাসানচর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নাকি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বিএনপি। এ রকম কোনো ঘটনা সেদিন সেখানে ঘটেনি। কিন্তু এই আজগুবি অনুষ্ঠানের সূত্র ধরে কাজীরহাট থানায় এক ভ্যানচালককে দিয়ে মামলা করানো হয়েছে। সেই মামলায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের প্রায় ২০০ সশস্ত্র কর্মী নাকি সমাবেশস্থলে এসে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। সারা দেশে আওয়ামী লীগ রয়েছে দৌড়ের ওপরে। এ রকম অভিযোগের যে কোনো ভিত্তি থাকতে পারে না, সেটা মামলাকারীরাও জানেন। তাহলে মামলা করা হলো কেন? প্রশ্নটা সহজ ও উত্তরও সবার জানা। মামলার সূত্র ধরে এবার শুরু হয়েছে গ্রেপ্তার-বাণিজ্য। ফেলো কড়ি, মুক্ত হয়ে যাও!
সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেয়েছে। এই গায়েবি মামলাবাজদের ব্যাপারে তারা কী পদক্ষেপ নেয়, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি আমরা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে