উবায়দুল্লাহ বাদল ও শাহরিয়ার হাসান
ঈদুল আজহার পর প্রশাসনে পদোন্নতি ও বড় পরিবর্তন হচ্ছে। ২৫ থেকে ৩০ জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বদল হচ্ছে। প্রশাসনে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে পদোন্নতি হচ্ছে। বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদেও পর্যায়ক্রমে বড় পরিবর্তন আনা হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসনে এসব পদোন্নতি, রদবদল হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অন্তত ১৩ সচিব স্বাভাবিক নিয়মে অবসরে যাচ্ছেন। তাঁদের কয়েকজনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। পুলিশ বিভাগে ৭২০ পদস্থ কর্মকর্তার পদোন্নতির প্রস্তাব পুলিশ সদর দপ্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। মন্ত্রণালয় তা মূল্যায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রশাসন এবং পুলিশে আসন্ন রদবদল ও পদোন্নতিকে কেউ কেউ ‘নির্বাচনী প্রশাসন সাজানো’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। কর্মকর্তাদের পদোন্নতি রুটিন কাজ। সচিবেরা অবসরে গেলে তাঁদের জায়গায় নতুন সচিব আসবেন। সরকার প্রয়োজনে যে কাউকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারে। ডিসি রদবদলও রুটিন কাজের অংশ। কাজেই এটাকে এভাবে দেখা ঠিক নয়।
ডিসিরা নির্বাচনের সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকায় যেকোনো কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ থেকে শুরু করে বাতিলের ক্ষমতাও তাঁদের থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা তথা ডিসির অধীনে। নির্বাচনের সময় সমন্বয়কারীর ভূমিকায়ও থাকেন ডিসিরা। তাঁরা উপসচিব পদের কর্মকর্তা।
সূত্র বলেছে, ঈদের পর ডিসি পদে বড় পরিবর্তন আসছে। নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে ডিসি নিয়োগে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। কারণ, গত বছরের ৫ জানুয়ারি ১১ উপসচিবকে ডিসি পদে নিয়োগের পর ‘ছাত্রদল সংশ্লিষ্টতার’ অভিযোগে একজনের নিয়োগ বাতিল করতে হয়েছিল। ২০২০ সালেও মেহেরপুরের ডিসি হিসেবে নিয়োগের পর ছাত্রদল সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন উপসচিবকেও পদায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে ৬৪ জেলার ২০টিতে ২২তম ব্যাচের, ২৮টিতে ২৪তম ব্যাচের ও ১৬টিতে ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তারা ডিসি রয়েছেন। ২২তম ব্যাচের ২০ জনসহ আরও কয়েকজন ডিসিকে ঈদের পর সরিয়ে বিসিএস ২৫ ও ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হতে পারে। এই দুই ব্যাচের অন্তত ৭৫ জনের নতুন ডিসি ফিটলিস্ট চূড়ান্ত হয়েছে। সূত্র জানায়, অন্তত ছয় মাস আগে দায়িত্ব না পেলে সংশ্লিষ্ট ডিসির পক্ষে জেলার নির্বাচন সামলানো কঠিন হবে। এটি বিবেচনায় নিয়েই ২৫ থেকে ৩০ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের অধিকাংশই বর্তমান সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে আছেন।
বিসিএস ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তারা ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল উপসচিব পদে পদোন্নতি পান। সেই হিসাবে এই পদে তাঁদের ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে। উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব পদে এবারের পদোন্নতিতে এই ব্যাচকে নিয়মিত বিবেচনা করা হচ্ছে। এই ব্যাচের কর্মকর্তা ২৪৫ জন। সূত্র বলেছে, বিভিন্ন ব্যাচ, ক্যাডার মিলিয়ে পদোন্নতির জন্য ৫৫০ কর্মকর্তার কর্মজীবনের নথিপত্র পর্যালোচনাসহ বিভিন্ন বিষয় যাচাই করা হচ্ছে। গত বছরের ২ নভেম্বর ১৭৯ জন উপসচিবকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
উপসচিব পদেও পদোন্নতি হচ্ছে
সূত্র জানায়, বিসিএস ২৯তম ব্যাচের কর্মকর্তারা ২০১১ সালের ১ আগস্ট চাকরিতে যোগ দেন। এই ব্যাচের ১৮৯ কর্মকর্তার অধিকাংশই উপসচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন। বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডার ও আগের বঞ্চিত অন্তত ২৫ জনকেও পদোন্নতির বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে। এর বাইরে উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য যোগ্য অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়ে গত ৪ এপ্রিল মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে এসব কর্মকর্তার তথ্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে।
এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব সরকারই নিজেদের অবস্থান বুঝে নির্বাচনের আগে প্রশাসন সাজায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দলীয়করণ করে। এটাই স্বাভাবিক। এ থেকে ভিন্ন কিছু আশা করাই দুরাশা। সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটাই বড় বাধা। এ ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলকেই সুবিধা দেয়। অতীতেও তাই ঘটেছে।’
নির্বাচনের আগেই অবসরে যাচ্ছেন ১৩ সচিব
আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগেই অন্তত ১৩ সচিব স্বাভাবিক অবসরে যাচ্ছেন। প্রশাসনের সূত্র বলেছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন আগামী ১৩ অক্টোবর অবসরে যাবেন। বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (সচিব) মু. মোহসিন চৌধুরী (৫ জুলাই), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান (১৪ সেপ্টেম্বর), সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আবদুস সালাম (২৬ সেপ্টেম্বর), স্বাস্থ্যসেবা সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার (৯ অক্টোবর), ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) আবুবকর ছিদ্দীক (৩০ অক্টোবর), অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন (১৮ নভেম্বর), ইআরডি সচিব শরিফা খান (২৪ নভেম্বর), শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এহসানে এলাহী (২৫ নভেম্বর) এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন (২৯ নভেম্বর) অবসরে যাবেন। ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়কসচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোছাম্মৎ নাসিমা বেগম এবং ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. ফয়জুল ইসলাম। এই ১৩ জনের মধ্যে ৪ থেকে ৫ জন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ কয়েকজন সচিবকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
ঊর্ধ্বতন পদে পদোন্নতি চেয়েছে পুলিশ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, পুলিশের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশ সদর দপ্তর ১৫তম বিসিএস ব্যাচের ১৬ অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের গ্রেড-২ থেকে গ্রেড-১-এ পদোন্নতি চেয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ সদর দপ্তর ১৭তম বিসিএস ব্যাচের ৩৪ উপমহাপরিদর্শককে অতিরিক্ত আইজিপি, ২২তম ব্যাচের ১৫৭ অতিরিক্ত ডিআইজিকে ডিআইজি, ২৪তম ব্যাচের ২৬৬ জন পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ২৮ ও ২৯তম ব্যাচের ২৪৭ অতিরিক্ত এসপিকে এসপি হিসেবে পদোন্নতির প্রস্তাব করেছে।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. মনজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এমন একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান বলেন, ‘প্রশাসনে পদোন্নতি, পদায়ন ও নিয়োগ নিয়মিত বিষয়। নির্বাচনের কারণে এসব বন্ধ থাকতে পারে না। কিন্তু পদোন্নতি, পদায়ন ও নিয়োগে যদি রাজনীতি ও দলীয় বিবেচনায় সব করা হয়, তা সংবিধানসম্মত হবে না।’
ঈদুল আজহার পর প্রশাসনে পদোন্নতি ও বড় পরিবর্তন হচ্ছে। ২৫ থেকে ৩০ জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বদল হচ্ছে। প্রশাসনে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে পদোন্নতি হচ্ছে। বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদেও পর্যায়ক্রমে বড় পরিবর্তন আনা হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসনে এসব পদোন্নতি, রদবদল হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অন্তত ১৩ সচিব স্বাভাবিক নিয়মে অবসরে যাচ্ছেন। তাঁদের কয়েকজনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। পুলিশ বিভাগে ৭২০ পদস্থ কর্মকর্তার পদোন্নতির প্রস্তাব পুলিশ সদর দপ্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। মন্ত্রণালয় তা মূল্যায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রশাসন এবং পুলিশে আসন্ন রদবদল ও পদোন্নতিকে কেউ কেউ ‘নির্বাচনী প্রশাসন সাজানো’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। কর্মকর্তাদের পদোন্নতি রুটিন কাজ। সচিবেরা অবসরে গেলে তাঁদের জায়গায় নতুন সচিব আসবেন। সরকার প্রয়োজনে যে কাউকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারে। ডিসি রদবদলও রুটিন কাজের অংশ। কাজেই এটাকে এভাবে দেখা ঠিক নয়।
ডিসিরা নির্বাচনের সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকায় যেকোনো কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ থেকে শুরু করে বাতিলের ক্ষমতাও তাঁদের থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা তথা ডিসির অধীনে। নির্বাচনের সময় সমন্বয়কারীর ভূমিকায়ও থাকেন ডিসিরা। তাঁরা উপসচিব পদের কর্মকর্তা।
সূত্র বলেছে, ঈদের পর ডিসি পদে বড় পরিবর্তন আসছে। নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে ডিসি নিয়োগে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। কারণ, গত বছরের ৫ জানুয়ারি ১১ উপসচিবকে ডিসি পদে নিয়োগের পর ‘ছাত্রদল সংশ্লিষ্টতার’ অভিযোগে একজনের নিয়োগ বাতিল করতে হয়েছিল। ২০২০ সালেও মেহেরপুরের ডিসি হিসেবে নিয়োগের পর ছাত্রদল সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন উপসচিবকেও পদায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে ৬৪ জেলার ২০টিতে ২২তম ব্যাচের, ২৮টিতে ২৪তম ব্যাচের ও ১৬টিতে ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তারা ডিসি রয়েছেন। ২২তম ব্যাচের ২০ জনসহ আরও কয়েকজন ডিসিকে ঈদের পর সরিয়ে বিসিএস ২৫ ও ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হতে পারে। এই দুই ব্যাচের অন্তত ৭৫ জনের নতুন ডিসি ফিটলিস্ট চূড়ান্ত হয়েছে। সূত্র জানায়, অন্তত ছয় মাস আগে দায়িত্ব না পেলে সংশ্লিষ্ট ডিসির পক্ষে জেলার নির্বাচন সামলানো কঠিন হবে। এটি বিবেচনায় নিয়েই ২৫ থেকে ৩০ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের অধিকাংশই বর্তমান সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে আছেন।
বিসিএস ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তারা ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল উপসচিব পদে পদোন্নতি পান। সেই হিসাবে এই পদে তাঁদের ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে। উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব পদে এবারের পদোন্নতিতে এই ব্যাচকে নিয়মিত বিবেচনা করা হচ্ছে। এই ব্যাচের কর্মকর্তা ২৪৫ জন। সূত্র বলেছে, বিভিন্ন ব্যাচ, ক্যাডার মিলিয়ে পদোন্নতির জন্য ৫৫০ কর্মকর্তার কর্মজীবনের নথিপত্র পর্যালোচনাসহ বিভিন্ন বিষয় যাচাই করা হচ্ছে। গত বছরের ২ নভেম্বর ১৭৯ জন উপসচিবকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
উপসচিব পদেও পদোন্নতি হচ্ছে
সূত্র জানায়, বিসিএস ২৯তম ব্যাচের কর্মকর্তারা ২০১১ সালের ১ আগস্ট চাকরিতে যোগ দেন। এই ব্যাচের ১৮৯ কর্মকর্তার অধিকাংশই উপসচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন। বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডার ও আগের বঞ্চিত অন্তত ২৫ জনকেও পদোন্নতির বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে। এর বাইরে উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য যোগ্য অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়ে গত ৪ এপ্রিল মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে এসব কর্মকর্তার তথ্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে।
এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব সরকারই নিজেদের অবস্থান বুঝে নির্বাচনের আগে প্রশাসন সাজায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দলীয়করণ করে। এটাই স্বাভাবিক। এ থেকে ভিন্ন কিছু আশা করাই দুরাশা। সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটাই বড় বাধা। এ ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলকেই সুবিধা দেয়। অতীতেও তাই ঘটেছে।’
নির্বাচনের আগেই অবসরে যাচ্ছেন ১৩ সচিব
আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগেই অন্তত ১৩ সচিব স্বাভাবিক অবসরে যাচ্ছেন। প্রশাসনের সূত্র বলেছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন আগামী ১৩ অক্টোবর অবসরে যাবেন। বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (সচিব) মু. মোহসিন চৌধুরী (৫ জুলাই), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান (১৪ সেপ্টেম্বর), সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আবদুস সালাম (২৬ সেপ্টেম্বর), স্বাস্থ্যসেবা সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার (৯ অক্টোবর), ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) আবুবকর ছিদ্দীক (৩০ অক্টোবর), অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন (১৮ নভেম্বর), ইআরডি সচিব শরিফা খান (২৪ নভেম্বর), শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এহসানে এলাহী (২৫ নভেম্বর) এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন (২৯ নভেম্বর) অবসরে যাবেন। ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়কসচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোছাম্মৎ নাসিমা বেগম এবং ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. ফয়জুল ইসলাম। এই ১৩ জনের মধ্যে ৪ থেকে ৫ জন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ কয়েকজন সচিবকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
ঊর্ধ্বতন পদে পদোন্নতি চেয়েছে পুলিশ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, পুলিশের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশ সদর দপ্তর ১৫তম বিসিএস ব্যাচের ১৬ অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের গ্রেড-২ থেকে গ্রেড-১-এ পদোন্নতি চেয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ সদর দপ্তর ১৭তম বিসিএস ব্যাচের ৩৪ উপমহাপরিদর্শককে অতিরিক্ত আইজিপি, ২২তম ব্যাচের ১৫৭ অতিরিক্ত ডিআইজিকে ডিআইজি, ২৪তম ব্যাচের ২৬৬ জন পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ২৮ ও ২৯তম ব্যাচের ২৪৭ অতিরিক্ত এসপিকে এসপি হিসেবে পদোন্নতির প্রস্তাব করেছে।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. মনজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এমন একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান বলেন, ‘প্রশাসনে পদোন্নতি, পদায়ন ও নিয়োগ নিয়মিত বিষয়। নির্বাচনের কারণে এসব বন্ধ থাকতে পারে না। কিন্তু পদোন্নতি, পদায়ন ও নিয়োগে যদি রাজনীতি ও দলীয় বিবেচনায় সব করা হয়, তা সংবিধানসম্মত হবে না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে