আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ৪৮ কিলোমিটার ৬ লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। কিন্তু এ জন্য এখনো জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াই সম্পন্ন করা হয়নি। ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জমি বুঝে না পাওয়ায় পুরোদমে মূল সড়কের কাজ শুরু করতে পারছে না। শুধু কয়েকটি স্থানে প্রকল্পের আওতাভুক্ত অবকাঠামোর পাইলিং, লোড টেস্ট আর কালভার্ট তৈরি করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের নভেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডর (উইকেয়ার) ফেজ-১-এর আওতায় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ৬ লেন উন্নয়ন প্রকল্পটি (এন-৭) অনুমোদন দেওয়া হয়। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর এটি বাস্তবায়ন করছে। ৪ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুনে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াই সম্পন্ন না হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এই ৪৮ কিলোমিটার মহাসড়কে থাকবে একটি উড়ালসড়ক, চারটি বড় সেতু, ৫৫টি কালভার্ট, ১২টি পদচারী-সেতু, ১০ মিটার দীর্ঘের একটি আন্ডারপাস ও অপটিক্যাল ফাইবার কেব্ল ডিজাইন। এ ছাড়া ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সদর উপজেলার বিষয়খালী, চুটলিয়া মোড় ও ধোপাঘাটা সেতু এলাকায় ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে পাইলিংয়ের কাজ। এ ছাড়া তৈরি করা হচ্ছে পদচারী-সেতুর জন্য গার্ডার। চুটলিয়া মোড়ে এখন করা হচ্ছে লোড টেস্টের কাজ। কিন্তু সড়কের কোনো অংশের জমি এখনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এতে যেমন বিপাকে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, একই সঙ্গে সমস্যায় পড়েছেন জমির মালিকেরা।
চুটলিয়া এলাকার কৃষক নাসির উদ্দিন বলেন, কয়েক বছর ধরে শুনছি জমির টাকা দিয়ে দেবে; কিন্তু জমি নিচ্ছে না, আবার টাকাও দিচ্ছে না—এদিকে রাস্তার কাজ শুরু হয়ে গেছে। একই এলাকার আরেক কৃষক নাদের মালিথা বলেন, ‘আমাদের জমির জন্য ৭ ধারার নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু এরপর আর কোনো নোটিশ পাইনি। এখন জমি তো ফেলে রাখতে পারছি না, আবার চাষও করতে পারছি না। ধান লাগালে তো আমাদের একটু হলেও উপকারে আসত। কী করব, খুব দ্বিধায় আছি।’
কাজের অগ্রগতির ব্যাপারে আলাপ হলে উইকেয়ার ফেজ-১-এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নিলন আলী বলেন, ‘আমাদের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। মান বজায় রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে জমি বুঝে পাই, তাহলে কাজও পুরোদমে শুরু হবে আর আমরাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ বুঝিয়ে দিতে পারব।’
জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অধিগ্রহণ করা জমির জন্য সড়ক বিভাগসহ কয়েকটি দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের তালিকা দ্রুত দিলে আমরা টাকার জন্য চিঠি পাঠাব। তারপর অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ৪৮ কিলোমিটার ৬ লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। কিন্তু এ জন্য এখনো জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াই সম্পন্ন করা হয়নি। ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জমি বুঝে না পাওয়ায় পুরোদমে মূল সড়কের কাজ শুরু করতে পারছে না। শুধু কয়েকটি স্থানে প্রকল্পের আওতাভুক্ত অবকাঠামোর পাইলিং, লোড টেস্ট আর কালভার্ট তৈরি করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের নভেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডর (উইকেয়ার) ফেজ-১-এর আওতায় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ৬ লেন উন্নয়ন প্রকল্পটি (এন-৭) অনুমোদন দেওয়া হয়। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর এটি বাস্তবায়ন করছে। ৪ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুনে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াই সম্পন্ন না হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এই ৪৮ কিলোমিটার মহাসড়কে থাকবে একটি উড়ালসড়ক, চারটি বড় সেতু, ৫৫টি কালভার্ট, ১২টি পদচারী-সেতু, ১০ মিটার দীর্ঘের একটি আন্ডারপাস ও অপটিক্যাল ফাইবার কেব্ল ডিজাইন। এ ছাড়া ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সদর উপজেলার বিষয়খালী, চুটলিয়া মোড় ও ধোপাঘাটা সেতু এলাকায় ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে পাইলিংয়ের কাজ। এ ছাড়া তৈরি করা হচ্ছে পদচারী-সেতুর জন্য গার্ডার। চুটলিয়া মোড়ে এখন করা হচ্ছে লোড টেস্টের কাজ। কিন্তু সড়কের কোনো অংশের জমি এখনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এতে যেমন বিপাকে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, একই সঙ্গে সমস্যায় পড়েছেন জমির মালিকেরা।
চুটলিয়া এলাকার কৃষক নাসির উদ্দিন বলেন, কয়েক বছর ধরে শুনছি জমির টাকা দিয়ে দেবে; কিন্তু জমি নিচ্ছে না, আবার টাকাও দিচ্ছে না—এদিকে রাস্তার কাজ শুরু হয়ে গেছে। একই এলাকার আরেক কৃষক নাদের মালিথা বলেন, ‘আমাদের জমির জন্য ৭ ধারার নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু এরপর আর কোনো নোটিশ পাইনি। এখন জমি তো ফেলে রাখতে পারছি না, আবার চাষও করতে পারছি না। ধান লাগালে তো আমাদের একটু হলেও উপকারে আসত। কী করব, খুব দ্বিধায় আছি।’
কাজের অগ্রগতির ব্যাপারে আলাপ হলে উইকেয়ার ফেজ-১-এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নিলন আলী বলেন, ‘আমাদের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। মান বজায় রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে জমি বুঝে পাই, তাহলে কাজও পুরোদমে শুরু হবে আর আমরাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ বুঝিয়ে দিতে পারব।’
জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অধিগ্রহণ করা জমির জন্য সড়ক বিভাগসহ কয়েকটি দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের তালিকা দ্রুত দিলে আমরা টাকার জন্য চিঠি পাঠাব। তারপর অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে