সখীপুর প্রতিনিধি
দুই যুগেও পূর্ণতা পায়নি সখীপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক শপথস্তম্ভ প্রকল্প। মূল স্তম্ভ নির্মিত হলেও জাদুঘরসহ কমপ্লেক্স কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র শপথস্তম্ভ হিসেবে পরিচিত এই স্থাপনা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে বহেড়াতৈল বাজারের পাশে অবস্থিত। ১৯৯৬ সালে জেলা পরিষদের অর্থায়নে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংসদ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম শপথস্তম্ভটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ শপথস্তম্ভটি উদ্বোধন করার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাদের সিদ্দিকীর মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় সেটি আর সম্ভব হয়নি। এরপর থেকেই স্তম্ভটির নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। এরপর দীর্ঘ দুই যুগ কেটে গেছে। অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এ শপথস্তম্ভ। এর চত্বরে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি গণকবর। বহেড়াতৈল বাজারের উত্তর পাশে সবুজ ঘাসের গালিচায় আবৃত টিলার ওপর আংশিক নির্মিত শপথস্তম্ভটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণ করে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ১০ জুন কাদেরিয়া বাহিনীর অগণিত মুক্তিযোদ্ধা বহেড়াতৈলের ওই স্থানে পবিত্র কোরআন, বাইবেল ও গীতা ছুঁয়ে দেশ স্বাধীনের শপথ নিয়েছিলেন। সেদিন হিন্দু মুসলিম খ্রিষ্টান একসঙ্গে অঙ্গীকার করেছিলেন, দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ঘরে ফিরবেন না। এ ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে ওই জায়গায় শপথস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। স্তম্ভটিকে ঘিরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বিশ্রামাগার নির্মাণসহ পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। শপথস্তম্ভটির নকশায় উদীয়মান সূর্যের প্রতীকসহ নানা বৈচিত্র্য তুলে ধরতে বহুমুখী উদ্যোগও নেওয়া হয়। বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত নিদর্শন ও স্মারকচিহ্নগুলো সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন, মুক্তিযুদ্ধের তথ্য, প্রমাণাদি, নিদর্শন, রেকর্ডপত্র ইত্যাদি সংগ্রহ করে এখানে নির্মিত জাদুঘরে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আবদুল মোত্তালিব বলেন, ‘কাদেরিয়া বাহিনীর হয়ে ১৯৭১ সালের ১০ জুন দেশ স্বাধীনের লক্ষ্যে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেদিন বহেড়াতৈলে কোরআন, বাইবেল ও গীতা ছুঁয়ে শপথ নিয়েছিলাম। শপথস্তম্ভটি সেই স্মৃতি এখনো মনে করিয়ে দেয়। মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মধ্যে এটি একটি। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে নতুন প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিত হবে।’
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এমও গুণি বলেন, ‘এই বহেড়াতৈলকে ঘিরে কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের নানা স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। এখানেই রয়েছে একটি গণকবর। তাই আমরা দ্রুত এই স্থানটির রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিত্রা শিকারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, শপথ স্তম্ভটির সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য স্থানীয় সাংসদ দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে শপথস্তম্ভে যাওয়ার জন্য রাস্তা নির্মাণ ও স্তম্ভের চারপাশে ফুলগাছ রোপণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা পরিষদ থেকেও প্রায় ১৮ লাখ টাকার একটি বরাদ্দ পাওয়ার কথা রয়েছে। বরাদ্দটি হাতে পেলেই স্তম্ভের দেয়াল নির্মাণসহ সৌন্দর্যবর্ধনে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে গত ১১ ডিসেম্বর ওই শপথস্তম্ভের পাশে ৫০তম টাঙ্গাইল মুক্ত দিবস উপলক্ষে ‘বিজয়-৭১’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি বলেন, এই স্তম্ভটির সৌন্দর্যবর্ধনে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুই যুগেও পূর্ণতা পায়নি সখীপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক শপথস্তম্ভ প্রকল্প। মূল স্তম্ভ নির্মিত হলেও জাদুঘরসহ কমপ্লেক্স কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র শপথস্তম্ভ হিসেবে পরিচিত এই স্থাপনা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে বহেড়াতৈল বাজারের পাশে অবস্থিত। ১৯৯৬ সালে জেলা পরিষদের অর্থায়নে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংসদ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম শপথস্তম্ভটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ শপথস্তম্ভটি উদ্বোধন করার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাদের সিদ্দিকীর মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় সেটি আর সম্ভব হয়নি। এরপর থেকেই স্তম্ভটির নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। এরপর দীর্ঘ দুই যুগ কেটে গেছে। অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এ শপথস্তম্ভ। এর চত্বরে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি গণকবর। বহেড়াতৈল বাজারের উত্তর পাশে সবুজ ঘাসের গালিচায় আবৃত টিলার ওপর আংশিক নির্মিত শপথস্তম্ভটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণ করে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ১০ জুন কাদেরিয়া বাহিনীর অগণিত মুক্তিযোদ্ধা বহেড়াতৈলের ওই স্থানে পবিত্র কোরআন, বাইবেল ও গীতা ছুঁয়ে দেশ স্বাধীনের শপথ নিয়েছিলেন। সেদিন হিন্দু মুসলিম খ্রিষ্টান একসঙ্গে অঙ্গীকার করেছিলেন, দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ঘরে ফিরবেন না। এ ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে ওই জায়গায় শপথস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। স্তম্ভটিকে ঘিরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বিশ্রামাগার নির্মাণসহ পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। শপথস্তম্ভটির নকশায় উদীয়মান সূর্যের প্রতীকসহ নানা বৈচিত্র্য তুলে ধরতে বহুমুখী উদ্যোগও নেওয়া হয়। বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত নিদর্শন ও স্মারকচিহ্নগুলো সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন, মুক্তিযুদ্ধের তথ্য, প্রমাণাদি, নিদর্শন, রেকর্ডপত্র ইত্যাদি সংগ্রহ করে এখানে নির্মিত জাদুঘরে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আবদুল মোত্তালিব বলেন, ‘কাদেরিয়া বাহিনীর হয়ে ১৯৭১ সালের ১০ জুন দেশ স্বাধীনের লক্ষ্যে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেদিন বহেড়াতৈলে কোরআন, বাইবেল ও গীতা ছুঁয়ে শপথ নিয়েছিলাম। শপথস্তম্ভটি সেই স্মৃতি এখনো মনে করিয়ে দেয়। মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মধ্যে এটি একটি। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে নতুন প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিত হবে।’
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এমও গুণি বলেন, ‘এই বহেড়াতৈলকে ঘিরে কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের নানা স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। এখানেই রয়েছে একটি গণকবর। তাই আমরা দ্রুত এই স্থানটির রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিত্রা শিকারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, শপথ স্তম্ভটির সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য স্থানীয় সাংসদ দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে শপথস্তম্ভে যাওয়ার জন্য রাস্তা নির্মাণ ও স্তম্ভের চারপাশে ফুলগাছ রোপণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা পরিষদ থেকেও প্রায় ১৮ লাখ টাকার একটি বরাদ্দ পাওয়ার কথা রয়েছে। বরাদ্দটি হাতে পেলেই স্তম্ভের দেয়াল নির্মাণসহ সৌন্দর্যবর্ধনে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে গত ১১ ডিসেম্বর ওই শপথস্তম্ভের পাশে ৫০তম টাঙ্গাইল মুক্ত দিবস উপলক্ষে ‘বিজয়-৭১’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি বলেন, এই স্তম্ভটির সৌন্দর্যবর্ধনে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে