নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশ করার পর বিএনপির মনোযোগ এখন বরিশালের দিকে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে গণসমাবেশ করবে বিএনপি। আগের চারটি সমাবেশের ধারাবাহিকতায় বরিশালেও একটি সফল গণসমাবেশ করতে চায় দলটি। সে ক্ষেত্রে ‘রাজনৈতিক’ গণপরিবহন ধর্মঘটের প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে বরিশাল বিএনপিতে বিরাজমান বিভেদও কাঁটা হয়ে দেখা দিচ্ছে বিএনপির সামনে। বিভেদ নিয়ে কর্মসূচি কতটুকু সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের ভেতরেই। এ ছাড়া শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও দলের নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাশা, গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে সব বিভেদের অবসান হবে।
দলীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বরিশালে বিএনপির সমাবেশের স্থান ঠিক না হলেও প্রস্তুতির কাজ থেমে নেই। সমাবেশের দিন এবং এর আগের দিন ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়টি নিয়ে আগাম চিন্তা করে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রস্তুতি রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের হুমকি-ধমকি, পুলিশি তৎপরতা মোকাবিলার বিষয়েও। এসবের চেয়ে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব সমাবেশের পথে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন দলের স্থানীয় নেতারা।
গত বছরের ৩ নভেম্বর প্রভাবশালী নেতা মজিবর রহমান সরোয়ারকে বাদ দিয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার পর যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়, তা এখনো মেটেনি। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি সরোয়ার এবং তাঁর অনুসারীরা নাখোশ হয়ে দূরে সরে যাচ্ছেন। অন্যদিকে এই পক্ষকে সহজভাবে নিতে পারেননি নতুন নেতৃত্বও। নতুনদের কাছে নানাভাবে উপেক্ষিত হওয়ারও অভিযোগ আছে পুরোনোদের। এমনকি তাঁরা হামলা-মামলারও শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে বরিশাল বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা বলেন, নতুন ও পুরোনো নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব স্পষ্ট দৃশ্যমান। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে সহ্যই করতে পারে না। দুই পক্ষের বিবাদে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরপরও কেন্দ্র থেকে এ বিষয়ে খুব একটা নজর দেওয়া হচ্ছে না।
সরোয়ারের অনুসারী একাধিক নেতা বলেন, নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পুরোনোদের উপেক্ষা করে আসছে। সভা-সমাবেশেও তাঁদের ডাকা হয় না। আগামী দিনে সিটি নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচন থেকে যাতে পুরোনোদের দূরে রাখা যায়, সেই চেষ্টা চলছে।
বরিশালে গণসমাবেশ ঘিরেও উপেক্ষার শিকার হচ্ছেন পুরোনো নেতারা। অনেকটা বলার জন্য বলার মতো করে ডাকা হচ্ছে বিভিন্ন সভায়। দলের বৃহত্তর স্বার্থে অসন্তোষ নিয়েই তাঁরা কাজ করছেন। তবে যতটা প্রাণবন্ত থাকার কথা, ততটা নেই।
অন্যদিকে বর্তমান কমিটির কয়েক নেতার দাবি, সরোয়ার এবং তাঁর মতো যাঁরা আছেন, তাঁরা নতুন নেতৃত্বকে মেনে নিতে পারছেন না। এটা তাঁদের মানসিকতার ব্যাপার। তবে দ্বন্দ্বটা দলের জন্য ভালো নয় বলে মনে করেন তাঁরা। এ ক্ষেত্রে তাঁরা শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ চান।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিটি ঘিরে দ্বন্দ্ব-অসন্তোষ আছে। নিষ্ক্রিয় লোকদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। তাদের সমন্বয়হীনতাই সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। তারা কতটা সক্রিয় কর্মী তৈরি করবে, সে নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে বৃহত্তর স্বার্থে গণসমাবেশ সফল করার জন্য আমরা যে যার অবস্থান থেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করব।’
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের দাবি, এখন আর কোনো বিভেদ নেই। তিনি বলেন, ‘গণসমাবেশ সফল করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। সবাই নিজ দায়িত্বে মাঠে নেমেছেন, সবাই কাজ করছেন।’
বরিশালের দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্বীকার করেছেন গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তবে এই দ্বন্দ্ব কর্মসূচি পালনে কোনো বাধা হবে না বলে মনে করেন তিনি। সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটা বড় দলে কমিটি নিয়ে অসন্তোষ থাকবেই। ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে সব বিভেদ ও অসন্তোষের অবসান হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কর্মসূচি সফল করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। কোনো প্রতিবন্ধকতা আমাদের দমাতে পারবে না।’
মহানগরের বেলস পার্কে (বঙ্গবন্ধু উদ্যান) বিভাগীয় গণসমাবেশ করার কথা ছিল বিএনপির। তবে সেখানে অনুমতি না পেয়ে বিকল্প স্থানের চিন্তা করা হচ্ছে। সমাবেশের স্থান ঠিক না হলেও প্রস্তুতি শুরু হয়েছে আগে থেকেই। বেশ কিছুদিন ধরেই প্রস্তুতিসভা করছেন দলটির নেতারা। এসব সভায় কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নিচ্ছেন।
গণসমাবেশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ‘প্রতিটি জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যন্ত সমাবেশের প্রচার চলছে। আমরা অপেক্ষা করছি, সরকার আবার নতুন কোনো কৌশল নেয় কি না। সেটা দেখে আমাদেরও কৌশল ঠিক করতে হবে।’
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশ করার পর বিএনপির মনোযোগ এখন বরিশালের দিকে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে গণসমাবেশ করবে বিএনপি। আগের চারটি সমাবেশের ধারাবাহিকতায় বরিশালেও একটি সফল গণসমাবেশ করতে চায় দলটি। সে ক্ষেত্রে ‘রাজনৈতিক’ গণপরিবহন ধর্মঘটের প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে বরিশাল বিএনপিতে বিরাজমান বিভেদও কাঁটা হয়ে দেখা দিচ্ছে বিএনপির সামনে। বিভেদ নিয়ে কর্মসূচি কতটুকু সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের ভেতরেই। এ ছাড়া শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও দলের নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাশা, গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে সব বিভেদের অবসান হবে।
দলীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বরিশালে বিএনপির সমাবেশের স্থান ঠিক না হলেও প্রস্তুতির কাজ থেমে নেই। সমাবেশের দিন এবং এর আগের দিন ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়টি নিয়ে আগাম চিন্তা করে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রস্তুতি রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের হুমকি-ধমকি, পুলিশি তৎপরতা মোকাবিলার বিষয়েও। এসবের চেয়ে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব সমাবেশের পথে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন দলের স্থানীয় নেতারা।
গত বছরের ৩ নভেম্বর প্রভাবশালী নেতা মজিবর রহমান সরোয়ারকে বাদ দিয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার পর যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়, তা এখনো মেটেনি। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি সরোয়ার এবং তাঁর অনুসারীরা নাখোশ হয়ে দূরে সরে যাচ্ছেন। অন্যদিকে এই পক্ষকে সহজভাবে নিতে পারেননি নতুন নেতৃত্বও। নতুনদের কাছে নানাভাবে উপেক্ষিত হওয়ারও অভিযোগ আছে পুরোনোদের। এমনকি তাঁরা হামলা-মামলারও শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে বরিশাল বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা বলেন, নতুন ও পুরোনো নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব স্পষ্ট দৃশ্যমান। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে সহ্যই করতে পারে না। দুই পক্ষের বিবাদে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরপরও কেন্দ্র থেকে এ বিষয়ে খুব একটা নজর দেওয়া হচ্ছে না।
সরোয়ারের অনুসারী একাধিক নেতা বলেন, নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পুরোনোদের উপেক্ষা করে আসছে। সভা-সমাবেশেও তাঁদের ডাকা হয় না। আগামী দিনে সিটি নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচন থেকে যাতে পুরোনোদের দূরে রাখা যায়, সেই চেষ্টা চলছে।
বরিশালে গণসমাবেশ ঘিরেও উপেক্ষার শিকার হচ্ছেন পুরোনো নেতারা। অনেকটা বলার জন্য বলার মতো করে ডাকা হচ্ছে বিভিন্ন সভায়। দলের বৃহত্তর স্বার্থে অসন্তোষ নিয়েই তাঁরা কাজ করছেন। তবে যতটা প্রাণবন্ত থাকার কথা, ততটা নেই।
অন্যদিকে বর্তমান কমিটির কয়েক নেতার দাবি, সরোয়ার এবং তাঁর মতো যাঁরা আছেন, তাঁরা নতুন নেতৃত্বকে মেনে নিতে পারছেন না। এটা তাঁদের মানসিকতার ব্যাপার। তবে দ্বন্দ্বটা দলের জন্য ভালো নয় বলে মনে করেন তাঁরা। এ ক্ষেত্রে তাঁরা শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ চান।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিটি ঘিরে দ্বন্দ্ব-অসন্তোষ আছে। নিষ্ক্রিয় লোকদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। তাদের সমন্বয়হীনতাই সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। তারা কতটা সক্রিয় কর্মী তৈরি করবে, সে নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে বৃহত্তর স্বার্থে গণসমাবেশ সফল করার জন্য আমরা যে যার অবস্থান থেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করব।’
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের দাবি, এখন আর কোনো বিভেদ নেই। তিনি বলেন, ‘গণসমাবেশ সফল করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। সবাই নিজ দায়িত্বে মাঠে নেমেছেন, সবাই কাজ করছেন।’
বরিশালের দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্বীকার করেছেন গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তবে এই দ্বন্দ্ব কর্মসূচি পালনে কোনো বাধা হবে না বলে মনে করেন তিনি। সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটা বড় দলে কমিটি নিয়ে অসন্তোষ থাকবেই। ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে সব বিভেদ ও অসন্তোষের অবসান হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কর্মসূচি সফল করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। কোনো প্রতিবন্ধকতা আমাদের দমাতে পারবে না।’
মহানগরের বেলস পার্কে (বঙ্গবন্ধু উদ্যান) বিভাগীয় গণসমাবেশ করার কথা ছিল বিএনপির। তবে সেখানে অনুমতি না পেয়ে বিকল্প স্থানের চিন্তা করা হচ্ছে। সমাবেশের স্থান ঠিক না হলেও প্রস্তুতি শুরু হয়েছে আগে থেকেই। বেশ কিছুদিন ধরেই প্রস্তুতিসভা করছেন দলটির নেতারা। এসব সভায় কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নিচ্ছেন।
গণসমাবেশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ‘প্রতিটি জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যন্ত সমাবেশের প্রচার চলছে। আমরা অপেক্ষা করছি, সরকার আবার নতুন কোনো কৌশল নেয় কি না। সেটা দেখে আমাদেরও কৌশল ঠিক করতে হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে