পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের নদ-নদীতে পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় নদীকেন্দ্রিক মানুষের জীবিকা বন্ধ হওয়ার পথে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
জেলা দিয়ে ৪৭টি নদ-নদী প্রবাহিত। এসব নদ-নদীর উজানে ভারতের একতরফা বাঁধ নির্মাণের কারণে বাংলাদেশের অংশে বছরজুড়ে পানি নিয়ে হাহাকার লেগেই থাকে। পানিপ্রবাহের কারণে এসব নদীতে চর পড়ে দিন দিন প্রশস্ত কমে যাচ্ছে। তা ছাড়া, বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখতে না পেরে ভারত সরকার পানি ছেড়ে দেয়। এতে বাংলাদেশের অনেক অঞ্চল প্লাবিতও হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এই অঞ্চলের মাটিতে পাথর এবং বালির আধিক্য বেশি। ফলে অন্য আবাদ কম হয়। সেচ সুবিধা বৃদ্ধি করে যে ফসল হতো, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় কৃষকেরা সেখানেও ভালো করতে পারছেন না। ফলে অর্থকরী ফসল উৎপাদনে চাষিরা আগ্রহ হারিয়ে এখন চা চাষে ঝুঁকছে। আবার নদীতে পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষ বেকার হয়ে পড়ছেন।
পঞ্চগড় পৌর এলাকার নিমতলা গ্রামের আফিজ উদ্দিন বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে করতোয়া নদীতে থেকে নুড়ি-পাথর সংগ্রহ করে ৬ সদস্যের সংসার চালিয়ে আসছি। দিন দিন নদীর পানি কমে যাওয়ায় আশাতীতভাবে পাথর পাওয়া যায় না। নদীতে পানির প্রবাহ বেশি হলে পাথর দূর থেকে ভেসে আসে। সারা দিনে নদীর পানিতে নেমে ৬-৭ সিএফটি পাথর সংগ্রহ করি, তা দিয়ে সংসার চালানো এখন কঠিন।’
শহরের তুলার ডাঙ্গা এলাকার আব্দুর রহমান জানান, ‘নদীর পানি কমে যাওয়ায় চর পড়ে গেছে। পাথরের সন্ধানে এখন অনেক দূর যেতে হয়। পরিশ্রম অনুযায়ী পাথর পাওয়া যায় না, বর্তমানে নদীর বালি সংগ্রহের কাজ করে জীবিকা চালাতে হচ্ছে।’
পরিবেশ নিয়ে কাজ করছেন পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী আবুল খায়ের জানান, পঞ্চগড় জেলার আবহাওয়া এবং প্রকৃতি নদীমাত্রিক। ছোট একটি জেলায় ৪৭টি নদ-নদী প্রবাহিত হওয়ায় এখানকার মানুষ নদীকেন্দ্রিক জীবিকা নির্বাহে অভ্যস্ত। এসব নদ-নদীর উৎসমুখে ভারত হওয়ার কারণে নিজেদের স্বার্থে নদ-নদী শাসন করছে। সীমান্তবর্তী এই জেলার নদীকেন্দ্রিক মানুষের জীবিকা ধরে রাখতে জরুরি যৌথ নদী শাসন নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, আন্তজেলা নদী খননের আওতায় ২০১৯ সাল থেকে জেলার বেশ কিছু নদ-নদী এবং বড় আকারের খাল খনন করা হচ্ছে। এতে মৎস্য চাষসহ জীববৈচিত্র্য উপযোগী করতে সরকারিভাবে এই খননের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যাতে নদীতীরের মানুষের জীবন-জীবিকা সহজ হয়।
পঞ্চগড়ের নদ-নদীতে পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় নদীকেন্দ্রিক মানুষের জীবিকা বন্ধ হওয়ার পথে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
জেলা দিয়ে ৪৭টি নদ-নদী প্রবাহিত। এসব নদ-নদীর উজানে ভারতের একতরফা বাঁধ নির্মাণের কারণে বাংলাদেশের অংশে বছরজুড়ে পানি নিয়ে হাহাকার লেগেই থাকে। পানিপ্রবাহের কারণে এসব নদীতে চর পড়ে দিন দিন প্রশস্ত কমে যাচ্ছে। তা ছাড়া, বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখতে না পেরে ভারত সরকার পানি ছেড়ে দেয়। এতে বাংলাদেশের অনেক অঞ্চল প্লাবিতও হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এই অঞ্চলের মাটিতে পাথর এবং বালির আধিক্য বেশি। ফলে অন্য আবাদ কম হয়। সেচ সুবিধা বৃদ্ধি করে যে ফসল হতো, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় কৃষকেরা সেখানেও ভালো করতে পারছেন না। ফলে অর্থকরী ফসল উৎপাদনে চাষিরা আগ্রহ হারিয়ে এখন চা চাষে ঝুঁকছে। আবার নদীতে পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষ বেকার হয়ে পড়ছেন।
পঞ্চগড় পৌর এলাকার নিমতলা গ্রামের আফিজ উদ্দিন বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে করতোয়া নদীতে থেকে নুড়ি-পাথর সংগ্রহ করে ৬ সদস্যের সংসার চালিয়ে আসছি। দিন দিন নদীর পানি কমে যাওয়ায় আশাতীতভাবে পাথর পাওয়া যায় না। নদীতে পানির প্রবাহ বেশি হলে পাথর দূর থেকে ভেসে আসে। সারা দিনে নদীর পানিতে নেমে ৬-৭ সিএফটি পাথর সংগ্রহ করি, তা দিয়ে সংসার চালানো এখন কঠিন।’
শহরের তুলার ডাঙ্গা এলাকার আব্দুর রহমান জানান, ‘নদীর পানি কমে যাওয়ায় চর পড়ে গেছে। পাথরের সন্ধানে এখন অনেক দূর যেতে হয়। পরিশ্রম অনুযায়ী পাথর পাওয়া যায় না, বর্তমানে নদীর বালি সংগ্রহের কাজ করে জীবিকা চালাতে হচ্ছে।’
পরিবেশ নিয়ে কাজ করছেন পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী আবুল খায়ের জানান, পঞ্চগড় জেলার আবহাওয়া এবং প্রকৃতি নদীমাত্রিক। ছোট একটি জেলায় ৪৭টি নদ-নদী প্রবাহিত হওয়ায় এখানকার মানুষ নদীকেন্দ্রিক জীবিকা নির্বাহে অভ্যস্ত। এসব নদ-নদীর উৎসমুখে ভারত হওয়ার কারণে নিজেদের স্বার্থে নদ-নদী শাসন করছে। সীমান্তবর্তী এই জেলার নদীকেন্দ্রিক মানুষের জীবিকা ধরে রাখতে জরুরি যৌথ নদী শাসন নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, আন্তজেলা নদী খননের আওতায় ২০১৯ সাল থেকে জেলার বেশ কিছু নদ-নদী এবং বড় আকারের খাল খনন করা হচ্ছে। এতে মৎস্য চাষসহ জীববৈচিত্র্য উপযোগী করতে সরকারিভাবে এই খননের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যাতে নদীতীরের মানুষের জীবন-জীবিকা সহজ হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে