মো. নাজিম উদ্দিন ইমন, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)
বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গা নদীবেষ্টিত উপজেলা ঢাকার কেরানীগঞ্জ। ফলে উপজেলার বুক চিরে বইত প্রায় ৫২টি খাল। এগুলোর মধ্যে ১২টি খাল নামমাত্র টিকে রয়েছে, বাকি ৪০টি খাল দখল আর দূষণে প্রায় বিলুপ্ত। এসব খালের দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছে একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র। ফলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খাল উদ্ধারের উদ্যোগ বারবার ভেস্তে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চর কালীগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উৎপত্তি কেরানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শুভাঢ্যা খাল। খালটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ধলেশ্বরী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। কালের বিবর্তনে দখল-দূষণে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে এ খাল। খালের পশ্চিম পাশের পাড় দখল করে জেলা পরিষদ মার্কেট তৈরি করা হয়েছে। খালের ভেতর পিলার নির্মাণ করায় দ্রুতই খালটি ভরাট হয়ে গেছে। এদিকে গার্মেন্টসের ঝুট (টুকরো কাপড়) ফেলে খালটি উৎসমুখ বন্ধ করে ফেলা হয়েছে। ২০০৭ সালে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর উদ্যোগে খালের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। একই সঙ্গে ওই সময় একাধিক অবৈধ দখলদারকে জেল-জরিমানা করা হয়। খাল খননের জন্য কোটি ব্যয় করা হলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি।
তবে এ খাল ঘিরে কেরানীগঞ্জবাসীর মনে নতুন করে আশার সঞ্চার হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভাঢ্যা খাল সংস্কারে একনেক সভায় বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ময়লার ভাগাড়ের এই খাল হতে যাচ্ছে রাজধানী হাতিরঝিলের আদলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৬-০৭ সালের দিকে উপজেলার কালিন্দি ইউনিয়নের নেকরোজবাগ খাল দখল করে অবৈধভাবে ভরাট করেন মাওলানা সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় ওই সময় উপজেলা প্রশাসন কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করে। মামলার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। তবে খালটি উদ্ধার সম্ভব হয়নি। মামলাটি এখনো তদন্তাধীন।
রোহিতপুর ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদীর সংযোগে কাটাখালী খাল দখল করে রেখেছে একটি চক্র। তারানগর ইউনিয়নের ভাওয়াল মনোহরিয়া খালটি ভরাট করে প্লট করে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা। বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগ জিনজিরা খালটি ৯০ দশকে ভরাট করে একটি চক্র বসতবাড়ি ও মার্কেট নির্মাণ করে। এ ছাড়া কালিন্দি ইউনিয়নের ব্রাহ্মকিত্তা খালটি বালু দিয়ে ভরাট করেছে একটি চক্র। শুভাঢ্যা খালের সংযোগ কদমতলী খালটি ভরাট করে দুই পাড়ে মা প্লাজা ও লায়ন টাওয়ার নামে দুটি বহুতল ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। উপজেলার চুনকুটিয়া খালটি ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এ খালটি উদ্ধারে স্থানীয় সংসদ সদস্য একাধিকবার সতর্ক করলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। চুনকুটিয়া খালের শাখা নাজিরেরবাগ খালটিও দখল হয়েছে। পারগেন্ডারিয়া খালটি ভরাট করে গড়ে উঠেছে বসতবাড়ি।
উপজেলার বেগুনবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. এলাহী বলেন, ‘শুভাঢ্যা খাল কেরানীগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী খাল। আমরা ছোটবেলা দেখেছি, এ খাল দিয়ে নিয়মিত লঞ্চ চলাচল করত। এখন এ খালে লঞ্চ তো দূরে থাক, ডিঙি নৌকাও চলে না। অথচ এক সময় কেরানীগঞ্জবাসীর চলাচলের একমাত্র বাহন ছিল নৌকা। বর্ষায় যখন খাল-বিল পানিতে একাকার হয়ে যেতো, তখন কেরানীগঞ্জ হয়ে যেতো ছোট দ্বীপের মতো। উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলা প্রায় সবগুলো খাল উদ্ধার করে সীমানা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।’
চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিয়ামত উল্লাহ বলেন, ‘চুনকুটিয়া খালটি শুভাঢ্যা খাল থেকে উৎপত্তি হয়ে নাজিরেরবাগ খালের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। কালের বিবর্তনে চুনকুটিয়া ও নাজিরেরবাগ খাল দুটি প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে। এ অঞ্চলের মানুষের পয়োনিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম ছিল এ দুটি খাল। খাল দুটি ভরাট করে ফেলায় পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। বছরের প্রায় ৮ মাস চুনকুটিয়া মাঠের কোনা থেকে চেয়ারম্যান বাড়ি পর্যন্ত সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। খাল দুটি উদ্ধার করে পুনঃখনন করা হলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো।’
খালগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় উপজেলার পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পানি। শুধু কি তাই? এ খাল ভরাট হওয়ায় উপজেলার বেশ কয়েকটি সড়কে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘কেরানীগঞ্জ উপজেলার সব কটি খালের দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে। সঙ্গে খনন করে খালের পানি প্রবাহ সৃষ্টি করা হবে। উপজেলার খালগুলো উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ এক সঙ্গে কাজ করছে।’
ঢাকা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘গত এক দশকে শুভাঢ্যা খাল বাঁচাতে নানামুখী পরিকল্পনা নেওয়া হয়। খাল খনন করেও নাব্যতা রক্ষা করা যায়নি। প্রায় ৭ কিলোমিটার লম্বা ও ৫০ থেকে ৭০ ফুট প্রস্থ শুভাঢ্যা খালটি প্রকৌশলীদের সাহায্যে আধুনিক নকশা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। পরে একনেকে খাল সংস্কার করে হাতিরঝিলের আদলে নান্দনিক লেক ও খালের দু’পাশে পাকা সড়ক তৈরির প্রকল্প পাস হয়েছে। এতে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী জুন-জুলাই মাসের মধ্যে শুভাঢ্যা খাল খননের কাজ শুরু হবে। নির্ধারিত সময়ে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কেরানীগঞ্জে লাখ লাখ মানুষ ও ব্যবসায়ী উপকৃত হবেন। পর্যায়ক্রমে কেরানীগঞ্জ উপজেলার সব খাল উদ্ধার করা হবে। দখলদার যত বড় রাঘববোয়ালই হোক না কেন কোন ছাড় দেওয়া হবে না।’
বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গা নদীবেষ্টিত উপজেলা ঢাকার কেরানীগঞ্জ। ফলে উপজেলার বুক চিরে বইত প্রায় ৫২টি খাল। এগুলোর মধ্যে ১২টি খাল নামমাত্র টিকে রয়েছে, বাকি ৪০টি খাল দখল আর দূষণে প্রায় বিলুপ্ত। এসব খালের দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছে একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র। ফলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খাল উদ্ধারের উদ্যোগ বারবার ভেস্তে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চর কালীগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উৎপত্তি কেরানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শুভাঢ্যা খাল। খালটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ধলেশ্বরী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। কালের বিবর্তনে দখল-দূষণে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে এ খাল। খালের পশ্চিম পাশের পাড় দখল করে জেলা পরিষদ মার্কেট তৈরি করা হয়েছে। খালের ভেতর পিলার নির্মাণ করায় দ্রুতই খালটি ভরাট হয়ে গেছে। এদিকে গার্মেন্টসের ঝুট (টুকরো কাপড়) ফেলে খালটি উৎসমুখ বন্ধ করে ফেলা হয়েছে। ২০০৭ সালে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর উদ্যোগে খালের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। একই সঙ্গে ওই সময় একাধিক অবৈধ দখলদারকে জেল-জরিমানা করা হয়। খাল খননের জন্য কোটি ব্যয় করা হলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি।
তবে এ খাল ঘিরে কেরানীগঞ্জবাসীর মনে নতুন করে আশার সঞ্চার হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভাঢ্যা খাল সংস্কারে একনেক সভায় বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ময়লার ভাগাড়ের এই খাল হতে যাচ্ছে রাজধানী হাতিরঝিলের আদলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৬-০৭ সালের দিকে উপজেলার কালিন্দি ইউনিয়নের নেকরোজবাগ খাল দখল করে অবৈধভাবে ভরাট করেন মাওলানা সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় ওই সময় উপজেলা প্রশাসন কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করে। মামলার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। তবে খালটি উদ্ধার সম্ভব হয়নি। মামলাটি এখনো তদন্তাধীন।
রোহিতপুর ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদীর সংযোগে কাটাখালী খাল দখল করে রেখেছে একটি চক্র। তারানগর ইউনিয়নের ভাওয়াল মনোহরিয়া খালটি ভরাট করে প্লট করে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা। বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগ জিনজিরা খালটি ৯০ দশকে ভরাট করে একটি চক্র বসতবাড়ি ও মার্কেট নির্মাণ করে। এ ছাড়া কালিন্দি ইউনিয়নের ব্রাহ্মকিত্তা খালটি বালু দিয়ে ভরাট করেছে একটি চক্র। শুভাঢ্যা খালের সংযোগ কদমতলী খালটি ভরাট করে দুই পাড়ে মা প্লাজা ও লায়ন টাওয়ার নামে দুটি বহুতল ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। উপজেলার চুনকুটিয়া খালটি ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এ খালটি উদ্ধারে স্থানীয় সংসদ সদস্য একাধিকবার সতর্ক করলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। চুনকুটিয়া খালের শাখা নাজিরেরবাগ খালটিও দখল হয়েছে। পারগেন্ডারিয়া খালটি ভরাট করে গড়ে উঠেছে বসতবাড়ি।
উপজেলার বেগুনবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. এলাহী বলেন, ‘শুভাঢ্যা খাল কেরানীগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী খাল। আমরা ছোটবেলা দেখেছি, এ খাল দিয়ে নিয়মিত লঞ্চ চলাচল করত। এখন এ খালে লঞ্চ তো দূরে থাক, ডিঙি নৌকাও চলে না। অথচ এক সময় কেরানীগঞ্জবাসীর চলাচলের একমাত্র বাহন ছিল নৌকা। বর্ষায় যখন খাল-বিল পানিতে একাকার হয়ে যেতো, তখন কেরানীগঞ্জ হয়ে যেতো ছোট দ্বীপের মতো। উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলা প্রায় সবগুলো খাল উদ্ধার করে সীমানা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।’
চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিয়ামত উল্লাহ বলেন, ‘চুনকুটিয়া খালটি শুভাঢ্যা খাল থেকে উৎপত্তি হয়ে নাজিরেরবাগ খালের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। কালের বিবর্তনে চুনকুটিয়া ও নাজিরেরবাগ খাল দুটি প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে। এ অঞ্চলের মানুষের পয়োনিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম ছিল এ দুটি খাল। খাল দুটি ভরাট করে ফেলায় পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। বছরের প্রায় ৮ মাস চুনকুটিয়া মাঠের কোনা থেকে চেয়ারম্যান বাড়ি পর্যন্ত সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। খাল দুটি উদ্ধার করে পুনঃখনন করা হলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো।’
খালগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় উপজেলার পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পানি। শুধু কি তাই? এ খাল ভরাট হওয়ায় উপজেলার বেশ কয়েকটি সড়কে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘কেরানীগঞ্জ উপজেলার সব কটি খালের দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে। সঙ্গে খনন করে খালের পানি প্রবাহ সৃষ্টি করা হবে। উপজেলার খালগুলো উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ এক সঙ্গে কাজ করছে।’
ঢাকা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘গত এক দশকে শুভাঢ্যা খাল বাঁচাতে নানামুখী পরিকল্পনা নেওয়া হয়। খাল খনন করেও নাব্যতা রক্ষা করা যায়নি। প্রায় ৭ কিলোমিটার লম্বা ও ৫০ থেকে ৭০ ফুট প্রস্থ শুভাঢ্যা খালটি প্রকৌশলীদের সাহায্যে আধুনিক নকশা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। পরে একনেকে খাল সংস্কার করে হাতিরঝিলের আদলে নান্দনিক লেক ও খালের দু’পাশে পাকা সড়ক তৈরির প্রকল্প পাস হয়েছে। এতে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী জুন-জুলাই মাসের মধ্যে শুভাঢ্যা খাল খননের কাজ শুরু হবে। নির্ধারিত সময়ে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কেরানীগঞ্জে লাখ লাখ মানুষ ও ব্যবসায়ী উপকৃত হবেন। পর্যায়ক্রমে কেরানীগঞ্জ উপজেলার সব খাল উদ্ধার করা হবে। দখলদার যত বড় রাঘববোয়ালই হোক না কেন কোন ছাড় দেওয়া হবে না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে