আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে আপনি কতটুকু আশাবাদী?
তানজীমউদ্দিন খান: কতটুকু আশাবাদী সেটা তো সংখ্যা দিয়ে পরিমাপ করার সুযোগ নেই। এই গণ-অভ্যুত্থানটা অবশ্যম্ভাবী ছিল। যেহেতু নতুন বাংলাদেশ গড়ার কথা উঠেছে, সেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারের বিকল্প ভাবার আপাতত সুযোগ নেই।
আজকের পত্রিকা: দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত একধরনের স্বৈরাচারী ব্যবস্থায় চলে। এ ক্ষেত্রে কীভাবে সংস্কার করা যেতে পারে?
তানজীমউদ্দিন খান: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তিয়াত্তরের অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই অধ্যাদেশে অনেক স্ববিরোধিতা রয়েছে। যদিও এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে এই অধ্যাদেশ আমাদের একাডেমিক ও চিন্তার স্বাধীনতার একমাত্র রক্ষাকবচ। এই অধ্যাদেশে এমন কিছু উপাদান আছে, যেখানে উপাচার্যকে স্বৈরাচারী হওয়ার সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন আছে।
এটার অবস্থা অনেকটা আমাদের সংবিধানের মতোই! সে জন্যই, বিশেষ করে সরকারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্কটা কী হবে, সেটা পুনর্নির্ধারণের মাধ্যমে অধ্যাদেশে লুকিয়ে থাকা স্বৈরাচারী উপাদানগুলো বিলুপ্ত করা খুব জরুরি। ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশের সংস্কার বর্তমান বাস্তবতায় খুব জরুরি। শুধু অধ্যাদেশ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু প্রচলিত অনুশীলন. যেমন শিক্ষক সমিতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব ধরনের নির্বাচনে সরকারদলীয় শিক্ষকদের কারা কীভাবে মনোনয়ন পাবেন, সেটাও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উপাচার্য ঠিক করে দেন।
তাই এই স্বৈরাচারী কাঠামোয় এসব নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত হয়। ২০০৮ সালের পরে আমরা দেখেছি, একজন চাকরিপ্রার্থীর যে ধরনের যোগ্যতা থাকার কথা, সেটাকে তোয়াক্কা না করে দলীয় পরিচয় এবং আনুগত্যের ওপর ভিত্তি করে অনেক বড়সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যদিও এটা কম-বেশি আগে থেকেই ছিল। তবে ২০০৮ সালের পর থেকে এ রকম অযোগ্যদের নিয়োগ কোনো রাখঢাক ছাড়া নির্লজ্জভাবে হয়েছে অনেক বড় আকারে। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ৯০৬ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন সেই সময়কার উপাচার্য। যত্রতত্র বা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বিভিন্ন বিভাগ খোলা হয়েছে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শুধু দলীয় ভোটারের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টায়। এগুলো দেখে মনে হচ্ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় বুঝি কোনো একটি সরকারদলীয় মালিকানার শিল্পপ্রতিষ্ঠান!
এটা করতে গিয়ে আসলে সংখ্যাগত আধিপত্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনী কাঠামোকে দলীয়ভাবে কুক্ষিগত করা হয়েছে। শিক্ষক সমিতিও এর ব্যতিক্রম নয়। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সরকারদলীয় যাঁরা অংশগ্রহণ করেন, তাঁদের একটা বড় অংশ আবার প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকেন। এটা কিন্তু ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’। প্রশাসনিক দায়িত্বে যিনি থাকেন, তিনি আবার কী করে, দর-কষাকষির এজেন্ট হিসেবে শিক্ষক সমিতিতে থাকেন?
কেউ যদি হলের প্রভোস্ট হন, তিনি নিশ্চিতভাবে তাঁর হলের হাউস টিউটরদের ভোট নিশ্চিতভাবে পান বা জুনিয়র শিক্ষকদের হাউস টিউটর করার লোভ দেখিয়ে তাঁর পক্ষে ভোট নিশ্চিত করেন। শুধু তা-ই নয়, প্রভোস্টের প্রার্থীকে হাউস টিউটর ভোট দিচ্ছেন কি না, সেটা নিশ্চিত করার জন্য জুনিয়র শিক্ষকেরা ভোট দেওয়ার পর ব্যালটের ছবি তুলে প্রভোস্ট বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সবচেয়ে বড় কর্মকর্তাকে নিশ্চিত করেন, তাঁদের দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। একইভাবে ডিন, সিন্ডিকেট ও সিনেট নির্বাচনেও কারা প্রার্থী হবেন, সেটাও উপাচার্য নির্ধারণ করে দিতেন। উপাচার্যের সম্মতি বা আশীর্বাদের বাইরে খুব কম ক্ষেত্রেই কেউ নির্বাচনে তাঁদের দলের প্রার্থী হতে পারতেন। এভাবে সব ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সব সময় একটা স্বৈরাচারী কাঠামো জারি রাখা হয়েছে।
তাই ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ আরও গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক করার বিকল্প নেই এবং উপাচার্যসহ অন্য সবার মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা যায়। সবকিছু মিলিয়ে ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ নিয়ে আমাদের সংস্কারের কথা ভাবতে হবে; বিশেষ করে সরকারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ করা খুব জরুরি। সরকার তার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো করে বিশ্ববিদ্যালয়কে দেখতে চায়, না একে স্বাধীন একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চায়, যার মধ্য দিয়ে সরকার উপকৃত হবে, তা নির্ধারণ করতে হবে।
একটা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার মধ্য দিয়েই রাষ্ট্র, সরকারকে সঠিক পথ দেখায়। আর রাষ্ট্র, সরকারের ভুল পথকে চিহ্নিত করা—এ ধরনের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চায়, না ওই ধরনের প্রতিষ্ঠান চায়—সেটা সরকারের জন্য পুনর্নির্ধারণ করা খুব জরুরি। এটা পুনর্নির্ধারণ করতে হলে আমাদের কাঠামোগত সংস্কার খুব দ্রুত শুরু করা দরকার।
আজকের পত্রিকা: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য থেকে সব প্রশাসনিক পদে কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দিলে তা স্বচ্ছ হবে?
তানজীমউদ্দিন খান: প্রথম বিষয় হচ্ছে, উপাচার্যের নিয়োগটা হতে হবে স্বচ্ছ। যে গুণগুলো থাকলে একজন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে চালাতে পারবেন, সে রকম ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হবে। আনুগত্য, বিশেষ দলের প্রতি সমর্থন কিংবা ব্যক্তিগত আনুগত্যের ভিত্তিতে—এভাবে কেউ নিয়োগ পেলে সামগ্রিক কাঠামোটা কিন্তু ধ্বংস হবে। উপাচার্য যখন আনুগত্যের নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং প্রশাসনিক অন্য পদগুলোতে তাঁর আনুগত্য কারা, সেই বিবেচনা ধরে তিনি সেই পদগুলোতে নিয়োগ দেন। ফলে উপাচার্য যদি সঠিক মানুষটা হন এবং প্রশাসনিক পদগুলোতে, যেমন—হল প্রভোস্ট কে হবেন?
সেটা উপাচার্যের সঙ্গে তাঁর কী রকম সম্পর্ক এবং নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় উপাচার্য না থেকে ওপেন কলের মাধ্যমে সবাইকে আমন্ত্রণ করা যেতে পারে। পাশাপাশি ওপেন কলের মাধ্যমে বা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে যাঁদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক যোগ্যতা আছে, তাঁরা যদি আগ্রহী হন, তখন আবেদন করবেন। যাঁরা এসব বাছাই করবেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ হবেন না। স্বাধীন একটা বাছাই কমিটি থাকতে হবে, যারা যোগ্যতার ভিত্তিতে হলের প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রশাসনিক পদে নিয়োগ দেবে। আর স্বাধীন সেই নিয়োগ কমিটির সদস্যদেরও কোনো দলীয় পরিচয় থাকা যাবে না। নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় মার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকতে হবে। সেই মার্কের বিষয়টাও গোপন না রেখে জনপরিসরে জানাতে হবে। নিয়োগপ্রাপ্তদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ আছে কি না, সেটাও দেখতে হবে। এই মাপকাঠি বিবেচনা করে নিয়োগপদ্ধতি চালু করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে না। এ ক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে?
তানজীমউদ্দিন খান: আমি যে আলোচনাটি বারবার করে থাকি, সেটা হলো—উপাচার্যকে কেন্দ্র করে সবকিছু কেন্দ্রীভূত এবং আবির্ভূত হয়। একাডেমিক কাউন্সিলে আমরা অধ্যাপকেরা একত্র হই। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনেক এলোমেলোভাবে এগুলো হয়। সেখানে যাঁরা সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলেন, আবার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামাজিক বিজ্ঞানের পিএইচডি থিসিস নিয়ে আলোচনা করেন। আর একাডেমিক কাউন্সিল খুবই কেন্দ্রীভূত একটা ব্যবস্থা। কিন্তু সেটা না করে, একাডেমিক কাউন্সিল যদি অনুষদভিত্তিক বিকেন্দ্রীকরণ করা হতো, তাহলে সেটা ভালো হতো, ভিন্ন রকম হতো।
আবার শুধু অনুষদভিত্তিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটা ‘শিক্ষার্থী একাডেমিক বা গবেষণা কাউন্সিল’ করা যেতে পারে, যেখানে যাঁরা বিভিন্ন বিভাগে মাস্টার্স বা চতুর্থ বর্ষে পড়ে, তাদের অংশগ্রহণ থাকতে পারে। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বটা এভাবেও আসতে পারে। এখানে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত যারা ভালো রেজাল্ট করেছে, তাদের প্রথম তিন বা পাঁচজন করে প্রতি বিভাগে থাকতে পারে শিক্ষার্থী একাডেমিক বা গবেষণা কাউন্সিলে। যে শিক্ষার্থী মেধাবী হিসেবে ভালো রেজাল্ট করেছে, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা পালন করছে, সেটা ওই মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে অন্য রকম একটা আবেদন তৈরি করবে। এই মুহূর্তে আমার কাছে এগুলো একটা সমাধান মনে হচ্ছে।
কিন্তু নিশ্চয় আরও ভালো সমাধান বা উপায় থাকতে পারে। আর ডাকসুর বাইরে এ ধরনের প্রক্রিয়া একটা ভালো উপায় হতে পারে। কারণ ডাকসুর গঠনতন্ত্র মতে, এর প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন উপাচার্য। ছাত্রদের সংগঠনে কীভাবে একজন উপাচার্য এর প্রধান হতে পারেন? উপাচার্য ডাকসুর সর্বোচ্চভাবে উপদেষ্টা হিসেবে থাকতে পারেন। ডাকসুর প্রেসিডেন্ট তো একজন শিক্ষার্থী হওয়ার কথা। এখনকার ডাকসুও তাই প্রেসিডেন্ট তথা উপাচার্যে কেন্দ্রীভূত অথবা তাঁর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এতে সেই স্বেচ্ছাচারী, একনায়কতান্ত্রিক ব্যাপারগুলো খুব শক্তিশালীভাবে ক্রিয়া করে। তাই এখানেও সংস্কার খুব জরুরি।
আজকের পত্রিকা: কাঠামোগত আমূল পরিবর্তন ছাড়া কোনোভাবেই মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আশা করা যায় না। একটা গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে আপনার পরামর্শ কী?
তানজীমউদ্দিন খান: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটা স্লোগান খুব জনপ্রিয় হয়েছে ‘রাষ্ট্র সংস্কার ও রাষ্ট্র মেরামত’। এর মূলটা ছিল নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে। আর ‘রাষ্ট্র সংস্কার ও রাষ্ট্র মেরামত’ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের বাইরের কিছু না। সেই অর্থে এটা করা খুব জরুরি। আমরা এখন একটা সম্ভাবনার মধ্যে আছি। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে সে রকম নেতৃত্বগুণসম্পন্ন ব্যক্তি থাকেন এবং এই সরকারের মধ্যে সেই অনুধাবনটা থাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘প্রকৃত বিশ্ববিদ্যালয়’ হয়ে উঠুক, তাহলে আমার কাছে মনে হয় না এগুলো কঠিন কিছু; বিশেষ করে বিগত সময়ে যাঁরা দলীয় রাজনীতি করেছেন, তাঁরা তো দলীয় রাজনীতির মোড়কে ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক কাজই করেছেন। মোটাদাগে বিভিন্ন পদ-পদবি টিকে থাকা, কিছু হওয়া বা পাওয়ার জন্যই তাঁরা কাজ করেছেন, অন্য কিছুর জন্য নয়।
এসবের সঙ্গে দলীয় মতাদর্শেরও কোনো সম্পর্ক নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদা ও নীল দল বা অন্য দলে গড়পড়তা হিসেবে কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে, তবে সামগ্রিকভাবে ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক ব্যাপারটাই হলো মূল। এটা যদি সবাই অনুধাবন করে বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রতিষ্ঠান আর সেখানে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ ও ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে শিক্ষক হিসেবে আমাদের ভাবমূর্তিও নিচে নেমে যাবে। অন্য কথায়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে যদি একটা যৌথ স্বার্থের জায়গা হিসেবে বিবেচনা না করে, যদি শুধু দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়, তাহলে নতুন এই পরিস্থিতিতে সংস্কার করা কঠিন। অন্যদিকে সংস্কার শুরু করার এখনই সুবর্ণ সময়। এই সময় ইতিহাসে বারবার আসে না!
আজকের পত্রিকা: অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে আপনি কতটুকু আশাবাদী?
তানজীমউদ্দিন খান: কতটুকু আশাবাদী সেটা তো সংখ্যা দিয়ে পরিমাপ করার সুযোগ নেই। এই গণ-অভ্যুত্থানটা অবশ্যম্ভাবী ছিল। যেহেতু নতুন বাংলাদেশ গড়ার কথা উঠেছে, সেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারের বিকল্প ভাবার আপাতত সুযোগ নেই।
আজকের পত্রিকা: দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত একধরনের স্বৈরাচারী ব্যবস্থায় চলে। এ ক্ষেত্রে কীভাবে সংস্কার করা যেতে পারে?
তানজীমউদ্দিন খান: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তিয়াত্তরের অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই অধ্যাদেশে অনেক স্ববিরোধিতা রয়েছে। যদিও এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে এই অধ্যাদেশ আমাদের একাডেমিক ও চিন্তার স্বাধীনতার একমাত্র রক্ষাকবচ। এই অধ্যাদেশে এমন কিছু উপাদান আছে, যেখানে উপাচার্যকে স্বৈরাচারী হওয়ার সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন আছে।
এটার অবস্থা অনেকটা আমাদের সংবিধানের মতোই! সে জন্যই, বিশেষ করে সরকারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্কটা কী হবে, সেটা পুনর্নির্ধারণের মাধ্যমে অধ্যাদেশে লুকিয়ে থাকা স্বৈরাচারী উপাদানগুলো বিলুপ্ত করা খুব জরুরি। ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশের সংস্কার বর্তমান বাস্তবতায় খুব জরুরি। শুধু অধ্যাদেশ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু প্রচলিত অনুশীলন. যেমন শিক্ষক সমিতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব ধরনের নির্বাচনে সরকারদলীয় শিক্ষকদের কারা কীভাবে মনোনয়ন পাবেন, সেটাও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উপাচার্য ঠিক করে দেন।
তাই এই স্বৈরাচারী কাঠামোয় এসব নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত হয়। ২০০৮ সালের পরে আমরা দেখেছি, একজন চাকরিপ্রার্থীর যে ধরনের যোগ্যতা থাকার কথা, সেটাকে তোয়াক্কা না করে দলীয় পরিচয় এবং আনুগত্যের ওপর ভিত্তি করে অনেক বড়সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যদিও এটা কম-বেশি আগে থেকেই ছিল। তবে ২০০৮ সালের পর থেকে এ রকম অযোগ্যদের নিয়োগ কোনো রাখঢাক ছাড়া নির্লজ্জভাবে হয়েছে অনেক বড় আকারে। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ৯০৬ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন সেই সময়কার উপাচার্য। যত্রতত্র বা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বিভিন্ন বিভাগ খোলা হয়েছে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শুধু দলীয় ভোটারের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টায়। এগুলো দেখে মনে হচ্ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় বুঝি কোনো একটি সরকারদলীয় মালিকানার শিল্পপ্রতিষ্ঠান!
এটা করতে গিয়ে আসলে সংখ্যাগত আধিপত্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনী কাঠামোকে দলীয়ভাবে কুক্ষিগত করা হয়েছে। শিক্ষক সমিতিও এর ব্যতিক্রম নয়। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সরকারদলীয় যাঁরা অংশগ্রহণ করেন, তাঁদের একটা বড় অংশ আবার প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকেন। এটা কিন্তু ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’। প্রশাসনিক দায়িত্বে যিনি থাকেন, তিনি আবার কী করে, দর-কষাকষির এজেন্ট হিসেবে শিক্ষক সমিতিতে থাকেন?
কেউ যদি হলের প্রভোস্ট হন, তিনি নিশ্চিতভাবে তাঁর হলের হাউস টিউটরদের ভোট নিশ্চিতভাবে পান বা জুনিয়র শিক্ষকদের হাউস টিউটর করার লোভ দেখিয়ে তাঁর পক্ষে ভোট নিশ্চিত করেন। শুধু তা-ই নয়, প্রভোস্টের প্রার্থীকে হাউস টিউটর ভোট দিচ্ছেন কি না, সেটা নিশ্চিত করার জন্য জুনিয়র শিক্ষকেরা ভোট দেওয়ার পর ব্যালটের ছবি তুলে প্রভোস্ট বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সবচেয়ে বড় কর্মকর্তাকে নিশ্চিত করেন, তাঁদের দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। একইভাবে ডিন, সিন্ডিকেট ও সিনেট নির্বাচনেও কারা প্রার্থী হবেন, সেটাও উপাচার্য নির্ধারণ করে দিতেন। উপাচার্যের সম্মতি বা আশীর্বাদের বাইরে খুব কম ক্ষেত্রেই কেউ নির্বাচনে তাঁদের দলের প্রার্থী হতে পারতেন। এভাবে সব ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সব সময় একটা স্বৈরাচারী কাঠামো জারি রাখা হয়েছে।
তাই ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ আরও গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক করার বিকল্প নেই এবং উপাচার্যসহ অন্য সবার মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা যায়। সবকিছু মিলিয়ে ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ নিয়ে আমাদের সংস্কারের কথা ভাবতে হবে; বিশেষ করে সরকারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ করা খুব জরুরি। সরকার তার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো করে বিশ্ববিদ্যালয়কে দেখতে চায়, না একে স্বাধীন একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চায়, যার মধ্য দিয়ে সরকার উপকৃত হবে, তা নির্ধারণ করতে হবে।
একটা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার মধ্য দিয়েই রাষ্ট্র, সরকারকে সঠিক পথ দেখায়। আর রাষ্ট্র, সরকারের ভুল পথকে চিহ্নিত করা—এ ধরনের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চায়, না ওই ধরনের প্রতিষ্ঠান চায়—সেটা সরকারের জন্য পুনর্নির্ধারণ করা খুব জরুরি। এটা পুনর্নির্ধারণ করতে হলে আমাদের কাঠামোগত সংস্কার খুব দ্রুত শুরু করা দরকার।
আজকের পত্রিকা: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য থেকে সব প্রশাসনিক পদে কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দিলে তা স্বচ্ছ হবে?
তানজীমউদ্দিন খান: প্রথম বিষয় হচ্ছে, উপাচার্যের নিয়োগটা হতে হবে স্বচ্ছ। যে গুণগুলো থাকলে একজন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে চালাতে পারবেন, সে রকম ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হবে। আনুগত্য, বিশেষ দলের প্রতি সমর্থন কিংবা ব্যক্তিগত আনুগত্যের ভিত্তিতে—এভাবে কেউ নিয়োগ পেলে সামগ্রিক কাঠামোটা কিন্তু ধ্বংস হবে। উপাচার্য যখন আনুগত্যের নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং প্রশাসনিক অন্য পদগুলোতে তাঁর আনুগত্য কারা, সেই বিবেচনা ধরে তিনি সেই পদগুলোতে নিয়োগ দেন। ফলে উপাচার্য যদি সঠিক মানুষটা হন এবং প্রশাসনিক পদগুলোতে, যেমন—হল প্রভোস্ট কে হবেন?
সেটা উপাচার্যের সঙ্গে তাঁর কী রকম সম্পর্ক এবং নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় উপাচার্য না থেকে ওপেন কলের মাধ্যমে সবাইকে আমন্ত্রণ করা যেতে পারে। পাশাপাশি ওপেন কলের মাধ্যমে বা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে যাঁদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক যোগ্যতা আছে, তাঁরা যদি আগ্রহী হন, তখন আবেদন করবেন। যাঁরা এসব বাছাই করবেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ হবেন না। স্বাধীন একটা বাছাই কমিটি থাকতে হবে, যারা যোগ্যতার ভিত্তিতে হলের প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রশাসনিক পদে নিয়োগ দেবে। আর স্বাধীন সেই নিয়োগ কমিটির সদস্যদেরও কোনো দলীয় পরিচয় থাকা যাবে না। নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় মার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকতে হবে। সেই মার্কের বিষয়টাও গোপন না রেখে জনপরিসরে জানাতে হবে। নিয়োগপ্রাপ্তদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ আছে কি না, সেটাও দেখতে হবে। এই মাপকাঠি বিবেচনা করে নিয়োগপদ্ধতি চালু করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে না। এ ক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে?
তানজীমউদ্দিন খান: আমি যে আলোচনাটি বারবার করে থাকি, সেটা হলো—উপাচার্যকে কেন্দ্র করে সবকিছু কেন্দ্রীভূত এবং আবির্ভূত হয়। একাডেমিক কাউন্সিলে আমরা অধ্যাপকেরা একত্র হই। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনেক এলোমেলোভাবে এগুলো হয়। সেখানে যাঁরা সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলেন, আবার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামাজিক বিজ্ঞানের পিএইচডি থিসিস নিয়ে আলোচনা করেন। আর একাডেমিক কাউন্সিল খুবই কেন্দ্রীভূত একটা ব্যবস্থা। কিন্তু সেটা না করে, একাডেমিক কাউন্সিল যদি অনুষদভিত্তিক বিকেন্দ্রীকরণ করা হতো, তাহলে সেটা ভালো হতো, ভিন্ন রকম হতো।
আবার শুধু অনুষদভিত্তিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটা ‘শিক্ষার্থী একাডেমিক বা গবেষণা কাউন্সিল’ করা যেতে পারে, যেখানে যাঁরা বিভিন্ন বিভাগে মাস্টার্স বা চতুর্থ বর্ষে পড়ে, তাদের অংশগ্রহণ থাকতে পারে। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বটা এভাবেও আসতে পারে। এখানে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত যারা ভালো রেজাল্ট করেছে, তাদের প্রথম তিন বা পাঁচজন করে প্রতি বিভাগে থাকতে পারে শিক্ষার্থী একাডেমিক বা গবেষণা কাউন্সিলে। যে শিক্ষার্থী মেধাবী হিসেবে ভালো রেজাল্ট করেছে, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা পালন করছে, সেটা ওই মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে অন্য রকম একটা আবেদন তৈরি করবে। এই মুহূর্তে আমার কাছে এগুলো একটা সমাধান মনে হচ্ছে।
কিন্তু নিশ্চয় আরও ভালো সমাধান বা উপায় থাকতে পারে। আর ডাকসুর বাইরে এ ধরনের প্রক্রিয়া একটা ভালো উপায় হতে পারে। কারণ ডাকসুর গঠনতন্ত্র মতে, এর প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন উপাচার্য। ছাত্রদের সংগঠনে কীভাবে একজন উপাচার্য এর প্রধান হতে পারেন? উপাচার্য ডাকসুর সর্বোচ্চভাবে উপদেষ্টা হিসেবে থাকতে পারেন। ডাকসুর প্রেসিডেন্ট তো একজন শিক্ষার্থী হওয়ার কথা। এখনকার ডাকসুও তাই প্রেসিডেন্ট তথা উপাচার্যে কেন্দ্রীভূত অথবা তাঁর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এতে সেই স্বেচ্ছাচারী, একনায়কতান্ত্রিক ব্যাপারগুলো খুব শক্তিশালীভাবে ক্রিয়া করে। তাই এখানেও সংস্কার খুব জরুরি।
আজকের পত্রিকা: কাঠামোগত আমূল পরিবর্তন ছাড়া কোনোভাবেই মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আশা করা যায় না। একটা গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে আপনার পরামর্শ কী?
তানজীমউদ্দিন খান: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটা স্লোগান খুব জনপ্রিয় হয়েছে ‘রাষ্ট্র সংস্কার ও রাষ্ট্র মেরামত’। এর মূলটা ছিল নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে। আর ‘রাষ্ট্র সংস্কার ও রাষ্ট্র মেরামত’ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের বাইরের কিছু না। সেই অর্থে এটা করা খুব জরুরি। আমরা এখন একটা সম্ভাবনার মধ্যে আছি। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে সে রকম নেতৃত্বগুণসম্পন্ন ব্যক্তি থাকেন এবং এই সরকারের মধ্যে সেই অনুধাবনটা থাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘প্রকৃত বিশ্ববিদ্যালয়’ হয়ে উঠুক, তাহলে আমার কাছে মনে হয় না এগুলো কঠিন কিছু; বিশেষ করে বিগত সময়ে যাঁরা দলীয় রাজনীতি করেছেন, তাঁরা তো দলীয় রাজনীতির মোড়কে ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক কাজই করেছেন। মোটাদাগে বিভিন্ন পদ-পদবি টিকে থাকা, কিছু হওয়া বা পাওয়ার জন্যই তাঁরা কাজ করেছেন, অন্য কিছুর জন্য নয়।
এসবের সঙ্গে দলীয় মতাদর্শেরও কোনো সম্পর্ক নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদা ও নীল দল বা অন্য দলে গড়পড়তা হিসেবে কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে, তবে সামগ্রিকভাবে ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক ব্যাপারটাই হলো মূল। এটা যদি সবাই অনুধাবন করে বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রতিষ্ঠান আর সেখানে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ ও ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে শিক্ষক হিসেবে আমাদের ভাবমূর্তিও নিচে নেমে যাবে। অন্য কথায়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে যদি একটা যৌথ স্বার্থের জায়গা হিসেবে বিবেচনা না করে, যদি শুধু দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়, তাহলে নতুন এই পরিস্থিতিতে সংস্কার করা কঠিন। অন্যদিকে সংস্কার শুরু করার এখনই সুবর্ণ সময়। এই সময় ইতিহাসে বারবার আসে না!
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে