সৌগত বসু, ঢাকা
পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী হওয়ায় সারা বিশ্বে বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু বাংলাদেশে উল্টো চিত্র। বিদেশি কিছু কোম্পানি দেশে বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি আমদানি করছে। ১৫টির মতো চার্জিং স্টেশন তৈরির কাজও প্রক্রিয়াধীন। এ বছর হবে আরও ৩০টির মতো। সরকারও চায় বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ুক। তারপরও এই গাড়ি এখনো মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। ধুঁকছে গাড়িনির্মাতা দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও।
গাড়ি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে জাপানের রিকন্ডিশন্ড, অর্থাৎ ব্যবহৃত গাড়ির ক্রেতাই বেশি। বৈদ্যুতিক গাড়ি যেগুলো আছে, সেগুলো সব বিলাসবহুল কোম্পানির। এতে বাজার বড় হচ্ছে না। যন্ত্রাংশে শুল্কসহ কিছু সুবিধা পেলে বাজার বড় হবে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈদ্যুতিক গাড়ি জনপ্রিয় করতে দেশি প্রকল্পগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দেশে ২০২৩ সাল থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ির নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর অল্প কিছু বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ যানবাহনকে বৈদ্যুতিক করার লক্ষ্য সরকারের।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা ছয়টি কোম্পানির অধীনে ঢাকা, রাজশাহী, যশোর, খুলনা ও চট্টগ্রামে চার্জিং স্টেশন করেছেন। এখন তাঁরা আশা করেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন চার্জিং স্টেশন গড়ে উঠুক। এ ক্ষেত্রে সরকার সহযোগিতা করবে।
পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী
সংশ্লিষ্ট গাড়ি কোম্পানিগুলো বলছে, এক কিলোমিটার যেতে জ্বালানি তেলচালিত একটি গাড়ির তেল খরচ লাগে ২২ থেকে ২৫ টাকা। একই দূরত্বে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির খরচ হবে ৩ থেকে ৪ টাকা। এক চার্জে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি যে দূরত্ব পাড়ি দিতে পারে, তাতে খরচ হবে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা। একই দূরত্ব গ্যাসোলিনচালিত একটি গাড়ির যেতে খরচ হয় প্রায় ৮ হাজার টাকা। এ ছাড়া জীবাশ্ম জ্বালানি না পোড়ানোয় বৈদ্যুতিক গাড়ি পরিবেশবান্ধবও। এই গাড়িতে ৩০ শতাংশ কম দামে ৩০ শতাংশ বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারবিডা) সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির শুল্ক শূন্য শতাংশ হলে এর চাহিদা বাড়বে। লজিস্টিক সুবিধাও দরকার; বিশেষ করে চার্জিং স্টেশন তৈরির ক্ষেত্রে।
এগিয়ে বিলাসবহুল গাড়ির কোম্পানি
বাংলাদেশে গত ২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) বিক্রি শুরু করেছে চীনের গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি বিওয়াইডি। কোম্পানিটি রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় সিজি-রানার বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে প্রথম নিজস্ব বিক্রয়কেন্দ্র চালু করেছে। সিজি রানারের রিটেইল ও করপোরেটপ্রধান সাইমন মানসুর বলেন, দেশের বাজারে দুই ধরনের গাড়ি বিক্রি করবেন তাঁরা। একটি বিওয়াইডি সিল এক্সটেনডেড, দাম ৮৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং বিওয়াইডি সিল পারফরম্যান্স, দাম ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রথমটি এক চার্জে ৫৭০ কিলোমিটার যাবে, দ্বিতীয়টি ৫২০ কিলোমিটার। তাঁরা চার্জিং স্টেশন তৈরির জন্য জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছেন।
অডির শোরুমের তথ্য বলছে, দেশে অডির ই-ট্রন মডেলের বৈদ্যুতিক গাড়ি রয়েছে। এর দাম ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। গত বছরের জানুয়ারিতে এটি বাজারে আসে। একবার চার্জে এটি ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। অডির স্থানীয় পরিবেশক প্রোগ্রেস মোটরসের কান্ট্রি লিড (সেলস) সাফায়েত বিন তায়েব বলেন, এখন পর্যন্ত তাঁদের দুটি চার্জিং স্টেশন করা হয়েছে। একটি ঢাকায়, আরেকটি কক্সবাজারের সাইমন বিচ রিসোর্টে।
তবে দেশের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রিতে এগিয়ে আছে বিএমডব্লিউ। এর পরিবেশক এক্সিকিউটিভ মোটরসের বিপণনপ্রধান আব্দুর রহমান বলেন, তাঁদের দুটি ইভি মডেল–আইএক্স থ্রি এবং আই সেভেন। আইএক্স থ্রি এক চার্জে ৪৬০ কিলোমিটার, আই সেভেন ৬১১ কিলোমিটার যাবে। এগুলোর দাম ১ কোটি ৫৫ লাখ থেকে ৪ কোটি পর্যন্ত। ব্যাটারির গাড়িতে ৮ বছরের ওয়ারেন্টি আছে। চলবে ১ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার।
দেশে প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন তৈরি করেছে ‘এখন চার্জ’। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তাসকিন সাকিব বলেন, তাঁদের আরও চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা-কুমিল্লা রোডে একটা কাজ চলছে, চট্টগ্রামে হচ্ছে, কক্সবাজার হয়েছে, ঢাকা-সিলেট হাইওয়েতেও একটা হচ্ছে। ঢাকার মধ্যে আরেকটা স্টেশন করার জন্য জায়গা খুঁজছেন তাঁরা।
ধুঁকছে দেশি প্রতিষ্ঠান
নিজের ফ্ল্যাট বিক্রি করে ২০২২ সালে ‘পালকি’ বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) তৈরির কাজ শুরু করেন প্রকৌশলী মোস্তফা আল মমিন। দুই বছরে ২০টির মতো গাড়ি তৈরি ও বিপণন করতে পেরেছেন। তাঁর কোম্পানি ঘোষণা দিয়েছিল, তাদের গাড়ির দাম ৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকার মধ্যে থাকবে। সিটিবয় নামের গাড়িটি চার্জ হতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা, এক চার্জে ১৫০ কিলোমিটার চলতে পারে। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। বাসায়ই চার্জ দেওয়া যাবে। পালকির ৪০ শতাংশ যন্ত্রাংশ বাংলাদেশের। বাকি যন্ত্রাংশ আমদানি করা হয়েছে চীন ও তাইওয়ান থেকে।
পালকি মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা আল মমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দিয়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ কিনে পালকি তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি। পরে ফ্যাক্টরি করার জন্য টাকার দরকার হলে ফ্ল্যাট বিক্রি করতে হয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অপারেটিং কর্মকর্তা জাহিদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পালকির মতো যাঁরা দেশেই গাড়ি বানাচ্ছেন, তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। বিশেষ করে যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক কমানো দরকার।
পালকি ছাড়াও দেশে ম্যাঙ্গো টেলিসার্ভিসেসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপন করছে। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত কারখানাটি। এই কারখানায় গাড়ি মডেল ও ধরনভেদে ১২ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকার মতো পড়বে। কোনো গাড়ি এক চার্জে চলবে ২৫০ কিলোমিটার, কোনোটি আবার ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলবে।
প্রকল্পটির পরিচালক আব্দুস সামাদ বলেন, তাঁদের কারখানার অবকাঠামো তৈরির কাজ ৯০ শতাংশ শেষ। গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ৬০ শতাংশ দেশে এসেছে। এক-দুই মাস সময় লাগবে বাজারে গাড়ি আনতে।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখানে দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। পরিবেশের কথা মাথায় রাখলে জ্বালানি তেলের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে আরও সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। এতে করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে এই গাড়ি পৌঁছে যাবে।
পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী হওয়ায় সারা বিশ্বে বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু বাংলাদেশে উল্টো চিত্র। বিদেশি কিছু কোম্পানি দেশে বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি আমদানি করছে। ১৫টির মতো চার্জিং স্টেশন তৈরির কাজও প্রক্রিয়াধীন। এ বছর হবে আরও ৩০টির মতো। সরকারও চায় বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ুক। তারপরও এই গাড়ি এখনো মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। ধুঁকছে গাড়িনির্মাতা দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও।
গাড়ি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে জাপানের রিকন্ডিশন্ড, অর্থাৎ ব্যবহৃত গাড়ির ক্রেতাই বেশি। বৈদ্যুতিক গাড়ি যেগুলো আছে, সেগুলো সব বিলাসবহুল কোম্পানির। এতে বাজার বড় হচ্ছে না। যন্ত্রাংশে শুল্কসহ কিছু সুবিধা পেলে বাজার বড় হবে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈদ্যুতিক গাড়ি জনপ্রিয় করতে দেশি প্রকল্পগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দেশে ২০২৩ সাল থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ির নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর অল্প কিছু বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ যানবাহনকে বৈদ্যুতিক করার লক্ষ্য সরকারের।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা ছয়টি কোম্পানির অধীনে ঢাকা, রাজশাহী, যশোর, খুলনা ও চট্টগ্রামে চার্জিং স্টেশন করেছেন। এখন তাঁরা আশা করেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন চার্জিং স্টেশন গড়ে উঠুক। এ ক্ষেত্রে সরকার সহযোগিতা করবে।
পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী
সংশ্লিষ্ট গাড়ি কোম্পানিগুলো বলছে, এক কিলোমিটার যেতে জ্বালানি তেলচালিত একটি গাড়ির তেল খরচ লাগে ২২ থেকে ২৫ টাকা। একই দূরত্বে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির খরচ হবে ৩ থেকে ৪ টাকা। এক চার্জে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি যে দূরত্ব পাড়ি দিতে পারে, তাতে খরচ হবে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা। একই দূরত্ব গ্যাসোলিনচালিত একটি গাড়ির যেতে খরচ হয় প্রায় ৮ হাজার টাকা। এ ছাড়া জীবাশ্ম জ্বালানি না পোড়ানোয় বৈদ্যুতিক গাড়ি পরিবেশবান্ধবও। এই গাড়িতে ৩০ শতাংশ কম দামে ৩০ শতাংশ বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারবিডা) সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির শুল্ক শূন্য শতাংশ হলে এর চাহিদা বাড়বে। লজিস্টিক সুবিধাও দরকার; বিশেষ করে চার্জিং স্টেশন তৈরির ক্ষেত্রে।
এগিয়ে বিলাসবহুল গাড়ির কোম্পানি
বাংলাদেশে গত ২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) বিক্রি শুরু করেছে চীনের গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি বিওয়াইডি। কোম্পানিটি রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় সিজি-রানার বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে প্রথম নিজস্ব বিক্রয়কেন্দ্র চালু করেছে। সিজি রানারের রিটেইল ও করপোরেটপ্রধান সাইমন মানসুর বলেন, দেশের বাজারে দুই ধরনের গাড়ি বিক্রি করবেন তাঁরা। একটি বিওয়াইডি সিল এক্সটেনডেড, দাম ৮৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং বিওয়াইডি সিল পারফরম্যান্স, দাম ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রথমটি এক চার্জে ৫৭০ কিলোমিটার যাবে, দ্বিতীয়টি ৫২০ কিলোমিটার। তাঁরা চার্জিং স্টেশন তৈরির জন্য জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছেন।
অডির শোরুমের তথ্য বলছে, দেশে অডির ই-ট্রন মডেলের বৈদ্যুতিক গাড়ি রয়েছে। এর দাম ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। গত বছরের জানুয়ারিতে এটি বাজারে আসে। একবার চার্জে এটি ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। অডির স্থানীয় পরিবেশক প্রোগ্রেস মোটরসের কান্ট্রি লিড (সেলস) সাফায়েত বিন তায়েব বলেন, এখন পর্যন্ত তাঁদের দুটি চার্জিং স্টেশন করা হয়েছে। একটি ঢাকায়, আরেকটি কক্সবাজারের সাইমন বিচ রিসোর্টে।
তবে দেশের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রিতে এগিয়ে আছে বিএমডব্লিউ। এর পরিবেশক এক্সিকিউটিভ মোটরসের বিপণনপ্রধান আব্দুর রহমান বলেন, তাঁদের দুটি ইভি মডেল–আইএক্স থ্রি এবং আই সেভেন। আইএক্স থ্রি এক চার্জে ৪৬০ কিলোমিটার, আই সেভেন ৬১১ কিলোমিটার যাবে। এগুলোর দাম ১ কোটি ৫৫ লাখ থেকে ৪ কোটি পর্যন্ত। ব্যাটারির গাড়িতে ৮ বছরের ওয়ারেন্টি আছে। চলবে ১ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার।
দেশে প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন তৈরি করেছে ‘এখন চার্জ’। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তাসকিন সাকিব বলেন, তাঁদের আরও চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা-কুমিল্লা রোডে একটা কাজ চলছে, চট্টগ্রামে হচ্ছে, কক্সবাজার হয়েছে, ঢাকা-সিলেট হাইওয়েতেও একটা হচ্ছে। ঢাকার মধ্যে আরেকটা স্টেশন করার জন্য জায়গা খুঁজছেন তাঁরা।
ধুঁকছে দেশি প্রতিষ্ঠান
নিজের ফ্ল্যাট বিক্রি করে ২০২২ সালে ‘পালকি’ বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) তৈরির কাজ শুরু করেন প্রকৌশলী মোস্তফা আল মমিন। দুই বছরে ২০টির মতো গাড়ি তৈরি ও বিপণন করতে পেরেছেন। তাঁর কোম্পানি ঘোষণা দিয়েছিল, তাদের গাড়ির দাম ৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকার মধ্যে থাকবে। সিটিবয় নামের গাড়িটি চার্জ হতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা, এক চার্জে ১৫০ কিলোমিটার চলতে পারে। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। বাসায়ই চার্জ দেওয়া যাবে। পালকির ৪০ শতাংশ যন্ত্রাংশ বাংলাদেশের। বাকি যন্ত্রাংশ আমদানি করা হয়েছে চীন ও তাইওয়ান থেকে।
পালকি মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা আল মমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দিয়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ কিনে পালকি তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি। পরে ফ্যাক্টরি করার জন্য টাকার দরকার হলে ফ্ল্যাট বিক্রি করতে হয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অপারেটিং কর্মকর্তা জাহিদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পালকির মতো যাঁরা দেশেই গাড়ি বানাচ্ছেন, তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। বিশেষ করে যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক কমানো দরকার।
পালকি ছাড়াও দেশে ম্যাঙ্গো টেলিসার্ভিসেসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপন করছে। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত কারখানাটি। এই কারখানায় গাড়ি মডেল ও ধরনভেদে ১২ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকার মতো পড়বে। কোনো গাড়ি এক চার্জে চলবে ২৫০ কিলোমিটার, কোনোটি আবার ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলবে।
প্রকল্পটির পরিচালক আব্দুস সামাদ বলেন, তাঁদের কারখানার অবকাঠামো তৈরির কাজ ৯০ শতাংশ শেষ। গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ৬০ শতাংশ দেশে এসেছে। এক-দুই মাস সময় লাগবে বাজারে গাড়ি আনতে।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখানে দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। পরিবেশের কথা মাথায় রাখলে জ্বালানি তেলের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে আরও সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। এতে করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে এই গাড়ি পৌঁছে যাবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে