মো. তারেক রহমান, আল মামুন বিশ্বাস ও গোলাম কবির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২। নির্বাচনী এলাকা নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট নিয়ে গঠিত আসনটি এককভাবে কেউ দীর্ঘদিন দখলে রাখতে পারেনি। তবে এখানে বিএনপির আধিপত্যই বেশি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সারা দেশে মাত্র সাতটি আসনে জয়লাভ করে দলটি। সেই নির্বাচনেও এই আসনে এমপি নির্বাচিত হন বিএনপি থেকে। কাজেই এবারও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ ধানের শীষের ভোটব্যাংক।
পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এই আসনে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির নেতা সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা মুহা. জিয়াউর রহমান এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে আবার বিএনপির দখলে যায় এই আসন। সারা দেশে বিএনপির ভরাডুবি হলেও আসনটিতে এমপি হন বিএনপি নেতা মো. আমিনুল ইসলাম। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে এই আসনে দলীয় মনোনয়নে এমপি হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান।
মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন বর্তমান সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান। নির্বাচনী এলাকায় তাঁর ব্যাপক প্রভাব থাকায় সবদিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন। তবে এখানে স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতাদের মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধও কম নয়।
গেল উপনির্বাচনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি মনোনয়নপত্র তুলে হঠাৎ আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন। আসন্ন নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন। এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজা এবং তাঁর ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জামালউদ্দিন, ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল আলম সৈকত জোয়ার্দ্দার ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহসম্পাদক কামরুল হাসান লিংকন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হালিমা খাতুন এবং ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ।
জানতে চাইলে জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে জয়ী করার টার্গেট থাকবে সবার। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন শুধু আমি চাইব না, আরও অনেকেই চাইবে। সুতরাং দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা মেনে নিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করে যাব।’
বিএনপি নির্বাচনে এলে সাবেক সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলামের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর ভালো যোগাযোগ রয়েছে।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আপাতত আমাদের কোনো ভাবনা নেই। এ সরকারকে হটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহালের আন্দোলন নিয়েই ভাবছি।’
আমিনুল ইসলাম ছাড়াও আগামী নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন মহিলা দলের নেত্রী মাসউদা আফরোজ হক (শুচি) ও গোমস্তাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা বাইরুল ইসলাম।
মহিলা দলের মাসউদা আফরোজ হক শুচি বলেন, ‘দল নির্বাচনে অংশ নিলে অবশ্যই মনোনয়নপত্র তুলব। দল আমার ওপর ভরসা রাখবে। মানুষ ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন বলে আমি আশাবাদী।’
বিএনপির ঘাঁটি হলেও এখানে জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবও কম নয়। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী মীম ওবাইদুল্লাহ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হলে আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী হবেন ড. মিজানুর রহমান।
জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২। নির্বাচনী এলাকা নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট নিয়ে গঠিত আসনটি এককভাবে কেউ দীর্ঘদিন দখলে রাখতে পারেনি। তবে এখানে বিএনপির আধিপত্যই বেশি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সারা দেশে মাত্র সাতটি আসনে জয়লাভ করে দলটি। সেই নির্বাচনেও এই আসনে এমপি নির্বাচিত হন বিএনপি থেকে। কাজেই এবারও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ ধানের শীষের ভোটব্যাংক।
পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এই আসনে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির নেতা সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা মুহা. জিয়াউর রহমান এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে আবার বিএনপির দখলে যায় এই আসন। সারা দেশে বিএনপির ভরাডুবি হলেও আসনটিতে এমপি হন বিএনপি নেতা মো. আমিনুল ইসলাম। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে এই আসনে দলীয় মনোনয়নে এমপি হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান।
মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন বর্তমান সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান। নির্বাচনী এলাকায় তাঁর ব্যাপক প্রভাব থাকায় সবদিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন। তবে এখানে স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতাদের মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধও কম নয়।
গেল উপনির্বাচনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি মনোনয়নপত্র তুলে হঠাৎ আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন। আসন্ন নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন। এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজা এবং তাঁর ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জামালউদ্দিন, ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল আলম সৈকত জোয়ার্দ্দার ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহসম্পাদক কামরুল হাসান লিংকন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হালিমা খাতুন এবং ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ।
জানতে চাইলে জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে জয়ী করার টার্গেট থাকবে সবার। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন শুধু আমি চাইব না, আরও অনেকেই চাইবে। সুতরাং দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা মেনে নিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করে যাব।’
বিএনপি নির্বাচনে এলে সাবেক সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলামের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর ভালো যোগাযোগ রয়েছে।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আপাতত আমাদের কোনো ভাবনা নেই। এ সরকারকে হটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহালের আন্দোলন নিয়েই ভাবছি।’
আমিনুল ইসলাম ছাড়াও আগামী নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন মহিলা দলের নেত্রী মাসউদা আফরোজ হক (শুচি) ও গোমস্তাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা বাইরুল ইসলাম।
মহিলা দলের মাসউদা আফরোজ হক শুচি বলেন, ‘দল নির্বাচনে অংশ নিলে অবশ্যই মনোনয়নপত্র তুলব। দল আমার ওপর ভরসা রাখবে। মানুষ ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন বলে আমি আশাবাদী।’
বিএনপির ঘাঁটি হলেও এখানে জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবও কম নয়। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী মীম ওবাইদুল্লাহ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হলে আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী হবেন ড. মিজানুর রহমান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে