মাদারীপুরের শিবচরের আকাশে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই সূর্যের দেখা নেই। ভোরের দিকে ছিল ঘন কুয়াশা, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা কমে আসে। তবে দুপুর থেকে ফের কুয়াশা বেড়েছে।

ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল সকাল থেকে পদ্মাসেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল সীমিত ছিল বলে জানা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ কমলেও কুয়াশাচ্ছন্ন ভাব কমেনি।

এদিকে কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস হওয়ায় উপজেলার পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁর চরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাট-বাজারগুলোতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কম রয়েছে।

দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতিও কম। স্থানীয় সড়ক-মহাসড়কে সকালের দিকে যানবাহন চলাচল সীমিত থাকলেও দুপুরের দিকে গন্তব্যমুখী যাত্রীদের দেখা গেছে।

এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন শিবচরের পাঁচ্চর এলাকার বাসিন্দা শ্যামল বলেন, গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত বেশ কুয়াশা ছিল। পরে কিছুটা কমলেও বেলা ১টার পর থেকে আবারও বেড়েছে। আকাশ মেঘলা এবং চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় সকাল থেকেই মহাসড়কে যাত্রীদের সংখ্যা কম দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় বাজারগুলোতেও ভিড় কম।

ঢাকাগামী একটি বাসের সহকারী মো. রতন বলেন, দুপুরেও মহাসড়কে কুয়াশা দেখা যায়। দূরে স্পষ্ট দেখতে কষ্ট হয়। গাড়ি চলাচলে কিছুটা ধীর গতি রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকাগামী যাত্রী কিছুটা কম। তিন দিনের ছুটি শেষে গত সোমবার অফিস খুলেছে। রোববার বিকেল এবং সোমবার সকালে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ ছিল।

উপজেলার উৎরাইল হাটের সবজি বিক্রেতা মো. নুরু বলেন, সকাল থেকে রোদ নাই। বৃষ্টি পড়বে পড়বে ভাব। আবার কুয়াশাও চারপাশে। ক্রেতারা সকাল সকাল কেনাকাটা করে চলে গেছে। দুপুরের মধ্যেই হাট প্রায় ভেঙে গেছে।

স্থানীয় কৃষক এনায়েত করিম বলেন, সকালে দু-এক ফোঁটা বৃষ্টিও পড়েছে। এ সময় বৃষ্টি এবং কুয়াশা বেশি হলে যে সকল শস্যে ফুল এসেছে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শিবচর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহেল বাকী বলেন, কুয়াশা ভাব থাকায় এক্সপ্রেসওয়েতে পরিবহনের গতি কম রয়েছে। সকাল থেকে হাইওয়ে পুলিশ এক্সপ্রেসওয়ের একাধিক স্থানে দায়িত্ব পালন করছে।