পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের দিনমজুর আবুল ফজল। গতকাল রোববার সাপ্তাহিক হাটের দিনে টেবুনিয়া হাটে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনেন। কেনাকাটার একপর্যায়ে সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে পড়েন বিভ্রান্তিতে। সরকারিভাবে নির্ধারিত ১৪৩ টাকা লিটারের সয়াবিন তেল কিনতে গেলে দোকানদার খুচরা দাম চান ১৬৫-১৬৭ টাকা। তখনই কেজি-লিটার আর সরকারি বেঁধে দেওয়া মূল্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন আবুল ফজল।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার অমৃতকুন্ডা হাটে মজুনর রহমান নামের এক ক্রেতা সয়াবিনের তেল কিনতে গিয়ে একই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন। ১৪৬-১৫০ টাকায় দোকানে বিক্রি করতে দেখেন। আর কেজির হিসেবে ১৬৪ টাকা খুচরা, আর পাইকারি ১৬২ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। দামের এ তারতম্যের জন্য ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন মধ্যস্বত্বভোগীদের।
রোববার দুপুরে পাবনা শহরের বড় বাজারে তেল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স লক্ষ্মী ভান্ডার, মেসার্স মুকুল স্টোর ও মেসার্স উত্তর কুন্ডুর দোকান ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বিক্রয়মূল্য পাইকারি মূল্যের চেয়ে কয়েক টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা বলেন, দিনে কয়েকবার বাজার উঠানামা করছে।
পাবনা বড় বাজার, শহরের এআর কর্নারের নিচে, সিংগা বাজার, গাছপাড়া, টেবুনিয়া, আটঘরিয়া, চাটমোহর, সুজানগর ও বেড়ায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধিকাংশ পাইকারি দোকানেই সরকার নির্ধারিত মূল্যে সয়াবিনের তেল বিক্রয় হচ্ছে না। পাইকাররাই প্রতি কেজিতে ৩-৭ বা ৯ টাকা অতিরিক্ত মূল্যে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। আর খুচরা দোকানদারেরা তার চেয়েও বেশিতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। সে হিসেবে প্রতি লিটারে ৭ থেকে ৯ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল।
টেবুনিয়া বাজারের মেসার্স শাহীন ট্রেডার্সের মালিক শাহীন আক্তার জানান, সরকার মিল গেটের রেট নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু পরিবহন, কুলিসহ আনুষঙ্গিক খরচের হিসাব যুক্ত করে দেয়নি। ফলে প্রতিনিয়তই ভোক্তা পর্যায়ে বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারদর দ্রুত পরিবর্তন হওয়ায় বিপাকের মধ্যে ব্যবসা করতে হচ্ছে।
শাহীন আক্তার জানান, রোববার তিনি ১৬৪ টাকা কেজি দরে খোলা সয়াবিন তেল কিনেছেন। সেটি পাইকারি ১৬৫ টাকা কেজি আর খুচরা বিক্রি করছেন ১৬৭ টাকা কেজিতে। সরকারি হিসেবে এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪৩ টাকা।
কেজিতে ১৫৭-১৫৮ টাকা আসলেও ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি তেলে প্রায় ১০ টাকা অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তেল ব্যবসায়ী শাহীন আক্তার।
আসলাম উদ্দিন, রাজ্জাক মোল্লা, আনোয়ার হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, সুমন আলীসহ কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, মিল গেটের রেট থেকে অতিরিক্ত দামে পাইকারদের কাছ থেকে তেল ক্রয় করে কিছুটা লাভ রেখে বিক্রি করছেন তাঁরা।
কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, লাগামহীনভাবে তেলের দাম বাড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আসন্ন রমজান মাসে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পাবনার সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে প্রথমত কেজি ও লিটার মাপে কিছুটা বিভ্রান্তি হচ্ছে। লিটারের দামের চেয়ে কেজির দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ হতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বেশি দামে বিক্রির সুযোগ নেই। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাবনা সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের দিনমজুর আবুল ফজল। গতকাল রোববার সাপ্তাহিক হাটের দিনে টেবুনিয়া হাটে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনেন। কেনাকাটার একপর্যায়ে সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে পড়েন বিভ্রান্তিতে। সরকারিভাবে নির্ধারিত ১৪৩ টাকা লিটারের সয়াবিন তেল কিনতে গেলে দোকানদার খুচরা দাম চান ১৬৫-১৬৭ টাকা। তখনই কেজি-লিটার আর সরকারি বেঁধে দেওয়া মূল্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন আবুল ফজল।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার অমৃতকুন্ডা হাটে মজুনর রহমান নামের এক ক্রেতা সয়াবিনের তেল কিনতে গিয়ে একই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন। ১৪৬-১৫০ টাকায় দোকানে বিক্রি করতে দেখেন। আর কেজির হিসেবে ১৬৪ টাকা খুচরা, আর পাইকারি ১৬২ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। দামের এ তারতম্যের জন্য ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন মধ্যস্বত্বভোগীদের।
রোববার দুপুরে পাবনা শহরের বড় বাজারে তেল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স লক্ষ্মী ভান্ডার, মেসার্স মুকুল স্টোর ও মেসার্স উত্তর কুন্ডুর দোকান ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বিক্রয়মূল্য পাইকারি মূল্যের চেয়ে কয়েক টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা বলেন, দিনে কয়েকবার বাজার উঠানামা করছে।
পাবনা বড় বাজার, শহরের এআর কর্নারের নিচে, সিংগা বাজার, গাছপাড়া, টেবুনিয়া, আটঘরিয়া, চাটমোহর, সুজানগর ও বেড়ায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধিকাংশ পাইকারি দোকানেই সরকার নির্ধারিত মূল্যে সয়াবিনের তেল বিক্রয় হচ্ছে না। পাইকাররাই প্রতি কেজিতে ৩-৭ বা ৯ টাকা অতিরিক্ত মূল্যে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। আর খুচরা দোকানদারেরা তার চেয়েও বেশিতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। সে হিসেবে প্রতি লিটারে ৭ থেকে ৯ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল।
টেবুনিয়া বাজারের মেসার্স শাহীন ট্রেডার্সের মালিক শাহীন আক্তার জানান, সরকার মিল গেটের রেট নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু পরিবহন, কুলিসহ আনুষঙ্গিক খরচের হিসাব যুক্ত করে দেয়নি। ফলে প্রতিনিয়তই ভোক্তা পর্যায়ে বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারদর দ্রুত পরিবর্তন হওয়ায় বিপাকের মধ্যে ব্যবসা করতে হচ্ছে।
শাহীন আক্তার জানান, রোববার তিনি ১৬৪ টাকা কেজি দরে খোলা সয়াবিন তেল কিনেছেন। সেটি পাইকারি ১৬৫ টাকা কেজি আর খুচরা বিক্রি করছেন ১৬৭ টাকা কেজিতে। সরকারি হিসেবে এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪৩ টাকা।
কেজিতে ১৫৭-১৫৮ টাকা আসলেও ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি তেলে প্রায় ১০ টাকা অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তেল ব্যবসায়ী শাহীন আক্তার।
আসলাম উদ্দিন, রাজ্জাক মোল্লা, আনোয়ার হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, সুমন আলীসহ কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, মিল গেটের রেট থেকে অতিরিক্ত দামে পাইকারদের কাছ থেকে তেল ক্রয় করে কিছুটা লাভ রেখে বিক্রি করছেন তাঁরা।
কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, লাগামহীনভাবে তেলের দাম বাড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আসন্ন রমজান মাসে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পাবনার সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে প্রথমত কেজি ও লিটার মাপে কিছুটা বিভ্রান্তি হচ্ছে। লিটারের দামের চেয়ে কেজির দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ হতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বেশি দামে বিক্রির সুযোগ নেই। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে