বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বান্দরবানে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ও নদীর তীরবর্তী বসতিগুলো চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতিমধ্যে বান্দরবান পৌরসভার পক্ষ থেকে এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য গতকাল শনিবার জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। এ ছাড়া শহরে মাইকিং করা হয়েছে।
এদিকে জরুরি ভিত্তিতে জেলা সদরে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। অপর দিকে জেলা প্রশাসন থেকে উপজেলা প্রশাসনকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতির তালিকা করার জন্য বলা হয়েছে।
কয়েক দিন ধরে বান্দরবানে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে পাহাড় থেকে পানি নেমে আসছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া স্থানীয় সাঙ্গু নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে অবিরাম ভারী বর্ষণে পাহাড়ের ওপর ও পাদদেশে কয়েক হাজার বসতি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধসে বসতঘর ধ্বংস ও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টির ফলে পাহাড়ের মাটি নরম ও ক্ষয় হওয়ায় এ ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
প্রবল বর্ষণে পাহাড় ও নদীর তীরবর্তী বসতি থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী স্বাক্ষরিত একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি শনিবার দুপুরে প্রচার করা হয়েছে। এ ছাড়া বান্দরবান পৌরসভা এলাকায় মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বান্দরবান পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রচার ও শহরে মাইকিং করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে আশ্রয়কেন্দ্র খোলার প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে শহর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদালয়, আল ফারুক ইনস্টিটিউট, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা হয়েছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আজ থেকেই এসব কেন্দ্রে লোকজন উঠতে পারবে। লোকজন উঠলেই তাদের খাবার, থাকাসহ স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা হবে।’
বান্দরবান পৌরসভার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ৯ নম্বর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর এলাকায় অনেক পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি রয়েছে। শ্রমজীবী, দরিদ্র ও অসহায় লোকজন তাঁর ওয়ার্ডে বেশি। তাই ঝুঁকি জেনেও অনেকে পাহাড় ও পাদদেশে বসতি গড়ে বসবাস করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজন সরে যাওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রচারসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসন থেকেও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে জেলার সাত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো. কায়েসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে ইউএনওদের নিজ নিজ উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ বসতি নিরূপণ ও তালিকা প্রস্তুত করার জন্য বলা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কায়েসুর রহমান আরও বলেন, তবে এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠার মতো পরিস্থিতি না হলেও প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলা ও মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে।
গত বুধবার থেকে বান্দরবানে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বান্দরবান মৃত্তিকা সংরক্ষণ ও পানি বিভাজনকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাববুল ইসলাম বলেন, গতকাল শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
অন্যান্য নদীতে বাড়লেও সাঙ্গু ও মাতামুহুরীর পানি এখনো বিপৎসীমার অনেক নিচে বলে জানান বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরুপ চক্রবর্তী। তিনি জানান, সাঙ্গু নদীর পানির বিপৎসীমা প্রায় ১৬ মিটার হলেও শনিবার বিকেল পর্যন্ত তা ছিল প্রায় ৭ মিটার। জেলার মাতামুহুরী ও বাঁকখালীর পানিও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বান্দরবানে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ও নদীর তীরবর্তী বসতিগুলো চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতিমধ্যে বান্দরবান পৌরসভার পক্ষ থেকে এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য গতকাল শনিবার জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। এ ছাড়া শহরে মাইকিং করা হয়েছে।
এদিকে জরুরি ভিত্তিতে জেলা সদরে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। অপর দিকে জেলা প্রশাসন থেকে উপজেলা প্রশাসনকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতির তালিকা করার জন্য বলা হয়েছে।
কয়েক দিন ধরে বান্দরবানে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে পাহাড় থেকে পানি নেমে আসছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া স্থানীয় সাঙ্গু নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে অবিরাম ভারী বর্ষণে পাহাড়ের ওপর ও পাদদেশে কয়েক হাজার বসতি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধসে বসতঘর ধ্বংস ও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টির ফলে পাহাড়ের মাটি নরম ও ক্ষয় হওয়ায় এ ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
প্রবল বর্ষণে পাহাড় ও নদীর তীরবর্তী বসতি থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী স্বাক্ষরিত একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি শনিবার দুপুরে প্রচার করা হয়েছে। এ ছাড়া বান্দরবান পৌরসভা এলাকায় মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বান্দরবান পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রচার ও শহরে মাইকিং করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে আশ্রয়কেন্দ্র খোলার প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে শহর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদালয়, আল ফারুক ইনস্টিটিউট, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা হয়েছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আজ থেকেই এসব কেন্দ্রে লোকজন উঠতে পারবে। লোকজন উঠলেই তাদের খাবার, থাকাসহ স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা হবে।’
বান্দরবান পৌরসভার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ৯ নম্বর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর এলাকায় অনেক পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি রয়েছে। শ্রমজীবী, দরিদ্র ও অসহায় লোকজন তাঁর ওয়ার্ডে বেশি। তাই ঝুঁকি জেনেও অনেকে পাহাড় ও পাদদেশে বসতি গড়ে বসবাস করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজন সরে যাওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রচারসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসন থেকেও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে জেলার সাত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো. কায়েসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে ইউএনওদের নিজ নিজ উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ বসতি নিরূপণ ও তালিকা প্রস্তুত করার জন্য বলা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কায়েসুর রহমান আরও বলেন, তবে এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠার মতো পরিস্থিতি না হলেও প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলা ও মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে।
গত বুধবার থেকে বান্দরবানে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বান্দরবান মৃত্তিকা সংরক্ষণ ও পানি বিভাজনকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাববুল ইসলাম বলেন, গতকাল শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
অন্যান্য নদীতে বাড়লেও সাঙ্গু ও মাতামুহুরীর পানি এখনো বিপৎসীমার অনেক নিচে বলে জানান বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরুপ চক্রবর্তী। তিনি জানান, সাঙ্গু নদীর পানির বিপৎসীমা প্রায় ১৬ মিটার হলেও শনিবার বিকেল পর্যন্ত তা ছিল প্রায় ৭ মিটার। জেলার মাতামুহুরী ও বাঁকখালীর পানিও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে