সানজিদা সামরিন, ঢাকা
বেশি দূরে যেতে হয় না, এই তো সর্বশেষ যে বিয়ের তত্ত্ব সাজিয়েছেন, সেদিনকার কথাই মনে করুন না। গায়েহলুদের ডালায় যত্ন করে আলতার বোতলটি রাখতে ভোলেননি মোটেই। আবার পূজার আগমনীতে শখ করে হলেও দু-একটা আলতা কেনা হয় বটে। কাচের বোতলের টুকটুকে লাল এই রং যেন বাঙালি সাজের পরিপূর্ণতার কথাই বলে।
সেই আদিকালেও মা, বোন বা বাড়ির বউয়ের সাজ বাক্সে কাজল, টিপ, সুরমাদানি আর কারুকার্যময় কিছু গয়না তো থাকতই। সেই সঙ্গে আলমারির ঠিক ওপরে এক কোনায় রাখা থাকত এই আলতা।
পয়লা বৈশাখ, পূজা, উৎসব বা যেকোনো শুভদিনে সাজের শেষ ভাগে পায়ের পাতা রাঙানো হতো আলতা দিয়ে। বোতল থেকে বাটিতে আলতা ঢেলে নিয়ে কাঠির সঙ্গে প্যাঁচানো তুলা তাতে আলতো করে ডুবিয়ে তারপরই রেখা টানা হতো পায়ে।
একাল হোক বা সেকালই হোক, বাঙালি নারীর সাজের উপকরণের মধ্য়ে আলতার উপস্থিতি ছিল, আছে। ঘুরেফিরে বিশেষ দিনগুলোর সাজে নারীরা আলতাকে আবারও আপন করে নিয়েছেন। শাড়ির কুঁচির নিচে আলতারাঙা দুই পা যেন পরিপূর্ণ করে উৎসবের সাজকে।
আবেদন ফুরায়নি
বর্তমানে কাচ ও প্লাস্টিকের বোতলে আলতা পাওয়া যায়। কোনো কোনো বোতলের সঙ্গে স্পঞ্জ সংযুক্ত থাকে, যাতে আলাদা করে না ঢেলে কেবল বোতল উপুড় করেই পায়ে আলতা পরা যায়। তবে ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, বৈদিক যুগে যখন আলতা পরার প্রচলন শুরু হয়, তখন পানপাতার রসের সঙ্গে, চুনাপাথরের গুঁড়ো ও সিঁদুর একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ের পাতা ও হাতের তালুতে ব্যবহার করা হতো। পুরাণের অন্দরে প্রবেশ করলেও দেখা যায়, শ্রীকৃষ্ণ তাঁর প্রেমময়ীর হাত পানপাতার রস দিয়ে রাঙিয়েছেন।
ভারতীয় উপমহাদেশের শিল্পীদের আঁকা প্রাচীন ছবিগুলোতেও দেখা মেলে নারীর হাতের তালু ও পায়ের পাতায় আলতার লাল রং।
ধীরে ধীরে এই অঞ্চলে বিয়েসহ বিভিন্ন পারিবারিক বা সামাজিক, আঞ্চলিক উৎসব এবং ঐতিহ্যবাহী নৃত্য় উৎসবের সাজের উপকরণে অত্যাবশ্যকীয় হয়ে ওঠে আলতা। এখন আধুনিক তরুণীরা সাজের উপকরণ হিসেবে আলতাকে যত্ন করে রাখছেন নিজের কাছে। শাড়ির সঙ্গে হাতে ও পায়ে পরছেন সেটি। অনেকে আলতার রেখার ধার ঘেঁষে সাদা ফেব্রিক কালার বা কুমকুম দিয়ে আলপনার নকশাও করেন। মোটকথা, এতকাল পরে এসেও আলতার আবেদন ফুরোয়নি।
আলতায় রাঙাতে
আলতার রং তুলতে
আলতার রং হাত ও পায়ের ত্বক থেকে সহজে ওঠে না। উঠলেও লালচে ভাব কয়েক দিন থেকেই যায়। দিন শেষে পায়ে লাগানো আলতা তুলতে কুসুম গরম পানিতে সামান্য শ্যাম্পু, লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে ১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে আলতা তুলে নিন।
কেনাকাটা ও দরদাম
নিউমার্কেট, মৌচাক, গাউছিয়া, ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা সিটিসহ দেশের যেকোনো শপিং মল, সুপার মার্কেট, ছোট-বড় কসমেটিকের দোকান, মন্দিরের আশপাশের দোকানে আলতা কিনতে পাওয়া যায়। এসব আলতার দাম পড়বে ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্য়ে।
বেশি দূরে যেতে হয় না, এই তো সর্বশেষ যে বিয়ের তত্ত্ব সাজিয়েছেন, সেদিনকার কথাই মনে করুন না। গায়েহলুদের ডালায় যত্ন করে আলতার বোতলটি রাখতে ভোলেননি মোটেই। আবার পূজার আগমনীতে শখ করে হলেও দু-একটা আলতা কেনা হয় বটে। কাচের বোতলের টুকটুকে লাল এই রং যেন বাঙালি সাজের পরিপূর্ণতার কথাই বলে।
সেই আদিকালেও মা, বোন বা বাড়ির বউয়ের সাজ বাক্সে কাজল, টিপ, সুরমাদানি আর কারুকার্যময় কিছু গয়না তো থাকতই। সেই সঙ্গে আলমারির ঠিক ওপরে এক কোনায় রাখা থাকত এই আলতা।
পয়লা বৈশাখ, পূজা, উৎসব বা যেকোনো শুভদিনে সাজের শেষ ভাগে পায়ের পাতা রাঙানো হতো আলতা দিয়ে। বোতল থেকে বাটিতে আলতা ঢেলে নিয়ে কাঠির সঙ্গে প্যাঁচানো তুলা তাতে আলতো করে ডুবিয়ে তারপরই রেখা টানা হতো পায়ে।
একাল হোক বা সেকালই হোক, বাঙালি নারীর সাজের উপকরণের মধ্য়ে আলতার উপস্থিতি ছিল, আছে। ঘুরেফিরে বিশেষ দিনগুলোর সাজে নারীরা আলতাকে আবারও আপন করে নিয়েছেন। শাড়ির কুঁচির নিচে আলতারাঙা দুই পা যেন পরিপূর্ণ করে উৎসবের সাজকে।
আবেদন ফুরায়নি
বর্তমানে কাচ ও প্লাস্টিকের বোতলে আলতা পাওয়া যায়। কোনো কোনো বোতলের সঙ্গে স্পঞ্জ সংযুক্ত থাকে, যাতে আলাদা করে না ঢেলে কেবল বোতল উপুড় করেই পায়ে আলতা পরা যায়। তবে ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, বৈদিক যুগে যখন আলতা পরার প্রচলন শুরু হয়, তখন পানপাতার রসের সঙ্গে, চুনাপাথরের গুঁড়ো ও সিঁদুর একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ের পাতা ও হাতের তালুতে ব্যবহার করা হতো। পুরাণের অন্দরে প্রবেশ করলেও দেখা যায়, শ্রীকৃষ্ণ তাঁর প্রেমময়ীর হাত পানপাতার রস দিয়ে রাঙিয়েছেন।
ভারতীয় উপমহাদেশের শিল্পীদের আঁকা প্রাচীন ছবিগুলোতেও দেখা মেলে নারীর হাতের তালু ও পায়ের পাতায় আলতার লাল রং।
ধীরে ধীরে এই অঞ্চলে বিয়েসহ বিভিন্ন পারিবারিক বা সামাজিক, আঞ্চলিক উৎসব এবং ঐতিহ্যবাহী নৃত্য় উৎসবের সাজের উপকরণে অত্যাবশ্যকীয় হয়ে ওঠে আলতা। এখন আধুনিক তরুণীরা সাজের উপকরণ হিসেবে আলতাকে যত্ন করে রাখছেন নিজের কাছে। শাড়ির সঙ্গে হাতে ও পায়ে পরছেন সেটি। অনেকে আলতার রেখার ধার ঘেঁষে সাদা ফেব্রিক কালার বা কুমকুম দিয়ে আলপনার নকশাও করেন। মোটকথা, এতকাল পরে এসেও আলতার আবেদন ফুরোয়নি।
আলতায় রাঙাতে
আলতার রং তুলতে
আলতার রং হাত ও পায়ের ত্বক থেকে সহজে ওঠে না। উঠলেও লালচে ভাব কয়েক দিন থেকেই যায়। দিন শেষে পায়ে লাগানো আলতা তুলতে কুসুম গরম পানিতে সামান্য শ্যাম্পু, লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে ১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে আলতা তুলে নিন।
কেনাকাটা ও দরদাম
নিউমার্কেট, মৌচাক, গাউছিয়া, ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা সিটিসহ দেশের যেকোনো শপিং মল, সুপার মার্কেট, ছোট-বড় কসমেটিকের দোকান, মন্দিরের আশপাশের দোকানে আলতা কিনতে পাওয়া যায়। এসব আলতার দাম পড়বে ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্য়ে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে