ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
মাগুরা শহরের ভায়না এলাকায় প্রশস্ত সড়কের মাঝে রয়েছে ৫৩টি গাছ। এ কারণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। এদিকে গাছের মালিকানা নিয়ে জটিলতায় রাস্তার কাজও এখন বন্ধ রয়েছে। দুঘটনাপ্রবণ এই গাছের দায় নিচ্ছেন না বন বিভাগ ও সওজের কেউই। তাঁরা একে অপরের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। আবার এই গাছের জায়গার মালিকানা দাবি করে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।
মাগুরা থেকে নড়াইল যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। পিএমপি (মেজর-সড়ক) কর্মসূচির আওতায় ভায়না থেকে মীরপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। এর বেশির ভাগ কাজ শেষের দিকে হলেও শহরের ভায়না এলাকা থেকে স্থানীয় বাজারসংলগ্ন পৌর গোরস্তান পর্যন্ত গাছ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। এ কারণে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়েছে।
ভায়না পিটিআইপাড়া এই পৌর গোরস্তানসংলগ্ন দোকানি আজিজুল হাকিম বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে এই গোরস্তানসংলগ্ন নতুন মহাসড়কে ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।’ এ জন্য এই গাছগুলোই দায়ী বলে তিনি মনে করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘রাস্তা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রশস্ত। তাই দ্রুতগতির যান পাশাপাশি চলছে। যখনই এখানে আসছে, তখন গাছগুলো রাস্তার মাঝে হওয়ায় ব্রেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।’
স্থানীয় যুবক আশিক হোসেন বলেন, ‘পৌর গোরস্তানে প্রতিদিন নানা জায়গা থেকে মানুষ লাশ দাফন করতে আসে। এই গাছগুলো রাস্তার মাঝামাঝি হওয়ায় ব্যস্ত সড়ক পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার মুখে পড়ছে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও।’ ওই এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, গাছগুলো নিয়ে জেলা পরিষদ, বন বিভাগ ও সওজ (সড়ক ও জনপথ) কেউই দায় না নেওয়ায় এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
সড়ক বিভাগ রাস্তার কাজ শুরু করলে এই সড়কের মোট ৫৩টি গাছ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। মালিকানা হিসেবে বন বিভাগ, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, সওজ আলাদাভাবে দাবি করে আসছে; কিন্তু পৌর গোরস্তানসংলগ্ন প্রায় ১৫টি গাছ এই প্রশস্ত সড়কের মাঝে থাকায় প্রায় ২০ মিটার সড়কের কাজ আর শেষ হয়নি।
তবে এই অংশের দুর্ঘটনাপ্রবণ গাছের মালিকানা দাবি করেনি মাগুরা বন বিভাগ। এই কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘ওই গাছ আমাদের এলাকার না। আমাদের কোনো জায়গা থাকে না। আমরা স্থানীয় মানুষদের নিয়ে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি করি। এতে গাছের পরিচর্যা স্থানীয়রা করে থাকেন। এ পর্যন্তই আমাদের কার্যক্রম। তাই গাছের মালিকানা আমাদের নয়। হতে পারে জেলা পরিষদ, সওজ বা জেলা প্রশাসনের।’
গাছের মালিকানার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে সড়ক ও জনপথ। এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই গাছ আমাদের নয়। এটা জেলা প্রশাসন বা জেলা পরিষদের হতে পারে। দুপক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। গাছ অপসারণ না করলে আমরা রাস্তার এই অংশের কাজ সম্পন্ন করতে পারছি না।’
অবশ্য জেলা পরিষদ কিছু জমির দাবি করলেও গাছগুলো কাদের জমিতে তা জানা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র হালদার। তিনি মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওখানে জেলা পরিষদের জমি রয়েছে। আবার জেলা প্রশাসন ও সওজও জমির দাবি করছে। তাই আমরা মামলা করেছি। মামলার নিষ্পত্তি না হলে কোনো কিছুই আর করা সম্ভব হবে না।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জুলিয়া সুকায়না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সড়কসংলগ্ন ৫৩টি গাছ নিয়ে নিলাম ডাকা হয়েছিল সওজের অনুকূলে। আগস্টে মাসে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে; কিন্তু গাছের মালিকানা ও ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে মামলা করেছে জেলা পরিষদ। মামলা আদালতে চলমান। নিষ্পত্তি না হলে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না।’
মাগুরা শহরের ভায়না এলাকায় প্রশস্ত সড়কের মাঝে রয়েছে ৫৩টি গাছ। এ কারণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। এদিকে গাছের মালিকানা নিয়ে জটিলতায় রাস্তার কাজও এখন বন্ধ রয়েছে। দুঘটনাপ্রবণ এই গাছের দায় নিচ্ছেন না বন বিভাগ ও সওজের কেউই। তাঁরা একে অপরের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। আবার এই গাছের জায়গার মালিকানা দাবি করে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।
মাগুরা থেকে নড়াইল যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। পিএমপি (মেজর-সড়ক) কর্মসূচির আওতায় ভায়না থেকে মীরপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। এর বেশির ভাগ কাজ শেষের দিকে হলেও শহরের ভায়না এলাকা থেকে স্থানীয় বাজারসংলগ্ন পৌর গোরস্তান পর্যন্ত গাছ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। এ কারণে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়েছে।
ভায়না পিটিআইপাড়া এই পৌর গোরস্তানসংলগ্ন দোকানি আজিজুল হাকিম বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে এই গোরস্তানসংলগ্ন নতুন মহাসড়কে ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।’ এ জন্য এই গাছগুলোই দায়ী বলে তিনি মনে করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘রাস্তা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রশস্ত। তাই দ্রুতগতির যান পাশাপাশি চলছে। যখনই এখানে আসছে, তখন গাছগুলো রাস্তার মাঝে হওয়ায় ব্রেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।’
স্থানীয় যুবক আশিক হোসেন বলেন, ‘পৌর গোরস্তানে প্রতিদিন নানা জায়গা থেকে মানুষ লাশ দাফন করতে আসে। এই গাছগুলো রাস্তার মাঝামাঝি হওয়ায় ব্যস্ত সড়ক পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার মুখে পড়ছে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও।’ ওই এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, গাছগুলো নিয়ে জেলা পরিষদ, বন বিভাগ ও সওজ (সড়ক ও জনপথ) কেউই দায় না নেওয়ায় এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
সড়ক বিভাগ রাস্তার কাজ শুরু করলে এই সড়কের মোট ৫৩টি গাছ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। মালিকানা হিসেবে বন বিভাগ, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, সওজ আলাদাভাবে দাবি করে আসছে; কিন্তু পৌর গোরস্তানসংলগ্ন প্রায় ১৫টি গাছ এই প্রশস্ত সড়কের মাঝে থাকায় প্রায় ২০ মিটার সড়কের কাজ আর শেষ হয়নি।
তবে এই অংশের দুর্ঘটনাপ্রবণ গাছের মালিকানা দাবি করেনি মাগুরা বন বিভাগ। এই কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘ওই গাছ আমাদের এলাকার না। আমাদের কোনো জায়গা থাকে না। আমরা স্থানীয় মানুষদের নিয়ে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি করি। এতে গাছের পরিচর্যা স্থানীয়রা করে থাকেন। এ পর্যন্তই আমাদের কার্যক্রম। তাই গাছের মালিকানা আমাদের নয়। হতে পারে জেলা পরিষদ, সওজ বা জেলা প্রশাসনের।’
গাছের মালিকানার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে সড়ক ও জনপথ। এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই গাছ আমাদের নয়। এটা জেলা প্রশাসন বা জেলা পরিষদের হতে পারে। দুপক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। গাছ অপসারণ না করলে আমরা রাস্তার এই অংশের কাজ সম্পন্ন করতে পারছি না।’
অবশ্য জেলা পরিষদ কিছু জমির দাবি করলেও গাছগুলো কাদের জমিতে তা জানা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র হালদার। তিনি মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওখানে জেলা পরিষদের জমি রয়েছে। আবার জেলা প্রশাসন ও সওজও জমির দাবি করছে। তাই আমরা মামলা করেছি। মামলার নিষ্পত্তি না হলে কোনো কিছুই আর করা সম্ভব হবে না।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জুলিয়া সুকায়না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সড়কসংলগ্ন ৫৩টি গাছ নিয়ে নিলাম ডাকা হয়েছিল সওজের অনুকূলে। আগস্টে মাসে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে; কিন্তু গাছের মালিকানা ও ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে মামলা করেছে জেলা পরিষদ। মামলা আদালতে চলমান। নিষ্পত্তি না হলে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে