নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছুটির দিন। সকালটা ছিল শিশুদের। বইমেলার শিশুপ্রহর। বেলা ১১টার আগেই একঝাঁক শিশু ঢুকল মেলার মধ্যে। সবার পরনে স্কুলড্রেস। জানাল, আব্দুল্লাহ মেমোরিয়াল হাইস্কুলে পড়ে ওরা।
রমনা কালীমন্দিরের গেটের ডানে শিশুচত্বরে ততক্ষণে ভিড় জমে গেছে। মঞ্চের গায়ে সিসিমপুর অনুষ্ঠানের জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র টুকটুকি, ইকরি, হালুম ও শিকুদের ছবি। একটু পরেই এরা জীবন্ত হয়ে ধরা দেবে শিশুদের সামনে। সাংবাদিক হাসান ইমামের কোলে চড়ে তাঁর ছেলে নবান্ন এসেছে টুকটুকিকে দেখতে। আধো বুলিতে বলল, ‘টুকটুকিকে দেখব। হালুম দেখব।’
পুরানা পল্টনের ব্যবসায়ী নাজিমুদ্দিন তাঁর মেয়ে নায়লা সাফরিনকে নিয়ে এসেছেন। নায়লার প্রিয় হালুম। প্রতিবছরই শিশুপ্রহরে মেয়েকে নিয়ে আসেন তিনি।
এরই মধ্যে মেলায় আসেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, মেলা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম, ইউএসএইডি বাংলাদেশের এডুকেশন ডিরেক্টর সোনিয়া রেনোস্কুপার, সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম হোসেনসহ অন্যরা। শিশুপ্রহরের উদ্বোধন করেন কবি নূরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে বই পড়ার বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চাই। সারা পৃথিবীজুড়ে যত দেশ আছে, সবগুলো একত্র করলে হবে পৃথিবী দেশ। পৃথিবীকে আমরা বই পড়ার একটি দেশ হিসেবে গড়ে তুলব।’
অমর একুশে বইমেলায় সপ্তাহে দুই দিন—শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সময়কে শিশুপ্রহর ঘোষণা করেছে বাংলা একাডেমি। মাসব্যাপী বইমেলায় প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা, বেলা সাড়ে ৩টা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনটি করে শো করবে সিসিমপুর।
বড়রাও এসেছেন, জমেছে আড্ডা
আর্ট কলেজে পড়তেন ফারুক জামাল; এখন যেটি চারুকলা। সত্তরের দশকে মেলায় এসে বন্ধুদের নিয়ে জমিয়ে আড্ডা দিতেন। সেই আড্ডা জীবনের কোনো সময়েই বন্ধ হয়নি। বইমেলা এলে যেখানেই থাকেন হাজির হন। কখনো কখনো দেখা হয়ে যায় পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে। এবার মেলার দ্বিতীয় দিনেই হাজির সুদূর কুষ্টিয়া থেকে। সঙ্গী মেয়ে ও তাঁর ভাষায় ‘গিন্নি’।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তাঁর বইমেলা ঘিরে। বললেন, ‘আমরা ১৯৭৫-৭৬ সালের দিকে বন্ধুরা জমিয়ে আড্ডা দিতাম। সেই অভ্যাস এখনো যায়নি। বইমেলায় আসতেই হবে। বই তো কিনবই, থাকবে আড্ডাও।’
বইমেলা যেমন বই কেনার, তেমন জমিয়ে আড্ডারও। গতকালের মেলা দেখে তাই অনুমেয়। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন ঘিরে মেলায় উপচে পড়া ভিড়। তবে পাঠক আশানুরূপ নয়, এমনটি জানালেন কোনো কোনো প্রকাশনা থেকে। সময় প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী তৌহিদুর রহমান বলেন, ছুটির দিনে এমনিতেই টিএসসিতে ভিড় থাকে; সে কারণে মেলায়ও ভিড়। কিন্তু বিক্রি তেমন নেই। পাঠক আসতে আরও সময় লাগবে।
অনন্যা প্রকাশনীর অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মিজানুর রহমান বললেন, পুরো ঢাকায় এই জায়গাটা খালি। তাই এমনিতেই এখানে ছুটির দিনে সবাই ভিড় করে। তবে বই বিক্রি ও জমজমাট হতে এক সপ্তাহ লেগে যাবে।
জার্নিম্যান বুকসের বিক্রয়কর্মী শাওন সরকার বললেন একটু আশার কথা, মানুষ বেশি হলে কিছু না কিছু বই বিক্রি হয়। আর কিছু না হোক, ভালো লাগে।
প্রথম দিনের বৃষ্টির বাধায় অসুবিধা হলেও দ্বিতীয় দিনের আবহাওয়া ছিল দারুণ। তারপরে উপচে পড়া ভিড়। প্রকাশকদের মুখে তাই চওড়া হাসি। মিজান পাবলিশার্সের প্রকাশক লায়ন মিজানুর রহমান পাটোয়ারি বলেন, ‘মেলায় বই কেনার জন্য মানুষ উন্মুখ হয়ে থাকে। আজকে লোকজন বেশি। বিক্রিও ভালো হবে বলে আশা করছি।’
বাংলা একাডেমি বলছে, বইমেলায় গতকাল বই এসেছে মোট ৩১টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অন্যপ্রকাশ থেকে আবুল কাসেমের ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক অর্থনীতি’, লুৎফর হাসানের উপন্যাস ‘৫ ফেব্রুয়ারি’, সাদাত হোসাইনের উপন্যাস ‘আগুনডানা মেয়ে’, আগামী প্রকাশনী থেকে আনোয়ারা সৈয়দ হকের ‘শ্রেষ্ঠ উপন্যাস’, বিভাস প্রকাশনী থেকে রবীন্দ্র গোপের ‘ইলেক্ট্রার কান্না’।
ছুটির দিন। সকালটা ছিল শিশুদের। বইমেলার শিশুপ্রহর। বেলা ১১টার আগেই একঝাঁক শিশু ঢুকল মেলার মধ্যে। সবার পরনে স্কুলড্রেস। জানাল, আব্দুল্লাহ মেমোরিয়াল হাইস্কুলে পড়ে ওরা।
রমনা কালীমন্দিরের গেটের ডানে শিশুচত্বরে ততক্ষণে ভিড় জমে গেছে। মঞ্চের গায়ে সিসিমপুর অনুষ্ঠানের জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র টুকটুকি, ইকরি, হালুম ও শিকুদের ছবি। একটু পরেই এরা জীবন্ত হয়ে ধরা দেবে শিশুদের সামনে। সাংবাদিক হাসান ইমামের কোলে চড়ে তাঁর ছেলে নবান্ন এসেছে টুকটুকিকে দেখতে। আধো বুলিতে বলল, ‘টুকটুকিকে দেখব। হালুম দেখব।’
পুরানা পল্টনের ব্যবসায়ী নাজিমুদ্দিন তাঁর মেয়ে নায়লা সাফরিনকে নিয়ে এসেছেন। নায়লার প্রিয় হালুম। প্রতিবছরই শিশুপ্রহরে মেয়েকে নিয়ে আসেন তিনি।
এরই মধ্যে মেলায় আসেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, মেলা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম, ইউএসএইডি বাংলাদেশের এডুকেশন ডিরেক্টর সোনিয়া রেনোস্কুপার, সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম হোসেনসহ অন্যরা। শিশুপ্রহরের উদ্বোধন করেন কবি নূরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে বই পড়ার বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চাই। সারা পৃথিবীজুড়ে যত দেশ আছে, সবগুলো একত্র করলে হবে পৃথিবী দেশ। পৃথিবীকে আমরা বই পড়ার একটি দেশ হিসেবে গড়ে তুলব।’
অমর একুশে বইমেলায় সপ্তাহে দুই দিন—শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সময়কে শিশুপ্রহর ঘোষণা করেছে বাংলা একাডেমি। মাসব্যাপী বইমেলায় প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা, বেলা সাড়ে ৩টা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনটি করে শো করবে সিসিমপুর।
বড়রাও এসেছেন, জমেছে আড্ডা
আর্ট কলেজে পড়তেন ফারুক জামাল; এখন যেটি চারুকলা। সত্তরের দশকে মেলায় এসে বন্ধুদের নিয়ে জমিয়ে আড্ডা দিতেন। সেই আড্ডা জীবনের কোনো সময়েই বন্ধ হয়নি। বইমেলা এলে যেখানেই থাকেন হাজির হন। কখনো কখনো দেখা হয়ে যায় পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে। এবার মেলার দ্বিতীয় দিনেই হাজির সুদূর কুষ্টিয়া থেকে। সঙ্গী মেয়ে ও তাঁর ভাষায় ‘গিন্নি’।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তাঁর বইমেলা ঘিরে। বললেন, ‘আমরা ১৯৭৫-৭৬ সালের দিকে বন্ধুরা জমিয়ে আড্ডা দিতাম। সেই অভ্যাস এখনো যায়নি। বইমেলায় আসতেই হবে। বই তো কিনবই, থাকবে আড্ডাও।’
বইমেলা যেমন বই কেনার, তেমন জমিয়ে আড্ডারও। গতকালের মেলা দেখে তাই অনুমেয়। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন ঘিরে মেলায় উপচে পড়া ভিড়। তবে পাঠক আশানুরূপ নয়, এমনটি জানালেন কোনো কোনো প্রকাশনা থেকে। সময় প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী তৌহিদুর রহমান বলেন, ছুটির দিনে এমনিতেই টিএসসিতে ভিড় থাকে; সে কারণে মেলায়ও ভিড়। কিন্তু বিক্রি তেমন নেই। পাঠক আসতে আরও সময় লাগবে।
অনন্যা প্রকাশনীর অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মিজানুর রহমান বললেন, পুরো ঢাকায় এই জায়গাটা খালি। তাই এমনিতেই এখানে ছুটির দিনে সবাই ভিড় করে। তবে বই বিক্রি ও জমজমাট হতে এক সপ্তাহ লেগে যাবে।
জার্নিম্যান বুকসের বিক্রয়কর্মী শাওন সরকার বললেন একটু আশার কথা, মানুষ বেশি হলে কিছু না কিছু বই বিক্রি হয়। আর কিছু না হোক, ভালো লাগে।
প্রথম দিনের বৃষ্টির বাধায় অসুবিধা হলেও দ্বিতীয় দিনের আবহাওয়া ছিল দারুণ। তারপরে উপচে পড়া ভিড়। প্রকাশকদের মুখে তাই চওড়া হাসি। মিজান পাবলিশার্সের প্রকাশক লায়ন মিজানুর রহমান পাটোয়ারি বলেন, ‘মেলায় বই কেনার জন্য মানুষ উন্মুখ হয়ে থাকে। আজকে লোকজন বেশি। বিক্রিও ভালো হবে বলে আশা করছি।’
বাংলা একাডেমি বলছে, বইমেলায় গতকাল বই এসেছে মোট ৩১টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অন্যপ্রকাশ থেকে আবুল কাসেমের ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক অর্থনীতি’, লুৎফর হাসানের উপন্যাস ‘৫ ফেব্রুয়ারি’, সাদাত হোসাইনের উপন্যাস ‘আগুনডানা মেয়ে’, আগামী প্রকাশনী থেকে আনোয়ারা সৈয়দ হকের ‘শ্রেষ্ঠ উপন্যাস’, বিভাস প্রকাশনী থেকে রবীন্দ্র গোপের ‘ইলেক্ট্রার কান্না’।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে