রানা আব্বাস, ঢাকা
কদিন আগে শরীফুল ইসলাম বলছিলেন, ২০২০ বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি আর ২০২১ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) টি-টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে একই দলে খেলে ভালো করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে শরীফুল ১০ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৬ উইকেট আর ২০২১ ডিপিএল টি-টোয়েন্টিতে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ১৬ ম্যাচে পেয়েছিলেন ২২ উইকেট।
দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ভালো বোলিংয়ের পুরস্কার হিসেবে শরীফুল দ্রুত চলে এসেছেন জাতীয় দলে। এখন তো বাংলাদেশের পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা তিনি। নিজের ভালো পারফরম্যান্সের সঙ্গে এখানে মোস্তাফিজের যোগটা কী, এই প্রশ্নে শরীফুলের কাছ থেকে যে উত্তর মিলল, সেটির সারমর্ম—‘সকলের তরে সকলে আমরা’।
একাদশে জায়গা পেতে নিজেদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর একটি প্রতিযোগিতা অবশ্যই আছে। তবে একে অপরের সহায়তা করতে কোনো কার্পণ্য নেই তাঁদের। শরীফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফিজ-তাসকিন ভাই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমার পাশে থাকে। বোলিংয়ের সমস্যা হলে বা নতুন-পুরোনো বল নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে, তাঁরা অনেক সহায়তা করেন। ফিজ ভাইয়ের কাছ থেকে ব্যাক অব দ্য হ্যান্ডের পরামর্শ নিয়েছি। তিনি একবার আইপিএলে এটা ভালো করেছিলেন। এটা এখন আমি ভালোই পারি। তাঁর কাছ থেকে স্লোয়ার বা কাটার শেখার চেষ্টা করেছি। এটা অবশ্য অনেক কঠিন।’
শেখার জন্য কোচ তো থাকেনই। শরীফুলের কথাতে বোঝা গেল, সতীর্থের কাছ থেকেও অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ মেলে, যেটি সহায়তা করে চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে। তরুণ বাঁহাতি পেসার যেমন তাঁর সিনিয়র সতীর্থদের কাছ থেকে শেখেন। একইভাবে শেখেন তাসকিনও। তিনি যেমন কাটার শিখছেন মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছ থেকে। ২৭ বছর বয়সী পেসার বলেন, ‘বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে মাশরাফি ভাইয়ের কাছ থেকে অফ কাটার শিখেছি। তাঁর কাছ থেকে লেগ কাটারও শিখতে হবে।’
গত জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের নায়ক ইবাদত হোসেন বলছিলেন সতীর্থদের কাছ থেকে তাঁর শেখার অভিজ্ঞতা, ‘মোস্তাফিজের কাটার একেবারে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। ওটা চাইলেও করতে পারব না। খালেদের নাকল বল ভালো, রাহির ব্যাক অব দ্য হ্যান্ড ভালো। তাসকিনের এখন স্লোয়ারও ভালো। যার যে শক্তির জায়গা, সেটা থেকে শেখার চেষ্টা করি। আসলে পেস বোলিং বিভাগে আমাদের একটা ভালো বন্ধন তৈরি হয়েছে। সবাই একে অপরকে সহায়তা করি। এ কারণে পেস বোলিংয়ের উন্নতি দেখা যাচ্ছে।’
ইবাদত যেমন খালেদ আহমেদের কাছ থেকে নাকল বলের পরামর্শ নেন, খালেদ তেমনি তাসকিনের মতো কাটার শিখতে চান মাশরাফির কাছে। খালেদ বলছিলেন, ‘শেখার কোনো শেষ নেই। আমার কাছে অনেকে নাকল বোলিংয়ের পরামর্শ জানতে চায়, দেখিয়ে দিই। মাশরাফি ভাইয়ের কাছ থেকে কাটার শিখতে চেয়েছি। তাসকিনের কাছে লাইন ও লেংথ নিয়ে জানতে চাই। আর মোস্তাফিজ বলে, একটা জায়গায় ধারাবাহিক বোলিং করাই হচ্ছে আসল কথা। আমরা সিনিয়র-জুনিয়র সবার সঙ্গেই কথা বলি।’
যে মোস্তাফিজের কাছ থেকে সবাই জানতে চান, তিনি কী শিখতে চান সতীর্থদের কাছ থেকে? বাঁহাতি পেসার বলেন, ‘নিজের বেসিকে ঠিক থাকার চেষ্টা করি। তবে একেকজনের ভাবনা-চিন্তা একেক রকম, একেকজনের কাছে একেক আইডিয়া থাকে। যেমন গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আমার বাউন্সার দিতে সমস্যা হচ্ছিল। তাসকিনের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। ওর পরামর্শ কাজে দিয়েছিল। এসব ছোটখাটো সহায়তা তো পাওয়াই যায়।’
নিজেদের মধ্যে এই বোঝাপড়া কিংবা একে অপরের কাছ থেকে শেখার আগ্রহটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে নিজেদের উন্নতিতে। সেটির ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে দলের ফলেও। শরীফুল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও কেউ কারও জায়গা নিয়ে নেবে, এসব নিয়ে একেবারেই ভাবি না। যেই খেলুক দেশের জন্য খেলবে। ভালো করলে সেটা দেশের জন্য ভালো। যার যে শক্তি, ইতিবাচক দিক, সেটা আমরা একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করি।’
কদিন আগে শরীফুল ইসলাম বলছিলেন, ২০২০ বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি আর ২০২১ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) টি-টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে একই দলে খেলে ভালো করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে শরীফুল ১০ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৬ উইকেট আর ২০২১ ডিপিএল টি-টোয়েন্টিতে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ১৬ ম্যাচে পেয়েছিলেন ২২ উইকেট।
দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ভালো বোলিংয়ের পুরস্কার হিসেবে শরীফুল দ্রুত চলে এসেছেন জাতীয় দলে। এখন তো বাংলাদেশের পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা তিনি। নিজের ভালো পারফরম্যান্সের সঙ্গে এখানে মোস্তাফিজের যোগটা কী, এই প্রশ্নে শরীফুলের কাছ থেকে যে উত্তর মিলল, সেটির সারমর্ম—‘সকলের তরে সকলে আমরা’।
একাদশে জায়গা পেতে নিজেদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর একটি প্রতিযোগিতা অবশ্যই আছে। তবে একে অপরের সহায়তা করতে কোনো কার্পণ্য নেই তাঁদের। শরীফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফিজ-তাসকিন ভাই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমার পাশে থাকে। বোলিংয়ের সমস্যা হলে বা নতুন-পুরোনো বল নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে, তাঁরা অনেক সহায়তা করেন। ফিজ ভাইয়ের কাছ থেকে ব্যাক অব দ্য হ্যান্ডের পরামর্শ নিয়েছি। তিনি একবার আইপিএলে এটা ভালো করেছিলেন। এটা এখন আমি ভালোই পারি। তাঁর কাছ থেকে স্লোয়ার বা কাটার শেখার চেষ্টা করেছি। এটা অবশ্য অনেক কঠিন।’
শেখার জন্য কোচ তো থাকেনই। শরীফুলের কথাতে বোঝা গেল, সতীর্থের কাছ থেকেও অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ মেলে, যেটি সহায়তা করে চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে। তরুণ বাঁহাতি পেসার যেমন তাঁর সিনিয়র সতীর্থদের কাছ থেকে শেখেন। একইভাবে শেখেন তাসকিনও। তিনি যেমন কাটার শিখছেন মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছ থেকে। ২৭ বছর বয়সী পেসার বলেন, ‘বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে মাশরাফি ভাইয়ের কাছ থেকে অফ কাটার শিখেছি। তাঁর কাছ থেকে লেগ কাটারও শিখতে হবে।’
গত জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের নায়ক ইবাদত হোসেন বলছিলেন সতীর্থদের কাছ থেকে তাঁর শেখার অভিজ্ঞতা, ‘মোস্তাফিজের কাটার একেবারে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। ওটা চাইলেও করতে পারব না। খালেদের নাকল বল ভালো, রাহির ব্যাক অব দ্য হ্যান্ড ভালো। তাসকিনের এখন স্লোয়ারও ভালো। যার যে শক্তির জায়গা, সেটা থেকে শেখার চেষ্টা করি। আসলে পেস বোলিং বিভাগে আমাদের একটা ভালো বন্ধন তৈরি হয়েছে। সবাই একে অপরকে সহায়তা করি। এ কারণে পেস বোলিংয়ের উন্নতি দেখা যাচ্ছে।’
ইবাদত যেমন খালেদ আহমেদের কাছ থেকে নাকল বলের পরামর্শ নেন, খালেদ তেমনি তাসকিনের মতো কাটার শিখতে চান মাশরাফির কাছে। খালেদ বলছিলেন, ‘শেখার কোনো শেষ নেই। আমার কাছে অনেকে নাকল বোলিংয়ের পরামর্শ জানতে চায়, দেখিয়ে দিই। মাশরাফি ভাইয়ের কাছ থেকে কাটার শিখতে চেয়েছি। তাসকিনের কাছে লাইন ও লেংথ নিয়ে জানতে চাই। আর মোস্তাফিজ বলে, একটা জায়গায় ধারাবাহিক বোলিং করাই হচ্ছে আসল কথা। আমরা সিনিয়র-জুনিয়র সবার সঙ্গেই কথা বলি।’
যে মোস্তাফিজের কাছ থেকে সবাই জানতে চান, তিনি কী শিখতে চান সতীর্থদের কাছ থেকে? বাঁহাতি পেসার বলেন, ‘নিজের বেসিকে ঠিক থাকার চেষ্টা করি। তবে একেকজনের ভাবনা-চিন্তা একেক রকম, একেকজনের কাছে একেক আইডিয়া থাকে। যেমন গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আমার বাউন্সার দিতে সমস্যা হচ্ছিল। তাসকিনের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। ওর পরামর্শ কাজে দিয়েছিল। এসব ছোটখাটো সহায়তা তো পাওয়াই যায়।’
নিজেদের মধ্যে এই বোঝাপড়া কিংবা একে অপরের কাছ থেকে শেখার আগ্রহটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে নিজেদের উন্নতিতে। সেটির ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে দলের ফলেও। শরীফুল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও কেউ কারও জায়গা নিয়ে নেবে, এসব নিয়ে একেবারেই ভাবি না। যেই খেলুক দেশের জন্য খেলবে। ভালো করলে সেটা দেশের জন্য ভালো। যার যে শক্তি, ইতিবাচক দিক, সেটা আমরা একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে