নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন হাওর ও নদ-নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ার কারণে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে নাসিরনগরে লঙ্গন, মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে চর ও বিলে রোপণ করা ধানি জমি ডুবতে শুরু করেছে। এদিকে পানি বাড়তে থাকায় অকাল বন্যায় ফসল হারানোর ভয়ে আধা পাকা অবস্থায় বোরো ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন হাওর ও নদীতে পানি বাড়ছে। পানি বাড়ায় চরের বেশ কিছু জমি তলিয়ে গেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে হাওরের ধান তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন কৃষকেরা। এসব এলাকার কৃষকেরা কাঁচা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার গোয়ালনগর, ভিটাডুবি, রামপুর, নোয়াগাঁও, নাসিরপুর ও টেকানগরের বেশি কিছু নিচু এলাকার জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এভাবে যদি আর চার থেকে পাঁচ দিন পানি বাড়তে থাকে তাহলে উপজেলার সব কটি হাওর পানির নিচে তলিয়ে যাবে। উপজেলার গোয়ালনগর বাজারের পেছনে মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে জেগে ওঠা চরে এ বছর প্রায় দুই হাজার বিঘা জমিতে ধান চাষ হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের প্রায় ৮০ শতাংশ ধান তলিয়ে গেছে।
উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের কৃষক শরীফ মিয়া বলেন, ‘গোয়ালনগর চরের পাঁচ বিঘা জমির ধান দিয়া আমার সংসার চলে। ধান পাইলে পরিবার লইয়া চলতাম পারুম। না হইলে পথে বইতো হইব। এনজিও থেইক্যা যে লোন উঠাইছি, ইতা অহন কেমনে দিমু—হেই চিন্তায় আছি।’
একই ইউনিয়নের আরেক কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, ‘চরে আমার ১০ বিঘা জমি আছে। কিন্তু এক বিঘা জমির ধানও কাটতাম পারছি না। সব পানির নিচে চলে গেছে। এখন পরিবার নিয়া কেমনে চলুম। যদি আর চার থেকে পাঁচ দিন পর পানিডা আইত, তাইলেও কিছু ধান উডাইতাম পারতাম।’
উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজহারুল হক বলেন, ‘আমাদের গোয়ালনগর ইউনিয়নে প্রায় ২৫০ বিঘা জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানাতে পেরেছি। তবে উঁচু জমিতে এখনো পানি ওঠেনি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাইদ তারেক বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ প্রায় ১০ হেক্টরের বেশি হবে না। যেসব জমিতে পানি উঠছে, সেসব জমিতে ধান চাষ করা হয় না। মূলত গরুর খাবার ঘাস হিসেবে ধানের চাষ হয়। পানি না আসলে ধান হয়। আর পানি আসলে তলিয়ে যায়।’
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান খান শাওন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানার চেষ্টা করছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন হাওর ও নদ-নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ার কারণে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে নাসিরনগরে লঙ্গন, মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে চর ও বিলে রোপণ করা ধানি জমি ডুবতে শুরু করেছে। এদিকে পানি বাড়তে থাকায় অকাল বন্যায় ফসল হারানোর ভয়ে আধা পাকা অবস্থায় বোরো ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন হাওর ও নদীতে পানি বাড়ছে। পানি বাড়ায় চরের বেশ কিছু জমি তলিয়ে গেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে হাওরের ধান তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন কৃষকেরা। এসব এলাকার কৃষকেরা কাঁচা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার গোয়ালনগর, ভিটাডুবি, রামপুর, নোয়াগাঁও, নাসিরপুর ও টেকানগরের বেশি কিছু নিচু এলাকার জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এভাবে যদি আর চার থেকে পাঁচ দিন পানি বাড়তে থাকে তাহলে উপজেলার সব কটি হাওর পানির নিচে তলিয়ে যাবে। উপজেলার গোয়ালনগর বাজারের পেছনে মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে জেগে ওঠা চরে এ বছর প্রায় দুই হাজার বিঘা জমিতে ধান চাষ হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের প্রায় ৮০ শতাংশ ধান তলিয়ে গেছে।
উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের কৃষক শরীফ মিয়া বলেন, ‘গোয়ালনগর চরের পাঁচ বিঘা জমির ধান দিয়া আমার সংসার চলে। ধান পাইলে পরিবার লইয়া চলতাম পারুম। না হইলে পথে বইতো হইব। এনজিও থেইক্যা যে লোন উঠাইছি, ইতা অহন কেমনে দিমু—হেই চিন্তায় আছি।’
একই ইউনিয়নের আরেক কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, ‘চরে আমার ১০ বিঘা জমি আছে। কিন্তু এক বিঘা জমির ধানও কাটতাম পারছি না। সব পানির নিচে চলে গেছে। এখন পরিবার নিয়া কেমনে চলুম। যদি আর চার থেকে পাঁচ দিন পর পানিডা আইত, তাইলেও কিছু ধান উডাইতাম পারতাম।’
উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজহারুল হক বলেন, ‘আমাদের গোয়ালনগর ইউনিয়নে প্রায় ২৫০ বিঘা জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানাতে পেরেছি। তবে উঁচু জমিতে এখনো পানি ওঠেনি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাইদ তারেক বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ প্রায় ১০ হেক্টরের বেশি হবে না। যেসব জমিতে পানি উঠছে, সেসব জমিতে ধান চাষ করা হয় না। মূলত গরুর খাবার ঘাস হিসেবে ধানের চাষ হয়। পানি না আসলে ধান হয়। আর পানি আসলে তলিয়ে যায়।’
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান খান শাওন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানার চেষ্টা করছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে