অরুণ কর্মকার
শেষ পর্যন্ত সংঘাত-সংঘর্ষেই গড়াল দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি। ইতিমধ্যে তা যথেষ্ট নৃশংস এবং প্রাণঘাতীও হয়ে উঠেছে। মারামারি, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, গণপরিবহন ও বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন লাগানো, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, রেললাইনের স্লিপার তুলে ফেলা প্রভৃতি দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। রহস্যজনক ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড চলছে। শুরু হয়েছে গ্রেপ্তার, জেল-নির্যাতন। আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমঝোতার সম্ভাবনা ক্রমেই দূর থেকে সুদূরে মিলিয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই রাজনৈতিক সংঘাত জাতির ভাগ্যে কি ভালো কোনো পরিণতি বয়ে আনবে?
সাম্প্রতিককালে কোনো এক নিত্যব্যবহার্য পণ্যের একটি বিজ্ঞাপন চিত্রের এক সংলাপ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সংলাপটি হলো—‘দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয়...’। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাসহ আমাদের জাতীয় জীবনের ছোট-বড় যেকোনো রাজনৈতিক অর্জনের পেছনে অসংখ্য সংঘাত-সংঘর্ষ-আত্মদানের দগদগে ঘায়ের দাগ ইতিহাসে স্থায়ী আসন পেয়েছে। সেগুলো নিঃসন্দেহে বাঙালির গৌরবের বিষয়। সেই সবের প্রতিটি দাগ থেকে ভালো কিছু হয়েছে। আবার কিছু কিছু সংঘাত-সংঘর্ষ-প্রাণহানি অর্থহীন হয়ে গেছে।
সেগুলোও দাগ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তা থেকে ভালো কিছু হয়নি। এগুলোকে আমরা ভুল এবং রাজনৈতিক হঠকারিতা হিসেবে চিহ্নিত করেছি। তবে এগুলো থেকে আমরা, বিশেষ করে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যে কোনো শিক্ষা নেয়নি তা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
যে দাগগুলো আমাদের গৌরবের, সেগুলোর ইতিহাস খুঁজলে দেখা যায়, তার প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি আলাপ-আলোচনা ছিল অপরিহার্য অনুষঙ্গ। কখনো সেই আলোচনা প্রকাশ্যে হয়েছে, কখনো অন্তরালে। কখনো তা পূর্ণ ফল দিয়েছে, কখনো দিয়েছে আংশিক। আবার কখনো তা ফল দেয়নি। আলোচনা-সমঝোতার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আলোচনাকে কখনো উপেক্ষা করা হয়নি। এমন উদাহরণও আছে যে যখন প্রতিপক্ষ দলগুলোর সম্পর্ক সবচেয়ে শীতল হয়ে পড়েছে, তখন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্মরণ করতে পারি স্বনামধন্য প্রয়াত সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদের কথা। স্মরণ করতে পারি খ্যাতিমান আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমদের কথা। দেশের বিশেষ রাজনৈতিক সংকটের সময়, একাধিকবার তাঁরা এই মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছেন।
এখন অবশ্য প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিসহ সবকিছুই অনেক বেশি রাজনীতিকীকরণ হয়েছে। ফলে সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়াও এখন দুষ্কর। তা ছাড়া কয়েক যুগ ধরে চলা বাংলাদেশের মূল চেতনাবিরোধী রাজনীতির প্রভাবে দেশে রাজনৈতিক হানাহানি ও সংঘাত ক্রমান্বয়ে বেড়েছে এবং প্রতিপক্ষ দলের মূলোৎপাটনসহ নিঃশেষ করে দেওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। ফলে আলোচনা-সমঝোতার সেই সংস্কৃতিও বিনষ্ট হয়ে গেছে। প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে এখন আর ন্যূনতম আস্থার সম্পর্কও বিদ্যমান নেই। কেবলই বৈরিতা। কেউ কারও বিন্দুমাত্র ভালো কিছু দেখতে পান না। কোনো কিছুতেই একে অপরের সামান্যতম প্রশংসা করতে পারেন না। তাঁদের কাজ কেবলই পরস্পরের গিবত গাওয়া।
কিন্তু যতই তাঁরা মুখ ঘুরিয়ে থাকেন না কেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বৈরী ও প্রতিপক্ষ দলগুলোর মধ্যে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। কোনো ফল হবে না নিশ্চিত জেনেও আলোচনায় বসে দেখা দরকার। কারণ আলোচনায় বসে সংকট সমাধানের চেষ্টা করার সংস্কৃতি রাজনীতিতে থাকতে হবে। এটা একেবারে হারিয়ে যেতে দেওয়ার ফল শেষ পর্যন্ত কারও জন্যই ভালো হতে পারে না। তা সত্ত্বেও প্রধান দুটি রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে আলোচনায় বসার কোনো সম্ভাবনাই এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।
গত ২৮ অক্টোবর ও তার পরবর্তী কয়েক দিনে বিভিন্ন মহল থেকে আবারও শর্তহীন আলোচনায় বসার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। উভয় পক্ষের প্রতিই আহ্বানও জানানো হয়েছে। কিন্তু শর্ত তো দুই পক্ষেরই আছে। একেবারে বিপরীতমুখী শর্ত। বিরোধীপক্ষের শর্ত হলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনই হতে হবে আলোচনার বিষয়বস্তু। আর সরকারপক্ষের শর্ত হলো, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। নিজ নিজ এই শর্ত থেকে কোনো পক্ষই এক চুলও নড়তে রাজি নয়। সর্বোপরি, এখন তো বিরোধীপক্ষ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে হরতাল ও একটানা অবরোধের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্যেই চলে গেছে। এখান থেকে ফিরে এসে আলোচনার টেবিলে বসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে; যদি না তৃতীয় কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ থাকে। তবে তেমন হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাও যথেষ্ট কম।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আগামী সপ্তাহেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করার কথা। সংবিধান অনুযায়ী সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশনের আর অপেক্ষা করারও সুযোগ নেই। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইন ও বিধিবিধান অনুসরণ করা তাদের জন্য বাধ্যতামূলক। তাহলে কি এবারও ২০১৮ সালের পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে! তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি, জামায়াত ও অন্য দলগুলো আন্দোলনের ময়দানে কিছু সহিংসতা ছড়িয়ে যাবে। আর সরকার ও নির্বাচন কমিশন সংবিধান ও বিধিবিধান অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন করবে?
নাকি ২০২৩-এ ২০১৮ সালের পুনরাবৃত্তি না হয়ে হবে অন্য রকম কিছু? দেশব্যাপী সৃষ্টি হবে গণ-আন্দোলন। সেই আন্দোলনের চাপে নির্বাচন ভন্ডুল হবে। দুই পক্ষ আলোচনায় বসবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। তার অধীনে হবে নির্বাচন? এটি এমন এক সম্ভাবনা, যা তত্ত্বগতভাবে অনুমান কিংবা উপস্থাপন করা যায়। সরকারবিরোধী আন্দোলনে শরিক দলগুলোর আকাঙ্ক্ষাও তাই। কিন্তু বাস্তবতা এখনো তেমন নয়। আর সরকার এখন মাঠে তার অবস্থান শক্তিশালী করায় সেই বাস্তবতা যে শিগগিরই ধরা দেবে, তেমনও আশা করা যায় না।
এর বাইরে আরেকটি বিকল্প নিয়ে ভাবলে কি ভালো হয় না? দুই পক্ষই শর্তহীনভাবে আলোচনায় বসুক। সেখানে নিশ্চয়ই নিজ নিজ পক্ষের কথাই তাঁরা বলবেন। কিন্তু সবার আগে শর্ত যুক্ত করা নয়। আলোচনায় বসে তাঁরা দেখুন কোনোভাবে একটা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেন কি না। দুই পক্ষেরই সদিচ্ছা থাকলে তা অসম্ভবও নয়। কিন্তু কলহপ্রিয় বাঙালি জাতির ললাটে কি তেমন কিছু লেখা থাকা সম্ভব? মনে হয় না।
শেষ পর্যন্ত সংঘাত-সংঘর্ষেই গড়াল দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি। ইতিমধ্যে তা যথেষ্ট নৃশংস এবং প্রাণঘাতীও হয়ে উঠেছে। মারামারি, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, গণপরিবহন ও বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন লাগানো, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, রেললাইনের স্লিপার তুলে ফেলা প্রভৃতি দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। রহস্যজনক ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড চলছে। শুরু হয়েছে গ্রেপ্তার, জেল-নির্যাতন। আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমঝোতার সম্ভাবনা ক্রমেই দূর থেকে সুদূরে মিলিয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই রাজনৈতিক সংঘাত জাতির ভাগ্যে কি ভালো কোনো পরিণতি বয়ে আনবে?
সাম্প্রতিককালে কোনো এক নিত্যব্যবহার্য পণ্যের একটি বিজ্ঞাপন চিত্রের এক সংলাপ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সংলাপটি হলো—‘দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয়...’। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাসহ আমাদের জাতীয় জীবনের ছোট-বড় যেকোনো রাজনৈতিক অর্জনের পেছনে অসংখ্য সংঘাত-সংঘর্ষ-আত্মদানের দগদগে ঘায়ের দাগ ইতিহাসে স্থায়ী আসন পেয়েছে। সেগুলো নিঃসন্দেহে বাঙালির গৌরবের বিষয়। সেই সবের প্রতিটি দাগ থেকে ভালো কিছু হয়েছে। আবার কিছু কিছু সংঘাত-সংঘর্ষ-প্রাণহানি অর্থহীন হয়ে গেছে।
সেগুলোও দাগ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তা থেকে ভালো কিছু হয়নি। এগুলোকে আমরা ভুল এবং রাজনৈতিক হঠকারিতা হিসেবে চিহ্নিত করেছি। তবে এগুলো থেকে আমরা, বিশেষ করে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যে কোনো শিক্ষা নেয়নি তা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
যে দাগগুলো আমাদের গৌরবের, সেগুলোর ইতিহাস খুঁজলে দেখা যায়, তার প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি আলাপ-আলোচনা ছিল অপরিহার্য অনুষঙ্গ। কখনো সেই আলোচনা প্রকাশ্যে হয়েছে, কখনো অন্তরালে। কখনো তা পূর্ণ ফল দিয়েছে, কখনো দিয়েছে আংশিক। আবার কখনো তা ফল দেয়নি। আলোচনা-সমঝোতার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আলোচনাকে কখনো উপেক্ষা করা হয়নি। এমন উদাহরণও আছে যে যখন প্রতিপক্ষ দলগুলোর সম্পর্ক সবচেয়ে শীতল হয়ে পড়েছে, তখন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্মরণ করতে পারি স্বনামধন্য প্রয়াত সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদের কথা। স্মরণ করতে পারি খ্যাতিমান আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমদের কথা। দেশের বিশেষ রাজনৈতিক সংকটের সময়, একাধিকবার তাঁরা এই মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছেন।
এখন অবশ্য প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিসহ সবকিছুই অনেক বেশি রাজনীতিকীকরণ হয়েছে। ফলে সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়াও এখন দুষ্কর। তা ছাড়া কয়েক যুগ ধরে চলা বাংলাদেশের মূল চেতনাবিরোধী রাজনীতির প্রভাবে দেশে রাজনৈতিক হানাহানি ও সংঘাত ক্রমান্বয়ে বেড়েছে এবং প্রতিপক্ষ দলের মূলোৎপাটনসহ নিঃশেষ করে দেওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। ফলে আলোচনা-সমঝোতার সেই সংস্কৃতিও বিনষ্ট হয়ে গেছে। প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে এখন আর ন্যূনতম আস্থার সম্পর্কও বিদ্যমান নেই। কেবলই বৈরিতা। কেউ কারও বিন্দুমাত্র ভালো কিছু দেখতে পান না। কোনো কিছুতেই একে অপরের সামান্যতম প্রশংসা করতে পারেন না। তাঁদের কাজ কেবলই পরস্পরের গিবত গাওয়া।
কিন্তু যতই তাঁরা মুখ ঘুরিয়ে থাকেন না কেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বৈরী ও প্রতিপক্ষ দলগুলোর মধ্যে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। কোনো ফল হবে না নিশ্চিত জেনেও আলোচনায় বসে দেখা দরকার। কারণ আলোচনায় বসে সংকট সমাধানের চেষ্টা করার সংস্কৃতি রাজনীতিতে থাকতে হবে। এটা একেবারে হারিয়ে যেতে দেওয়ার ফল শেষ পর্যন্ত কারও জন্যই ভালো হতে পারে না। তা সত্ত্বেও প্রধান দুটি রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে আলোচনায় বসার কোনো সম্ভাবনাই এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।
গত ২৮ অক্টোবর ও তার পরবর্তী কয়েক দিনে বিভিন্ন মহল থেকে আবারও শর্তহীন আলোচনায় বসার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। উভয় পক্ষের প্রতিই আহ্বানও জানানো হয়েছে। কিন্তু শর্ত তো দুই পক্ষেরই আছে। একেবারে বিপরীতমুখী শর্ত। বিরোধীপক্ষের শর্ত হলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনই হতে হবে আলোচনার বিষয়বস্তু। আর সরকারপক্ষের শর্ত হলো, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। নিজ নিজ এই শর্ত থেকে কোনো পক্ষই এক চুলও নড়তে রাজি নয়। সর্বোপরি, এখন তো বিরোধীপক্ষ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে হরতাল ও একটানা অবরোধের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্যেই চলে গেছে। এখান থেকে ফিরে এসে আলোচনার টেবিলে বসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে; যদি না তৃতীয় কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ থাকে। তবে তেমন হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাও যথেষ্ট কম।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আগামী সপ্তাহেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করার কথা। সংবিধান অনুযায়ী সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশনের আর অপেক্ষা করারও সুযোগ নেই। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইন ও বিধিবিধান অনুসরণ করা তাদের জন্য বাধ্যতামূলক। তাহলে কি এবারও ২০১৮ সালের পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে! তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি, জামায়াত ও অন্য দলগুলো আন্দোলনের ময়দানে কিছু সহিংসতা ছড়িয়ে যাবে। আর সরকার ও নির্বাচন কমিশন সংবিধান ও বিধিবিধান অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন করবে?
নাকি ২০২৩-এ ২০১৮ সালের পুনরাবৃত্তি না হয়ে হবে অন্য রকম কিছু? দেশব্যাপী সৃষ্টি হবে গণ-আন্দোলন। সেই আন্দোলনের চাপে নির্বাচন ভন্ডুল হবে। দুই পক্ষ আলোচনায় বসবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। তার অধীনে হবে নির্বাচন? এটি এমন এক সম্ভাবনা, যা তত্ত্বগতভাবে অনুমান কিংবা উপস্থাপন করা যায়। সরকারবিরোধী আন্দোলনে শরিক দলগুলোর আকাঙ্ক্ষাও তাই। কিন্তু বাস্তবতা এখনো তেমন নয়। আর সরকার এখন মাঠে তার অবস্থান শক্তিশালী করায় সেই বাস্তবতা যে শিগগিরই ধরা দেবে, তেমনও আশা করা যায় না।
এর বাইরে আরেকটি বিকল্প নিয়ে ভাবলে কি ভালো হয় না? দুই পক্ষই শর্তহীনভাবে আলোচনায় বসুক। সেখানে নিশ্চয়ই নিজ নিজ পক্ষের কথাই তাঁরা বলবেন। কিন্তু সবার আগে শর্ত যুক্ত করা নয়। আলোচনায় বসে তাঁরা দেখুন কোনোভাবে একটা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেন কি না। দুই পক্ষেরই সদিচ্ছা থাকলে তা অসম্ভবও নয়। কিন্তু কলহপ্রিয় বাঙালি জাতির ললাটে কি তেমন কিছু লেখা থাকা সম্ভব? মনে হয় না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
১৩ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
১৩ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১৩ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
১৪ ঘণ্টা আগে