হোসাইন ময়নুল, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাঁচলিয়া গ্রামটি একসময় গামছাশিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। এখন রং ও সুতার দাম বৃদ্ধির কারণে মালিকেরা তাঁত বন্ধ করে দিচ্ছেন। তাঁরা চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ঢাকায়। আর এই শিল্পে জড়িতরা এখন কষ্টে দিন যাপন করছেন।
সাবেক তাঁতশ্রমিকেরা বলছেন, মহাজনদের থেকে নিয়মিত টাকা পেতেন না। সবকিছুর দাম বৃদ্ধি হলেও তাঁদের কাজের মূল্য বাড়েনি। তাই তাঁতের কাজ ছেড়ে রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করছেন।
এখানকার গামছার কদর বেশ ভালোই ছিল। সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই খটখট শব্দে মুখর হয়ে উঠত পুরো এলাকা। কিন্তু বর্তমানে এ শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে। অধিকাংশ তাঁত কারখানা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। তাঁত কারখানায় এখন সুনসান নীরবতা।
উল্লাপাড়া তাঁত বোর্ড অফিসের তথ্যমতে, পাঁচলিয়া গ্রামের ৮৩০টি পরিবারে প্রায় ৩ হাজার তাঁত রয়েছে। এর মধ্যে বন্ধ রয়েছে প্রায় ১ হাজার। এই তাঁতশিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১২ হাজার নারী-পুরুষ জড়িত।
হাটিকুমরুল ইউনিয়নের সাবেক তাঁতশ্রমিক হেলাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে একসময় তাঁতের কাজ করতাম কিন্তু বর্তমানে এই শিল্পের দুরবস্থা। মহাজনেরা ঠিকমতো কাজের টাকা পরিশোধ করতে পারেন না। সবকিছুর দাম বৃদ্ধি হলেও আমাদের কাজের মূল্য বাড়ে নাই। তাই এখন তাঁতের কাজ ছেড়ে দিয়ে রাজমিস্ত্রির জোগালদার হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছি।’
এ বিষয়ে তাঁত মালিক রহিচ উদ্দিন বলেন, ‘এক সময় ৪২ টি তাঁত ছিল। বর্তমানে সব গুলো তাঁত বন্ধ রয়েছে। রংসহ সুতার দাম বৃদ্ধির কারণে এখন সব শেষ হয়ে গেছে। এই তাঁত শিল্প চালানোর জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে আমার ভাই বাড়িঘর ছেড়ে এখন ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছেন। তবে সরকার যদি আমাদের স্বল্প মূল্যে ঋণ দিত তাহলে এই শিল্পটা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হতো।’
হাটিকুমরুল ২ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতি সমবায় সমিতির সভাপতি আল-আমিন সরকার বলেন, ‘৪০টি তাঁতের মালিক ছিলাম। বর্তমানে ৬টি তাঁত চালু রয়েছে। সিন্ডিকেটের কারণে বাকিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। সেসঙ্গে ৭০ লাখ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে এখন আমাকে ভুগতে হচ্ছে। পরিবারের দুঃখ-কষ্ট এখন দেখার কেউ নেই।’
উল্লাপাড়া তাঁত বোর্ডের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা জায়দুর রহমান বলেন, ‘পাঁচলিয়া গ্রামের গামছাশিল্পের সুনাম রয়েছে। তবে রং-সুতার দাম বৃদ্ধি হওয়ায় অনেক তাঁত কারখানা বন্ধ হয়েছে গেছে। তবে তাঁত মালিকদের তাঁতি কার্ড করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।’
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাঁচলিয়া গ্রামটি একসময় গামছাশিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। এখন রং ও সুতার দাম বৃদ্ধির কারণে মালিকেরা তাঁত বন্ধ করে দিচ্ছেন। তাঁরা চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ঢাকায়। আর এই শিল্পে জড়িতরা এখন কষ্টে দিন যাপন করছেন।
সাবেক তাঁতশ্রমিকেরা বলছেন, মহাজনদের থেকে নিয়মিত টাকা পেতেন না। সবকিছুর দাম বৃদ্ধি হলেও তাঁদের কাজের মূল্য বাড়েনি। তাই তাঁতের কাজ ছেড়ে রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করছেন।
এখানকার গামছার কদর বেশ ভালোই ছিল। সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই খটখট শব্দে মুখর হয়ে উঠত পুরো এলাকা। কিন্তু বর্তমানে এ শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে। অধিকাংশ তাঁত কারখানা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। তাঁত কারখানায় এখন সুনসান নীরবতা।
উল্লাপাড়া তাঁত বোর্ড অফিসের তথ্যমতে, পাঁচলিয়া গ্রামের ৮৩০টি পরিবারে প্রায় ৩ হাজার তাঁত রয়েছে। এর মধ্যে বন্ধ রয়েছে প্রায় ১ হাজার। এই তাঁতশিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১২ হাজার নারী-পুরুষ জড়িত।
হাটিকুমরুল ইউনিয়নের সাবেক তাঁতশ্রমিক হেলাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে একসময় তাঁতের কাজ করতাম কিন্তু বর্তমানে এই শিল্পের দুরবস্থা। মহাজনেরা ঠিকমতো কাজের টাকা পরিশোধ করতে পারেন না। সবকিছুর দাম বৃদ্ধি হলেও আমাদের কাজের মূল্য বাড়ে নাই। তাই এখন তাঁতের কাজ ছেড়ে দিয়ে রাজমিস্ত্রির জোগালদার হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছি।’
এ বিষয়ে তাঁত মালিক রহিচ উদ্দিন বলেন, ‘এক সময় ৪২ টি তাঁত ছিল। বর্তমানে সব গুলো তাঁত বন্ধ রয়েছে। রংসহ সুতার দাম বৃদ্ধির কারণে এখন সব শেষ হয়ে গেছে। এই তাঁত শিল্প চালানোর জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে আমার ভাই বাড়িঘর ছেড়ে এখন ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছেন। তবে সরকার যদি আমাদের স্বল্প মূল্যে ঋণ দিত তাহলে এই শিল্পটা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হতো।’
হাটিকুমরুল ২ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতি সমবায় সমিতির সভাপতি আল-আমিন সরকার বলেন, ‘৪০টি তাঁতের মালিক ছিলাম। বর্তমানে ৬টি তাঁত চালু রয়েছে। সিন্ডিকেটের কারণে বাকিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। সেসঙ্গে ৭০ লাখ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে এখন আমাকে ভুগতে হচ্ছে। পরিবারের দুঃখ-কষ্ট এখন দেখার কেউ নেই।’
উল্লাপাড়া তাঁত বোর্ডের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা জায়দুর রহমান বলেন, ‘পাঁচলিয়া গ্রামের গামছাশিল্পের সুনাম রয়েছে। তবে রং-সুতার দাম বৃদ্ধি হওয়ায় অনেক তাঁত কারখানা বন্ধ হয়েছে গেছে। তবে তাঁত মালিকদের তাঁতি কার্ড করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে